খাত
বরাদ্দ কমছে যোগাযোগ খাতে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সড়ক, সেতু, রেলপথ, সমুদ্রপথ, আকাশপথসহ যোগাযোগ খাতে ৮০ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার। এবারের বরাদ্দ আগের অর্থবছরের চেয়ে ৪ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা কম।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৮৫ হাজার ১৯১ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার(৬ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
আরও পড়ুন: বাজেট ২৪-২৫: আরও সাশ্রয়ী হবে কিডনি ডায়ালাইসিস
বাজেট উপস্থাপনের সময় মন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে বিভিন্ন মহাসড়কে ১ হাজার ৪৩৯টি সেতু নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে আজ সারা দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার বিস্তৃত উন্নত মহাসড়ক অবকাঠামো পণ্য ও যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন সমাপ্ত ও চলমান প্রকল্পের আওতায় ৮৫১ দশমিক ৬২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে।
এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে এবং আরও ১০টি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানানা তিনি।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে ঢাকা-জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর এক্সেস কন্ট্রোলড মহাসড়কের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বালিয়াপুর থেকে নিমতলীকেরানীগঞ্জ-ফতুল্লা-বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবান্দা পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘রেলওয়ে খাতকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি।’
এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে মাস্টার প্ল্যান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক ও দ্বিতীয় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহার অনুসরণ করে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট: তামাকপণ্যের দাম বাড়লেও সামর্থ্যের মধ্যে থাকবে
১৪ বছরে ১৭৬ দেশে ৯৭ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী গেছেন
৬ মাস আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার। যা গত অর্থবছরে ছিল ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আরও পড়ুন: চোরাই পথে গরু প্রবেশ ঠেকাতে মনিটরিং করা হচ্ছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার জেলেদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। বেকারত্বকালীন জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয় সরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাছের যথাযথ প্রজনন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত (মোট ৬৫ দিন) সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে নিষেধাজ্ঞাকালীন ১৪টি জেলার ৬৮টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৩৫টি জেলে পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে মাসিক ৪০ কেজি হারে মোট ২৬ হাজার ৮৩ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়। আগামী অর্থবছরেও এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
মৎস্য চাষের পাশাপাশি টেকসই জাতগুলোর উন্নয়ন এবং গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির রোগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্মার্ট প্রাণিসম্পদ খাত তৈরির কর্মসূচি রয়েছে।
এ সময় সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধন্যবাদ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা নির্ধারিত ন্যূনতম প্রাণিজ আমিষ চাহিদা পূরণে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, প্রাণিজ স্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার টিকার উৎপাদন ও প্রয়োগ বাড়িয়েছে। 'শেখ হাসিনার উপহার, প্রাণীর পাশেই ডাক্তার' নীতিমালার আওতায় ভেটেরিনারি সেবা কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ৩৬০টি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।
পাশাপাশি, মাথাপিছু প্রোটিনের দৈনিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য প্রজননের উন্নতি এবং গবাদি পশুর জন্য টিকা দেওয়ার মতো কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভবনের ভিত্তি প্রস্তর ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
৬ মাস আগে
স্বাস্থ্য খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে
ধুঁকতে থাকা স্বাস্থ্য খাতের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সামান্য বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণের অগ্রগতি বজায় রাখতে ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ ৩৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা ছিল বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা
নতুন বরাদ্দে মোট বাজেটের ৫ দশমিক ২ শতাংশ পেয়েছে স্বাস্থ্য খাত এবং তা জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা আমাদের সরকারের অন্যতম মূলনীতি। আমরা এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। বিশেষ করে, আমরা জনসাধারণকে সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবারকল্যাণ পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুস্থ, শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত জনসংখ্যা গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবারকল্যাণ খাতের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে সরকার।
‘সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জন এবং স্মার্ট স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি।’
গত দেড় দশকে স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৭ সালে লাখপ্রতি মাতৃমৃত্যুর হার ছিল ৩৫১ জন, যা বর্তমানে ১৩৬ জনে নেমে এসেছে।’
তিনি বলেন, ২০০৭ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাজারে ৬০ জন, যা বর্তমানে ৩৩ জনে নেমে এসেছে। ওই বছর নবজাতক মৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাজারে ২৯টি, যা বর্তমানে কমে ২০-এ দাঁড়িয়েছে। ২০০৭ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬৬ দশমিক ৬ বছর, যা এখন ৭২ দশমিক ৩ বছরে উন্নীত হয়েছে।
তিনি জানান, বিভিন্ন গুরুতর ছোঁয়াচে রোগ থেকে নারী ও শিশুদের রক্ষায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) অব্যাহত রেখেছে সরকার।
এছাড়া স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল থেকে শুরু করে কমিউনিটি ক্লিনিক ও গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মীদের ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে। সব নাগরিককে অভিন্ন স্বাস্থ্য পরিচয়পত্রসহ স্বাস্থ্যকার্ড দেওয়ার মাধ্যমে একটি ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য ডাটাবেস তৈরি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা
স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত স্বাস্থ্য শিক্ষা অপরিহার্য উল্লেখ করে মাহমুদ আলী বলেন, ‘মেডিকেল ও নার্সিং শিক্ষা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উন্নত ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।’
‘মেডিকেলের সমস্ত স্নাতকোত্তর ডিগ্রিকে এক প্ল্যাটফর্মের অধীনে আনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা পদ্ধতির আধুনিকীকরণ করা এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো পরিকল্পনাগুলো উল্লেখযোগ্য।’
গত ১৫ বছরে মেডিকেল ইনস্টিটিউটের সংখ্যা এবং আসন উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র ৫৯টি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, যা এখন বেড়ে ১১১টি হয়েছে। এছাড়া ১৩টি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিট থেকে বেড়ে ৩৫টি হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, “ওষুধের মৌলিক ও ফলিত গবেষণার অবকাঠামো তৈরি, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, স্বাস্থ্য খাতে উদ্ভাবনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদির জন্য ‘সমন্বিত স্বাস্থ্যবিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিলে’ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বাজেটে আমি এই খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষায়িত ও দক্ষ জনশক্তি (মেডিকেল টেকনিশিয়ান, বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি) তৈরির লক্ষ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ সামগ্রী প্রস্তুত করা হয়েছে, যারা বিশেষ প্রযুক্তি বা ডিভাইস, অপারেশন ও অন্যান্য দরকারি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিযুক্ত থাকবেন।’
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
৬ মাস আগে
স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে আমরা নানা রকম যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি, এসব যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত। তা না হলে চিকিৎসা সেবায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) এটিএসিএইচ’র আয়োজিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ: সাপ্লাই চেইন’- বিষয়ক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিগত দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন ও জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি কেনা, সাপ্লাই এবং ব্যবহারের কথা বলে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে বিজ্ঞানসম্মত এবং যেসব যন্ত্রপাতি জলবায়ুর ক্ষতি করে না সেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেন।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডব্লিউএইচও ও এটিএসিএইচকে জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি সাপ্লাই এবং হাসপাতাল বিনির্মাণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
পরে বিকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ‘স্যালিনিটি কিউসড বাই ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ইটস ইম্পেক্ট অন এনসিডিএস অ্যান্ড এসআরএইচআর ’-শীর্ষক সাইড ইভেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির।
তিনি তার উপস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তন বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা এবং এর প্রভাবে এসব এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করেন।
এছাড়া, এর প্রভাবে গর্ভবতী মায়েদের নানা রকম সমস্যা হয়, যার কারণে কোস্টাল এলাকায় মাতৃমৃত্যু বেড়ে যায় বলে জানান।
এ অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবর্তন, বিশেষ করে লবণাক্ত বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এর ফলে নানা ধরনের রোগ বৃদ্ধি হওয়ার কথাও বর্ণনা করেন তিনি।
বিশেষ করে অসংক্রামক রোগ এবং মহিলা ও নারীদের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে তার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ এবং পরবর্তী পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
উন্নয়ন সহযোগীদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জসমূহ স্মরণ করিয়ে দিয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
উপকূলীয় এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে এবং এসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশের সুইডেন অ্যাম্বাসির ফার্স্ট সেক্রেটারি ডেনিয়েল নোভাক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন মিস খুশবু পাওডেল, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর, আইপাস, নেপাল, এবং ডা. হুসাইন রশিদ, আঞ্চলিক উপদেষ্টা, ওয়াশ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সচিব স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
প্রতি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলোর প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতে আরও সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের আশ্বাস প্রদান করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ (কপ-২৮) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশের আইসিটি খাতে অংশীদারিত্বে সৌদির আগ্রহ প্রকাশ
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের দক্ষতায় আগ্রহী এবং বাংলাদেশের সঙ্গে এ খাতে সহযোগিতার জন্য দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায় সৌদি আরব। সৌদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স কোম্পানি (এসসিএআই) এর প্রধান নির্বাহী আয়মান আল রাশেদ এ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
রিয়াদে রবিবার(৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে এক বৈঠককালে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অংশীদারিত্বের জন্য সৌদি আরবকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জানান, বাংলাদেশ ও বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি সেক্টর বাংলাদেশের জন্য একটি বিকাশমান সেক্টর। ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা গ্রহণ করে, যার মূল বিষয়গুলো হচ্ছে- একটি উন্নত দেশ, একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থা ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি।
প্রতিমন্ত্রী সৌদি আরব কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে স্বাগত জানিয়ে এসসিএআই এর প্রধান নির্বাহীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ সময় মিশন উপপ্রধান আবুল হাসান মৃধা ও দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া রিয়াদে ডিজিটাল কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন – ডিসিও আয়োজিত এক সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ডিজিটাল অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধি বিষয়ে বক্তব্য দেন। অতিথি দেশ হিসেবে প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত হওয়ার পথে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুুন: সৌদি সরকার বিদেশি তীর্থযাত্রীদের ওমরাহ বীমা খরচ ৬৩% কমিয়েছে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ই-কমার্সের বাজারের আকার ২০২৫ সালের মধ্যে তিন দশমক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন মোবাইল আর্থিক পরিষেবা ব্যবহারকারীরা প্রায় ২০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি লেনদেন করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্যাশলেস অর্থাৎ নগদবিহীন অর্থনীতি গড়ে তোলার পথে রয়েছে এবং ডিজিটাল ফাইন্যান্স সেক্টরে লেনদেন সহজ করতে বাংলাদেশ সরকার বিনিময় অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তার মূল স্তম্ভ হলো, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট ইকোনমি।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা ২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন স্টার্টআপে বিনিয়োগে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমাদের নিজস্ব ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে প্রতিশ্রুতিশীল স্টার্টআপে বিনিয়োগ প্রদান করে যাচ্ছি। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার স্টার্টআপ রয়েছে যেখানে গত ৫ বছরে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। বিভিন্ন স্টার্টআপ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে প্রায় দেড় মিলিয়নেরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং যা ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের জিডিপিতে দুই শতাংশের বেশি অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১ বছর আগে