খুলনায় সবজির বাজার নিম্নমুখী থাকলেও নাগালের বাইরে সব ধরনের চাল ও ভোজ্য সয়াবিন তেলের দাম। বাজার দর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার থাকলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না চাল ও তেলের দাম।
এদিকে চালের মূল্য কেজিপ্রতি ৬ থেকে ৭ টাকা ও ভোজ্য সয়াবিন তেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩ টাকা বেড়েছে। এতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ।
খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি নতুন আলু ২০ টাকা, মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, দেশি রসুন ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকা, শীতকালীন শিম ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ২০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছ।
এছাড়া লালশাক ও ঘিকাঞ্চন শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
তবে লাগামহীন চালের দাম। প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৬ থেকে ৭ টাকা। নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল (স্বর্ণা) ৫৪ টাকা, আঠাশ বালাম ৬৫ টাকা, মিনিকেট ভালোমানের ৭৫ টাকা, মিনিকেট নিম্নমানের ৬৫ টাকা, বাসমতি ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা, কালোজিরা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে অর্ধেকে নেমে গেছে সবজির দাম, দুশ্চিন্তায় কৃষক
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে মূল্য তালিকায় চূড়ায় রয়েছে ভোজ্য সয়াবিন তেলের দাম। ভোজ্য সয়াবিন বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫ লিটার) বিক্রি হচ্ছে ৮৭৫ টাকা দরে। যা লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য লুজ সয়াবিন।
খুচরা বাজারে কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ১৯৫ টাকা দরে। অথচ গেল বছর ২০ নভেম্বর নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ভোজ্য সয়াবিন বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫ লিটার) বিক্রি হচ্ছে ৮৬০ টাকা দরে। যা লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭২ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লুজ সয়াবিন।
নগরীর অ্যাপ্রোচ রোডস্থ কেসিসি সুপার মার্কেটে আসা ক্রেতা মো. আবু জাফর শেখে বলেন, অভিযান অব্যাহত থাকলেও কমছে না চাল ও সয়াবিন তেলের দাম। ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। একাধিক ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারাও একই মতামত ব্যক্ত করেন।