এমবাপ্পে
আতলেতিকোকে টপকে ফের বার্সেলোনাকে ধরল রিয়াল
গত সপ্তাহে রিয়ালের হারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যেমন দুইয়ে উঠেছিল আতলেতিকো, এ সপ্তাহে ঘটেছে তার ঠিক উল্টো ঘটনা। আতলেতিকোর হারের সুযোগ কাজে লাগিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর তাতে করে শিরোপার লড়াইয়ে ফের বার্সেলোনার সমান পয়েন্ট নিয়ে তাদের পাশে বসেছে মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে রবিবার (৯ মার্চ) লা লিগার ২৭তম রাউন্ডের ম্যাচে রায়ো ভায়েকানোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
এদিন ম্যাচের ৩০ ও ৩৪তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এরপর বিরতির আগে একটি গোল পরিশোধ করে ভায়েকানো।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল মাদ্রিদের নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সের সুযোগ কাজে লাগিয়ে একের পর এক চেষ্টাও চালায় সফরকারীরা। তবে কিছুতেই আর রিয়ালের জালে বল পাঠাতে পারেনি তারা। ফলে ২-১ গোলের হার নিয়েই ঘরে ফিরতে হয়েছে ভায়েকানোকে।
আরও পড়ুন: প্রথমে গোল পেয়েও হেরে সুযোগ হাতছাড়া করল আতলেতিকো
প্রথমার্ধে চেনা ছন্দে খেললেও বিরতির পর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি রিয়ালের আক্রমণের ধার। প্রথমার্ধে ৫৬ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রেখে মোট আটটি শট নেওয়া মাদ্রিদিস্তারা, যার পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়। অথচ বিরতির পর শট নেয় মাত্র দুটি, যার একটিও লক্ষ্যে ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলেও আধিপত্য বিস্তার করে ভায়েকানোর খেলোয়াড়রা। রিয়ালের ৩৭ শতাংশের বিপরীতে ৬৩ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রেখে আটটি শট নেয় দলটি, যার তিনটি লক্ষ্যে ছিল। সব মিলিয়ে এদিন রিয়ালের গোলের উদ্দেশ্যে মোট ২০টি শট নিয়ে তাক লাগিয়ে দেয় ভায়েকাসের দলটি।
তাই জিতলেও চলতি মৌসুমে অন্য এক আশঙ্কার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬ ম্যাচে ৫১ গোল হজম করেছে রিয়াল। লা লিগার দলগুলোর মধ্যে এই সংখ্যাটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। পয়েন্ট টেবিলের ১৬তম দল ভালেন্সিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রিয়াল। তাদের চেয়ে বেশি গোল খাওয়া দল কেবল জিরোনা (৫২) ও রিয়াল ভায়াদোলিদ (৬৮)।
১২ দিন আগে
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
৩-২ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগ খেলতে নেমেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ফলে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে যে আক্রমণাত্মক মনোভাব ও নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলার প্রয়োজন ছিল দলটির, তার কিছুই দেখাতে পারেনি তারা। উল্টো দুর্দান্ত রিয়াল মাদ্রিদের কাছে নাকানি-চুবানি খেয়ে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে গার্দিওলার শিষ্যদের।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় লেগে সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ গোলের বিশাল ব্যবধানে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিন ম্যাচের সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়ালের তিনটি গোলের সবগুলোই এসেছে তার পা থেকে। অপ্রতিরোধ্য এমবাপ্পেকে ঠেকাতেই সবটুকু শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায় সিটির খেলোয়াড়দের। আর ভিনিসিউস, রদ্রিগো, বেলিংহ্যাম ও ফেদেরিকো ভালভের্দেদের যৌথ আক্রমণে দিশেহারা হয়ে দুস্বপ্নের মতো এক রাত পার করেছে ম্যানচেস্টারের দলটি।
আরও পড়ুন: ডেভিসের শেষ মুহূর্তের গোলে সেল্টিকের হৃদয় ভাঙল বায়ার্ন
গোল দিয়েই কার্যত ম্যাচটি শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ। চতুর্থ মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সের সামান্য উপর থেকে ডিফেন্ডার রাউল আসেন্সিওর দুর্দান্ত এক উড়ন্ত লং পাস ধরে সিটির ডিফেন্স ভেঙে ঠিকানা খুঁজে নেন এমবাপ্পে।
আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে ৩৩তম মিনিটে আরও একটি দর্শনীয় গোল করে দলকে তিন গোলের লিড এনে দেন তিনি। এবারের গোলটির মূল কারিগর ছিলেন রদ্রিগো। সিটির বক্সে ঢোকার মুখে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে এমবাপ্পেকে পাস দেন তিনি, আর তা থেকে ব্যবধান বাড়াতে মোটেও কষ্ট হয়নি ফরাসি তারকার।
অসুস্থতার কারণে বেঞ্চে থাকা কেভিন ডি ব্রুইনে ও আর্লিং হালান্ডের অুনপস্থিতিতে এদিন বলের ওপর একেবারেই নিয়ন্ত্রণ হারায় সিটি। প্রথমার্ধে গোলে শট নেওয়া তো দূরের কথা, তেমন কোনো আক্রমণই শানাতে পারেনি তারা। সেইসঙ্গে দুর্দান্ত রিয়ালের ক্রমাগত চাপে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
৩০ দিন আগে
ওসাসুনায় ড্র, শীর্ষস্থান থেকে তিনে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় রিয়াল মাদ্রিদ
নতুন বছরে বার্সেলোনার বিপক্ষে বড় হারে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা হাতছাড়া হলেও লা লিগা, কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জানুয়ারি মাসজুড়ে অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ওই একটি ছাড়া বাকি সবগুলো ম্যাচ জিতলেও ফেব্রুয়ারি পড়তেই লা লিগায় ভুগছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এই মাসে আগের দুই ম্যাচের একটিতে হার ও অন্যটি ড্র করার পর আজ তৃতীয় ম্যাচেও পয়েন্ট হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
লা লিগার ২৪ রাউন্ডের ম্যাচে শনিবার ওসাসুনার এল সাদার স্টেডিয়ামে দলটির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে আরও দুই পয়েন্ট হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এতে করে লিগে সবশেষ তিন ম্যাচ মাত্র দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করল দলটি।
এর ফলে শীর্ষস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে লস ব্লাঙ্কোসদের। শুধু তা-ই নয়, এই রাউন্ডে স্ব স্ব ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা জিতলে শীর্ষস্থান থেকে একেবারে তিন নম্বরে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: আবারও সমতায় শেষ মাদ্রিদ ডার্বি, বার্সেলোনার হাসি
এদিন ফেদেরিকো ভালভের্দের অ্যাসিস্টে ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটেই ঠিকানা খুঁজে নিয়ে রিয়ালকে ভালো শুরু এনে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে ৩৯তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় চ্যাম্পিয়নরা, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় দলটির অতি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় জুড বেলিংহ্যামকে।
এ সময় রিপ্লেতে কোনো ফাউল করতে দেখা যায়নি তাকে। তবে রেফারির সঙ্গে কিছু একটা বলতে বলতে এগিয়ে আসছিলেন বেলিংহ্যাম। সম্ভবত আপত্তিকর কোনো মন্তব্যের জন্য লাল কার্ড দেখেন এই ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড ধরে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমে উঠলে ১৩ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে ওসাসুনা।
এ সময় বক্সের মধ্যে খুব কাছ থেকে জন মনকায়োলার নেওয়া শট কোর্তোয়া ফিরিয়ে দিলে দ্বিতীয় চেষ্টায় আন্তে বুদেমিরের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। শট নেওয়ার পরপরই তাকে ফাউল করে বসেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, আর ভিএআর মনিটরে রিপ্লে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি হোসে মুনুয়েরা মন্তেরো। এরপর সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান বুদিমির।
আরও পড়ুন: এস্পানিওলে ধরাশায়ী রিয়াল মাদ্রিদ
বাকি সময়ে বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করে রিয়াল মাদ্রিদ, তবে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় এগিয়ে যাওয়া হয়ে ওঠেনি ভিনি-এমবাপ্পেদের। এরপর যোগ করা সময়ে এগিয়ে যেতে পারত দুই দলই, তবে সেই প্রচেষ্টাগুলোও ব্যর্থ হলে ১-১ সমতায়ই শেষ হয় ম্যাচ।
এই ড্রয়ের ফলে ২৪ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
দিনের অপর ম্যাচে ঘরের মাঠে সেল্তা ভিগোকে আতিথ্য দেবে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদ। ম্যাচটি জিতে ২৪ ম্যাচে (১৫ জয় ও ৭ ড্র) ৫২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ থাকবে তাদের সামনে।
এছাড়া রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে সোমরবার রাতে ২৪তম রাউন্ডের ম্যাচটি জিতলে রিয়ালের সমান ৫১ পয়েন্ট হবে বার্সেলোনার। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে রিয়ালকে পেছনে ফেলার সুযোগ থাকবে তাদের সামনেও।
৩৪ দিন আগে
এমবাপ্পের ‘প্রথম’ হ্যাটট্রিকে ১০ জনের ভায়াদোলিদকে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ
পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল রিয়াল ভায়াদোলিদের ওপর রীতিমতো শাসন চালাল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে বিশাল ব্যবধানে জয় না পেলেও পূর্ণ তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করে শীর্ষস্থান সুসংহত করেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
হোসে সরিয়া স্টেডিয়ামে লা লিগার ২১ রাউন্ডের ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে চলতি মৌসুমে ভুগতে থাকা রিয়াল ভায়াদোলিদকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
এর ফলে ১৫ জয় ও চার ড্রয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানের পয়েন্ট ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এদিন আক্রমণে ঢেউ তুললেও কোনোভাবেই গোল পাচ্ছিল না লিগ টপাররা। এরপর ম্যাচের ৩০তম মিনিটে ভালভের্দে-বেলিংহ্যাম-এমবাপ্পে ঝলকে গোলের খাতা খোলে রিয়াল।
মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়াতেই এমবাপ্পেকে বাড়ান ভালভের্দে। বল পেয়ে তা ডি-বক্সের কিছুটা বাইরে মাঝামাঝি জায়গায় থাকা বেলিংহ্যামকে পাস দিয়েই বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। আর ফিরতি স্পর্শে ফের বল এমবাপ্পের উদ্দেশে বাড়ালে তা থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: বড় জয়ে সেরা আটে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখল রিয়াল
ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়ার পর ফিরে ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে আরও এক গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে।
এ সময় দানি সেবায়োসের বাড়ানো বল ধরেই দ্রুতগতিতে এগিয়ে যান রদ্রিগো। এরপর প্রতিপক্ষের বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে বাঁ পাশ দিয়ে ভেতরে ঢোকা এমবাপ্পেকে পাস বাড়ান এই ব্রাজিলীয়। বল ধরে নিপুণতার সঙ্গে তা গোলে পরিণত করেন এমবাপ্পে।
এরপর ম্যাচ যখন ২-০ গোলেই শেষ হওয়ার পথে, ঠিক তখনই পেনাল্টি দিয়ে বসেন ভায়াদোলিদ মিডফিল্ডার মারিও মার্তিন। শুরুতে ফাউল না দিলেও ভিএআরের পরামর্শে চাটলাইন মনিটরে রিভিউ দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, সঙ্গে মার্তিনকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠছাড়া করেন। এর ফলে অবশিষ্ট সময়ের জন্য দশজনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা।
এরপর স্পট কিক থেকে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এমবাপ্পে।
এর ফলে সব মিলিয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে ৮ গোল করলেন এই তারকা স্ট্রাইকার। পাশাপাশি লা লিগায় তার গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ১৫টি, সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে এমবাপ্পের গোল ২২টি।
আরও পড়ুন: গোল উৎসব করে শীর্ষে উঠল রিয়াল মাদ্রিদ
দিনের অপর ম্যাচে ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে দুই পয়েন্ট খুইয়েছে দুইয়ে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদ। ফলে সমান ২১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪৫, রিয়ালের চেয়ে যা চার পয়েন্ট কম।
এছাড়া ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছে এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা। রবিবার রাতে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ম্যাচটি জিতে শীর্ষ দুই দলের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে।
৫৫ দিন আগে
বড় জয়ে সেরা আটে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখল রিয়াল
নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরের প্রথম ছয় ম্যাচের তিনটি হেরে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। কোচ কার্লো আনচেলত্তি তো বলেই দিয়েছিলেন যে সেরা আট নয়, প্লে-অফে টিকে থাকার লক্ষ্যে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে সেরা আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট পাওয়ার আশা কাগজে-কলমে টিকিয়ে রাখতে সপ্তম ম্যাচটি শুধু জিতলেই হতো না রিয়ালের, বড় ব্যবধানে জয়ের প্রয়োজন ছিল দলটির। আর সেটিই করে সেই আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আনচেলত্তির শিষ্যরা।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বুধবার রাতে রেডবুল জালৎসবুর্গের বিপক্ষে ৫-১ গোলের জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এদিন প্রথমার্ধে রদ্রিগোর জোড়া গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করেন ভিনিসিয়ুসও। মাঝে একটি গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে সিটিকে বাদ পড়ার শঙ্কায় ফেলে জিতল পিএসজি
দারুণ এই জয়ে সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ছয় ধাপ এগিয়ে ১৬তম স্থানে উঠেছে ১৫ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। সমান পয়েন্ট নিয়ে তাদের ওপরে জার্মানির দুই ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও বায়ার্ন মিউনিখ।
সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট আদায় করতে অনেক জটিল হিসাব-নিকাশ সামনে রেখে আগামী মঙ্গলবার লিগ পর্বের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ।
খুব বড় নাম না হলেও চলতি মৌসুমে বায়ের লেভারকুজেনের বিপক্ষে ড্র ও বার্সেলোনাকে হারিয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৩তম স্থানে থাকা দলটির আত্মবিশ্বাস রয়েছে তুঙ্গে। সেরা আটে জায়গা করে নিতে তাই এমবাপ্পে-ভিনিসিয়ুসদের মোটেও ছেড়ে কথা বলবে না তারা।
অপরদিকে, সাত ম্যাচের মাত্র একটি জিতে অস্ট্রিয়ান ক্লাব জালৎসবুর্গের পরের ধাপে ওঠার আশা আগেই শেষ হয়ে গেছে। আগামী বুধবার আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে তারা।
আরও পড়ুন: বায়ার্নকে হারিয়ে ফেয়েনুর্ডের চমক
দিনের অপর ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ড। এছাড়া পিএসজির বিপক্ষে ২-০ এগিয়ে গিয়েও ৪-২ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে ইন্টার মিলান ও এসি মিলান। আর দিনামো জাগরেবকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে টেবিলের তিনে উঠে গেছে মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল।
৫৮ দিন আগে
গোল উৎসব করে শীর্ষে উঠল রিয়াল মাদ্রিদ
স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে যেন হুঁশ ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদের। ওই ম্যাচের পর থেকে দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।
গত বৃহস্পতিবার কোপা দেল রের শেষ ষোলোর ম্যাচে সেল্তা ভিগোকে বিধ্বস্ত করার পর এবার লা লিগায় লাস পালমাসের ওপরও রোলারকোস্টার চালিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) লিগের ২০তম রাউন্ডের ম্যাচে পালমাসকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এটুকু বললে বোধহয় ‘গোলউৎসব’ শব্দটির যথার্থতা প্রকাশ পেল না। ম্যাচে রিয়ালের আরও তিনটি গোল অফসাইডে কাটা পড়ে, যার একটি ছিল পরিষ্কার বৈধ গোল।
এদিন রেফারি ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গোল পেয়ে যায় লাস পালমাস। ম্যাচের ২৮ সেকেন্ডের মাথায় সান্দ্রো রামিরেসের পাঠানো ক্রস নিখুঁত নৈপুণ্যে জালে জড়িয়ে দেন ফাবিও সিলভা।
এটি যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল খাওয়ার রেকর্ড রিয়ালের।
২০১১ সালে লস ব্লাঙ্কোসদের বিপক্ষে দ্রুততম গোলের রেকর্ডটি গড়েন রায়ো ভায়েকানোর মিগেল ‘মিচু’ পেরেস। শেষ পর্যন্ত ওই ম্যাচটিও বড় ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ৬-২ গোলের সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। এছাড়া করিম বেনজেমা দুটি ও গন্সালো হিগুয়েন অপর গোলটি করেন।
আরও পড়ুন: পাঁচ বছরেও গেতাফের মাঠে জিততে পারল না বার্সেলোনা
৬১ দিন আগে
বার্সেলোনা ছাড়ার কারণ ও ক্যারিয়ারের গল্প বললেন নেইমার
২০১৭ সালের ২ আগস্ট, বার্সেলোনাভক্তদের হৃদয়ে আজও দিনটি অমলিন হয়ে আছে। সেদিন লিওনেল মেসির উত্তসূরি হিসেবে যাকে ভাবা হচ্ছিল, সেই নেইমারই ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দেন। তারপর থেকে গুঞ্জন ছিল বিশ্বসেরা ফুটবলার হতেই মেসির ছায়া থেকে বের হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে এত বছর পর সেইসব গুঞ্জনে জল ঢেলেছেন এই ব্রাজিলীয় তারকা।
সম্প্রতি ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিওর একটি পডকাস্টে বার্সেলোনা ও পিএসজিতে থাকাকালে নিজের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন নেইমার। ওই আলাপচারিতায় উঠে আসে তার বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গটি।
২০১৭ সালে ঠিক কী হয়েছিল, মেসি তোমার (পিএসজিতে) চলে যাওয়ার বিষয়টি কীভাবে নিয়েছিল?— রোমারিওর এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্রাজিলিয়ান প্রিন্স বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, বিশ্বসেরা ফুটবলার হওয়ার ইচ্ছায় আমি বার্সেলোনা ছাড়িনি।’
‘বার্সায় আমার শেষ সপ্তাহে মেসি নিজেই আমাকে ডেকে বলেছিল— কেন চলে যাচ্ছ? কারণটি যদি এমন হয় যে, তুমি বিশ্বের সেরা ফুটবলার হবে, তাহলে আমিই তোমাকে বিশ্বসেরা বানাব।’
‘আমি মেসিকে বলেছিলাম যে, বিষয়টি তা নয়। এটি ব্যক্তিগত এবং তোমাকে নিয়ে আমার মধ্যে এমন কোনোকিছু নেই।’
পিএসজির বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব যে অনেকটাই প্রভাবিত করেছিল, তা স্বীকার করে নেইমার বলেন, ‘ওদের প্রস্তাবটি বার্সেলোনায় আমি যা উপার্জন করতাম, তার চেয়ে অনেক বড় ছিল।’
‘তাছাড়া নতুন দলে (পিএসজিতে) বেশ কয়েকজন ব্রাজিলীয় ফুটবলার ছিল। সেখানে আগে থেকেই থিয়াগো সিলভা ছিল। দানি আলভেস মাত্রই যোগ দিয়েছে তখন, আর মার্কিনিয়োস ও লুকাস (মৌরা) আমার বন্ধু। আমি ওদের সঙ্গে খেলতে চেয়েছিলাম।’
‘নিজেকে বলেছিলাম, আমার চারপাশে কিছু ব্রাজিলীয় (ফুটবলার) চাই। বার্সায় এখন আর কোনো ব্রাজিলীয় নেই।’
নেইমারের কথায়, ‘মেসিকে আমি আরও বলেছিলাম— আমি যাচ্ছি, একটা চান্স নিয়েই দেখি। তবে বিশ্বসেরা হতে আমি তাকে (মেসি) ছেড়েছি, কথাটা ঠিক নয়।’
৬৩ দিন আগে
ধ্রুপদী ফুটবলের রাতে গৌরবময় সময়ে ফেরার ইঙ্গিত বার্সেলোনার
হাজারো সংকটের মাঝেও কীভাবে লক্ষ্যে অটল থেকে, মাথা ঠান্ডা রেখে জয় ছিনিয়ে আনতে হয়, তা-ই যেন দেখিয়ে চলেছেন হান্সি ফ্লিক। একের পর এক খেলোয়াড়ের চোট এবং ক্লাবের আর্থিক সংকটে নতুন খেলোয়াড় না পেয়ে একাডেমি লা মাসিয়া থেকে যুবাদের মূল দলে এনে জোড়াতালি দিয়ে শিষ্যদের মাঠে নামিয়ে চলেছেন এই জার্মান কোচ। অথচ এমনই তার দলের পারফরম্যান্স যা কোটি বার্সাভক্তকে ভুলিয়ে দেয়— দলটি ঠিক কতটা সংকটের মধ্যে সময় পার করছে। আর তেমনই এক স্মরণীয় ম্যাচ তিনি উপহার দিলেন রবিবার রাতেও।
সবশেষ কয়েক ম্যাচ উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে আসার মাঝে দানি অলমো ও পাউ ভিক্তরের নিবন্ধন নিয়ে জটিলতা, রোনালদ আরাউহোর দল ছাড়ার গুঞ্জন— সব মিলিয়ে ঝটিকাসংকুল সময়ের মাঝে কে ভেবেছিল, এই বার্সেলোনা সম্প্রতি ছন্দে ফিরতে শুরু করা রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করবে? তাও আবার শেষের অন্তত ৪০ মিনিট দশজন নিয়ে খেলে? অথচ মাঠের খেলায় সেটিই বাস্তবতা হয়ে ধরা দিল। আর হাজারো সমস্যার মাঝে লাল-নীল জার্সির মায়ায় পড়া বিশ্বব্যাপী কোটি কুলেরের হৃদয় বিগলিত করা একটি রাত উপহার দিল দলটি।
পড়তে পড়তে অনেকেরই হয়তো চোখ ভরে উঠবে, কিন্তু মরুর বুকে যে বিজয়গাঁথা বার্সেলোনা রচনা করল, তা কি এসব উপমার তুলনায় কম কিছু?
৬৮ দিন আগে
রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
আর্থিক সংকটে পড়ে খেলোয়াড় নিবন্ধন করাতে না পারা নিয়ে সম্প্রতি সমালোচনা আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের স্বীকার হলেও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ফের জ্বলে উঠল বার্সেলোনা। আর তাতে ম্যাচের শেষের ৩০ মিনিটের বেশি সময় একজন খেলোয়ড় কম নিয়ে খেলেও চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিধ্বস্ত করে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় সুপার কাপের ফাইনালে শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদকে ৫ গোল দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। অবশ্য জয়ের পথে দুটি গোল হজমও করতে হয়েছে তাদের।
এই হারে সুপার কাপ জয়ের হিসাবে বার্সেলোনাকে এ বছর আর ছোঁয়ার প্রতীক্ষা আরও দীর্ঘ হলো রিয়াল মাদ্রিদের (১৩)। অপরদিকে, জিতে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিল (১৫) ব্লাউগ্রানা খ্যাত দলটি।
এদিন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তারপর কোথায় যেন হারিয়ে যায় দলটির সমন্বয়, সেইসঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাদের রক্ষণভাগও। আর দলীয় প্রচেষ্টা, সতীর্থদের দারুণ বোঝাপড়া আর নির্ভুল ফিনিশিংয়ে একের পর এক গোল করতে থাকে কাতালান জায়ান্টরা।
এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ২২তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান লামিন ইয়ামাল। এরপর ৩৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে লেভানডোভস্কির গোলে প্রথমবার এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তারপর ৩৯ ও ৪৮তম মিনিটে রাফিনিয়ার জোড়া গোল ও প্রথমার্ধের যোগ করা দশম মিনিটে আলেহান্দ্রো বালদের গোলে ব্যাবধান ৫-১ করে ফেলে তারা।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
দশজনের দলে পরিণত হওয়ার পর ৬০তম মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করেন রদ্রিগো। এরপর বার্সেলোনা রক্ষণে মনোযোগ দিলে আর গোল করা হয়ে ওঠে না কোনো দলেরই। ফলে ৫-২ গোলে শেষ হয় ম্যাচ।
এর ফলে সুপার কাপ জয়ের পাশাপাশি চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দুবারের দেখায় দুবারই বড় ব্যবধানে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাল বার্সেলোনা। গত ২৭ অক্টোবর লা লিগায় সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে অনুষ্ঠিত প্রথম এল ক্লাসিকো ৪-০ গোলে হেরেছিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিকে, দায়িত্ব নেওয়ার পর বার্সেলোনাকে প্রথম শিরোপা জেতালেন হান্সি ফ্লিক। সেইসঙ্গে দুটি এল ক্লাসিকোতে ডাগআউটে থেকে দুটিই জিতলেন এই জার্মান কোচ।
বার্সেলোনার পরবর্তী ম্যাচ আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি)। কোপা দেল রের শেষ ষোলোর ওই ম্যাচে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে মাঠে নামবে কাতালানরা। একদিন পর সেল্তা ভিগোকে আতিথ্য দেবে রিয়াল মাদ্রিদ।
৬৮ দিন আগে
বেনজেমার চোখে মৌসুম-সেরা ফরাসি ফুটবলার নন এমবাপ্পে!
টানা দ্বিতীয়বারের মতো মৌসুমের সেরা ফরাসি ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি ক্রীড়া সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল গত সপ্তাহে তাকে এই সম্মানে ভূষিত করেছে।
অতীতে এই পুরস্কার জেতা ফুটবলারদের ভোটে প্রতি বছর দেশের সেরা ফুটবলার নির্বাচন করে থাকে ফ্রান্স ফুটবল।
২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা ফুটবলার নির্বাচনে মাত্র ৫ ভোটের ব্যবধানে আর্সেনাল অধিনায়ক উইলিয়াম সালিবাকে (৫১ ভোট) হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সেরা হয়েছেন এমবাপ্পে (৫৬ ভোট)। এ নিয়ে মোট চারবার দেশের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন পিএসজি থেকে চলতি মৌসুমে রিয়ালে যোগ দেওয়া এই ফুটবলার।
২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ের পর সে বছর প্রথমবার ফ্রান্স-সেরা হন ২৫ বছর বয়সী এমবাপ্পে। এরপর ২০১৯ ও ২০২৩ সালেও এই খেতাব জেতেন তিনি।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পেকে নিয়ে রোনালদোর ২ মাস আগের মন্তব্য আলোচনায়
তবে এবারের ভোটে বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলারের ভোটন পাননি এমবাপ্পে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা। দেশসেরা ফুটবলার নির্বাচন করতে তিনজনকে ভোট দিতে পারেন সাবেক বিজয়ীরা। বেনজেমার পছন্দের তালিকায় এই তিনজনের মধ্যে জায়গা হয়নি এমবাপ্পের।
গত মৌসুমে পিএসজিতে খেলা এমবাপ্পের পরিবর্তে বেনজেমার প্রথম পছন্দ ছিলেন তারই রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। এছাড়া পিএসজির প্রতিভাবান তরুণ ব্রাদলে বারকোলা ও ওয়ারেন জাইরে-এমেরিকে বাকি দুই ভোট দিয়েছেন তিনি।
শুধু তা-ই নয়, তাকে ভোট দেননি বেনজেমার বর্তমান ক্লাব সতীর্থ এন’গলো কান্তেও। আল-ইত্তিহাদের এই মিডফিল্ডার ভোট দিয়েছেন যথাক্রমে সালিবা, বার্সেলোনা ফুলব্যাক জুল কুন্দে ও কামাভিঙ্গাকে।
এই তালিকায় রয়েছেন আন্তোয়ান গ্রিজমানও। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফুটবলার এমবাপ্পেকে ভোট দিয়েছেন তার দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে। তার প্রথম ও তৃতীয় পছন্দ ছিলেন ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তের আলেকজান্ডার লাকাসেত ও দেল কাস্তিয়ো।
আরও পড়ুন: এবার এমবাপ্পেকেই ছাড়াই ফ্রান্সের দল ঘোষণা
অন্যদিকে, সালিবার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও আর্সেনাল মিডফিল্ডারকেই সেরার ভোট দিয়েছেন এমবাপ্পে। তার বাকি দুই ভোট ছিল ক্লাব সতীর্থ কামাভিঙ্গা ও অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির জন্য।
গত মৌসুমের সেরাদের তালিকায় এমবাপ্পে ও সালিবার পর রয়েছেন যথাক্রমে এসি মিলান গোলরক্ষক মাইক মাইনিয়ঁ (২৪), কামাভিঙ্গা (১৭) ও চুয়ামেনি (১৬)। আর ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ব্রেস্তের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পিয়েরে লিস-মেলুর সঙ্গে যৌথভাবে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছেন গ্রিজমান।
৯৭ দিন আগে