ঋণখেলাপি
খেলাপি ঋণের ধকল কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নিয়ম কতটা কার্যকর
খেলাপি ঋণের কারণে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকে সৃষ্ট মারাত্মক তারল্য সংকট ও দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা সামাল দিতে ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা অর্থ, অর্থাৎ প্রভিশনিংয়ে আন্তর্জাতিক ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টি স্ট্যান্ডার্ড (আইএফআরএস-৯) মানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শিল্পগোষ্ঠী এস আলম-সংশ্লিষ্ট ছয় শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক, শিকদার গ্রুপ-সংশ্লিষ্ট ন্যাশনাল ব্যাংক এবং বেক্সিমকো-এস আলমের ঋণখেলাপির ফাঁদে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক তারল্য সংকটে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে।
সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর মাসের হিসাব অনুযায়ী, দেশের দশ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকগুলোর মোট প্রভিশন ঘাটতির ৬৫ শতাংশের ওপর শুধু জনতা ও ন্যাশনাল ব্যাংকে।
তারল্য সংকটের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণের বিপরীতে যথেষ্ট প্রভিশন না থাকায় এসব ব্যাংক রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।
গত নভেম্বরে দুর্বল ব্যাংকগুলো বাঁচাতে ঋণের বিপরীতে প্রভিশন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তানুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে ব্যাংক খাতের প্রভিশন ব্যবস্থা পুরোপুরি আইএফআরএস-৯ এর এক্সপেক্টেড ক্রেডিট লস (ইসিএল) মডেল অনুযায়ী সাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড বোর্ড (আইএএসবি) ২০১৪ সালের জুলাই মাসে আইএফআরএস-৯ এর আওতায় বর্তমান ইসিএল মডেল চালু করে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক শেয়ারের মালিকানা হস্তান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকে ক্ষমতা দিতে হচ্ছে নতুন আইন
গতানুগতিক রীতি অনুযায়ী, ঋণের খেলাপি না হওয়া পর্যন্ত কিংবা প্রদেয় ঋণ শ্রেণিকরণের আগ পর্যন্ত সেটিকে চিহ্নিত করা ব্যাংকগুলোর জন্য কঠিন। এ ক্ষেত্রে ইসিএল মডেলে শুরু থেকেই প্রদেয় ঋণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করা সম্ভব। এই মডেলের আওতায় একটি ঋণের অতীত ইতিহাস, বর্তমান পারফরম্যান্স ও ভবিষ্যতে ঋণের দিকনির্দেশনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এতে করে হঠাৎ খেলাপি হওয়ার মতো ঘটনা বা ব্যাংকগুলো চাইলেই খেলাপির তথ্য লুকানোর মতো কাজ করতে পারে না।
ব্যাংকিং খাতে ইসিএল মডেলের রোডম্যাপ
সম্প্রতি ঋণ প্রভিশনে ইসিএল মডেল বাস্তবায়নে দিকনির্দেশনা দিয়ে দেশের সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এতদিন ঋণের প্রভিশন রাখার ক্ষেত্রে নিয়মতান্ত্রিক খরচ ও ক্ষতির ওপর ভিত্তি করে অ্যাকাউন্টিং মডেল মানা হলেও ২০২৭ সালের মধ্যে এ মডেল থেকে বের হয়ে ইসিএল মডেল মানা হবে।
এই মডেলের মাধ্যমে কোনো ঋণ পুরোপুরি খেলাপি হওয়ার আগেই এর প্রভিশন নিশ্চিত থাকবে। এতে করে কোনো কারণে ঋণখেলাপি হলেও ব্যাংকগুলোকে বড় রকমের তারল্য সংকটের মুখোমুখি হতে হবে না। এমনকি ঋণখেলাপির কারণে ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে আসবে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে তিন ধাপে আইএফআরএস-৯ মডেল দেশের সবকটি ব্যাংকের প্রভিশন প্রক্রিয়ায় কার্যকর করার রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রকাশিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিংবা প্রধান নির্বাহীকে নতুন মডেল বাস্তবায়নে নিজ নিজ ব্যাংকে আলাদা ওয়ার্কিং টিম গঠন করতে হবে। এই ওয়ার্কিং টিমে ব্যাংকের অন্যান্য অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রধান রিস্ক অফিসার (সিআরও) এবং প্রধান ফাইনান্সিয়াল অফিসারের (সিএফও) অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসব টিমকে কর্ম বণ্টন ও সময় বেঁধে দিয়ে ব্যাংকগুলোকে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ চলতি বছরের ১৫ এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবগত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্যাংকের নির্দিষ্ট ওয়ার্কিং টিম চলতি বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করে নতুন মডেলে ব্যাংকের প্রভিশন কার্যক্রম স্থানন্তর করতে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেবে।
আরও পড়ুন: বছর শেষে ব্যাংকগুলোর প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল, ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার
রোডম্যাপ অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাংকের নির্ধারিত টিম চলতি বছর জুলাই ও অক্টোবরে দুই মেয়াদে বাংলাদেশ ব্যাংককে নিজেদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত করবে।
বিশেষ করে ইসিএল মডেলের অটোমেশন বাস্তবায়নে ব্যাংকের আইটি খাতকে ঢেলে সাজানোর ওপর আলাদাভাবে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমনকি প্রয়োজন হলে ব্যাংকগুলো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমেও অটোমেশন করতে পারবে। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নিজেদের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সবশেষ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ইসিএল মডেলের পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন প্রকাশ করবে এবং সে অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর এতদিনের কর্মযজ্ঞ নির্ধারিত কাঠামোতে সাজিয়ে ওই বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রস্তুতি ও সক্ষমতার সর্বশেষ প্রতিবেদন জমা দেবে।
এরপর আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ২৫ শতাংশ ঋণের পোর্টফোলিও অটোমেশনের মাধ্যমে ইসিএল মডেলেও আওতাভুক্ত করা হবে। ধাপে ধাপে ২০২৭ সালের জুন মাসের মধ্যে এ পোর্টফোলিও ৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে এবং ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে দেশের ব্যাংকখাতে ঋণের প্রভিশন ব্যবস্থা শতভাগ আইএফআরএস-৯ অনুমোদিত ইসিএল মডেলের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনীয়তা
ঋণ প্রভিশনের ক্ষেত্রে ইসিএল মডেল বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সুফল নিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা খাতসংশ্লিষ্টদের। বিগত সময়ে খেলাপি হবে জেনেও ঋণ দেওয়া এবং খেলাপি হওয়ার পরেও তথ্য গোপনের মতো ঘটনা আগামীতে যেন না ঘটে, সেজন্য এ মডেলের বাস্তবায়ন ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তারা।
এ বিষয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ইউএনবিকে বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে প্রায় এমন একটি মডেল দেশের ব্যাংক খাতে প্রয়োগ করা হয়েছিল। মডেলটি বাস্তবায়নের পর দেখা গেল—যেসব ব্যাংক নিজেদের শক্তিশালী দাবি করে, তাদের অনেকের অবস্থাই নাজুক। ব্যাংকগুলো নিজেদের নাজুক অবস্থা লুকিয়ে রেখেছিল, যা এ মডেলের মাধ্যমে তখন প্রকাশিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন একটি মডেলের বাস্তবায়ন ভালো একটি উদ্যোগ। তবে শুধু এই মডেল দিয়ে খেলাপি ঋণ বন্ধ করা যাবে না। বিগত সময়ের বেশিরভাগ খেলাপি ঋণের পেছনে সুশাসনের অভাব সরাসরি জড়িত ছিল।’
তাই আগামী দিনে এমন একটি মডেল কার্যকর করতে ব্যাংকখাতে সুশাসন নিশ্চিতের ওপর জোর দেন আবদুল মান্নান।
আরও পড়ুন: বিনিময় হার স্থিতিশীল করতে পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রথমত এই মডেলটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, অন্যদিকে এই মডেলের প্রতিটি নথি যুক্ত হবে অটোমেশনের মাধ্যমে। এখানে তথ্য গোপন বা ম্যানিপুলেশনের (অপব্যবহার) কোনো সুযোগ থাকবে না। এতে করে দেশের প্রতিটি ব্যাংকের বাস্তবিক অবস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পরিষ্কার থাকবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে।’
দুই বছরে মধ্যে এই মডেল বাস্তবায়ন করতে চাইলে ব্যাংকগুলোর প্রযুক্তি খাতকে বর্তমানের তুলনায় আরও শক্তিশালী করতে হবে। এছাড়া প্রতিটি ব্যাংকের গঠিত ওয়ার্কিং কমিটির সক্ষমতা যাচাইয়ের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আলাদা জোর দেয়া আবশ্যক বলেও মনে করেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
৫১ দিন আগে
আগামী নির্বাচনে ঋণখেলাপিদের মনোনয়ন না দিতে সতর্ক থাকবে বিএনপি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ঋণখেলাপিকে মনোনয়ন না দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি সতর্ক থাকবে বলে অঙ্গীকার করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, খেলাপিরা মনোনয়ন যেন না পান তা নিশ্চিত করতে আমরা সচেষ্ট থাকব। এ বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকব।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত 'শ্বেতপত্র ও অতঃপর : অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট' শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে তিনি এসব কথা বলেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান উপস্থিত ছিলেন।
অর্থ ও পেশিশক্তির প্রভাব খর্ব করতে ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার প্রস্তাব বিএনপি সমর্থন করবে কি না— অধ্যাপক রেহমান সোবহানের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি জানান, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নিয়ে কাজ করছে তার দল। তবে রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয় বলেও স্বীকার করেন এই রাজনীতিক।
আরও পড়ুন: শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে: বিএনপি
দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথভাবে পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক মীমাংসায় বিশ্বাস করি। এখন আমাদের প্রয়োজন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিকভাবে পুনর্গঠন করা। যথেষ্ট হয়েছে। আসুন, আমরা সত্যিকার অর্থে আমাদের স্বপ্ন ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশকে গড়ে তুলি।’
ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে রাজি নই।’
জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপি কেন অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ দিচ্ছে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের বিশ্বাস, কেবল নির্বাচিত সরকারই দেশের সমস্যাগুলোর কার্যকর সমাধান দিতে পারে। যেহেতু নির্বাচিত সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে, তাই জনগণের সমস্যা সমাধানে তাদের সক্ষমতা থাকে।
ফখরুল বলেন, ‘অনেকেই আশা করছেন ছয় মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সব পেরে যাবে, যা আসলে সম্ভব না। এজন্য আমরা নির্বাচনে বেশি জোর দিচ্ছি। আমাদের সংসদে কখনো গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি। আমরা চেষ্টা করে দেখি পারি কি না।’
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে দুই বছর আগেই বলেছি। এজন্য বিএনপি ৩১ দফা দিয়েছে। অর্থনৈতিক সংস্কার ও রাজনৈতিক সংস্কার। আমরা রাজনৈতিক সংস্কারে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। অনেকে এই গণঅভ্যুত্থানকে বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করেন। আমি বলব এটা গণঅভ্যুত্থান। এজন্য আমরা রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলছি।’
বিএনপি কী ধরনের সংস্কার চায় সেই প্রসঙ্গে এই রাজনীতিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দুবারের বেশি হতে পারবেন না। সংসদ দুই কক্ষবিশিষ্ট হবে। যারা নির্বাচন করেন না কিন্তু তারা যেন দেশ চালানোয় অংশগ্রহণ করতে পারেন—এ ব্যবস্থা করব।’
‘আমরা বৈষম্য দূর করতে চেষ্টা করব। এজন্য নির্বাচনের পর আমরা জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলেছি।’
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পারবো না এ কথা বলা যাবে না। আমরা জনগণের কাছে ঐক্যবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সংকট সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। চীন ও ভারতের সঙ্গে আলোচনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া তাদের অগ্রাধিকারে ছিল না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি যদি ক্ষমতায় ফেরে, তবে অতীতের মতো রোহিঙ্গা সংকটের যথাযথ সমাধান খুঁজে বের করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’
৫৮ দিন আগে
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ, রাষ্ট্রীয় সম্মাননার অযোগ্য: বাংলাদেশ ব্যাংক
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘তাদের নতুন কোনো ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া যাবে না এবং তাদের সব ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।’
মঙ্গলবার(১২ মার্চ) ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের জন্য সব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগের সুদ বা মুনাফা নিজের অনুকূলে নিজের, পরিবারের সদস্য, আগ্রহী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির অনুকূলে পরিশোধ করবেন। অন্যথায় তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
আরও পড়ুন: ৭ মাসে ২ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় এনবিআরের, প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের বেশি
এ ছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে সেই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা বা অন্য ব্যাংকের জামানত করা সম্পদ অনুমতি ছাড়া নতুন ঋণের ক্ষেত্রে জামানত হিসেবে দেখালে তিনি ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে গণ্য হবেন।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসি) ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সির কাছে তালিকাভুক্ত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
একই সঙ্গে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের যানবাহন, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির তালিকাও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। যাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
এছাড়াও, কোনও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মানের জন্যও যোগ্য হবেন না।
আরও পড়ুন: ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি অনুমোদন দিল এনইসি
৩৭০ দিন আগে
ঋণখেলাপিদের নাম প্রকাশ করুন: বাম গণতান্ত্রিক জোট
এক কোটি টাকার বেশি ঋণখেলাপিদের নাম প্রকাশ এবং এ ধরনের ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়া প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের (এলডিএ) নেতারা।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এক সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।
অর্থপাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখে বিস্তারিত প্রকাশ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে দাবি জানান তারা।
বাম জোট প্রথমে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক অভিমুখে পদযাত্রা করে। সেখানে থেমে মিছিল করেন তারা।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হরতাল উপলক্ষে বিএনপি ও জোটের সমাবেশ
প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এলডিএর সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বক্তব্য রাখেন- বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ নেতা আবদুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক পার্টির কার্যকরী সভাপতি আবদুল আলীন প্রমুখ।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সিপিবি নেতা সাজেদুল হক রুবেল।
অর্থনীতিবিদ আকাশ বলেন, ‘লুটেরাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। সরকারের এ ধরনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের রক্ষা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, খেলাপিদের ক্ষমতার উৎস ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন। এখন তারা ক্ষমতাসীন দলের অব্যাহত সমর্থন পাচ্ছেন।
ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করে তাদের বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশের আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনার দায় বাংলাদেশ ব্যাংক এড়াতে পারে না।
প্রিন্স কেন্দ্রীয় ব্যাংককে স্বাধীন হওয়ার এবং দলীয় প্রভাবের বাইরে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তথ্যটি উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মহাজোট প্রার্থীর পক্ষেই অবস্থান সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের
জিএম কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনী জোট না করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ রওশনের
৩৯২ দিন আগে
মাহী বি চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল
ঋণখেলাপি হিসেবে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের (বিডিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মাহী বি চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবুজাফর রিপন জানান, তিনি এ আসনের বর্তমান এমপি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তালিকায় তার নাম ঋণ খেলাপি হিসেবে পাওয়া গেছে।
তবে মাহীর পক্ষে গাজী শহীদুল্লাহ ঝিলু বলেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা।
এদিকে, এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবিরসহ আরও দুইজনের মনোনয়নপত্রও বিভিন্ন কারণে বাতিল করা হয়েছে।
এ আসন থেকে মোট ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী অন্তরা সেলিমা হুদাসহ ছয়জনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
দিনাজপুরের ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল
খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
৪৭০ দিন আগে
ঋণখেলাপি রোধে মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
মন্ত্রিসভা ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের ঠেকাতে ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
খসড়া আইনের অধীনে, একটি পরিবারের সর্বোচ্চ তিন সদস্য (বর্তমান চার সদস্যের পরিবর্তে) একটি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এখন ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর অধীনে পরিচালিত হয়।
সভা শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসেন খান বলেন, আইনটিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে এর সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এলএনজি, সার ও মসুর ডাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
তিনি বলেন, ‘যারা ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি তাদের সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।’
পদক্ষেপের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সচিব বলেন, ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে এবং এর দ্বারা বিদেশ যাওয়া, ট্রেড লাইসেন্স প্রদান (তাদের বিরুদ্ধে) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্মের নিবন্ধন নিষিদ্ধ করতে পারে।
এছাড়া, ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা থেকে বাদ পড়ার পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হওয়ার যোগ্য হতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।
কোনও ব্যাংকের কোনও পরিচালক ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তার পদ শূন্য ঘোষণা করতে পারে।
সচিব বলেন, কোনও ব্যাংক ঋণখেলাপিদের তালিকা যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে ব্যর্থ হলে ওই ব্যাংককে ৫০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন বিলম্বের জন্য ব্যাংককে অতিরিক্ত এক লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী একটি পরিবারের সর্বোচ্চ চার সদস্য যেকোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারলেও, এখন তা তিনজনে নামিয়ে আনা হয়েছে।
খসড়া আইনে সংযোজিত একটি নতুন বিধান অনুযায়ী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যাংক পরিচালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই জামানত, বন্ড বা জামানত দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক যাতে আইনের অধীনে পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফাউন্ডেশন নিয়মিত পরিদর্শন করতে পারে সেজন্য এখানে একটি বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না: মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
আয়কর আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
৭২০ দিন আগে
পি কে হালদারসহ ১২৯ ঋণখেলাপিকে হাইকোর্টে তলব
প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে থাকা পি কে হালদারসহ ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ১২৯ ঋণখেলাপিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৪ ও ২৫ মে সকাল সাড়ে ১০টায় তাদেরকে আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে কবে, কীভাবে টাকা পরিশোধ করবেন সে বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
আদালত তার আদেশে আরও বলেছেন, এসব ঋণখেলাপিকে কিস্তিতে টাকা পরিশোধের প্ল্যান (পে-প্ল্যান) নিয়ে আসতে হবে যাতে তারা ধীরে ধীরে যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির পাওনা পরিশোধ করতে পারে।
আইএলএফএসএল থেকে ঋণগ্রহণকারী ব্যক্তি ও সংস্থার তালিকা দাখিল করে প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে আইএলএফএসএল’র দায়ের করা আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চ গত ১৬ মার্চ এই তলবের আদেশ দেন। ওই আদেশের কপি লেখার পর তাতে বিচারকের স্বাক্ষর শেষে বুধবার লিখিত আদেশ প্রকাশ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও পিকে হালদার কীভাবে বিদেশে, জানতে চায় হাইকোর্ট
আইএলএফএসএল’র আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন বলেন, পি কে হালদারসহ ১২৯ ঋণখেলাপির কাছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পাওনা প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা। গ্রাহকের এই টাকা কবে, কীভাবে তারা পরিশোধ করবেন তা জানতে আদালত তলব করেছেন। ১২৯ ঋণ খেলাপির মধ্যে ১০০ জনকে ২৪ মে ও ২৯ জনকে ২৫ মে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
গত ২১ জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার বেশি অর্থঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া এমন ২৮০ ব্যক্তিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।
আদালতের আদেশে গত ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৫৮ জন ঋণখেলাপি হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন। হাইকোর্ট তাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, আগে টাকা দিবেন তারপর আলোচনা, না দিলে কারাগারে যেতে হবে। আদালতের তলব আদেশের পরও হাজির না হওয়ায় পিপলস লিজিংয়ের ১২২ ঋণখেলাপির খেলাপির বিদেশ গমনে গত ৯ মার্চ নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। ঋণখেলাপিদের থেকে টাকা আদায়ে হাইকোর্টের আদেশের ধারাবাহিকতায় এবার ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ১২৯ ঋণখেলাপিকে তলব করলেন আদালত।
১৪৪০ দিন আগে
ঋণ শিথিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এফবিসিসিআইয়ের ধন্যবাদ
করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণখেলাপি ঘোষণা না করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
১৮২৩ দিন আগে
ব্যাংক পরিচালকদের বকেয়া ঋণ ১৭১,৬১৬ কোটি টাকা: মন্ত্রী
দেশের ব্যাংক পরিচালকদের বকেয়া ঋণের পরিমাণ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬১৬ কোটি টাকায়। যা সবগুলো ব্যাংকের বিতরণ করা মোট ঋণের ১১ দশমিক ২১ শতাংশ।
১৮৮১ দিন আগে