ছাত্রী উত্যক্ত
নড়াইলে ছাত্রীকে শারীরিকভাবে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত
নড়াইলে একটি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হয়রানির অভিযোগে এক সহকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জেলার সদর উপজেলায় এই উত্যক্ত ও বরখাস্তের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার ক্ষুব্ধ স্থানীয় অভিভাবক ও সুশীল সমাজ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে তুলারাম-শেখহাটি সড়কে বিদ্যালয়ের সামনে ঝাড়ু মিছিল করে।
এতে ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সহকারী অধ্যাপক রমেশ চন্দ্র অধিকারী, আওয়ামী লীগ নেতা অসীম কুমার পাল ও বিপ্রদা প্রসন্ন মল্লিক, সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুদির কুমার পাল।
তাদের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত কুমার গোস্বামী পড়ানোর নামে ছাত্রীদের শারীরিকভাবে হয়রানি ও উত্যক্ত করছিলেন।
১৮ জানুয়ারি বিকালে ওই শিক্ষক এক ছাত্রীকে স্কুলের দোতলায় একটি বিচ্ছিন্ন কক্ষে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে হয়রানি করেন।
পরে নির্যাতিতা বিষয়টি তার বন্ধু ও মাকে জানান।
কোভিড-১৯ এর টিকা নেয়ার পর বাড়িতে ফেরার সময় গোস্বামী তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার অজুহাতে ডেকে নিয়ে হয়রানি করেন।
এমনকি নির্যাতনের কাউকে কিছু বললে তাকে পরীক্ষায় ফেল করার হুমকিও দিয়েছিলেন বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, গত ২২ জানুয়ারি তার মা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় যুবককে তুলে এনে ববি ছাত্রদের মারধর!
প্রধান শিক্ষক মন্ডল জানান, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রতন ভৌমিকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গোস্বামীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইউএনবি গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আত্মরক্ষা করে বলেন, তার বিরোধীরা তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার ষড়যন্ত্র করেছে। তিনি অভিযুক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে উত্যক্তের অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে
১ বছর আগে