আদানি গ্রুপ
গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত দুই ব্যক্তি গ্রুপের কোম্পানিগুলো থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের স্টক কিনেছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। সেই সঙ্গে ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করে গোপনে এসব শেয়ার কিনেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি নেটওয়ার্কের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজারের নিয়ম অনুযায়ী, কোম্পানির অন্তত ২৫ শতাংশ শেয়ার জনসাধারণের ক্রয়ের জন্য রাখা হয়।
অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই ব্যক্তি ‘দ্বীপদেশ মরিশাসের একটি অস্বচ্ছ বিনিয়োগ তহবিল’ ব্যবহার করে এসব শেয়ার কিনেছেন। পাবলিক শেয়ার প্রায় ১৪ শতাংশই তারা নিয়ন্ত্রণ করছেন।
দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস-এ প্রকাশিত ওসিসিআরপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা একাধিক ট্যাক্স হেভেন, ব্যাংক রেকর্ড ও আদানি গ্রুপের অভ্যন্তরীণ ইমেলের ফাইলগুলোর উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
প্রতিবেদনে দুই বিনিয়োগকারীর নাম বলা হয়েছে নাসের আলি শাবান আহলি ও চ্যাং চুং-লিং।
বলা হয়েছে, আদানি পরিবারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা গ্রুপের কোম্পানিতে পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার হিসেবে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: আদানি ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বিনিয়োগকারী ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে চারটি আদানি কোম্পানিতে বড় পরিমাণে শেয়ার লেনদেন করেছেন।
যদিও আদানি গ্রুপ প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে তার তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আইন মেনে চলছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত ১০টি কোম্পানির স্টক ৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
তবে এপি স্বাধীনভাবে এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরিশাস তহবিলের মাধ্যমে দুই ব্যক্তি আদানি স্টক কেনা-বেচা করেছিলেন এবং ‘এর মাধ্যমে যথেষ্ট লাভ করেছিলেন।’
এতে বলা হয়েছে, এই ধরনের কাজ আইনের লঙ্ঘন কি না সেই প্রশ্নটি আহালি ও চ্যাং আদানি গ্রুপের প্রোমোটারদের পক্ষে কাজ করছে কি না তার উপর নির্ভর করে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘যদি ওই দুজন আদানি গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করে, তাহলে এর অর্থ দাঁড়াবে অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা আইন অনুমোদিত ৭৫ শতাংশেরও বেশি শেয়ারের মালিক।’
জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শর্ট-সেলিং হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ফার্ম আদানি গ্রুপ ও তার প্রধান গৌতম আদানিকে ‘স্টক ম্যানিপুলেশন’ এবং ‘অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতির’ জন্য অভিযুক্ত করেছিল। আদানি গ্রুপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে ভারতের ওপর আক্রমণের অভিযোগ আদানির
ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুসারে, সেই অভিযোগগুলোর পরে আদানি গ্রুপ ও গৌতম আদানি ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পদ হারিয়েছে।
এক সময়ে এশিয়ার সর্বোচ্চ ধনী গৌতম আদানি বর্তমানে আনুমানিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তালিকায় ২০তম স্থানে রয়েছেন।
৬১ বছর বয়সী আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।
সমালোচকরা বলছেন, আদানির সাফল্যের বেশিরভাগই তার সরকার এবং মোদির সান্নিধ্য থেকে এসেছে। মোদিও মাঝে মাঝে আদানি জেট ব্যবহার করে প্রচার চালিয়েছেন।
যদিও বরাবরই সরকারের কাছ থেকে কোনো সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আদানি।
হিন্ডেনবার্গের দাবির পরে বিনিয়োগকারীরা আদানির থেকে কিছুটা মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ায় অবকাঠামো, কয়লা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং মিডিয়াসহ তার সংস্থাগুলো কয়েক বিলিয়ন ডলার বাজার মূল্য হারিয়েছে।
মার্চ মাসে দেশের বাজার নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়াকে, আদানি গ্রুপ নিয়ম লঙ্ঘন বা স্টক মূল্যের হেরফের করেছে কি না তা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন ভারতের শীর্ষ আদালত।
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, বোর্ড গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিল, তাদের তদন্ত প্রায় সম্পূর্ণ এবং অফশোর ডিলের একটি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
১ বছর আগে
বাংলাদেশে আরও ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত রপ্তানির প্রস্তাব আদানি গ্রুপের: সূত্র
উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে ভারতের আদানি গ্রুপ বাংলাদেশে আরও ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত রপ্তানির জন্য সরকারকে একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে।
বিদ্যুত বিভাগের একটি উচ্চপদস্থ সূত্র সম্প্রতি ইউএনবিকে জানিয়েছে, ‘এই বিদ্যুতের পুরোটি আসবে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে। এর মধ্যে ১ হাজার মেগাওয়াট সৌরশক্তি এবং বাকি ৬০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুত থেকে।’
বর্তমানে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খন্ডে একচেটিয়াভাবে বাংলাদেশের জন্য নির্মিত গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ২৫ বছরের বিদ্যুত ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) অধীনে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত রপ্তানি করছে ভারতের জায়ান্ট আদানি গ্রুপ ।
খুব সম্প্রতি আদানি গ্রুপের কাছ থেকে নতুন প্রস্তাবটি এসেছে, যখন গ্রুপটির প্রধান গৌতম আদানি ঢাকা সফর করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছিলেন, কারণ মিডিয়ার সঙ্গে তাদের কথা বলার অনুমতি নেই।
সূত্র জানিয়েছে যে প্রস্তাবিত জলবিদ্যুতের ৬০০ মেগাওয়াট নেপাল থেকে আসবে যেখানে আদানি গ্রুপ একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে।
অন্যদিকে, প্রস্তাবিত ১ হাজার মেগাওয়াট সৌর শক্তি ভারত থেকে আসবে যেখানে আদানি এখন নবায়ণযোগ্য বিদ্যুত প্ল্যান্ট স্থাপন করছে।
উচ্চ পর্যায়ের আরেকটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে যে ‘আমরা শুনেছি আদানি গ্রুপকে তার প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে’।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে আদানি গ্রুপের প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার উদ্যোগটি ২০৪১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুত উৎপাদনে নবায়নযোগ্য বিদ্যুত ৪০ শতাংশে উন্নীত করার সরকারের পরিকল্পনার অংশ। যখন দেশটি তার উৎপাদন ক্ষমতা ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৯ হাজার ৯৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুত আমদানি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে এখন ১ হাজার ১৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা হলেও জাতীয় গ্রিডে আসছে মাত্র ৮২৫ দশমিক ২৩ মেগাওয়াট।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৩০টি প্রকল্পের মাধ্যমে আরও ১ হাজার ২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন প্রকল্পের কাজ চলছে এবং ৮ হাজার ৬৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু
গত সপ্তাহে বিদায়ী ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসন বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে নসরুল এ কথা বলেন।
দু’টি ডেনমার্কের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংস্থার একটি যৌথ উদ্যোগ বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ৫০০ মেগাওয়াট প্রাথমিক ক্ষমতাসহ একটি বাণিজ্যিক, ইউটিলিটি-স্কেল অফশোর উইন্ড (উপকূলীয় বায়ু বিদ্যুত) প্রকল্প স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি বিনিয়োগ প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
প্রস্তাবটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডেডিকেটেড গ্রিনফিল্ড নবায়ণযোগ্য জ্বালানি বিনিয়োগকারী এবং নির্মাতা, কোপেনহেগেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার পার্টনারস (সিআইপি) এবং কোপেনহেগেন অফশোর পার্টনারস (সিওপি) থেকে এসেছে।
আরও পড়ুন: শুল্ক সমস্যা অমীমাংসিত রেখেই বাংলাদেশে আদানির বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
১ বছর আগে
বাংলাদেশ মঙ্গলবার রাত ৯টায় ১৪,৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন রেকর্ড গড়ল
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টায় ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশ রেকর্ড গড়েছে।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল রাত ৯টায় সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ৪২৩ মেগাওয়াট।
সূত্র জানায়, ভারতীয় আদানি গ্রুপ থেকে আমদানি করা ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হওয়ার পরে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়। আমদানি বিদ্যুতের দাম এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, আদানি গ্রুপের বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ১৪ টাকার ওপরে হতে পারে এবং গড় উৎপাদন খরচ ৭ টাকার নিচে।
বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রিড বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্থাপন করা হবে ৫০ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র
মোংলায় ৫৫ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন
১ বছর আগে
২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা অনুযায়ী আরেকটি 'সাজানো' নির্বাচন করতে চায়।
শনিবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য প্রতিবেশি দেশের জন্য ঘুষ হিসেবে ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি রাষ্ট্রবিরোধী বিদ্যুত চুক্তি সই করেছে।
দেশের সব মহানগর ও জেলায় যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা। ফখরুলের নেতৃত্বে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সংবিধানকে ‘বিকৃত’ করেছে এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুটি নির্বাচন হয়েছে জনগণের ভোট ছাড়াই… এখন তাদের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা রয়েছে। সেই নীলনকশা নিয়ে তারা ২০২৪ সালেও একই পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে চায়।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে দেশের মালিক মনে করে, আর জনগণ তার প্রজা।
আরও পড়ুন: ১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
১ বছর আগে
আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুত চুক্তিকে রাষ্ট্রবিরোধী আখ্যা দিয়ে বিএনপি অবিলম্বে এই চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ইতোমধ্যে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তির একটি অনুলিপি পেয়েছে। এটি একটি চরম অসম চুক্তি, যা একটি হীন উদ্দেশ্য নিয়ে সাক্ষরিত হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন পোস্ট আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুত চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ করায়, একটি দেশের সরকার কীভাবে এ ধরনের চুক্তি করতে পারে তা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রশ্ন উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘আদানির সঙ্গে এই চুক্তি দেশ ও জনগণের বিরোধী। আমি বলতে চাই এই চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করা উচিত। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ খাতের জন্য ক্ষতিপূরণ আইন প্রত্যাহার করা উচিত।’
অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এইবি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিদ্যুত খাতে বিপর্যয়: গভীর সংকটে অর্থনীতি’- শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে মূল বক্তব্য রাখেন এইবির মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার হাসিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারও শ্রীলঙ্কার মতো গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি হবে: মোশাররফ
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কোনও সহানুভূতি ও দায়বদ্ধতা না থাকায় আওয়ামী লীগ সরকার আদানির সঙ্গে চুক্তি করতে পারে। বাংলাদেশের জনগণের কাছে এই সরকারের কোনও জবাবদিহিতা নেই। তারা টাকা চুরি করে বিদেশে বাড়ি তৈরি করে, ব্যবসা করে এবং আমাদের সাধারণ মানুষের পকেট কেটে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাদের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে ব্যবহার করার জন্য জনগণের অর্থ লুটপাট করছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা আবার টাকা দিয়ে নির্বাচনে কারচুপি করবে। তারা নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে টাকা দেবে... টাকা ভরা খাম প্রিজাইডিং অফিসার থেকে শুরু করে পুলিশ, বিজিবি, এমনকি যারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে তাদের সকল স্তরে যাবে। এটি ২০১৮ সালের মতোই সত্য।’
তিনি বলেন, তারা জানতে পেরেছে আগামী নির্বাচনে ভোট কারচুপির জন্য আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের ব্যবহার করতে সরকার নতুন কৌশল নিচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল পরিবর্তন করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। ‘(মনিরুল হক) কুমিল্লার সাক্কু এদেরই একজন শিকার।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ‘লুট’ করেছে: নজরুল
জাতীয় নির্বাচনে আ.লীগকে আর প্রহসন করতে দেয়া হবে না: ফখরুল
১ বছর আগে
আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রবিবার ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তিকে রাষ্ট্রবিরোধী বলে বর্ণনা করেছেন এবং এটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি দেশপ্রেমিক ও বিবেকবান মানুষকে হতবাক করেছে। এই চুক্তি বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী এবং এটি প্রত্যাহার করা উচিত।’
রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে বিদ্যুৎ আমদানির নামে দেশের সম্পদ লুটপাট এবং ভারত সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের দেয়া উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এই চুক্তিটি মূলত আদানির পকেট ভরার জন্য সই হয়েছিল। এটি একটি একতরফা এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল চুক্তি।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে দুর্নীতি, অপশাসন, অর্থপাচার ও সীমাহীন লুণ্ঠন জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতায় মন্দিরে ভাঙচুর : ডা. জাফরুল্লাহ
শুক্রবার আহমদিয়াদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নিন্দা করেছেন জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড়ে তাদের ওপর হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য সরকারকে আহমদিয়া সম্প্রদায়কে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকার প্রধানের উচিত তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করেছে।
জুনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভারত সরকারকে খুশি করার জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আদানির সঙ্গে চুক্তি করেছিল। ভারত যদি কোনো দলকে ক্ষমতায় রাখতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব থাকবে না।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহর রিট মামলা শুনতে হাইকোর্ট বেঞ্চের অপারগতা
শাল্লার হামলায় সরকারি দলের লোক জড়িত: ডা. জাফরুল্লাহ
১ বছর আগে
আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি অপ্রয়োজনীয় ও অসম: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তিকে অপ্রয়োজনীয় ও অসম আখ্যা দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ এ প্রকল্প থেকে সুফল পাবে না।
তিনি বলেন, ‘সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ চুক্তি সই করেছে। দেশে-বিদেশে সবাই বলছে এটা একটা অপ্রয়োজনীয় ও অন্যায্য চুক্তি।’
চুক্তি প্রত্যাহার না হলে বাংলাদেশকে টাকা দিতে হবে, কিন্তু খুব একটা লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, এ ধরনের চুক্তি ও প্রকল্পের মাধ্যমে তারা (আ.লীগ নেতা) বিপুল জনগণের টাকা লুটপাট করছে এবং বিদেশে সম্পদ অর্জন করছে।
মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাদের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে কোনো পদক্ষেপ প্রতিহত করা হবে: ফখরুল
তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করায় জনগণের প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। ‘সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হলো সরকারকে জবাবদিহি করার মতো কোনো সংসদ নেই। এমন একটি সংসদ আছে যা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হয় না।’
১৪ বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকার একের পর এক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হাতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অর্থ লুটপাট করে এবং অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে বিভিন্ন দেশে সম্পদ গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের জনগণ যখন মারাত্মক অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সরকার তখন পিকনিকের মেজাজে রয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা না থাকায় তারা উৎসবে মেতেছে। তারা আজ (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এলাকায় উৎসব করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, দেশে অর্থনৈতিক সংকট এবং মূল্যস্ফীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে তা সরকার মানতে চায় না। দেশের সাধারণ মানুষ এখন চাল কিনতে পারছে না।
এমন পরিস্থিতিতে তিনি বলেন, সরকারের ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা একটি ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ। ‘তারা কার্ডের মাধ্যমে চাল এবং প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করবে, যাতে তারা (আ.লীগ নেতাদের) দুর্নীতিতে লিপ্ত হওয়ার আরেকটি সুযোগ তৈরি করতে পারে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ডে আ.লীগ সরকার জড়িত: ফখরুল
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
ফখরুল বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও সরকারের দুঃশাসন থেকে উত্তরণে চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার কোনো বিকল্প নেই। ‘আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলনে আমাদের ১৭ নেতা-কর্মীকে রাজপথে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অবশ্যই বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’
গত ২২ ফেব্রুয়ারি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে সভাপতি ও আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে সাধারণ সম্পাদক করে দলটির যুবদল জাতীয়তাবাদী যুবদলের ২৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।
১ বছর আগে
আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঢাকার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক: টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বাংলাদেশ সরকারকে আদানি গ্রুপের সঙ্গে অস্পষ্ট এবং বৈষম্যহীন বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিকে পুনর্বিবেচনা করতে এবং প্রয়োজনে বাতিল করতে বলেছে। এটি নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক চুক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।
শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত ভারতের আদানি থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সই করা অসম, অস্বচ্ছ ও বৈষম্যমূলক চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত এই বিতর্কিত কোম্পানির কাছে জিম্মি হতে পারে।
এই সংস্থাটি বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করে এর শর্তাবলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করতে বলেছে। একই সঙ্গে জাতীয় স্বার্থে বিশেষ করে এই চুক্তির চূড়ান্ত বোঝা দেশের জনগণকে বহন করতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়ে প্রয়োজনে চুক্তিটি বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি হবে। আবার, বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে (পিপিএ) আদানি পাওয়ার থেকে এই উচ্চ মূল্যে বিদ্যুৎ কেনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্চে আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: নসরুল
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক নির্ভরযোগ্য বিশ্লেষণে এই চুক্তিটি বাংলাদেশের জন্য অসাম্য ও অস্পষ্ট এবং নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক চুক্তি হিসেবে বিবেচিত।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে চুক্তিটি বাংলাদেশের স্বার্থকে উপেক্ষা করে আদানি গ্রুপের স্বার্থকে এমনভাবে সমর্থন করেছে যে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত এই কোম্পানির হাতে জিম্মি হয়ে যেতে পারে। এই বোঝা এদেশের মানুষকেই বহন করতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ‘আদানি ওয়াচ’ সহ নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সূত্রে প্রকাশিত তথ্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে কয়লা ব্যবহৃত হবে তা আসবে আদানির মালিকানাধীন ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিতর্কিত খনি থেকে। এগুলো আদানির জাহাজে ও রেলে করে পরিবহন ও খালাস হবে আদানির মালিকানাধীন বন্দরে। আবার উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিবহন করা হবে আদানিরই নির্মিত সঞ্চালন লাইনে।
আরও জানা যাচ্ছে, জ্বালানি খরচসহ এই পুরো প্রক্রিয়ার ব্যয় বইতে হবে বাংলাদেশকে। যেটি বৈশ্বিক বিদ্যুৎ খাতের অভিজ্ঞতায় অভূতপূর্ব।
ফলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের জন্য দেশের অন্য যে কোনো সরবরাহকারী থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুতের তুলনায় অস্বাভাবিক বেশি হারে মূল্য দিতে হবে।
একইভাবে, আদানির গোড্ডা প্রকল্পের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ দিতে হবে দেশি-বিদেশি উদ্যোগে পরিচালিত অন্য যে কোনো প্রকল্পের তুলনায় অগ্রহণযোগ্য বেশি হারে।’
আরও পড়ুন: নেপাল, ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে ভারত: পররাষ্ট্র সচিব
১ বছর আগে