সম্পর্ক জোরদার
ইন্দো-প্যাসিফিকে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আলোচনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বেলজিয়ামে গত ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ইইউ-ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে অংশ নিয়ে দেশে ফিরে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফোরামে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষা বিষয়ে বক্তৃতার দিয়েছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, ইইউ কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস ও কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট এবং ভিয়েতনাম, বেলজিয়াম, চেক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, পর্তুগাল, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, দশটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ।
লিবিয়া ও থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ
এর আগে সোমবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুলমুতালিব এস সুলাইমান এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠকে লিবিয়ার পুনর্গঠনে বাংলাদেশ পাশে থাকবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে বাংলাদেশি ডাক্তার, নার্স, প্রকোশলী, কৃষিবিদসহ দক্ষ পেশাজীবী ও জনশক্তি এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজের সুযোগের বিষয়ে আলাপ করেন।
থাই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট, চট্টগ্রাম-ইয়াঙ্গুন কোস্টাল শিপিং, ওষুধ, চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি, এলএনজি আমদানি বিষয়ে আলোচনা করেন ড. হাছান।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৮ মাস আগে
আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ ও আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে অনাবিষ্কৃত বাণিজ্য সুযোগ কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশ ২০২৩-এ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
মোমেন আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইল, জ্বালানি, নীল অর্থনীতি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় বাংলাদেশের দূরদর্শী 'লুক আফ্রিকা' নীতির ওপরও আলোকপাত করা হয়, যা আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে কৌশলগত অঙ্গীকারের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ার বন্যার্তদের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে আজ
এতে বাণিজ্য ও অর্থনীতি, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ও আইসিটি, বিমান ও সামুদ্রিক সংযোগ, স্বাস্থ্যসেবা, চুক্তিভিত্তিক চাষ, জনগণ থেকে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মওকুফসহ সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র তুলে ধরা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর একটি।
ভিশন ২০৪১ অর্জন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর বাংলাদেশের গুরুত্ব তার উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের গতিপথের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আফ্রিকার নতুন বাজারগুলো বাংলাদেশি উদ্যোগের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে, যা রপ্তানি গন্তব্যে বৈচিত্র্য এনেছে।
আরও পড়ুন: দৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিসহ বাংলাদেশের উত্তরণ আনন্দের উপলক্ষ হবে: ওইসিডি
মোমেন বলেন, চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাবনা আশাব্যঞ্জক।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য আমাদের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আফ্রিকার দেশগুলোর যেকোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।
আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের মন্ত্রী, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের সঠিক পথ বেছে নিলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল: ড্যান নেগ্রিয়া
১ বছর আগে
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সহায়তার আশ্বাস মার্কিন সিনেটরের
মার্কিন সিনেটর রজার মার্শাল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সমর্থন বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
কানসাসের রিপাবলিকান সিনেটর রজার মার্শাল বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের 'গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার' হিসেবে বর্ণনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে দুই দেশ সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গড়ে তুলতে কাজ করে যাবে।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে নিজ কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।
সিনেটর মার্শাল বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক অর্জনের প্রশংসা করেন।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন অনুসারে, তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তিতে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: লিঙ্গ সমতা শিক্ষায় তরুণীদের সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
রাষ্ট্রদূত ইমরান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে সিনেটরকে অবহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, স্বাস্থ্যসেবা খাতের অগ্রগতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং দক্ষ কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য মার্কিন সরকারের অবদানের প্রশংসা করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু অবহিত করার সময় তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে সিনেটর মার্শাল ও মার্কিন কংগ্রেসের সমর্থন কামনা করেন।
তারা উভয়েই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ এবং আগামী দিনগুলোতে দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান অংশীদারিত্ব কে আরও গভীর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে