বিনামূল্য
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে ধানের চারা দেবে বাকৃবি
বন্যা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে নাবী আমন ধানের চারা বিতরণের উদ্যোগে ‘লেইট আমন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এরই মধ্যে বাকৃবিতে দুই দিনে আড়াই একর জমিতে ৮০০ কেজি বীজ বপন করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ৭৬০ বিঘা জমির জন্য চারা তৈরি করছেন।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বীজ বপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, গত ২৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা মাঠের এক একর জমিতে ও ৩১ আগস্ট খামার ব্যবস্থাপনা শাখার দেড় একর জমিতে ধানের বীজ বপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যায় নষ্ট হয়েছে রোপা আমন ধানের চারা ও বীজতলা। বন্যার পানি নেমে গেলেও চারা তৈরি করতে অন্তত এক মাসের মতো সময় লাগবে। এতে আমন ধান লাগানোর সময় পার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার তৈরি করতে না পারলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। দেশের খাদ্য সংকটের কথা মাথায় রেখে আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ধানের চারা দিয়ে সহায়তা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাকৃবির সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ১ সেপ্টেম্বর
তিনি যোগ করেন, চারার দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি উপকরণ, সার, কীটনাশক বিতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা আমরা তৈরি করছি। তালিকা অনুযায়ী তাদের সাহায্য করা হবে। এছাড়া পরবর্তীতে কৃষকদের মাঝে শাক-সবজির বীজ বিতরণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগকে সফল করতে বাকৃবি এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বীজ কোম্পানি ও কৃষি উদ্যোক্তারা একত্র হয়ে ‘অ্যাগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বিডি’ গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানা যায়।
লেট আমন প্রকল্পে বাকৃবিতে ৫ একর, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক একর, চট্টগ্রামের হাট হাজারীতে ৪ একর ও লক্ষীপুরে ২ একরসহ মোট ১২ একর জমিতে বীজ বপন করে এক হাজার কৃষককে বিনামূল্যে চারা বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১২ একর জমিতে উৎপাদিত চারা দিয়ে সর্বনিম্ন ৭৬০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করা যাবে।
১৮ থেকে ২০ দিন পর ধানের চারা গজাবে বলে আশাবাদী শিক্ষার্থীরা।
এরপর শিক্ষার্থীরা বন্যাকবলিত এলাকার কৃষকদের কাছে বিনামূল্যে সেইসব চারা পৌঁছে দেবেন।
এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বিডি সংগঠনটির সূত্রে জানা যায়, বায়ার বাংলাদেশ ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সমমূল্যের ৫০০ কেজি ধানী গোল্ড হাইব্রিড জাতের বীজ ও বাকৃবির ৯৬-৯৭ সেশনের শিক্ষার্থীদের সংগঠন কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটির পক্ষ থেকে লেট আমন প্রকল্পে ২ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গবাদিপশুর জন্য ত্রাণ নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
এছাড়া প্রকল্প সফল করতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ময়মনসিংহ শাখা এক টন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) চাঁপাইনবাবাগঞ্জ শাখা থেকে ১৫০ কেজি বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
শিক্ষার্থী বকুল আলী বলেন, কৃষির সঙ্গে, বাকৃবির ৫ একর, নোবিপ্রবিতে এক একর, চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ৪ একর ও লক্ষীপুরে ২ একরসহ মোট ১২ একর জমিতে নাবি আমন ধানের চারা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আমরা। উৎপাদিত চারাগুলো বন্যাকবলিত কৃষকদের বিতরণ করব। যারা আমাদের অর্থনৈতিকভাবে ও শ্রম দিয়ে সাহায্য করেছেন তাদের এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বিডির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রকল্পে কাজ করা আরেক শিক্ষার্থী জান্নাতুল ইসলাম জ্যোতি বলেন, একজন কৃষিবিদের প্রধান দায়িত্ব বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রাখা ও কৃষকদের পাশে থাকা। যেহেতু আমন মৌসুমের বীজ বপনের সময় প্রায় শেষের দিকে এবং বন্যাকবলিত এলাকাসমূহে এই মুহূর্তে বীজ বপন সম্ভব নয়। এজন্যই লেইট আমন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে যা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পাশাপাশি কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখবে। আমি একজন ভবিষ্যৎ কৃষিবিদ হিসেবে আমার দায়িত্ববোধ ও মানবিকতা থেকে সহায়সম্বলহীন কৃষকের পাশে দাড়াতেই এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।
নেত্রকোনার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমান বলেন, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে আমরা চারাগুলো বিতরণ করব। আশা করছি আমরা প্রায় এক হাজার কৃষককে চারা বিতরণের মাধ্যমে সহায়তা করতে পারব। প্রতি কৃষককে আমরা প্রায় এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করার জন্য চারা বিতরণ করব।
মুখলেছুর রহমান আরও বলেন, বাকৃবির শিক্ষক ও গবেষক এবং বিভিন্ন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বিনা ১৭ এবং হাইব্রিড জাত ধানী গোল্ডের চারা তৈরি করে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন্। কৃষকরা এই বীজের চারাগুলো বপন করলে শতভাগ ফলন না পেলেও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ফলন পাবে বলে আমরা আশাবাদী। যেমন বিনা ১৭ জাতটি মাত্র ১২০ দিনের মধ্যে ফলন দেয় এবং এটি গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীতকাল যেকোনো সময় ফলন দিতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রথম নারী পরিচালক পেল বাকৃবির আইকিউএসি
৩ মাস আগে
আমনের উৎপাদন বাড়াতে ৪০ কোটি টাকার প্রণোদনা
রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে এই বছর ৪০ কোটি ৪ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে।
এছাড়া এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন দেশের ৬১টি জেলার ৫ লাখ ৬৬ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক।
আরও পড়ুন: আমনের উৎপাদন বাড়াতে ৩৩ কোটি টাকার প্রণোদনা
বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য রোপা আমন ধানের উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
কুড়িগ্রামে অনাবৃষ্টি ও ব্যাপক লোডশেডিংয়ে আমনের খেত ফেটে চৌচির
৭ মাস আগে
বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দিবে কমিউনিটি ক্লিনিক: সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা
সম্প্রতি সরকার কর্তৃক গৃহীত কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজনে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ’- শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এ তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত খাবার ও জীবন ধারণ পদ্ধতি
কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২২জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, সিদ্ধান্তটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ওষুধের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এ খাতে বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে।
এতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ডব্লিউএইচও এর গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন ২০২৩ এর তথ্য অনুযায়ী- বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের হার মাত্র ৩৮ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করেছে; যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ।
কর্মশালায় এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জাকির হোসেন জানান, ‘আগামী অর্থবছরে সকল কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শামীম জুবায়ের বলেন, ‘কেবল লবণ গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।’
উল্লেখ্য, ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রতি ৫ জনে ৪ জনই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায়না।
এক্ষেত্রে সেবার আওতা বাড়ানো হলে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ৬ কোটি মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হবে।
সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক ওবায়দুল কবির এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
আরও পড়ুন: সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করবে
উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
১ বছর আগে
বাংলাদেশিদের বিনামূল্যে পরামর্শ দিতে ফ্রি হটলাইন চালু করল ব্যাঙ্গালোরের অ্যাপোলো হাসপাতাল
এন্ডোস্কোপিক মেরুদণ্ডের সার্জারি এবং মাথা ও ঘাড়ের দাগহীন অস্ত্রোপচারের জন্য বাংলাদেশিদের বিনামূল্যে পরামর্শ দিতে যৌথ উদ্যোগে হটলাইন নম্বর চালু করেছে কেয়ারট্রিপ ডটকম (Karetrip.Com) ও ব্যাঙ্গালোরের অ্যাপোলো হাসপাতাল।
এই হটলাইন নম্বর (+91 96320 57050 ভারত) থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বাংলাদেশি রোগীরা অ্যাপোলো হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে বিনামূল্যে পরামর্শ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণকাজের উদ্বোধন
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাপোলো হাসপাতাল, ব্যাঙ্গালোরের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং হেড অ্যান্ড নেক অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সতীশ নায়ার এবং একই হসাপতালের নিউরোসার্জন বিশেষজ্ঞ ডা. শচীন জিআর।
তারা নতুন এই পরিষেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় সাংবাদিক ছাড়াও, বিভিন্ন স্বাস্থ্য পেশাজীবী, চিকিৎসক ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- মেরুদণ্ড, মাথা ও ঘাড় সংক্রান্ত চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের জন্য সঠিক হাসপাতাল, সঠিক চিকিৎসক এবং খরচের বিষয়ে রোগীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিভ্রান্তিতে থাকেন। তাদের এই সমস্ত বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা ও তথ্য প্রদোনের লক্ষ্যে এই হটললাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বসেই রোগীরা বিন্যামূল্যে অ্যাপোলো হাসপাতাল, ব্যাঙ্গালোরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ২৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক ডা. সতীশ নায়ার মেরুদণ্ড, মাথা ও ঘাড়ের চিকিৎসায় বৈপ্লবিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন এবং অ্যাপোলো হাসপাতাল, ব্যাঙ্গালোর থেকে চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন দেশের রোগীদের সুস্থ জীবনে ফেরার গল্প তুলে ধরেন।
নিউরোসার্জন ড. শচীন জিআর মাথা ও মেরদণ্ডের যত্নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। মস্তিষ্কের টিউমার, স্কোলিওসিস ও পিঠের ব্যথায় ভুগছেন এমন রোগীদের চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশ্বাস দেন তিনি।
কোমর ব্যথায় আক্রান্ত সব রোগীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না উল্লেখ করে তিনি জানান, অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অ্যাপোলো হাসপাতোলের বিশেষজ্ঞরা আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীকে নিখুঁতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে আ. লীগ ক্ষমতায় এলে ঢামেক হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা অন্বেষণে এমভিটি জোট ও হায়দ্রাবাদের কিমস হাসপাতালের বৈঠক অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে
বগুড়ায় সপ্তাহব্যাপী বিনামূল্যে বঙ্গন্ধুর বায়োপিকের প্রদর্শনী
বগুড়ায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘মুজিব; একটি জাতির রূপকার’ সপ্তাহব্যাপী বিনামূল্যে প্রদর্শন শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির অন্যতম সদস্য কৃষিবিদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল (সিআইপি) এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কলকাতার পরিচালকের সিনেমায় হিরো আলম
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বগুড়ার মধুবন সিনেমা হলে উদ্বোধনী বেলা ৩টার শো থেকে চলচ্চিত্রটির বিনামূল্যে প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ্ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বিনামূল্যে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল।
এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন- বগুড়ার বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ।
প্রধান অতিথি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন গণমাধ্যমে বলেন, ‘কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামলের এমন উদ্যোগ খুব প্রশংসনীয়। আমি আশা করব, এই প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে সর্বস্তরের মানুষের কাছে বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের কথা, বিসর্জনের কথা পৌঁছে যাবে।’
মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমার ভালোবাসা, তার প্রতি জাতি হিসেবে আমাদের কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকেই এমন উদ্যোগ নিয়েছি আমি। আমি বিশ্বাস করি, এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে যাবেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শের কথা যত মানুষের কাছে পৌঁছাবে ততই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ।’
শনিবার (২১ অক্টোবর) থেকে ধারাবাহিকভাবে দুপুর ১২-৩টা এবং ৩-৬টার শো বিনামূল্যে দেখানো হবে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
ভারতীয় নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন- নুসরাত ফারিয়া এবং বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছার চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা অভিনয় করেছেন।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের মধ্যে তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ আহমেদ অভিনয় করেছেন।
আরও পড়ুন: শাহরুখের ‘ডানকি’ বনাম প্রভাসের ‘সালার’: মুক্তি পাচ্ছে বড়দিনে
আইয়ুব বাচ্চুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
১ বছর আগে
তুরস্কে বিনামূল্যে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বিমান
ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্কের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কানাডা ও বাংলাদেশ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিনামূল্যে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিমানের ফ্লাইট বিজি-৩০৫ এর মাধ্যমে সাত হাজার ৭৪০ কেজি কার্গো পণ্য বিনামূল্যে ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুলে পরিবহন করা হয়েছে। ঢাকার তুরস্কের দূতাবাস এসব পণ্য পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্মকর্তার মৃত্যু
এভাবে কয়েকটি ফ্লাইটের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে ৩০ টন ত্রাণসামগ্রী তুরস্কে পৌছেঁ দেবে বলে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কানাডার টরন্টো থেকে ফ্লাইট বিজি-৩০৬ এর মাধ্যমে বিনামূল্যে তিন হাজার ১০ কেজি ত্রাণ ইস্তাম্বুলে পৌঁছে দিয়েছে বিমান। কানাডার টরন্টোতে অবস্থিত তুরস্কের কনস্যুলেট থেকে ওই পণ্যগুলো সরবরাহ করা হয়। টরন্টো থেকে ইস্তাম্বুলে পণ্য পরিবহনের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও জরুরি ভিত্তিতে কানাডার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে পণ্যসমূহ পরিবহন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন বিমান বাংলাদেশের
সৌদিগামী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট ৫ দিন স্থগিত
১ বছর আগে