পুনর্ব্যক্ত
নির্বাচনের আগে বড় ধরনের সংস্কারের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল সংস্কার এবং তার সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আগে বড় ধরনের সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের উপদেষ্টা এবং ইউএনডিপির সাবেক প্রধান লর্ড মার্ক মালক-ব্রাউনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অঙ্গীকার পূনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
এক ঘণ্টার এ বৈঠকে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান, উন্নয়নমূলক বিষয়াদি, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: আমরা সবাই বাংলাদেশি: ধর্মীয় নেতাদের ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার প্রক্রিয়ার সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্রের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠন করতে এ পর্যন্ত ১৫টি সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য এ সময় অধ্যাপক ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান লর্ড মালক-ব্রাউন।
বাংলাদেশি জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারলে তিনি আনন্দিত হবেন বলে জানান।
লর্ড মালক-ব্রাউনের সমর্থনের জন্য ড. ইউনূস তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জনগণের প্রত্যাশা মেটানো সরকারের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।
এ সময় উন্নয়নকর্মী মার্থা চেন, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ ও জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সার্ক পুনরুজ্জীবিত হলে মানুষ সুফল পাবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
২ সপ্তাহ আগে
সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক যৌথ কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত রাশিয়ার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছে রাশিয়া।
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি, সাংস্কৃতিক ও মানবিক যোগাযোগ জোরদার করতে সরকারি পর্যায়ে গঠনমূলক যৌথ কাজের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশটি।
আরও পড়ুন: বেলগরোদ অঞ্চলে রাশিয়ার জরুরি অবস্থা ঘোষণা
অধ্যাপক ড. ইউনূসকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় রুশ ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন বলেন, 'এটি সম্পূর্ণভাবে রাশিয়ান ফেডারেশন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
মিশুস্তিন রাশিয়ান ফেডারেশন সরকার এবং তার নিজের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান পদে নিয়োগ পাওয়ায় অভিনন্দন জানান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব পালনের জন্য তার এই নিয়োগ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনায় বিকশিত হচ্ছে।
মিশুস্তিন অধ্যাপক ইউনূসের সুস্বাস্থ্য, মঙ্গল এবং দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ডে তার সাফল্য কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ৮২টি বসতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইউক্রেন
বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ল্যাভরভ
৪ মাস আগে
ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৯ জুন) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে। সে সময় এই আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, 'এর জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং আমরা এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ভুটান বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বারিধারায় গুলিবর্ষণ: পুলিশ কনস্টেবলদের মধ্যে কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না: ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনতে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং বিষয়টি এরইমধ্যে ভারতের নজরে আনা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও জানান, সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় আলোচনায় আসে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক আরও জোরদারে দুই দেশই নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে।
শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে, কারণ ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বাংলাদেশকে প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভুটান।
তিনি বলেন, 'আমরা ভুটানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতকে দেওয়া স্থানের যথাযথ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ভুটান সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ভুটানের বিনিয়োগ কামনা করেন।
এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার সাম্প্রতিক ভুটান সফরের কথা উল্লেখ করেন।
পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, তিনি (ভুটানের প্রধানমন্ত্রী) সবসময় বাংলাদেশের কথা মনে রাখেন এবং চিন্তা করেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে জিমে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ হাইকমিশন দেখি। এটি আমাকে সবসময় বাংলাদেশের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশের বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও ফলপ্রসূ করতে এবং বাংলাদেশের সহায়তা কীভাবে ভুটানের জন্য আরও অর্থবহভাবে ব্যবহার করতে পারেন সে বিষয়ে তার পররাষ্ট্র সচিব সব সময় চিন্তা করেন।
সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময় ভুটানের রাজা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের কথা উল্লেখ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা তাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
বৈঠকে আরও ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জ্বল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, পিএমও সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।
ভুটানের পক্ষ থেকে ছিলেন অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী চন্দ্র বাহাদুর গুরুং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেরিং, ভারতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভি নামগিয়েল, মন্ত্রিপরিষদসচিব কেসাং ডেকি এবং পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতারা
ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বাংলাদেশের সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জাতিসংঘের
যেকোনো ধরনের সহিংসতা পরিহার এবং প্রত্যেকের মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে পূর্ণ সম্মান নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গত ৯ জানুয়ারি নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সহিংসতা পরিহার করে বাংলাদেশে মানবাধিকার-আইনে শ্রদ্ধা নিশ্চিতে সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি মনে করি, আমরা আপনাদেরকে আগেই বলেছি, মহাসচিব সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করতে এবং সবার মানবাধিকার ও আইনের শাসনে সবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহতকরণ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য এটি অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: ট্রেনে অগ্নিসংযোগে মা-শিশুসহ ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায় জাতিসংঘ
মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যে সহিংসতা দেখেছি তা নিয়ে তিনি অবশ্যই উদ্বিগ্ন।’
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
১১ মাস আগে
আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উদযাপন মূল্যবোধের সর্বজনীনতা পুনর্ব্যক্ত করে: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, মানবতার সহজাত মঙ্গলের প্রতি মহাত্মা গান্ধীর দৃঢ় বিশ্বাস, পরিবর্তনের শক্তি হিসেবে শান্তি ও অহিংসার প্রতি তার অবিচল বিশ্বাস আজও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মতোই প্রাসঙ্গিক।
তিনি উল্লেখ করেন যে, ১৯৪৬ সালে গান্ধীর ঐতিহাসিক নোয়াখালী সফর সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও সংলাপ, সহানুভূতি ও বোঝাপড়ার অসাধারণ শক্তির দৃষ্টান্ত।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রণয় ভার্মা দম্পতি
এক সেমিনারে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, অহিংসা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নীতির প্রতি তার অদম্য নিবেদন শুধু নোয়াখালীকে সান্ত্বনাই দেয়নি, মানবতার বিবেকেও অবিস্মরণীয় ছাপ রেখে গেছে।
মহাত্মা গান্ধীর ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হাইকমিশনার ভার্মা নোয়াখালীর ঐতিহাসিক গান্ধী আশ্রম পরিদর্শন করেন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সেমবার (২ অক্টোবর) তিনি গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট আয়োজিত ‘গান্ধিজিস কোয়েস্ট ফর পিস্ অ্যান্ড হারমনি ইন নোয়াখালী অ্যান্ড ইটস রিলেভ্যান্স ইন দ্য কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কাছে যোগ হলো ভারতের উপহার: প্রণয় ভার্মা
১ বছর আগে
আ.লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত বিএনপির
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা সামান্য বার কাউন্সিলের নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে, তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে আগামী নির্বাচনে যাচ্ছে না বিএনপি, এটাই চূড়ান্ত। বরং সেই পরিকল্পিত প্রহসনের নির্বাচন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সর্বব্যাপী দুর্নীতি অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
সোমবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে রাজনৈতিক জেলা বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। দলীয় ফায়দা হাসিলে মত্ত হয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে লুট ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে একদলীয় বাকশালী শোষণ চালাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ স্বৈরশাসকের জুলুমের ফলে বাক স্বাধীনতা হারিয়ে মানুষ আজ দিশেহারা। এই সরকার স্বেচ্ছাচারিতায় হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশকে দেউলিয়াত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর তার খেসারত স্বরূপ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দেশবাসীকে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়ে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে। এই নাভিশ্বাস পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশ ও জনবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশকে রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
আরও পড়ুন: দমন-পীড়ন ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজের নীরবতার নিন্দা ফখরুলের
১ বছর আগে
বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলেন আন্তোনিও গুতেরেস
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চলমান বৈশ্বিক সংঘাত, আর্থিক, জ্বালানি ও খাদ্য সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন-এর সঙ্গে রবিবার সাক্ষাৎকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এই প্রেক্ষাপটে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্ল্যাক সি গ্রেইন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সার ও শস্য আমদানির মাধ্যমে তাদের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: আল জাজিরার সাংবাদিক হত্যায় শোকাহত জাতিসংঘের মহাসচিব, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি
আন্তোনিও গুতেরেস জানান যে লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে সারের কাঁচামালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে যা বাংলাদেশ সাশ্রয়ী মূল্যে আমদানির কথা বিবেচনা করতে পারে।
মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগানোর কথা বিবেচনা করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়নের গতিধারার প্রশংসা করে মহাসচিব কামনা করেন যে বাংলাদেশ আগামী বছরগুলোতে বিশেষ করে এসডিজি অর্জনে আরও সাফল্য অর্জন করবে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ সেনা ও পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের ধারাবাহিক নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন তিনি।
সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের ওপর গৃহীত রেজ্যুলেশনের পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা সংকট ও এর সম্ভাব্য উত্তরণের উপায় নিয়েও আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মহাসচিব।
তারা এই সংকট সমাধানে আসিয়ানের কার্যকর নেতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এই প্রেক্ষিতে মহাসচিব ১ দশমিক ২ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেসি ডিপার্টমেন্ট অব পিসবিল্ডিং অ্যান্ড পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স (ডিপিপিএ)-এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজমেরি ডিকার্লো ও পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁপিয়েরে ল্যাক্রুয়া সঙ্গেও বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ‘উন্নয়নের বিস্ময়’: বললেন জাতিসংঘের মহাসচিব
সাধারণ পরিষদের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বিশেষভাবে তিনি সভাপতির সঙ্গে সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ে বাংলাদেশ কর্তৃক একটি মন্ত্রী পর্যায়ের নতুন ফোরাম প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন।
উপরোক্ত উদ্যোগের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অসাধারণ নেতৃত্ব, কার্যকর সম্পৃক্ততা ও উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ডিপিপিএ-এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তি বিনির্মাণ কমিশনে (পিবিসি) চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২০২২ সালের বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল।
পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ভবিষ্যতে জাতিসংঘের পিসকিপিং মিশনসমূহে যৌথ উদ্যোগে শান্তিরক্ষী মোতায়েনের জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার মধ্যে সমাপ্ত দ্বিপক্ষীয় চুক্তিকে স্বাগত জানান।
তিনি আশ্বস্ত করেন যে তার বিভাগ এমন উদ্যোগকে উৎসাহিত করবে যাতে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে অন্যান্য দেশ উপকৃত হতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে ড. মোমেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অপারেশনে বাংলাদেশের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি এবং প্রয়োজনে আরও শান্তিরক্ষী ও সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য তার প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
উপরোল্লিখিত বৈঠকসমূহ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব
১ বছর আগে