রুটে
উত্তরা-মতিঝিল রুটে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল
রাজধানীর উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রবাসীকল্যাণ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারি থেকে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই সেবা পাওয়া যাবে।
উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিট ও ৭টা ২০ মিনিটে দুটি মেট্রোরেল মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে সকালের সার্ভিস শুরু হবে। এই ট্রেনগুলো সবগুলো স্টেশনে থামবে এবং শুধু এমআরটি ও র্যাপিড পাস ব্যবহার করে ট্রেনে উঠা যাবে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল: ১৩ ডিসেম্বর থেকে ঢাবি ও বিজয় সরণি স্টেশন খুলবে
অন্যদিকে মতিঝিল থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট বিরতিতে চলাচল করবে। সন্ধ্যার সময়সূচিতে মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশন থেকে চারটি ট্রেন যথাক্রমে রাত ৮টা ১০ মিনিট, রাত ৮টা ২০ মিনিট, রাত সাড়ে ৮টা এবং রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মেট্রোরেল উত্তরা উত্তরের উদ্দেশে যাত্রা করে প্রতিটি স্টেশনে থামবে।
এই সান্ধ্যকালীন ট্রেনগুলোতে উঠতে ইচ্ছুক যাত্রীদের অবশ্যই একটি এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস বা একক যাত্রার টিকিট থাকতে হবে। ভ্রমণের দিন রাত পৌনে ৮টার আগে কিনতে হবে এই পাস বা টিকিট। কারণ ৭টা ৪৫ মিনিটের পর টিকিট অফিস ও সেলস মেশিন বন্ধ থাকবে।
এর আগে আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে সকাল ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১০ মিনিট অন্তর মেট্রোরেল চলাচল করত। উত্তরা ও মতিঝিলের মধ্যে যাতায়াতকারী যাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা দিতেই এই সম্প্রসারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: হুমকি না থাকলেও মেট্রোরেলের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে: ডিএমপি কর্মকর্তা
ঢাকা মেট্রোরেল বর্তমানে ১৬টি স্টেশন চালু রয়েছে: উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও মতিঝিল। শিগগিরই কমলাপুরকে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য একটি চলমান সম্প্রসারণ প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে।
২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন। একইভাবে, ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর আগারগাঁও এবং মতিঝিলের মধ্যবর্তী অংশটি উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে যাত্রীদের সেবা দেওয়া শুরু করে। এই অংশটিও জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আগের দিন উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের কারওয়ান বাজার-শাহবাগ স্টেশন
১১ মাস আগে
ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। ঢাকাকে পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত করতে তিন পয়েন্টে পাথরবিহীন এবং এক পয়েন্টে পাথরসহ রেললাইন নির্মাণে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। পাথরসহ রেললাইন ও পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপন কাজ চলছে একযোগে।
শনিবার দুপুরে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ফরিদপুরের ভাঙ্গা ওয়াই জংশন পয়েন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৬ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় মন্ত্রী রেললাইন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে বলেন, রাজধানী থেকে মাওয়া অংশ উদ্বোধন হবে সেপ্টেম্বরে।
তিনি প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করে আরও জানান, ঢাকা-ভাঙ্গা প্রায় ৮১ কিলোমিটার অংশে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। আর যশোর পর্যন্ত রেল চলবে আগামী বছরের জুনে।
আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল একেএম রেজাউল মজিদ, প্রকল্প পরিচালক আবজাল হোসেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উপ সমন্বয়কারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-২ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম, প্রকল্প ব্যবস্থাপক-৩ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামসুল আলম শামস প্রমুখ।
ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার পথে এখন পদ্মা সেতু। ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির ব্রডগেজ রেললাইন বদলে দিবে দেশের অর্থনীতি। ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথে থাকবে ২০টি স্টেশন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
নতুন ১৪টি স্টেশনে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। আর বাকি ছয় স্টেশনে চলছে আধুনিকায়নের কাজ। প্রায় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পে কাজ করছে চীনা ঠিকারদার সিআরইসি। কাজ তদরাকি করছে সিএসসি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
রাজধানী থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশে পাথরসহ রেললাইন স্থাপন বাকি মাত্র এক কিলোমিটার। ২৩ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড রেললাইনের বাকি সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই কাজ শেষেই ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রেললাইন যাবে ভাঙ্গা।
আরও পড়ুন: টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে ঢুকতে পারবে না: রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
৬ ঘন্টা পর চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুটে ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর –শরিয়তপুর ফেরি সার্ভিস ছয় ঘন্টা বন্ধ থাকার পর তা পুনরায় চালু হয়েছে। লঞ্চ বন্ধ থাকার সময় উভয় পাশে আটকে ছিল প্রচুর সংখ্যক যানবাহন। ওদিকে ঘন কুয়াশায় গভীররাতে নদীর মাঝে আটকে যায় অনেক লঞ্চ।
সোমবার সকাল ৯টায় কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি ) এর হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার ফয়সল আলম চৌধুরি ইউএনবিকে জানান ,ঘন কুয়াশায় নদীতে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাই গতরাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পযর্ন্ত ছয় ঘন্টা নদীতে নৌ দুঘর্টনা এড়াতে চাঁদপুরের হরিণা ও শরিয়তপুরের নরসিংহপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: দুই রুটে ১১ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
তিনি জানান, এ ফেরি রুটে বতর্মানে ছয়টি ফেরি চলছে। ওদিকে ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর–ঢাকা লঞ্চ রুটে গভীর রাতে ঘন কুয়াশায় মেঘনা ও পদ্মায় অনেক যাত্রীবাহি লঞ্চ আটকে যায়। ফলে, চাঁদপুরঘাটে নির্ধারিত সময় ভোরে পৌঁছতে না পেরে ৫/৬ ঘন্টা পরে এসব লঞ্চ যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাটে পৌঁছতেছে।
চাঁদপুর ঘাটের লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর ও রুহুল আমিন জানান, সোমবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী সোনারতরী, মেঘনা রানী ও মিতালী লঞ্চ এখনও ঘাটে পৌঁছেনি। তিন থেকে চার ঘন্টা দেরি হচ্ছে। লঞ্চের ভেতরে খাবারের অভাবে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। আবার আজ সকালে চাঁদপুর থেকে ঢাকামুখী যে সব লঞ্চ- রফ রফ, সোনারতরী, ঈগলসহ আরও কিছু লঞ্চ চাঁদপুর ছেড়েছে। সেগুলোও পথে আটকে ছিলো কুয়াশার কারণে। ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকায় পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত
১ বছর আগে