ক্ষমতায়ন
জলবায়ু অর্থায়নকে ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত: পরিবেশ উপদেষ্টার
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো একদিকে পরিবেশগত অন্যদিকে অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি এবং জলবায়ু অর্থায়নকে অবশ্যই ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত, শোষণের নয়।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সিরডাপ অডিটোরিয়ামে ‘জলবায়ু অর্থায়নে ন্যায়বিচার: বাংলাদেশ ও অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু ঋণের ফাঁদের ঝুঁকি’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন।
জলবায়ু অর্থায়ন ব্যবস্থায় ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন তিনি। যাতে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো ঋণের ফাঁদে না পড়ে।
আরও পড়ুন: পলিথিন ব্যাগমুক্ত বাজারকে পুরস্কার দেওয়া হবে: উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন অবশ্যই ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে হবে। যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের ওপর অযৌক্তিক ঋণের বোঝা চাপানো না হয়, যাদের জলবায়ু সংকট তৈরিতে কোনো ভূমিকা নেই।
অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শুধু ঋণ নয়, অনুদানের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
এসময় উপদেষ্টা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোর ঐতিহাসিক দায়িত্ব মোকাবিলায় শক্তিশালী বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি শিল্পোন্নত দেশগুলোকে দায়িত্ব গ্রহণ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান যাতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংকট প্রকট না হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন, যেখানে জলবায়ু অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। সংলাপে বাংলাদেশসহ অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়নের কারণে ঋণের ঝুঁকি বাড়ছে, এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ছিলেন- নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (ন্যাকম) নির্বাহী পরিচালক ড. মনজুরুল হান্নান খান, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের (বিসিসিটি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম জাকির হোসেন খান।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজন-প্রশমন কৌশলগুলো ন্যায়সঙ্গত হতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
২ মাস আগে
আ.লীগ জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে আর বিএনপি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার দল জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে এবং বিএনপি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমার সরকারের লক্ষ্য গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করা।
রবিবার রাজধানীর মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য।’
মিরপুর, মিরপুর ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও ঢাকা বিমানবন্দরে যাতায়াতের সুবিধার্থে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বালুর মাঠ সংলগ্ন কালশী মোড়ে এক অনুষ্ঠান থেকে ফ্লাইওভারটি যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়েছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আমরা আবারও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং কেউ যদি নির্বাচনে কারচুপি করে তবে তারা তা কখনই মেনে নেবে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা সবার মনে আছে। তখন বিএনপি কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল এবং খালেদা জিয়া নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। জনগণ তা মেনে নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘একই বছরের ৩০ মার্চ গণআন্দোলনের কারণে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের পর বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং ২০০৬ সালের নির্বাচন ঘোষণা করেছে, যা ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে হওয়ার কথা ছিল। অনেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। যখন জনগণ বুঝতে পেরেছিল যে তাদের ভোট কারচুপি করা হবে, তখন তারা পুনরায় আন্দোলন শুরু করে এবং খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
আরও পড়ুন: উত্তরসূরি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের শুভেচ্ছা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯টি আসনে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে উপ-নির্বাচনে তারা আরেকটি আসনে জয়লাভ করে। আমরা জনগণের ভোটের মাধ্যমে, তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে এবং দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে বারবার ক্ষমতায় এসেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে এবং আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় সরকার বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও 'স্মার্ট বাংলাদেশ'।
এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে যেতে ভয় পায়, তাই পথ হারিয়ে তারা পদযাত্রা করছে: সেতুমন্ত্রী
১ বছর আগে