সন্ত্রাসী
রাজনৈতিককর্মী, আর সন্ত্রাসী গুলিয়ে ফেলেছেন বিএনপি নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে যে তারা রাজনৈতিককর্মী আর সন্ত্রাসী গুলিয়ে ফেলেছেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আর রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে পার্থক্য আছে। কিন্তু বিএনপির কর্মসূচি হচ্ছে সন্ত্রাসনির্ভর; তারা রাজনীতির নামে সন্ত্রাস করেন। এখানেই হচ্ছে বিপত্তি।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ড. কামরুল হাসান সম্পাদিত ‘সংবাদপত্রে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান’- গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা চাই বিএনপি পূর্ণশক্তিতে নির্বাচনে অংশ নিক: তথ্যমন্ত্রী
পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও গ্রন্থকার মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের কারণে জাতির সব অর্জন অগ্রগতি হারিয়ে যেতে বসেছে’- নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, এর অর্থ গত সাড়ে ১৪ বছরে জাতির অনেক অর্জন আছে এটা মির্জা ফখরুল সাহেব স্বীকার করে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকার কারো ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে না। কিন্তু যারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে এবং এখনও করছে, মির্জা ফখরুল সাহেবদের নেতৃত্বে যারা এখনো রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করছে, তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রিজভী সাহেব কি এটা জেগে বলেছেন, না ঘুমিয়ে বলেছেন এবং তার মানসিক স্বাস্থ্য কেমন-সেটি আমার প্রশ্ন।
তিনি বলেন, দেশে কোথাও তারা তাদের কর্মীদেরও নামাতে পারেনি, সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা। আসলে দু-চারশ’ মানুষ নিয়ে তারা মিটিং করতে অভ্যস্ত, এখন দু-চার হাজার দেখে মাথাটা নষ্ট হয়ে গেছে, এই হচ্ছে সমস্যা।
চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত অনিবন্ধিত আইপি এবং ক্যাবল টিভি’র বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে সম্প্রতি চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন চারটি অবৈধ আইপি টিভি’র অফিস সিলগালা করা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত বৈধ টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রতি মাসে শুধু বিটিআরসিকে ২০ লাখ টাকার বেশি ফি দেয়।
তিনি আরও বলেন, এসব টিভিতে অনেক সাংবাদিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৬টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, আরও আসবে। কিন্তু কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই দেখা যায় যে, এই টিভি চ্যানেলের মতো একই ধরনের বুম আর ছোট একটা ক্যামেরা নিয়ে হাজির হয় অননুমোদিত নানা আইপি টিভি। এদের কোনো অনুমোদন নাই, এরা চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত।
হাছান মাহমুদ জানান, সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী আইপি টিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের নামে সংবাদ বুলেটিন বা অন্য কৌশল অবলম্বন করে সংবাদ প্রচার করা যায় না, তারপরও তারা এই কাজটি করে। এবং সেটি করতে গিয়ে অমুকের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য চাঁদা নেয়, বিপক্ষে করার জন্যও হুমকি দিয়ে চাঁদা নেয়।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য টাকা নেয়, প্রতি মাসেও প্রতিনিধিদের কাছে উল্টো টাকা দাবি করে। এই কাজগুলো সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করার জন্য এবং যাদের বৈধ লাইসেন্স নেই যারা চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
রবিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সেই অভিযান পরিচালনা করেছে এবং কয়েকটি আইপি টিভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাদের অফিসও সিলগালা করে দিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেটি করতে গিয়ে আবার ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে এসেছে’ অর্থাৎ সেখানে তাদের কার্যালয়ের মধ্যে অবৈধ ও ভেজাল নানা ধরণের খাদ্যসামগ্রী পাওয়া গেছে। অন্যান্য জেলাতেও খুব সহসা এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: অ্যামনেস্টি'র বিবৃতি বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক: তথ্যমন্ত্রী
বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আ. লীগের নাম লিখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
টেকনাফে ফের কলেজছাত্রসহ ৭ জন অপহরণ
কক্সবাজারের টেকনাফে ফের কলেজছাত্রসহ সাতজনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
অপহৃতরা হলেন- জাহাজপুরা এলাকার জাফর আলমের ছেলে জাবরুল ইসলাম, বশির আহমেদের ছেলে ফজলু করিম, ইসহাকের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, হায়দার আলীর ছেলে রশিদ আলম, নজির আহমেদের ছেলে আরিফ উল্লাহ, হায়দার আলীর ছেলে জাফর আলম ও জাফর আলমের ছেলে জয়নুল ইসলাম। এর মধ্যে গিয়াস উদ্দিন টেকনাফ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৪ কৃষক অপহরণের অভিযোগ
তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে জাহাজপুরা পাহাড়ের কাছে কেউ পানের বরজে, কেউ গরু নিয়ে, আবার কেউ খেতে কাজ করতে যান। এ সময় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে নিয়ে যান।
টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন এবং উদ্ধারের তৎপরতা চালাচ্ছে।
এর আগে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর একই এলাকা থেকে স্থানীয় ৮ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে মুক্তিপণ দিয়ে তারা মুক্ত হন।
এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন হ্নীলা থেকে খেত পাহারা দেয়ার সময় চার কৃষককে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে তারাও মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হন।
আরও পড়ুন: টেকনাফে অস্ত্রধারীদের হাতে ৮ জন অপহৃত
টেকনাফে মাদক ও মানব পাচারকারী চক্রের ৭ সদস্য আটক
২১ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ভাষা শহীদ দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।
কমিশনার বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা পলাশী থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে নিয়ে এসেছি। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
রবিবার অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোলাম ফারুক এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি
তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য ও কূটনৈতিক কর্মকর্তারা প্রথমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তারপর এটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।’
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষ পলাশী দিয়ে প্রবেশ করবে এবং দোয়েল চত্বর দিয়ে বের হবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো ব্যাগ বা অন্যান্য জিনিসপত্র বহন করা যাবে না।
আরও পড়ুন: পুলিশের ওপর হামলাকারী জামায়াত কর্মীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: ডিএমপি কমিশনার
৩১ ডিসেম্বর রাতে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না: ডিএমপি
মুম্বাই হামলায় জড়িত পাকিস্তানিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা জাতিসংঘের
মুম্বাইতে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় পাকিস্তানে বন্দি থাকা একজন ভারত-বিরোধী জঙ্গিকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসাবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ।
পাকিস্তানি নাগরিক আবদুল রেহান মক্কিকে সন্ত্রাসী ঘোষণার একদিন পর মঙ্গলবার প্রতিবেশী ভারত স্বাগত জানিয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে ইসলামিক সম্প্রদায় নিজেই সন্ত্রাসের শিকার এবং পাকিস্তান জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।
নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈয়বা গ্রুপের ৬৮ বছর বয়সী মক্কী একজন সিনিয়র ব্যক্তিত্ব। যে গ্রুপ মূলত কাশ্মীরের বিতর্কিত হিমালয় অঞ্চলে সক্রিয়। তাকে ২০১৯ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগে দু’টি পৃথক মামলায় নভেম্বর এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে মর্টার বিস্ফোরণে নিহত ৪, নিখোঁজ ২০
মক্কিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্মকর্তারা বলেছেন যে তিনি এখনও কোনও ব্যাখ্যা না দিয়ে হেফাজতে রয়েছেন। মামলার সঙ্গে জড়িত একাধিক সরকারি কর্মকর্তার মতে, তাকে তার আপিলের জন্য পাঞ্জাবে আটক রাখা হয়েছে।
আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট চরমপন্থী এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার তত্ত্বাবধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কমিটি কাউন্সিলের ১৫ সদস্যের অনুমোদনের পর মক্কিকে নিষেধাজ্ঞার কালো তালিকায় রাখে।
জাতিসংঘের মূল্যায়নের আওতায়, মাক্কির সম্পদ জব্দ করা যেতে পারে এবং তিনি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞারও সম্মুখীন হবেন।
মুম্বাই হামলার পরিকল্পনার জন্য অভিযুক্ত জঙ্গি নেতা হাফিজ সাঈদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মক্কি। ৭২ বছর বয়সী সাইদ ৩১ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন এবং ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত করেছিল।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন মুম্বাই হামলার জন্য মক্কির মতো সাঈদকে কখনও অভিযুক্ত করা হয়নি। তিনি লস্কর-ই-তৈয়বা’র প্রতিষ্ঠাতা, যেটিকে মুম্বাইয়ে হামলার জন্য ভারত দায়ী করেছিল।
চীন মক্কিকে যুক্ত করার ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার পরে সোমবারের জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত এসেছে, যারা ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালের পরাজয়কে ‘সামরিক ব্যর্থতা’ বললেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শ্রী অরিন্দম বাগচি মঙ্গলবার মক্কিকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য-সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য, যাচাইযোগ্য এবং অপরিবর্তনীয় পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দিতে থাকবে।’
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালোচ বলেছেন, ‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের শিকার এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য বহুপক্ষীয় ফোরামসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।’
বেলুচ এক বিবৃতিতে বলেছেন যে ‘পাকিস্তান সবসময় জাতিসংঘের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ব্যবস্থার অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্তির নিয়ম, পদ্ধতি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়াগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।’
১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তান ও ভারতের তিক্ত সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে তাদের তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দু’টিতে লড়াই করেছে। যেটিতে তারা ওই এলাকাকে উভয়েই তাদের সম্পূর্ণরূপে নিজেদের দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: তালেবানদের হাতে বন্দি কর্মকর্তাদের উদ্ধারে পাকিস্তানে অভিযান শুরু
উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি
কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে মিয়ানমারের অস্ত্রধারী নবী হোসেন গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রেজুআমতলী সীমান্তে মিয়ানমারের ফের গোলাগুলিতে স্থানীয়রা আতঙ্কিত
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ধামংখালীর সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে নারী-পুরুষ দু’জন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। এ সময় সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ অবস্থায় সন্ত্রাসী গ্রুপ নবী হোসেনের ২০-৩০ অস্ত্রধারী বিজিবির টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। তখন বিজিবি আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট উভয় পক্ষের গোলাগুলি চলে। পরে অস্ত্রধারীরা মিয়ানমারের পাহাড়ে পালিয়ে যায়।’
এদিকে বিজিবি তাদের লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন ৩৪ বিজিবি এর অধিনস্থ বালুখালী বিওপি হতে আনুমানিক ১.৫ কি. মি. দক্ষিণ দিকে এবং সীমান্ত পিলার-২০ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ উত্তর-পূর্ব কোণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রহমতের বিল হাজীর বাড়ী নামক এলাকায় ইয়াবা কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
এসময় বালুখালী বিওপির একটি বিশেষ টহল দল নিকটাবস্থানে টহলরত থাকা অবস্থায় দ্রুত উক্ত সংঘর্ষ এলাকায় গমন করে রণকৌশলগত অবস্থান নেয়। বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বিজিবি টহল দলকে লক্ষ্য করে ফায়ার শুরু করে।
উক্ত সময়ে বিজিবি টহল দল তাদের জানমাল ও সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে কৌশলগত অবস্থানে থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে পাল্টা ফায়ার করলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় বালুখালী বিওপি হতে অতি দ্রুত আর একটি টহল দল প্রতিহতরত বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেয়। একই সময় পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম বিওপি হতেও আরও একটি টহল দল পিকআপ যোগে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে বিজিবির শক্তি বৃদ্ধি করে।
বিজিবি তড়িৎ এবং সুসংহত তৎপরতায় উক্ত ইয়াবা সন্ত্রাসীরা মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
এছাড়া ফায়ারের ঘটনায় বিজিবি টহলদলের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কোন সদস্য আহত/নিহত হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
বর্তমানে সকল বিওপি সমূহ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি টহল এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে গোলাগুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত
মাটিরাঙ্গায় গোলাগুলিতে আহত ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মোহাম্মদ হোসেন (৪০) নামে এক রোহিঙ্গা নেতা নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বালুখালী ক্যাম্প-১৮ ইস্টে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নেতা নিহত
নিহত হোসেন ব্লক-৮ এর মোহাম্মদ শফিকের ছেলে। তিনি ওই ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা বা হেড মাঝি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নিহতের ছোট ভাই নুর হাশেম জানান, সকালে মোহাম্মদ হোসেন বাড়ির পাশে বসে ছিলেন। হঠাৎ সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি ফারুক আহমেদ বলেন, একদল সন্ত্রাসী হঠাৎ এসে তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত: জৈন্তাপুর পুলিশ
কলকাতায় চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যা্ক্সনের রহস্যজনক মৃত্যু
চট্টগ্রামের কথিত শিবির ক্যাডার, পুলিশের তালিকাভুক্ত ২২ মামলার শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. নূর নবী ম্যাক্সনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। দীর্ঘদিন ধরে ‘শিবির ম্যাক্সন’ ভারতে পালিয়ে ছিল।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কালিগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যাক্সনের ছোট ভাই আবছার উদ্দিন।
নিহত ম্যাক্সন চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার আবদুল লতিফের ছেলে। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অস্ত্র মামলা ও ১৭টি চাঁদাবাজির মামলাসহ ২২ মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
ম্যাক্সন দীর্ঘদিন ধরে ভারতের কলকাতায় ছিলেন। বাংলাদেশের পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও তাকে দেশে আনতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ম্যাক্সনের পরিবারের দাবি, অনামিকা নামে সেখানকার এক বান্ধবী তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে।
এদিকে ভারতীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর এলাকায় তার সঙ্গিনী অর্পিতা হাজরার সঙ্গে থাকতেন ম্যাক্সন ওরফে তমাল চৌধুরী। তবে তারা বিবাহিত ছিলেন না। হাসপাতালে লাশ আনার সময় অর্পিতা সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে লাশ রেখে তিনি নিরুদ্দেশ হন। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
ম্যাক্সনের ছোট ভাই আবছার উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে কলকাতার বর্ধমান জেলার কালিগঞ্জে আমার ভাই ম্যাক্সনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। অনামিকা নামের এক নারী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আমার ভাইকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। এই নারী আমার ভাইকে ভারতের গ্রিনকার্ড ও আধারকার্ড পাইয়ে দেয়ার কথা বলে প্রথম দিকে চার লাখ টাকা দাবি করে। আমি প্রথমে চার লাখ টাকা পাঠিয়েছিলাম। গতকাল বিকালে ওই নারী আবার ১৮ লাখ টাকা দাবি করে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি তো প্রথমে চার লাখ টাকা চেয়েছিলেন। জবাবে তিনি বলেন, আপনার ভাই সন্ত্রাসী তাই টাকা বেশি লাগবে। আমি এতো টাকা দিতে না পারায় গতকাল রাতে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে সন্ত্রাসী হামলায় যুবক নিহত
তিনি আরও বলেন, কালিগঞ্জ পুলিশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। সেখানে একটি হত্যা মামলা দায়ের হবে।
সূত্র জানায়, ম্যাক্সনের ছোট ভাই হাসপাতালে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ থেকে ম্যাক্সনের বর্তমান স্ত্রী লাশটি বাংলাদেশে পৌঁছে দিতে তার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বর্তমানে লাশটি কলকাতার এম. আর বাঙুর হাসপাতালে রয়েছে।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান বলেন, তার পরিবার আমাদের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব। এরপর কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
সূত্র জানায়, ২০১১ সালে একটি ডাকাতির মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ম্যাক্সনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় আরেক সন্ত্রাসী সারোয়ারকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একে-৪৭ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র।
ওই মামলায় ২০১৭ সালে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে কাতারে পালিয়ে যান তারা। কাতারে বসে দেশীয় অনুসারীদের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতো।
২০১৯ সালেও নয়াহাট এলাকার একজন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি এবং হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে ম্যাক্সনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। চাঁদার টাকার ভাগাভাগি নিয়ে কাতারে সরোয়ারের সঙ্গে ম্যাক্সনের সংঘর্ষ হওয়ার পর কাতারের পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে দেশে পাঠায়। ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সারোয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে ম্যাক্সনের কোনো খোঁজ মেলেনি তখন।
জানা যায়, বাংলাদেশে পাঠানোর সময় কাতার এয়ারপোর্ট থেকে কৌশলে পালিয়ে ভারতে চলে আসে ম্যাক্সন। সেখানে তমাল চৌধুরী নাম ধারণ করে মাছের ব্যবসা শুরু করেন এক সময়ের দুর্ধষ এই সন্ত্রাসী।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার ডানলপ এলাকা থেকে ম্যাক্সনকে সেখানকার গোয়েন্দা সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। স্থানীয়দের কাছে ‘শিবির ম্যাক্সন’ নামে পরিচিত। তার নামে রয়েছে ২২টি মামলা। এক সময়ের এই শীর্ষ সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে ভারতের কলকাতায় আছেন। বাংলাদেশের পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও তাকে দেশে আনতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ম্যাক্সনের পরিবারের দাবি, অনামিকা নামে সেখানকার এক বান্ধবী তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সন্ত্রাসীদের মারধরে আহত তরুণের মৃত্যু
সন্ত্রাসীদের হাতে ফ্রান্সে বাংলাদেশি খুন
বিএনপি শাসনামলে মির্জা আব্বাসের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল: জয়
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তারেক রহমানের হয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতো ঢাকার যে চারজন এমপি, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তাদের মধ্যে অন্যতম।’
শনিবার ‘বিএনপির শাসনামল: মির্জা আব্বাসের লাগামহীন দুর্নীতি এবং বেপরোয়া জবর-দখল-সন্ত্রাস’-শিরোনামের এক ফেসবুক পোস্টে জয় এসব কথা বলেন।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ভাই-ভাগ্নেসহ অন্যান্য স্বজন এবং মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামেও রাষ্ট্রের ৮০০ কোটি টাকার জমি জালিয়াতি করে দলিল করে দিয়েছিল এই আব্বাস।’
জয় আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষের দিকে, টেন্ডার ছাড়াই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে রেলওয়ের ২ একর জমি একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে লিজ দেয় গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাস। এই সম্পদের মূল্যের পরিমাণ ছিল তখন কমপক্ষে ৫১ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: সজীব ওয়াজেদ বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘হাওয়া ভবনের নির্দেশে মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে এর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এই বিএনপি নেতা। অথচ রেলওয়ের জমি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনেই নয়, এটি করার আইনগত অধিকার তার নাই।’
তিনি বলেন, ‘এমনকি যে সমিতির নামে জমিটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেয়া হয়েছে, সেই সমিতির নামও সমবায় অফিসের তালিকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০০৭ সালের ২৮ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলওয়ের পক্ষ থেকে তাদের জমির ন্যায্য দখল ফিরে পাওয়ার দাবি জানালে, বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের নজরে আসে।’
জয় বলেন, ‘জানা যায়, ২০০৬ সালের অক্টোবরে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা ছাড়ার আগে এটাই মির্জা আব্বাসের শেষ দুর্নীতি। মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে পূর্বাচল সমবায় সমিতির নামক একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ক্যাশ জমা নিয়ে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘রেলওয়ের মালিকানাধীন ওই জমির একটি অংশে, রেলওয়ের অনুমোদক্রমে একটি প্রতিষ্ঠান লিজ নিয়ে ব্যবসা করছিল, পেশীশক্তি খাটিয়ে তাদেরও সেখান থেকে ভাগিয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনায় রেলওয়ে প্রতিবাদ জানালেও মির্জা আব্বাসের ক্যাডার বাহিনীর প্রতাপের কাছে হেরে যায় তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি আমলে এভাবেই সন্ত্রাসীদের ক্ষমতার দাপটে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি কোথাও। এমনকি সরকারি কর্মচারীদেরও হুমকি-ধামকি ও সন্ত্রাসী আচরণ চালিয়ে গেছে বিএনপি-জামায়াতের এমপি-মন্ত্রীরা।’
আরও পড়ুন: ২০০১ সালে হত্যাযজ্ঞ চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার: সজীব ওয়াজেদ
বিএনপি জামাত জোটের ২০০১-২০০৬ শাসনামল দেশ পিছিয়ে যাওয়ার ৫ বছর: সজীব ওয়াজেদ
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে সরকার: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার ক্ষমতায় থাকার চেষ্টার অংশ হিসেবে ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড এবং বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদে এবং গ্রেপ্তার বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যখন তাদের অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম শুরু করেছে, তখন তারা (সরকার) সহজে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে, মানুষ হত্যা করছে এবং মিছিল-মিটিং বানচাল করছে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
সমাবেশে বিএনপি নেতা আরও বলেন, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোট এবং অন্যান্য অধিকার পুনরুদ্ধারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করায় মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ‘ক্যাডাররা’ গণতন্ত্রকে বিলুপ্ত করতে, গণতন্ত্রকামী জনগণকে আতঙ্কিত করতে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে সারাদেশে ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েম করেছে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা বলি আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল। তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হয়ে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তারা সন্ত্রাস, নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং ভয়ভীতির পথ অবলম্বন করে টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মানুষকে আতঙ্কিত করা। সে কারণেই আওয়ামী সরকার তার সন্ত্রাসী ও ঘাতক বাহিনীকে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাতে লেলিয়ে দিয়েছে।’
গত আগস্ট থেকে বিএনপি জনগণের বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন করছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে তাদের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের তিন নেতা নিহত হয়েছেন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীনদের দলীয় কর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন অনেকে।
শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলুর ওপর হামলার নিন্দা জানান তিনি। ‘এমনকি তারা আমাদের নারী নেত্রীদেরও রেহাই দেয়নি এবং তাদের ওপর হামলা করেছে।’
আরও পড়ুন: অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অধিকাংশ অর্জন আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। ‘তারা লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম করে নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, অর্থনীতি এবং জনগণের বেঁচে থাকার সব উপায় ধ্বংস করেছে। তারা প্রতিটি খাতে লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করছে।
তিনি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে গুম করে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার অভিযোগও করেন। ‘এনফোর্সড ডিসপিয়ারেন্স বিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ বলেছে, বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের ঘটনা বাড়ছে।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার অনেক এলাকায় বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না, অথচ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, এসব করবেন না। বাংলাদেশের জনগণকে এভাবে নিপীড়ন করে দমন করা যাবে না। তুমুল গণআন্দোলনের মাধ্যমে আপনারা পরাজিত হবেন।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টার শেল নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করছে, কিন্তু সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
‘আসলে তাদের (সরকার) মেরুদণ্ড নেই। যেহেতু তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়, তাই তারা মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করতে পারে না এবং তারা বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন জোগাড় করতে পারে না।’
এ পরিস্থিতিতে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বর্তমান আওয়ামী লীগ শাসনকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সকল রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রকামী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার স্মরণে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে পতাকা অর্ধনমিত
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে আল-কায়েদার সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে রবিবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।এসময় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কথাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
রবিবার মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত দুই হাজার ৯৯৬ জন নিহতকে আমরা স্মরণ করছি।’
আরও পড়ুন:রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
এতে আরও বলা হয়েছে, এই দুঃখজনক ঘটনার পর যতই সময় অতিবাহিত হোক না কেন, তারা কখনোই এত বড় ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া পরিবারগুলোকে ভুলবে না।
মার্কিন দূতাবাস আরও জানান, ‘আমরা তার (রানির) মৃত্যুতে সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে শোক প্রকাশ করছি এবং আমরা চিরকাল তার স্মৃতি, সেবা, নেতৃত্ব ও বন্ধুত্বের দ্বারা অনুপ্রাণিত হবো।’
আরও পড়ুন:রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য ১৯ সেপ্টেম্বর
রানির মৃত্যু, ভারত কি এবার ফেরত পাবে কোহিনূর?