চালের দাম
চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য
এখন থেকে চালের বস্তা বাজারজাতকরণের আগে বস্তার গায়ে ধানের জাত, মিল গেটের মূল্য এবং বস্তার ওজন লিখতে হবে। সেই সঙ্গে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম ও অবস্থান উল্লেখ করতে হবে।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এই নতুন নির্দেশনা কার্যকর হবে।
এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
এরই মধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, সব জেলা প্রশাসক, সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতভিত্তিক চালের দাম ও মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সই করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
এর মধ্যে রয়েছে- চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের আগে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।
চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব ধরনের চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।
নির্দেশনাগুলো মেনে না চললে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দণ্ডিত করা হবে।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে বস্তায় চালের জাত ও মূল্য লিখতে হবে: খাদ্য মন্ত্রণালয়
৬ মাস আগে
মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানের ফলে মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্ত:মন্ত্রণালয় সমন্বয় সভায় খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর আইন প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ এর বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে। এই আইন হলে ছাটাই করে চালের পুষ্টিকর অংশ বাদ দেওয়া বন্ধ হবে। পাশাপাশি বস্তার গায়ে মিলগেটের দাম, ধানের জাত এবং উৎপাদন তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
আরও পড়ুন: আইন মেনে ব্যবসা না করলে সরকার কঠোর হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন সকল পর্যায়ে ব্যাবসায়ীদের লাভ করার প্রবণতা খুব বেশি।
খুচরা বিক্রেতা কেজি প্রতি ৪-৫ পাঁচ টাকা লাভ করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিলগেট আর খুচরা বাজারে দামের বিস্তর ফারাক।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসবেন, আমরা আশা করছি তার আগেই চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত অর্ডার (প্রজ্ঞাপন) হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা সাধারণ মানুষের কাছে দৃশ্যমান করতে হবে। রমজানের আগে নিত্যপণ্যের সরবরাহ নির্বিঘ্ন করে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেন, আমরা কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে কাজ করছি। অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা হবে। বস্তার গায়ে মিলগেট চালের মূল্য লেখা থাকলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে: খাদ্যমন্ত্রী
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
৮ মাস আগে
কুষ্টিয়ার বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে সব ধরনের চালের দাম
দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মোকাম কুষ্টিয়ার বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে সব ধরনের চালের দাম। গত এক সপ্তাহে খুচরা বাজারে প্রায় সব ধরনের চালে কেজিপ্রতি ৪ টাকা বেড়েছে।
এ নিয়ে চলতি আমন মৌসুমে ৩ দফায় কুষ্টিয়ায় চালের দাম বাড়ল।
খুচরা বিক্রেতারা বলেন, মোকাম থেকে বেশি দামে চাল ক্রয়ের কারণে তাদেরকে বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ী ও চালকল মালিকরা বলছেন, প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে ধানের দাম। সে কারণে বাড়াতে হচ্ছে চালের দাম। তাই খাজানগর চালের মোকামেই দুই থেকে আড়াই টাকা বেড়েছে চালের দাম। তারা ধানের দাম বৃদ্ধির উপরেও নজরদারির দাবি তুলেছেন।
বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ইউএনবির এই প্রতিবেদক জানতে পারেন, নানা অজুহাতে গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে চিকন চালসহ অন্যান্য চালের দাম কেজিতে বেড়েছিল ৩ টাকা পর্যন্ত। মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে কয়েক দিন ধরে খুচরা বাজারে আবারও সব ধরনের চাল কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
চলতি আমন মৌসুম শেষে এ নিয়ে ৩ দফায় কুষ্টিয়ার বাজারে চালের দাম বাড়ল। কুষ্টিয়া পৌর বাজার ঘুরে দেখা গেছে ৬২ টাকার মিনিকেট চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকায়। কয়েকদিন আগেও ৫৬ টাকায় বিক্রি হওয়া কাজললতা চাল এখন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মোটাচাল ২৮ কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকা কেজি।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন নিয়ে ফেরিডুবি, চালক নিখোঁজ
৯ মাস আগে
চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এছাড়া সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে যাঁরা ব্যবসা করেন তাঁরা অবশ্যই স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করবেন।
তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে প্রকৃত ব্যবসা না করে ভিন্ন খাতে অর্থাৎ বাড়ি গাড়ি বানিয়ে ফেলেন, তাঁরা পরবর্তীতে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ঋণ খেলাপি হয়ে যান। আসলে তাদের ইচ্ছাই অসৎ। ঋণ পরিশোধের ইচ্ছাই তাদের থাকে না। যারা লেগে থাকে, লেগে আছে তারা অবশ্যই সফলতা অর্জন করে।
শনিবার দুপুরে নওগাঁ কনভেনশন সেন্টার মিলনায়তনে নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত সংগঠনের মেম্বার্স ডে' ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সব দিক বিবেচনায় একটি সফল সরকার।
করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, অনেকে বলেছিলেন বাংলাদেশে বহু মানুষ মারা যাবে। না খেতে পেয়েও অনেক মানুষ মারা যাবে। কিন্তু সরকার অত্যন্ত সফলতার মাধ্যমে সে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেছেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে এ জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন লাভ করেছে। আশা করি জাতীয় সংসদের আসন্ন শীত মওসুমের অধিবেশনে সংসদীয় অনুমোদন লাভ করবে। এছাড়া জেলায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একাডেমিক অনুমোদন পেয়েছে।
কৃষকদের আরও সহজভাবে সার সরবরাহ করতে ইতোমধ্যে একটি বাফার গো-ডাউন নির্মাণ এবং একটি হিমাগার নির্মাণের জন্য অনুমোদন লাভ করেছে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, দেশের অনেক জেলার থেকে নওগাঁ জেলায় রাস্তাঘাটের অনেক বেশী উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া কৃষকরা ফসল উৎপাদনে আগ্রহী না হলে মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হবে না। তাই সরকার কৃষকদের ফসল উৎপাদনে অধিক আগ্রহী করে তুলতে কৃষকদের সহায়তায় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এর আগে বেলা ১২টায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার হাট নওগাঁ এলাকায় অবস্থিত নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ভবনে মুজিব কর্নার ও ডিরেক্টরস লাউঞ্জের উদ্বোধন করেন।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলগেট থেকে শুরু করে কোথাও চালের দাম বাড়েনি। একটা মৌসুম শেষ আরেকটা মৌসুম শুরু হলে এই দুই মৌসুমের মাঝখানে চালের দাম একটু ওঠানামা হয়। ইতোমধ্যে আমন মৌসুম ধান কাটা-মাড়াই শুরু হচ্ছে। এছাড়াও ওএমএস চলমান রয়েছে। তাই চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি গুদামে যে খাদ্য মজুত থাকার কথা, তার দ্বিগুণ আছে। প্রায় ১৮ লাখ টন চাল সরকারি গুদামে মজুদ আছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারিভাবে আমদানি করা হচ্ছে। এরসঙ্গে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই যোগ হবে নতুন আমনের ফলন। সব মিলিয়ে দেশে খাদ্য সংকটের কোন শঙ্কা নেই।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার প্রান্তিক কৃষকদের নায্যামূল্য দিতেই ধান কিনে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলো কি হলো না সেটা কোন বড় কথা নয়। আমরা চাই কৃষকেরা ধানের নায্য মূল্য পাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, চকচকে চাল না খেয়ে সবাইকে নন-পলিশ চাল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। আগের মত মানুষ যদি নন-পালিশ চাল খাওয়া শিখে তাহলে আমাদের দেশে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন চাল সেফ হবে। তখন আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নওগাঁ জেলা কৃষি ভিত্তিক জেলা। কৃষি ক্ষেত্রে এ জেলার রয়েছে অনেক সফলতা। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে সরকার অনেক কল্যাণমুলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। কেবলমাত্র কৃষকদের সার প্রদানের ক্ষেত্রেই ৪৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করছে।
এছাড়া খাদ্য নিয়ে অযথা কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সে দিকে ব্যবসায়ীসহ সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক ইকবাল শাহরিয়ার রাসেলের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছি) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, এফবিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি আমিন হেলালী, এফবিসিসিআই-এর পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন খান ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক যশোধা জীবন দেবনাথ, নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টুনু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নওগাঁ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী দ্বীন, বেলকন গ্রুপের এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. বেলাল হোসেন এবং পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল মোস্তফা কালিমি বাবু।
আরও পড়ুন: লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যশস্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
১ বছর আগে
আগামীকাল থেকেই চালের দাম নিম্নমুখী দেখতে চাই: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত ধান ও চাল উৎপাদন হয়। তারপরও চালের দাম বাড়ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আগামীকাল থেকেই চালের দাম নিম্নমুখী দেখতে চাই।
রবিবার বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অবৈধ মজুতদারি রোধে করণীয় ও বাজার তদারকি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। তারপরও ধাপেধাপে চালের দাম বাড়ছে, যা কাঙ্খিত নয়। এর কারণ খতিয়ে দেখতে আমরা মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। মাঠ পর্যায়ের সঠিক তথ্য আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণে কাজে লাগবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিনের দাম লিটার প্রতি ৮ টাকা কমলো
দেশের বাজারে চালের অভাব না থাকা সত্ত্বেও দাম কেন বাড়ছে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দিয়ে খাদ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলের স্টক ভেরিফিকেশন করতে হবে, কতটুকু ক্র্যাসিং হল, কতটুকু সরবরাহ হল তা প্রতিদিন নিয়মিত রিপোর্ট করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রমজান মাসে চালের দাম বাড়ানো যাবে না। কাল থেকে ধাপেধাপে কমাতে হবে। তাছাড়া চালের বস্তায় ধানের জাত ও উৎপাদনের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। তার গাইড লাইন আমরা দ্রুত পাঠিয়ে দিব। কেউ অবৈধভাবে চাল মজুত করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাজারে মোটা চালের দাম বাড়েনি: খাদ্যমন্ত্রী
এসময় চালের বাজার নিম্নমুখী রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চান তিনি।
অনুষ্ঠানে চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, এখন আর চালের দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। আগামী এক মাসের মধ্যে কিছু জায়গায় ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে। সেই ধান বাজারে আসার পরপরই চালের দাম অনেকটা কমে আসবে। এ ছাড়া আগামীকাল থেকেই চালের দাম কমানো হবে। তিনি বলেন, ৫০ কেজির সরু চালের বস্তায় দাম ১০০ টাকা কমানো হবে।
২ বছর আগে
বাজারে মোটা চালের দাম বাড়েনি: খাদ্যমন্ত্রী
বাজারে মোটা চালের দাম বাড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দাম কমতির দিকে। মোটা চালের অধিকাংশ নন হিউম্যান কনজামশনে চলে যাওয়ায় এবং মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তনের কারণে সরু চালের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। এই কারণে সরু চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কোনভাবেই চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে দেয়া হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন বোরো সংগ্রহ ২০২২ মৌসুমে ছয় দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন ধান, ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, শূন্য দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংগ্রহ মৌসুম ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু ৩১ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত চলবে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ২৭ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং আতপ চাল ৩৯ টাকা।
এছাড়া ২০২১ সালে ধান চালের দাম একই ছিল বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরনির্ভরতা কমাতে কৃষি প্রণোদনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
এ সময় তিনি সরু ধানের উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে সভায় উপস্থিত কৃষিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সভায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, খাদ্য সচিব ও মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব মতামত তুলে ধরেন।
২ বছর আগে
আরও সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে সরকার
সরকার আরও সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৩ বছর আগে
খুলনাঞ্চলে চালের দাম আবারও বৃদ্ধি
খুলনাঞ্চলে চালের দাম আবারও বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে বাসমতি ও মিনিকেট দুই ধরনের চিকন চাল কেজিতে দুই টাকা করে বেড়েছে। গেল সপ্তাহে যে চালের দাম ছিল ৬৫ টাকা কেজি, শুক্রবার সেই চাল ৬৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
৩ বছর আগে
বেড়েছে চালের দাম, সবজি ও তেলের দামও বাড়তি
পর্যাপ্ত মজুদ ও আমদানি সত্ত্বেও গত বছরের তুলনায় ঢাকায় চালের দাম ২৮.০৬ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে মানুষের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
৩ বছর আগে
প্রয়োজন হলে চাল আমদানি করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বৃহস্পতিবার বলেছেন, সারাদেশে মজুদ পরিস্থিতি যাচাই করা হচ্ছে। বাজার দর স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন হলে চাল আমদানি করা হবে।
৪ বছর আগে