আগ্রহ প্রকাশ
অধ্যাপক ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ফোনালাপে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার ওপর জোর দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্য তাদের জনগণের কল্যাণে যথেষ্ট সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কে রূপান্তরিত হবে।
অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পর শরীফের কাছ থেকে ফোন কল পাওয়া এবং তার কাছ থেকে অভিনন্দন বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের ওপর হামলার নিন্দা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের
বাংলাদেশের বন্যার্তদের জন্য পাকিস্তানের জনগণের সহানুভূতি ও সংহতি জানিয়ে বার্তা পাঠানোর জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
শরীফ বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনা এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের মতো প্রক্রিয়া পুনরায় চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সার্ক প্রক্রিয়া কার্যকর করার ওপরও জোর দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে শীর্ষ আঞ্চলিক ফোরাম হিসেবে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি নিয়মিত সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। যত দ্রুত সম্ভব সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ জোরদারের আহ্বান জানান।
আর পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে শাহবাজ শরীফের অভিনন্দন
৩ মাস আগে
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে ফ্রান্সের আগ্রহ প্রকাশ
মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স।
বুধবার (২১ জুন) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই।
সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তাফা জব্বার
সাক্ষাতকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও অগ্রগতি সম্পর্কে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক তুলে ধরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রান্স বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার এবং অকৃত্রিম বন্ধু।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত সাড়ে ১৪ বছরে ডিজিটালাইজেশনের ধারাবাহিকতায় বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ বর্তমান সরকারের অন্যতম অর্জন। এর মাধ্যমে স্যাটেলাইট ক্লাবের ৫৭তম গর্বিত সদস্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ দেশের টেলিভিশন চ্যানেলসমূহের সম্প্রচারসহ দুর্গম অঞ্চলে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনে অভাবনীয় ভূমিকা রাখছে।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ স্থাপনের কার্যক্রম চলছে।
মন্ত্রী টেলিযোগাযোগ খাতসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি জায়গা। তাই সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতে ফ্রান্স বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
এসময় জনাব মোস্তাফা জব্বার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে স্যটেলাইট যুগে বাংলাদেশের প্রবেশে ফ্রান্সের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
১ বছর আগে
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী নরওয়ে
নরওয়ের ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের আওতায় অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি।
মঙ্গলবার অসলো ফোরাম ২০২৩ এর সাইডলাইনে অসলো শহরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স এরলিং রিমেস্টাড পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের কাছে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উভয় পক্ষ জাহাজ পুনর্ব্যবহার ও নীল অর্থনীতিতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: নরওয়েতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের উপায়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা এবং বিশেষ করে আর্থিক খাতে নরফান্ড-এর বিনিয়োগের জন্য নরওয়েকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা এবং তাদের নিরাপদ, টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে নরওয়ের রাজনৈতিক সহায়তার প্রশংসা করেন।
নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারি নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বাংলাদেশের দ্রুত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ এবং গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়েও উভয় পক্ষ আলোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: নরওয়ের একদিনের রাষ্ট্রদূত হলেন বৈশাখী
নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
১ বছর আগে
বাংলাদেশের আইসিটি খাতে অংশীদারিত্বে সৌদির আগ্রহ প্রকাশ
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের দক্ষতায় আগ্রহী এবং বাংলাদেশের সঙ্গে এ খাতে সহযোগিতার জন্য দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায় সৌদি আরব। সৌদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স কোম্পানি (এসসিএআই) এর প্রধান নির্বাহী আয়মান আল রাশেদ এ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
রিয়াদে রবিবার(৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে এক বৈঠককালে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অংশীদারিত্বের জন্য সৌদি আরবকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জানান, বাংলাদেশ ও বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি সেক্টর বাংলাদেশের জন্য একটি বিকাশমান সেক্টর। ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা গ্রহণ করে, যার মূল বিষয়গুলো হচ্ছে- একটি উন্নত দেশ, একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থা ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি।
প্রতিমন্ত্রী সৌদি আরব কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে স্বাগত জানিয়ে এসসিএআই এর প্রধান নির্বাহীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ সময় মিশন উপপ্রধান আবুল হাসান মৃধা ও দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া রিয়াদে ডিজিটাল কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন – ডিসিও আয়োজিত এক সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ডিজিটাল অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধি বিষয়ে বক্তব্য দেন। অতিথি দেশ হিসেবে প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত হওয়ার পথে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুুন: সৌদি সরকার বিদেশি তীর্থযাত্রীদের ওমরাহ বীমা খরচ ৬৩% কমিয়েছে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ই-কমার্সের বাজারের আকার ২০২৫ সালের মধ্যে তিন দশমক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন মোবাইল আর্থিক পরিষেবা ব্যবহারকারীরা প্রায় ২০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি লেনদেন করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্যাশলেস অর্থাৎ নগদবিহীন অর্থনীতি গড়ে তোলার পথে রয়েছে এবং ডিজিটাল ফাইন্যান্স সেক্টরে লেনদেন সহজ করতে বাংলাদেশ সরকার বিনিময় অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তার মূল স্তম্ভ হলো, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট ইকোনমি।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা ২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন স্টার্টআপে বিনিয়োগে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমাদের নিজস্ব ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে প্রতিশ্রুতিশীল স্টার্টআপে বিনিয়োগ প্রদান করে যাচ্ছি। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার স্টার্টআপ রয়েছে যেখানে গত ৫ বছরে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। বিভিন্ন স্টার্টআপ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে প্রায় দেড় মিলিয়নেরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং যা ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের জিডিপিতে দুই শতাংশের বেশি অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১ বছর আগে