পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। ঢাকাকে পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত করতে তিন পয়েন্টে পাথরবিহীন এবং এক পয়েন্টে পাথরসহ রেললাইন নির্মাণে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। পাথরসহ রেললাইন ও পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপন কাজ চলছে একযোগে।
শনিবার দুপুরে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ফরিদপুরের ভাঙ্গা ওয়াই জংশন পয়েন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৬ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় মন্ত্রী রেললাইন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে বলেন, রাজধানী থেকে মাওয়া অংশ উদ্বোধন হবে সেপ্টেম্বরে।
তিনি প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করে আরও জানান, ঢাকা-ভাঙ্গা প্রায় ৮১ কিলোমিটার অংশে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। আর যশোর পর্যন্ত রেল চলবে আগামী বছরের জুনে।
আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল একেএম রেজাউল মজিদ, প্রকল্প পরিচালক আবজাল হোসেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উপ সমন্বয়কারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-২ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম, প্রকল্প ব্যবস্থাপক-৩ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামসুল আলম শামস প্রমুখ।
ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার পথে এখন পদ্মা সেতু। ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির ব্রডগেজ রেললাইন বদলে দিবে দেশের অর্থনীতি। ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথে থাকবে ২০টি স্টেশন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
নতুন ১৪টি স্টেশনে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। আর বাকি ছয় স্টেশনে চলছে আধুনিকায়নের কাজ। প্রায় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পে কাজ করছে চীনা ঠিকারদার সিআরইসি। কাজ তদরাকি করছে সিএসসি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
রাজধানী থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশে পাথরসহ রেললাইন স্থাপন বাকি মাত্র এক কিলোমিটার। ২৩ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড রেললাইনের বাকি সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই কাজ শেষেই ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রেললাইন যাবে ভাঙ্গা।
আরও পড়ুন: টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে ঢুকতে পারবে না: রেলমন্ত্রী