সবজি
আকাশছোঁয়া দ্রব্যমূল্যে দুর্ভোগে মাগুরাবাসী, বাজার না নিয়েই ফিরতে হচ্ছে ঘরে
মাগুরায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। জিনিসপত্রের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখে অনেককে বাজার না করেই ফিরতে হচ্ছে ঘরে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের দুর্ভোগ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে বিক্রেতাদের আক্ষেপ, আগের মতো বেচাকেনা হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি হাট-বাজারে শাক-সবজিসহ সব কাঁচা বাজারের দাম বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকেই বাজারে এসেও কাঁচা বাজার না নিয়ে চলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনছেন।
মাগুরার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচা মরিচ, ডিম ও সবজির দাম।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ৫০০ টাকা।
জেলার বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।
গত দুই সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি প্রায় ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের শিকার নিষেধাজ্ঞায় চাঁদপুরে রেকর্ড দামে ইলিশ বিক্রি, হতাশ হয়ে ফিরছেন ক্রেতারা
পাশাপাশি প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচু প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৮০ টাকা, মাঝারি লাউ প্রতিটি ১০০ টাকা, ফুলকপি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০, শসা ৮০ টাকা ও প্রতি কেজি মুলা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডিমের দাম।
প্রথমবারের মতো ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিমের দাম রেকর্ড মূল্য ১৮০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ প্রতি হালি ডিমের দাম ৬০ টাকা, যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। আর মুদি দোকানে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে। যেখানে মাত্র এক সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন ছিল ১৫০ টাকা। যার প্রতি হালি বিক্রি হতো ৫০ টাকায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বেশি দামে ডিম বিক্রি করায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, গত কয়েকদিনে মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বেশি তাই স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও দাম বেশি।
গরু, ছাগল এবং দেশি ও ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম না বাড়লে মাছের দাম ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারগুলোতে ছোট মাছ নেই বললেই চলে। যেগুলো আছে সেগুলো সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আবার বড় মাছের দামও অনেক বেশি। ইলিশের ভরা মৌসুমেও দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এছাড়া বেড়েছে সব ধরনের চাল ও তেলের দাম।
তবে হঠাৎ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে বিক্রিও কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব
ক্রেতারা বলছেন, সবকিছুর দাম বাড়লেও তাদের উপার্জন বাড়েনি। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এত বেশি যে বাজারে যেতেই ভয় হয়। বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে হু-হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে জেলার বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সামুনুল ইসলাম জানান, অধিক পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় ও পাইকারি দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিদিনই কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া পরিবহন খরচও বেড়ে যাওয়ায় নিরুপায় হয়েই দাম বাড়াচ্ছে বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমেছে ১ শতাংশ: সালেহউদ্দিন
২ মাস আগে
‘বাজারের এই মাথা-ওই মাথা ঘুরছি, কিছু কিনতে পারছি না’
খুলনার কাঁচাবাজারে আবারও বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কোনো সবজিতে দুই গুণ আবার কোনোটিতে দাম বেড়েছে দেড় গুণ। এছাড়াও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ ও মুরগি। এতে চরম অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
রবিবার (২৪ জুন) খুলনার নতুনবাজার, দৌলতপুর বাজার, গললামারী বাজার, শেখপাড়া বাজার, মিস্ত্রীপাড়া বাজার ঘুরে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আবদুল্লাহ আবু নাসের নামে একজন ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে এসে এই মাথা থেকে ওই মাথা ঘুরছি। কিছু কিনতে পারছি না। বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেই।’
দৌলতপুর বাজারের রহমান শেখ ইউএনবিকে বলেন, ‘বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, আলু ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা ঢেঁড়শ ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি আলু ৫০ টাকা, আদা ৩০০ টাকা, ডাটাশাক ৩০ টাকা কজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দাম, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
৫ মাস আগে
সবজির দাম স্থিতিশীল হলেও এখনো চড়া, বাড়ছে ডিম, মুরগি ও মাছের দামও
রাজধানীর কাঁচাবাজারে ডিম, মুরগি ও মাছের দাম বেড়েছে। তবে শাক-সবজি ও অন্যান্য পণ্যের দাম আগের মতোই চড়া রয়েছে।
শুক্রবার কারওয়ান বাজার, মহাখালী, মালিবাগ ও হাতিরপুলসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিম, মুরগি ও মাছের দাম বেড়েছে।
তীব্র তাপপ্রবাহের সময় সারাদেশে ডিম ও মুরগির দাম বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: সবজির মূল্য স্থিতিশীল হলেও সব ধরনের মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী
প্রতি ডজন (১২ পিস) ফার্ম ডিমের দাম ২০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি হালি (৪ পিস) ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩৫ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে এবং আকার ও মান ভেদে কেজিপ্রতি ৩৪৫ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৭০ থেকে ৭৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছে।
মান ভেদে শুক্রবার প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৩০ টাকা।
আর মান ভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১৮০ টাকায়, যা বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা।
শুক্রবার কারওয়ান বাজার মাছের বাজারে ৪৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়।
অন্যান্য মাছের মধ্যে পুঁটি ও ছোট মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ৩০০ টাকা, ফলি চান্দা (রূঁপচাদা) ১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা, কোরাল মাছ ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নদীর পাঙ্গাস ৭০০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি, মাঝারি আকারের কার্প (কাতল) ২৫০-৩০০ টাকা কেজি, বড় সাইজের কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, মাগুর মাছ (শিং) ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে চাষ করা হয়েছে। শিং ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার সবজির দাম চড়া কিন্তু স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে দাম বাড়ার জন্য মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন, ঢেঁড়স, সজনে, বরবটি, করলাসহ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় অপরিবর্তিত ছিল।
অন্যদিকে মৌসুম শেষ হওয়ায় বেড়েছে টমেটোর দাম। ভালো মানের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মান ভেদে দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজের এই মৌসুমে ফলটির দাম কিছুটা বেড়েছে। আকারভেদে এ ফল ১২০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং আনারস ৩০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেয়ারা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে (পাকা) ১০০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীতে আপেল, মাল্টা, কমলা ও নাশপাতি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩৪০ টাকায়।
এছাড়া চাল, গম, আটা, দুধ, সয়াবিন, সুগন্ধি চালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
সবজি-ফলের দাম কমলেও বেড়েছে মাছ-মাংসের দাম
৭ মাস আগে
সবজির ১৩৫টি জাত ও ৭৭টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে বারি
এ পর্যন্ত ১৩৫টি সবজির জাত উদ্ভাবন ও ৭৭টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি)।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির সবজির আধুনিক জাত ও প্রযুক্তি প্রদর্শন কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে আর জানানো হয়, দেশে বর্তমানে ২.২ কোটি টন সবজি উৎপাদন হয়। উৎপাদিত সবজি খাওয়ার পাশাপাশি একটি অংশ বিদেশে রপ্তানি হয়।
আরও পড়ুন: কেঁচো সারে ভাগ্য বদল, লাইসেন্স না পাওয়ায় হুমকি দেখছেন চুয়াডাঙ্গার আসাবুল হক
উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মুন্সী রাশীদ আহমদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।
এরপর বারির এফএমপিই বিভাগের সেমিনার কক্ষে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণের পুরস্কার বিতরণ কর্মশালা এবং নব নির্মিত এফএমপিই ল্যাব বিল্ডিং উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, বারির সাবেক মহাপরিচালক ড. এম এ মাজেদ ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১৮ লাখ ৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৯ মাস আগে
সবজির দাম কিছুটা কমলেও মাছ-মাংসের দাম বেশি
সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলু ছাড়া শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে শুক্রবার রাজধানীর কাঁচাবাজারে মাংস ও মাছের দাম ছিল চড়া।
সবজির দাম কমলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী হারুন অর রশীদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সবজিসহ সব পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মৌসুমের এই সময়ে আলু, টমেটো ও গাজরের দাম সাধারণত প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। কিন্তু মান ভেদে এসব জিনিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজির মধ্যে।
এই অতিরিক্ত দাম অবসরপ্রাপ্ত এবং নির্দিষ্ট আয়ের গোষ্ঠীর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমালে ভোক্তাদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনছে।
তবে শুক্রবার কারওয়ান বাজারে শীতকালীন সবজির প্রায় সবগুলোই বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সূর্যমুখী ফুলে আকৃষ্ট হচ্ছেন মানুষ
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে অসন্তোষ রয়ে গেছে মাছ ও মাংসের বাজারে। ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং সোনালি মুরগি (পাকিস্তানি জাতের) ৩২০-৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে অনেক স্থানে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া গরুর মাংস এখন সর্বত্র ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি ডজন বাদামি ডিম (মুরগি) ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, সাদা ডিম ৫-১০ টাকা কম। হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং দেশি গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি ডজন ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও শরীয়তপুরে অস্বাভাবিক সবজির দাম
কয়েক মাস আগের তুলনায় এখন মাছের দাম বেশি। তবে তেলাপিয়া, পাঙ্গাস ও কার্প জাতীয় মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। অন্যান্য মাছের মধ্যে আড়াই কেজি থেকে দুই কেজি ওজনের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ (চাষের) ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল ও ইলিশ মাছ কেজিতে ৬০০ টাকার নিচে নয়।
কারওয়ান বাজারে কোরাল, বোয়াল, নদীর পাঙ্গাসের মতো বড় সাইজের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১১০০ টাকায়।
দাম বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তার অফিস থেকে অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস আগে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে দাম নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ ও আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় যশোরের কৃষকরা
শফিকুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন জেলার হিমাগার পরিদর্শন করে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ পেয়েছেন, যদিও দাম বাড়তি ছিল।
পেঁয়াজ ও আলুর উচ্চমূল্য অব্যাহত থাকলে সরকার এসব পণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাংলাদেশে ভোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন।
খামারের ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও চাষের মাছ দেশের লাখ লাখ দরিদ্রের জন্য প্রধান প্রোটিনের উৎস।
নাজের বলেন, এ ধরনের সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী তাদের প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও লালমনিরহাটে সবজির দাম আকাশচুম্বী
১১ মাস আগে
ভরা মৌসুমেও লালমনিরহাটে সবজির দাম আকাশচুম্বী
লালমনিরহাটে অস্বাভাবিক চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বাজারে এখন অধিকাংশ সবজির কেজি ৫০ টাকার উপরে। শীতের ভরা মৌসুমেও গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে।
তবে লালমনিরহাটের সবজি ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক দোহাই দিয়ে রীতিমতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন অধিকাংশ সবজির কেজি ৫০ টাকার উপরে।
জেলার স্থানীয় বাজারে একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এক কেজি বেগুনের দাম ৪০ টাকা, শিমের কেজি এখনও ৫০টাকা।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঢাকায় সবজির দাম বেড়েছে
এছাড়া একটি ফুলকপি ৪০ টাকা, আর৫৫ টাকার কমে মিলছে না বাঁধাকপিও ।
চরম ভোগান্তিতে পড়া ভোক্তারা বলছেন, বছরের এই সময়ে সবজির দাম কম থাকার কথা, এবারের চিত্র ভিন্ন রকম।
গত রবিবার লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী চাপারহাট বাজার, কাকিনাহাটসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, করলা ধরন ভেদে ৬০-৭০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা ও পেঁয়াজ (দেশি) মান ভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে ফুলকপি পিসপ্রতি ৩৫-৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৪২-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে এসব সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
চাপারহাট কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী শাহিন আলম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম দুই থেকে তিন গুণ বেশি।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় যশোরের কৃষকরা
তিনি আরও বলেন, গত বছর এই সময়ে ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও এখন ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
কাকিনা বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, সবজির মৌসুমেও সবজির দাম বেশি। তবে ক্রয় যেমন বিক্রি তেমন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকায় সবজি চাষ হওয়ার কারণে আমরা তাজা শাক-সবজি খেতে পারি। তবে এই সবজির মৌসুমে টমেটো, মুলা, লাউসহ অন্যান্য সবজির দাম থাকে একেবারেই কম। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন রকম।
দুহুলী বাজারে কাঁচামাল ব্যবসায়ী বেলজিয়াম বলেন, গত বছর এই সময়ে ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি আলু, ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ ও ১৫০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি কিনেছিলাম। কিন্তু এই বছর দাম দ্বিগুণ বেড়েছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
আরও পড়ুন: শাকসবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা: ইউএনবি’র বাজার সমীক্ষা
লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের সহকারী উপ-পরিচালক সিফাত জাহান জানান, জেলায় শীত মৌসুমে, শাক সবজির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা অর্জিত হয়েছে, এ বছর যে পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয়েছে, জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলাতেও যাচ্ছে।
১১ মাস আগে
ভরা মৌসুমেও শরীয়তপুরে অস্বাভাবিক সবজির দাম
শরীয়তপুরে সবজির বাজারে ব্যবসায়ীরা একেক দোহাই দিয়ে রীতিমতো লুটপাট করছে। কাটছে ভোক্তার পকেট। অস্বাভাবিক বেশি দামে বিক্রি করছে সবজি।
বাজারে এখন অধিকাংশ সবজির কেজি ১০০ টাকার উপরে। শীতের ভরা মৌসুমেও গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) শরীয়তপুরে সবজির বাজারে একটি লাউয়ের দাম উঠেছে ১২০ টাকা। যা তিন বা চার সদস্যের পরিবারে এক দিন হবে না।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঢাকায় সবজির দাম বেড়েছে
এক কেজি বেগুনের দাম ১০০। শিমের কেজি এখনও ১২০ টাকা। এছাড়া একটি ফুলকপি ৬০ ও বাঁধাকপিও ৫০ টাকার কমে মিলছে না।
শীতের ভরা মৌসুমেও গত দুয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ভোক্তারা। যদিও বছরের এই সময়ে সবজির দাম কম থাকার কথা, তবে এবারের চিত্র ভিন্ন।
শনিবার শরীয়তপুরের ডোমসার বাজার, শৌলপাড়া, লাউখোলাসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৭০-১০০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, করলা ধরন ভেদে ৮০-১২০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা ও পেঁয়াজ (দেশি) মান ভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সবজিবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় ২ জন নিহত
বাজারগুলোতে ফুলকপি পিসপ্রতি ৪০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা ও আকার ভেদে লাউ প্রতি পিস ৭০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।
সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে এসব সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ডোমসার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রহিম মাদবর বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম দুই থেকে তিন গুণ বেশি।
তিনি বলেন, গত বছর এই সময়ে ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও এখন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
লাউখোলা বাজারের ব্যবসায়ী আব্বাস বলেন, সবজির মৌসুমেও সবজির দাম বেশি। তবে ক্রয় যেমন বিক্রি তেমন।
তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় সবজি চাষ হওয়ার কারণে আমরা তাজা শাক-সবজি খেতে পারি। তবে এই সবজির মৌসুমে টমেটো, মূলা, লাউসহ অন্যান্য সবজির দাম থাকে একেবারেই কম। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন।
ডোমসার বাজারে কথা হয় এক মুদি দোকানির সঙ্গে।
তিনি বলেন, গত বছর এই সময়ে ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি আলু, ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ ও ১৫০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি কিনেছিলাম। কিন্তু এই বছর দাম দ্বিগুণ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের বিরামপুরে সবজি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
লাউখোলা বাজারে আকবর হোসেন বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি সবজি কেনা কমাতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি জানান, আমাদের এলাকায় এত সবজির চাষ হয়, তবুও এত দাম কেন জানি না। ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে আসলে সবজি কিনলে মাছ-মাংস কেনার টাকা আর থাকে না।
১১ মাস আগে
কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
কুড়িগ্রামে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে মাত্র ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বিভিন্ন প্রকার সবজির বাজার চালু করেছে ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার পাঁচ কেজি ওজনের প্রায় দুইশত টাকার সবজি পেয়ে দারুণ খুশি ভোক্তারা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের পথে প্রথম পরিদর্শন ট্রেন
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ বাজার চালু করে সংগঠনটি।
সংগঠনটি প্রায় দেড় শতাধিক পঙ্গু, ভিক্ষুক ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার তুলে দেন।
প্যাকেজ হিসাবে ছিল ডিম, ফুলকপি, সিম, লালশাক, বেগুন, মুলা, ধনেপাতা ইত্যাদি। ৫ টাকায় এতো সবজি পেয়ে দরিদ্র ও অসহায় মানুষজন অনেক খুশি।
ঘোগাদহ চৈতার খামার গ্রামের প্রতিবন্ধী আফরোজ বেগম বলেন, সারাদিন ভিক্ষা করে ২০০ টাকাও জুটে না। সেখানে মাত্র ৫ টাকায় প্রায় দুই শত টাকার সবজি ও একটি ডিম পেলাম। সব কিছু স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। আজ খুবই ভালো লাগছে। এ বাজার গরিব মানুষের জন্য আশীর্বাদের মতো।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কক্সবাজারে প্রথম ট্রেনের টিকেটে বিক্রি আধ ঘন্টায় শেষ !
১ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে সবজিবাহী ট্রাক উল্টে নিহত ২
ঠাকুরগাঁওয়ে সবজিবাহী (করলা) ট্রাক উল্টে আশরাফুল ও সহিবর নামের দুই শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয় আরও ১৫ জন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের ফাড়াবাড়ি এলাকার দক্ষিণ বটিনা গ্রামের চেপটিগুড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বালি বোঝাই ট্রাক উল্টে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী নিহত
নিহত আশরাফুল সদর উপজেলার কহরপাড়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে এবং নিহত সহিবর ওই এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার দুপুরে ফাড়াবাড়ি এলাকার একটি করলার বাগান থেকে ট্রাক বোঝাই করে ১৫ জন শ্রমিক ও ওই ট্রাকের ওপরে বসেই ঠাকুরগাঁর উদ্দেশে রওনা হয়। পথে চেপটিগুড়ায় স্থানে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় এবং রাস্তার পাশের পুকুরে গিয়ে পড়ে।
আশেপাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকের নিচে চাপা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আশরাফুল ও সহিবরের মৃত্যু হয়।
সবজিবাহী ট্রাক উল্টে দুইজন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রাক উল্টে চালক নিহত
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১২
১ বছর আগে
বিক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতে হতাশ ক্রেতারা
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা এবং মাছের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা।
অনেক ভোক্তা, বিশেষ করে যারা নির্দিষ্ট বেতনের উপর নির্ভর করে তারা বাজারে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে এবং বর্ধিত দাম নিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষি করতে দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, মহাখালী কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন কাঁচা বাজার পরিদর্শন করে এই প্রতিবেদক দেখেন, কোনো সবজির কেজিই ৬০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। এসব সবজির দাম আগে বিক্রি হতো ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি।
পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী ও সবজি সরবরাহকারীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও বন্যায় সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে দায়ী করছেন। তাই বাজারে সরবরাহ কমে গেছে।
তারা শাকসবজি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির জন্য উচ্চ পরিবহন ও শ্রম ব্যয়কেও দায়ী করেছে।তবে মানের ভিত্তিতে কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, শিম কেজিপ্রতি ২০০ টাকা, তাল বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১৪০ টাকা, আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম
এ ছাড়া, উচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, কচু ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি, মুলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, কুমড়া (মাঝারি আকারের) প্রতি পিস ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা পিস, লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা পিস, চালকুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, ধনে পাতা ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ক্যাপসিকাম (লাল) ৬০০ টাকা কেজি এবং ক্যাপসিকাম (সবুজ) ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি।
অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি, আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, আমদানি করা রসুনের দাম প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা এবং দেশি রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা আদা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়, দেশি আদা মানের ভিত্তিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
লাল মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে আমদানি করা মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ৮৬০ টাকা, খোলা সুপার পাম অয়েল ১৬০ টাকা কেজি, চিনি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, গুড় ১৭০ থেকে ২০০ টাকা এবং চিড়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মানভেদে চিনি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, গুড় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা এবং চিড়া ৯০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকা কেজি, পাইজাম ৬০ থেকে ৬৪ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ব্র্যান্ডের চাল ৭২ থেকে ৮০ টাকা কেজি, মিনিকেট ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা কেজি, কাটারি ভোগ ৯০ টাকা কেজি দরে, পোলাও চাল (বাদশাভোগ) প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকা এবং কালিজিরা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি।
ঢাকার কাঁচা বাজারে শুক্রবার ময়দা ৭০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি এবং দুই কেজির প্যাকেট ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।শুক্রবার কারওয়ান বাজার মাছের বাজারে প্রায় ৪৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিটি ৩৫০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায়। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।
আরও পড়ুন: শাকসবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা: ইউএনবি’র বাজার সমীক্ষা
অন্যান্য মাছের মধ্যে পুঁটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, জীবন্ত পুঁটি ৪০০ টাকা কেজি, খলিসা ৪০০ টাকা কেজি, চাপিলা ৪০০ টাকা কেজি, চাষের কই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, ফলি চান্দা (রূপচাদা) প্রতি কেজি ১২০০ টাকা, চান্দা ছোট ৪০০ টাকা কেজি, শৈল মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, বাইম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, মেনি ৪০০ টাকা কেজি, বোয়াল ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি।
এ ছাড়া, কাইট্টা মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, কোরাল মাছ ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, নদীর পাঙ্গাস ৭০০ টাকা কেজি, চাষের পাঙ্গাস ২০০ টাকা কেজি, রাজপুঁটি ৪৫০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ২২০ টাকা কেজি, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, মাঝারি সাইজের কাতল প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকা, বড় সাইজের কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, দেশি শিং মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি, বারবেল ৮০০ টাকা কেজি, গলদা চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকা কেজি এবং বাগদা চিংড়ি ৬০০-৬০০ টাকা কেজি।
গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ১১৫০ থেকে ১১৮০ টাকায়, মাঝারি আকারের দেশি মোরগ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং মুরগি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, ফার্মের মুরগি ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা প্রতি কেজি, ডিম (ফার্ম) প্রতি হালি (৪ পিস) ৫০ টাকা, ডিম (দেশি) ৭০ টাকা এবং ডিম (হাঁস) ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়।
এছাড়া, প্রতি জোড়া কবুতর বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
আরও পড়ুন: বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
১ বছর আগে