গাজীপুর সদরের নয়নপুর এলাকার ইকবাল সিদ্দিকী কলেজ ক্যাম্পাসে এক ভিন্ন ধরনের পিঠা উৎসবে আয়োজন করা হয়েছে। ব্যতিক্রমী এই পিঠা উৎসবে কোন পিঠাই অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়নি।
তরুণ প্রজন্মকে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী নানান রকম পিঠাপুলির সঙ্গে পরিচিত করানোর উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার সকালে ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি পরিচালিত ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কচি-কাঁচা একাডেমি ও নয়নপুর এন এস আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের তৈরি বাহারি পিঠা নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলার প্রবীণ শিক্ষক সুনীল চন্দ্র সেন।
আরও পড়ুন: শীতে মাগুরায় পিঠা খাওয়ার ধুম
উৎসবে যোগ দেয়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জেসমিন আক্তার মনি বলে, ‘খাওয়া তো দূরের কথা এত পিঠার নামও আমি আগে কখনও শুনিনি, একরকম পিঠা নিয়ে এসে নানানরকম পিঠা খেলাম, অনেক নতুন নতুন পিঠার নাম জানলাম। আমি অভিভূত।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিনা সোমনা তাসফিয়া বলে, ‘তিন প্রকারের পিঠা নিয়ে এসে অনেক ধরনের পিঠা খেয়েছি, অনেক নতুন পিঠা চিনেছি।’
ব্যতিক্রমী এই পিঠা উৎসবে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণিভিত্তিক ১৫ স্টলে কোন পিঠা অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়নি। শিক্ষার্থী- শিক্ষক-অভিভাবকরা পিঠা স্টলে জমা করে শুভেচ্ছা কুপন সংগ্রহ করে এবং সেই কুপন যে কোনো স্টলে জমা দিয়ে তাদের পছন্দমত প্রত্যেক পদের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: ধোঁয়া-ওঠা গরম গরম পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে খুলনায়
উৎসবে পাটিসাপটা পিঠা, ভাঁপা, নকশি, মাংস পুলি, দুধ পুলি, নারকেল পুলি, দুধচিতই, দুধপোয়া, ঝালপোয়া, মালপোয়া, সেমাই পিঠা, ডিম পিঠা, লবঙ্গ লতিকা পিঠা, জামাই পিঠা, রুট পিঠা, থামি পিঠা, অঙ্কন পিঠা, চিরুনি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, দুধ গুগল, বিস্কুট পিঠা, সমুচা পিঠা, ছিটা পিঠা ও সুজির হালুয়া স্থান পায়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উৎসবে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত ছিল।