ইসি সচিব
৪ ঘণ্টায় ১৮.৫ % ভোট পড়েছে: ইসি সচিব
দ্বাদশ জাতয়ি নির্বাচনে প্রথম চার ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তিনি ভাবছেন না।
ঢাকার হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আউয়াল বলেন, 'ভোটার উপস্থিতি কম নাকি বেশি সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ভোটার উপস্থিতি নিয়ে ভাবছি না। আমার কাজ হচ্ছে নির্বাচন আয়োজন করা।’
কম ভোটার উপস্থিতি ও বিক্ষিপ্ত সহিংসতার মধ্যে দিয়েই রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
ঢাকা, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, ভোলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও খুলনাসহ ইউএনবির সারাদেশের সংবাদদাতারা প্রত্যাশার চেয়ে কম ভোটার উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন।
এ ছাড়া দেশজুড়ে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
১১ মাস আগে
সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন রাষ্ট্রপতির: ইসি সচিব
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তবে কবে থেকে সেনা মোতায়েন করা হবে সে বিষয়ে পরবর্তী আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম আজ সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ইসি সচিব বলেন, বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বেলা ১১টায় সিইসি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর বিষয়বস্তু ছিল ভোটে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সহায়তাগ্রহণ সম্পর্কিত অনুরোধ।
সংবিধানের ১২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সিইসি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতির কাছে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য অনুরোধ করেছেন বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বিষয়টি শুনে আশ্বাস দিয়েছেন যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।
আরও পড়ুন: ইসির আপিল শুনানি শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২৭৫ প্রার্থী
৩৩৮ ওসি ও ২০৫ জন ইউএনওর বদলির প্রস্তাবে ইসির অনুমোদন
১ বছর আগে
বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে: ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সম্প্রীতি বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধীরা যাতে অংশ নিতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে ইসির কাছে দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনের নেতারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচনে সম্ভাব্য সহিংসতা নিয়ে সংখ্যালঘুদের উদ্বেগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব জবাব দেন, যাদের এ ধরনের আশঙ্কা আছে তারাই তাদের কথা বলতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন জোর দিয়ে বলতে চায় যে তাদের দৃষ্টিতে বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে শান্তিপূর্ণ রয়েছে।’
কমিশন মনে করে এখনো উদ্বেগের কোনো পরিস্থিতি নেই বলে জানান ইসি সচিব।
পরবর্তী সময়ে কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
বৈঠকে সম্প্রীতি বাংলাদেশের নেতারা কমিশনের কাছে চারটি দাবি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
লিখিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ধর্মভিত্তিক অপপ্রচার ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ; আসন্ন নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধীদের অংশগ্রহণ রোধে কার্যকর ভূমিকা নেওয়া; ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঝুঁকিতে থাকা এলাকা চিহ্নিত করা এবং প্রাক-নির্বাচন, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন ওইসব প্রস্তাবের বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে ইসির পক্ষ থেকে কয়েকজন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি যেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়।
একই সঙ্গে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে ২০০১ সালের মতো একটি কালো অক্টোবর দেখতে চাই না; যে ভয়াবহতা ও নৃশংসতা আমাদের শুধুমাত্র 1971 ১৯৭১ এর কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা বাংলাদেশ থেকে এই ধরনের নৃশংসতা চিরতরে দূর করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তাদের সরকারে দেখতে চাই না আমরা।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে অপপ্রচার রোধে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ফেসবুক: ইসি সচিব
আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম নয়, ব্যালট পেপারে হবে: ইসি সচিব
১ বছর আগে
‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাজেট স্বল্পতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে পাঠাবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটি ইমেল পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইইউ জানিয়েছে, তারা ইসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। তারা আমাদের দেশে এসে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছে। নির্বাচনের সময় তাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে তারা একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। কিন্তু দেশে এখন একটি ছোট দল রয়েছে। আমাদের দেশে ইইউ’র যারা আছে তারা এটি করবে কি না সে সম্পর্কে কিছু বলেনি।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সব দল কখনো অংশ নেয় না: ইসি আলমগীর
আলম আরও বলেন, ইইউ নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। তারা সিইসির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন অনুসন্ধান মিশনের (এক্সএম) সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের ফলোআপ হিসেবে একটি চিঠি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মিশন নির্বাচন কমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে।
ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে: সিইসি
ঢাকায় ইইউ মিশনের মতে, নির্বাচন অনুসন্ধান মিশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের ‘পরামর্শ, উপযোগিতা ও সম্ভাব্যতা’ মূল্যায়ন করা।
এই মিশনের কাজ ছিল প্রধান নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের পরিধি, পরিকল্পনা, বরাদ্দ, রসদ ও নিরাপত্তা মূল্যায়ন করা।
ইইউ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে অবস্থানকালে সরকারি প্রতিনিধি, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
আরও পড়ুন: সব দলের অংশগ্রহণ ইসির ওপর নির্ভর করে না: আনিছুর রহমান
১ বছর আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম নয়, ব্যালট পেপারে হবে: ইসি সচিব
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন(ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সোমবার ইসি সচিবালয়ে নির্বাচন কমিশনারদের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৩০০ আসনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে।
ইসি সচিব বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য ও প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাবে তারা ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ২৩ আগস্ট পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ১৫০টি আসনে ঐতিহ্যবাহী ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি। যা সম্ভাব্য আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অর্থ ছাড়ের ওপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ভাগ্য ঝুলছে: ইসি সচিব
এরপর ওই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০টির মধ্যে ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংগ্রহের জন্য আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিএনপি এবং তার মিত্ররা, যারা জুলাই মাস জুড়ে চলা সিইসির সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেয়নি।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কারণ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহারের দাবি তাদের।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি সরকার বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণ দেখিয়ে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম m1348 Hrs 13achines (EVMs) কেনার বিষয়টি এগিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভিএম কেনার বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল হয়নি: ইসি সচিব
১ বছর আগে
অর্থ ছাড়ের ওপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ভাগ্য ঝুলছে: ইসি সচিব
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড় না পাওয়ায় আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার ঝুলছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
বুধবার নির্বাচন ভবনে ১৬তম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।
সরকার প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্প প্রস্তাব স্থগিত রাখার পর সরকার এখন পুরনো ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য অর্থ ছাড় করতে বিলম্ব করছে।
তিনি বলেন, ‘ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) জানিয়েছে যে আমাদের কাছে এক লাখ ইভিএম রয়েছে, যা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তহবিল প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা সংসদ নির্বাচনে মেরামত এবং ব্যবহারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আমরা ইভিএম ব্যবহার করা আসন সংখ্যা চূড়ান্ত করতে পারেন।’
নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে দেড় লাখ ইভিএম কিনেছে প্রতিটি দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকায়, যা ভারতের তুলনায় প্রায় ১১ গুণ বেশি।
বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এর একটি প্রস্তাব অনুসারে, এখন, প্রায় পাঁচ বছর পরে, এই মেশিনগুলোর মধ্যে ৪০ হাজার মেরামতের বাইরে রয়েছে এবং বাকি এক লাখ এক হাজার ঠিক করা যেতে পারে। তবে এর জন্য প্রায় এক হজার ২৬০ কোটি টাকার প্রয়োজন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অর্থ ছাড় করতে ইসি অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে। অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা দিতে রাজি হলে পরবর্তী ধাপে ইসি বলতে পারবে কয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: রংপুরে সংরক্ষিত ইভিএমের ৬০ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, যতটা সম্ভব ব্যবহারের কথা ভাবছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, ‘স্থান ভেদে ভোটার সংখ্যা ভিন্ন। তাই ছোট এলাকা নিতে পারলে বেশি ইভিএম ব্যবহার হবে আর বড় এলাকায় হলে কম হবে। তাই চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর স্পষ্ট করে বলতে পারব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন বরাবরই বলে আসছে ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তারা।
তিনি আরও বলেন,‘আমরা এর থেকে সরে আসিনি। যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হবে তার সংখ্যা নির্ভর করবে ইভিএম মেশিনের সংখ্যার উপর। এটি নির্ভর করে কতগুলো মেশিন পাওয়া যায়, কতগুলিকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায়।’
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে তৎকালীন কে এম নুরুল হুদা কমিশন দুই লাখ ইভিএম মেশিন কিনেছিল। সে সময় তারা জাতীয় নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করেছিল। বাকিগুলো স্থানীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়। কিছু মেশিন বিএমটিএফ গুদামে সংরক্ষিত আছে। মোট এক লাখ মেশিন অকেজো হয়ে পড়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা হাতে নেন। এর জন্য প্রায় চার লাখ মেশিনের প্রয়োজন। আরও দুই লাখ মেশিন ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারকে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার নতুন প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশন বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রকল্প প্রস্তাব স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: ইভিএম কেনার বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল হয়নি: ইসি সচিব
১ বছর আগে
ইভিএম কেনার বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল হয়নি: ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো.জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, সরকার এই মুহূর্তে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার বিষয়টি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ক্রয় প্রকল্পটি বাতিল করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সরকারের আর্থিক সক্ষমতার কথা বিবেচনা করে পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ইসি ভবনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাহাঙ্গীর আলম সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে: ইসি সচিব
এছাড়া গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর, নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০টির মধ্যে ১৫০টি আসনে ইভিএম সংগ্রহের জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়।
তিনি বলেন, গত বছরের ২৩ আগস্ট আগামী নির্বাচনে সর্বাধিক ১৫০টি আসনে ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। আগামী বছরের শুরুতে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা। তারা জুলাই মাস জুড়ে চলা সিইসির সঙ্গে সংলাপে যোগ দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে, কারণ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহারের দাবি তাদের।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব
এরশাদের আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ১ সেপ্টেম্বর: ইসি সচিব
১ বছর আগে
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে: ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার ইসি ভবনে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আমরা সংসদ সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করব এবং স্পিকারের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বৈঠকের তারিখ ঠিক করব।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পরবর্তী মেয়াদে আর রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না। কারণ দেশের সংবিধান অনুযায়ী একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন আবদুল হামিদ। প্রথম মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০১৮ সালে একই তারিখে দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।
হামিদই একমাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি টানা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার দ্বিতীয় ও শেষ মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আইনপ্রণেতারা ভোট দেন। যাতে সিইসি নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব
এরশাদের আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ১ সেপ্টেম্বর: ইসি সচিব
১ বছর আগে