পিঠা
পিঠা-পুলি বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যের অংশ: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, পিঠা-পুলি বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যের অংশ। এ ছাড়া বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা-পুলির আয়োজন।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিয়ামতপুরের ঘুঘুডাঙ্গার তালতলিতে তৃতীয়বারের মতো তাল পিঠা মেলা অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রত্যেক সৃষ্টির আনন্দ আছে। সেই সৃষ্টি টেকসই হলে আনন্দ আরও বেড়ে যায়। একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তালের গাছ রোপন করেছিলাম। সেই ঘুঘুডাঙ্গার তাল সড়ক এখন দেশে ও বিদেশে ব্রান্ড হয়ে উঠেছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তালসড়ককে কেন্দ্র করে ঘুঘুডাঙ্গা একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। কিছু কাজ করা হয়েছে। জলবায়ু ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ এখানে অর্থায়ন করার আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আউশ ধানের চাষ বেশি হওযায় চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যের অপচয় বন্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
১ বছর আগে
চাঁদপুরে অনন্যা পিঠা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
আনন্দঘন পরিবেশে অর্ধশতাধিক প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে লবি রহমান'স কুকিং ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ‘অনন্যা পিঠা প্রতিযোগিতা-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁদপুর রোটারি ক্লাব হলরুমে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও চান নারীরা স্বনির্ভর হয়ে এগিয়ে যাবে। কারণ দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। নারীদের মূলধারায় না এনে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। এছাড়া নারীদের বাদ রেখে কোন দেশ এগিয়ে যেতে পারেনি, পারবেও না।
তিনি এ ধরনের আয়োজনকে সাধুবাদ জানান।
লবি রহমান'স কুকিং ফাউন্ডেশন জেলা শাখার প্রেসিডেন্ট শারমিন আক্তার জুঁই’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ও প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন লবি রহমান'স কুকিং ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার ও সিইও লবি রহমান।
আরও পড়ুন: ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে
শীতের ছয়টি মজাদার পিঠার রেসিপি
পিঠা আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। বাংলাদেশে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি হয়। তবে পিঠা তৈরি ও খাওয়ার জন্য শীতকাল সবচেয়ে ভালো মৌসুম। শীতের সকাল পিঠা খাওয়ার উপযুক্ত সময়। পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির একটি অংশ। বেশিরভাগ পিঠাই মৌসুমী। বিশেষ করে শীতের মৌসুমেই ঘরে ঘরে পিঠা তৈরি করা হয়। কারণ কিছু উপাদান শুধুমাত্র এই সময়েই পাওয়া যায়। কিছু পিঠা নবান্ন এবং পৌষ পার্বণের মতো ফসল কাটার উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
পিঠা তৈরির জন্য চালের গুড়ো, নারকেল, গুড়, দুধ, তেল ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। এটা নির্ভর করে পিঠার ধরনের ওপর। কিছু পিঠা মিষ্টি আবার কিছু নোনতা, কিছু নরম আবার কিছু শক্ত।
শীতকালের ছয়টি মজাদার পিঠার রেসিপি তুলে ধরা হল-
১. পাটিসাপটা
পাটিসাপটা হল একটি পাতলা সুইডিশ প্যানকেক বা ক্রেপ ধরনের পিঠা, খুব বিশেষ এবং বাঙালিদের কাছে খুব পছন্দের। এটি ছাড়া কোন বিশেষ অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয় না। অনেক বৈচিত্র্য থাকতে পারে, কখনও কখনও গুড়ের সঙ্গে প্রস্তুতকৃত নারকেলের মিশ্রণে ব্যবহার করা হয় এবং কখনও কখনও ক্ষীর বা ক্ষীরশা ব্যবহার করা হয়। অনেকে জাফরান, শুকনো বাদাম এবং কিশমিশ ব্যবহার করে থাকে।
পাটিসাপটা পিঠা করতে যা লাগবে-
উপকরণ:
দুধ ২ লিটার,
চিনি ৫০০ গ্রাম,
সুজি দুই টেবিল চামচ,
মিহি নারিকেল কোরা আধা কাপ,
চালের গুঁড়া ১ কেজি,
ময়দা আধা কাপ,
ভাজার জন্য তেল,
পানি পরিমাণ মতো
চিনি স্বাদমতো
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে অর্ধেক চিনি আর দুধ ঘন করে জ্বাল দিতে হবে। এবার তার ভেতর সুজি আর নারিকেল কোরা ছেড়ে ক্ষীর তৈরি করে নিতে হবে। ক্ষীর ঘন হলে নামিয়ে রাখুন। চালের গুঁড়া, বাকি চিনি, পানি আর লবণ দিয়ে পাতলা গোলা করে নিন। ফ্রাই প্যানে সামান্য তেল নিয়ে গরম করে নিতে হবে। এবার আধা কাপ গোলা দিয়ে একটা পাতলা রুটির মতো বানিয়ে নিন। রুটির ওপরের দিকে শুকিয়ে এলে এক টেবিল চামচ পরিমাণ ক্ষীর দিয়ে মুড়িয়ে পাটিসাপটার আকার দিয়ে আরেকবার ভেজে নিন। এভাবে একটি একটি করে পিঠা বানিয়ে নামিয়ে আনুন। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন মজার পাটিসাপটা পিঠা।
১ বছর আগে
গাজীপুরে ভিন্ন ধরনের পিঠা উৎসব
গাজীপুর সদরের নয়নপুর এলাকার ইকবাল সিদ্দিকী কলেজ ক্যাম্পাসে এক ভিন্ন ধরনের পিঠা উৎসবে আয়োজন করা হয়েছে। ব্যতিক্রমী এই পিঠা উৎসবে কোন পিঠাই অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়নি।
তরুণ প্রজন্মকে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী নানান রকম পিঠাপুলির সঙ্গে পরিচিত করানোর উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার সকালে ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি পরিচালিত ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কচি-কাঁচা একাডেমি ও নয়নপুর এন এস আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের তৈরি বাহারি পিঠা নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলার প্রবীণ শিক্ষক সুনীল চন্দ্র সেন।
আরও পড়ুন: শীতে মাগুরায় পিঠা খাওয়ার ধুম
উৎসবে যোগ দেয়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জেসমিন আক্তার মনি বলে, ‘খাওয়া তো দূরের কথা এত পিঠার নামও আমি আগে কখনও শুনিনি, একরকম পিঠা নিয়ে এসে নানানরকম পিঠা খেলাম, অনেক নতুন নতুন পিঠার নাম জানলাম। আমি অভিভূত।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিনা সোমনা তাসফিয়া বলে, ‘তিন প্রকারের পিঠা নিয়ে এসে অনেক ধরনের পিঠা খেয়েছি, অনেক নতুন পিঠা চিনেছি।’
ব্যতিক্রমী এই পিঠা উৎসবে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণিভিত্তিক ১৫ স্টলে কোন পিঠা অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়নি। শিক্ষার্থী- শিক্ষক-অভিভাবকরা পিঠা স্টলে জমা করে শুভেচ্ছা কুপন সংগ্রহ করে এবং সেই কুপন যে কোনো স্টলে জমা দিয়ে তাদের পছন্দমত প্রত্যেক পদের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: ধোঁয়া-ওঠা গরম গরম পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে খুলনায়
উৎসবে পাটিসাপটা পিঠা, ভাঁপা, নকশি, মাংস পুলি, দুধ পুলি, নারকেল পুলি, দুধচিতই, দুধপোয়া, ঝালপোয়া, মালপোয়া, সেমাই পিঠা, ডিম পিঠা, লবঙ্গ লতিকা পিঠা, জামাই পিঠা, রুট পিঠা, থামি পিঠা, অঙ্কন পিঠা, চিরুনি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, দুধ গুগল, বিস্কুট পিঠা, সমুচা পিঠা, ছিটা পিঠা ও সুজির হালুয়া স্থান পায়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উৎসবে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত ছিল।
২ বছর আগে
শীতে মাগুরায় পিঠা খাওয়ার ধুম
মাগুরায় শীতের ঠাণ্ডা হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো ভাপা, চিতই পিঠাসহ নানা ধরনের পিঠার ঘ্রাণ সর্বত্র বয়ে যাচ্ছে। সকালের কুয়াশা ভেদ করে মিষ্টি রোদের ছোঁয়া পাশাপাশি এই সব পিঠা মানবকুলে বৈচিত্র আনে।
শীতকালে মুখরোচক খাদ্য হিসেবে পিঠা বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। এই সময় প্রতিটি ঘরে নানা রকমের পিঠা তৈরি করা হয়। তবে ভাপা পিঠা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা, যা প্রধানত শীতকালে খাওয়া হয়ে থাকে। আর এ শীতকালকে ঘিরেই মাগুরায় বিভিন্ন বাজারে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পিঠা, গরম কাপড়সহ নানা ধরনের ব্যবসাও করে থাকেন।
আরও পড়ুন: ধোঁয়া-ওঠা গরম গরম পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে খুলনায়
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শীতের শুরুতেই জেলার অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাস্তার পাশে স্কুল-কলেজের মাঠে এমনকি ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে ভাপা পিঠা বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রধানত চালের গুঁড়ার মধ্যে কিছু খেজুরের অথবা আখের গুড় দিয়ে তার ওপর আবার চালের গুঁড়া দিয়ে গরম পানির ভাপে তৈরি করা হয় এ মজাদার পিঠা। স্বাদ বাড়ানোর জন্য দেয়া হয় নারিকেল।
সারা দিনের কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে ফুটপাথে গড়ে তোলা পিঠাপুলির দোকানে এসে ভিড় জমান জেলার বিভিন্ন শ্রেণির ক্রেতা। ক্রেতাদের জন্য দোকানে দুই পাশে রাখা হয়েছে লম্বা বেঞ্চ। দোকানে বেচাকেনা হয় ভালো, যা আজকাল পিঠা উৎসবে পরিণত হয়েছে।
পিঠা তৈরি করে সংসার চালাচ্ছে অনেক নারী ও পুরুষ বিক্রেতারা। তাদেরই একজন মো. আবদুল আলিম (৩৫)। চার সন্তানের বাবা আলিম পিঠার ব্যবসা করেই সন্তানদের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ বহন করছেন। তবে তার এ ব্যবসায় পুরোপুরি সহযোগিতা করছেন তার স্ত্রী।
আলিম বলেন, ‘পিঠা বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে আমার সংসার চলে। দুই ছেলে, দুই মেয়ে নিয়ে আমার সংসারে তেমন অভাব নেই।’
আরও পড়ুন: পাহাড়ে চলছে নবান্নের প্রস্তুতি
তিনি জানান, শীত এলেই তিনি পিঠা বিক্রি করেন। কারণ এ সময় পিঠার ব্যবসা ভালো হয়। ভাপা পিঠা তৈরিতে খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে। সব সময় ভিড় থাকে দোকানে। প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করেই ৪০০ টাকা আয় হয় বলে জানান তিনি।’
এদিকে ফুটপাথে এই পিঠা ব্যবসাকে ঘিরে সারা দিনই চলে লোকজনের আসা-যাওয়া। এক কথায়, হরহামেশা ভিড় লেগে থাকে জেলার এসব দোকানে। সর্বস্তরের মানুষ ফুটপাথে তৈরি করা এ পিঠা ক্রয় করে ফুটপাথে বসেই খান। অনেকেই আবার পরিবারের জন্য পার্সেল করে নিয়ে যান। এতে করে এক শ্রেণির দরিদ্র মানুষ এই পিঠার ব্যবসা করে সংসার নির্বাহ করছে।
২ বছর আগে
ধোঁয়া-ওঠা গরম গরম পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে খুলনায়
পুরোপুরি শীত শুরু নাহলেও বেশ কয়েকদিন থেকে খুলনা মহানগরীতে সন্ধ্যার পর থেকে শীতের পিঠা বিক্রি ধুম পড়েছে। মৌসুমী পিঠা ব্যবসায়ীরা মোড়ে মোড়ে পিঠার দোকান নিয়ে বসে পড়েছেন। আর সাধারণ মানুষও খাচ্ছেন এসব ধোঁয়া-ওঠা গরম গরম পিঠা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পিঠা তৈরির ছাঁচে চালের গুঁড়ি নিয়ে তার ওপর গুড়, নারকেল ছিটিয়ে ভাপে দিচ্ছেন দোকানি। খোলায় বানানো হচ্ছে চিতই পিঠা। সন্ধ্যার পরেই পিঠার দোকানে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট পিঠার দোকান সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। অনেকে আবার পিঠা বিক্রির দোকান দিয়ে পেশা পরিবর্তন করছেন।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে চলছে নবান্নের প্রস্তুতি
শান্তিধাম মোড়স্থ জাতিসংঘ শিশু পার্কের পশ্চিম পাশে, মহানগরীর রূপসা ঘাট, পিটিআই মোড়, দোলখোলা মোড়, গফফারের মোড়, শিশু হাসপাতাল রোড, তারের পুকুর পাড়, পিকচার প্যালেস মোড়, ক্লে রোড, মহারাজ চত্বর রোড, স্টেশন রোড, কদমতলা রোড, খান জাহান আলী রোড, সোনাডাঙা বাস স্ট্যান্ড, মোল্লা বাড়ির মোড়, নিউ মার্কেট, খালিশপুর, দৌলতপুর, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার মোড় আর ফুটপাতে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক অস্থায়ী পিঠার দোকান।
পিঠা বিক্রেতা নুরুজ্জামান বলেন, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই পিঠা বিক্রি করি। এবার প্রায় ১৫-২০ দিন হয়েছে চিতই পিঠা বিক্রি শুরু করেছি। ৫ টাকা করে প্রতি পিস, বিক্রিও খুব ভালো।
নুরুর দোকান থেকে পিঠা কিনে প্রশংসা করে বেসরকারি চাকরিজীবী মামুন বলেন, ‘এখানকার পিঠার মান ভালো। তাই প্রতিবছরই কিনে থাকি। এবারও কিনেছি।
আরও পড়ুন: কুবিতে নবান্ন উৎসব
দোকানিরা জানান, খুব বেশি পুঁজি লাগে না বলে সহজে এ ব্যবসা শুরু করা যায়। জ্বালানি হিসেবে খড়ি, অকেজো কাঠের টুকরা, কিংবা গাছের শুকনা ডাল ব্যবহার করছেন তারা। তবে কেউ কেউ আবার পিঠা তৈরি করতে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। কিছু গুড়, আটা, নারকেল নিয়ে এ ব্যবসা খুলে বসা যায়।
সোনাডাঙা মোল্লা বাড়ির মোড়ের পিঠা বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, পাটিসাপ্টা, কুলি, চিতই, খিজানো পিঠা ও তেলের পিঠা বিক্রি করেন তিনি। দামে কম ও মান ভালো হওয়ায় দোকানে প্রায় ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে।
এদিকে দিনের আদ্রতা কমে যাওয়ার দরুন কার্তিক মাসের শেষ দিকের সকালে একটু একটু সূর্যের কিরণের দেখা মেলে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে রাতের শেষাংশে বেশ শীতে কাঁপন ধরছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে নবান্ন উৎসব শুরু
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গত ১২ নভেম্বর (শুক্রবার) ভারতের তামিল নাড়ুর উপরদিয়ে অতিক্রম করেছে। তারই প্রভাবে গভীর সঞ্চালন মেঘমালা বাংলাদেশের উপরে অবস্থান করছিল। এরই প্রভাবে সূর্যের কিরণ দেখা যায় এবং কোথাও কোথাও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার কারণে সন্ধ্যার পর ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে।
তিনি জানান, এই লঘুচাপের পরেই শীতের আরও তীব্রতা বাড়বে বলে মনে করেছে আবহাওয়া অফিস।
২ বছর আগে
খুলনায় জমে উঠেছে শীতের পিঠা বিক্রি
জ্বলন্ত চুলায় লাকড়ি দিয়ে চার-পাঁচটি মাটির খোলায় চিতই পিঠা বানাচ্ছেন নুরুজ্জামান নুরু। চুলার অল্প আঁচে উড়ছে ধোঁয়া। তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু চিতই। আর চুলা থেকে নামানোর পর মুহূর্তেই তা চলে যাচ্ছে অপেক্ষামান ক্রেতার হাতে। ক্রেতারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সেই পিঠা কিনছেন। কেউ বা নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য। কেউ আবার দাঁড়িয়েই খাচ্ছেন।
পাশের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে ব্যস্ত নুরুর বড় ভাই রুহুল আমীন। রাস্তার পাশে এই দুই ভাইয়ের দোকানে অর্ধশত মানুষ পিঠা কেনার জন্য ভিড় জমিয়েছেন। খুলনা মহানগরীর শান্তিধাম মোড়স্থ জাতিসংঘ শিশু পার্কের পশ্চিম পাশে প্রতিদিনি সন্ধ্যায় এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।
নুরুজ্জামান বলেন, প্রতিবছর শীত মৌসুমে এলে পিঠা বিক্রি করি। এবার প্রায় ১৫-২০ দিন হয়েছে চিতই পিঠা বিক্রি শুরু করেছি। পাঁচ টাকা করে প্রতি পিস। বিক্রিও খুব ভালো।
মামুন নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী নুরুর দোকান থেকে পিঠা কিনে প্রশংসা করে বলেন, এখানকার পিঠার মান ভালো। তাই প্রতিবছরই কিনে থাকি। এবারও কিনেছি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পুনাক পিঠা মেলায় মুগ্ধ দর্শনার্থীরা
সোলেমান নগরের প্রবেশপথে পাশাপাশি দুই দোকানে পাটিসাপ্টা, ভাপা, পুলি, তেলের পিঠা ও চিতই পিঠা বিক্রি করছেন রফিক এবং সাহানারা। রফিক জানান, পুলি পিঠা ১০ টাকা পিস, পাটিসাপ্টা ১৫ টাকা ও পাঁপড় তিন পিস ১০ টাকায় বিক্রি করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পিঠা তৈরির ছাঁচে চালের গুঁড়ি নিয়ে তার ওপর গুড়, নারকেল ছিটিয়ে ভাপে দিচ্ছেন দোকানি। খোলায় বানানো হচ্ছে চিতই পিঠা। সন্ধ্যার পরেই পিঠার দোকানে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট পিঠার দোকান সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। অনেকে আবার পিঠা বিক্রির দোকান দিয়ে পেশা পরিবর্তন করছেন।
মহানগরীর রূপসা ঘাট, পিটিআই মোড়, দোলখোলা মোড়, গফফারের মোড়, শিশু হাসপাতাল রোড, তারের পুকুর পাড়, পিকচার প্যালেস মোড়, ক্লে রোড, মহারাজ চত্বর রোড, স্টেশন রোড, কদমতলা রোড, খান জাহান আলী রোড, সোনাডাঙা বাস স্ট্যান্ড, মোল্লা বাড়ির মোড়, নিউ মার্কেট, খালিশপুর, দৌলতপুর, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার মোড় আর ফুটপাতে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক অস্থায়ী পিঠার দোকান।
মৌসুমী পিঠা ব্যবসায়ীরা মোড়ে মোড়ে পিঠার দোকান নিয়ে বসে পড়েছেন। আর সাধারণ মানুষও খাচ্ছেন এসব ধোঁয়া-ওঠা গরম গরম পিঠা।
দোকানিরা জানান, খুব বেশি পুঁজি লাগে না বলে সহজে এ ব্যবসা শুরু করা যায়। জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি, অকেজো কাঠের টুকরা, কিংবা গাছের শুকনো ডাল ব্যবহার করছেন তারা। তবে কেউ কেউ আবার পিঠা তৈরি করতে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। কিছু গুড়, আটা, নারকেল নিয়ে এ ব্যবসায় খুলে বসা যায়।
সোনাডাঙা মোল্লা বাড়ির মোড়ের পিঠা বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, পাটিসাপ্টা, পুলি, চিতই, খিজানো পিঠা ও তেলের পিঠা বিক্রি করেন তিনি। দামে কম ও মান ভালো হওয়ায় দোকানে প্রায় ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে।
আরও পড়ুন: বোয়ালমারীতে সন্ধ্যায় ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম
করোনা প্রতিরোধে ‘আইডিয়া’র ‘ইমিউনিটি পিঠা’
৩ বছর আগে
লালমনিরহাট শহরে মোড়ে মোড়ে পিঠার দোকান
সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে ঠান্ডার প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে কদর বেড়েছে শীতের পিঠার। তাই শহরের রাস্তার মোড়ে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান গড়ে উঠেছে। ভোর ও সন্ধ্যায় পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করছেন পিঠা প্রেমীরা।
৪ বছর আগে
রাজধানীতে শুক্রবার শীতের পিঠা মেলা
সৃজনশীল প্রতিষ্ঠান শহরবাতি ‘জাহিরা’র নিমন্ত্রণ’ নামে তৃতীয়বারের মতো রাজধানীতে শীতকালীন পিঠা মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে।
৪ বছর আগে
ডিমের পিঠাপুলি তৈরির রেসিপি
ঢাকা, ২৩ আগস্ট (ইউএনবি)- পিঠা বাঙ্গালির সবসময়ই একটি পছন্দের খাবার। ছোট বড় সবাই এটি খেতে পছন্দ করে। অনেকেই মনে করেন পিঠা বানানো অনেক ঝামেলার একটি কাজ। কিন্তু ঝামেলা বাদ দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করতে পারেন ডিম দিয়ে কয়েকটি পিঠা।
৫ বছর আগে