সফলতা
নওগাঁয় রঙিন ফুলকপি চাষে সফলতা
নওগাঁয় রঙিন (বেগুনি ও হলুদ) ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক জালাল হোসেন।
সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের কসবা গ্রামে বাড়ির পাশে এই কৃষক ১২ শতক জমিতে চাষ করেছেন রঙিন ফুলকপি। বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন তিনি।
প্রতিদিনই হলুদ, বেগুনি রঙের ফুলকপি দেখতে ও কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। আকারে বড় এবং দামেও বেশি এসব ফুলকপি থেকে লাভের মুখ দেখছেন তিনি।
কৃষক জালাল হোসেন বলেন, গত বছর তিনি নওগাঁর স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ‘মৌসুমী’ থেকে কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে ভিডিও ফুটেজে রঙিন ফুলকপি চাষ দেখে সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সংস্থাটির কারিগরি সহযোগীতায় প্রথমবারের মতো এক হাজার চারা এনে জমিতে রোপণ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন জমিতে ফুলকপি চাষ করি, তখন অনেকেই বলছিলেন এই ফুলকপি এই এলাকায় ভালো হবে না। খেতে যদি খারাপ লাগে তখন কে নেবে?’
আরও পড়ুন: উচ্চ ফলনশীল গাজরের জাত উদ্ভাবন, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩০ টন
জালাল বলেন, ‘তাদের কথায় ভেঙে পড়িনি। আমার মনে জোর ছিল যে বাজারে বিক্রি করতে পারব। সেই আশায় চাষ করে বেশ সাড়া পেয়েছি এবং আর্থিকভাবেও সফল হয়েছি। ১২ শতক জমিতে দুই রকমের ফুলকপি চাষ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা। প্রতি পিচ কপি ৪০-৫০টাকা দামে বিক্রি করছি। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার মতো কপি বিক্রি করেছি।’
তিনি বলেন, ‘জমিতে যে পরিমাণ ফুলকপি আছে, তা বর্তমান বাজার দরে আরও ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে। ৮ হাজার টাকা খরচ করে ৪৫ হাজার টাকার রঙিন ফুলকপি বিক্রি করতে পারব। আমার জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ দেখে এলাকার কৃষকরা বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আগামী বছর অনেকেই বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাহারি রঙের ফুলকপি চীনে খাওয়া হয় সালাদ হিসেবে। সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ বেশি। বাজারেও চাহিদা বেশি। দেখতে সুন্দর এ কপি আধাসিদ্ধ করেই খাওয়া যায়। কম খরচ ও কম পরিশ্রমে চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব।
এক্ষেত্রে জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে জৈব সার ও ফেরোমন ফাঁদ। চারা রোপণের ৭০-৮০ দিনের মধ্যেই কপি বিক্রি করা যায়। একেকটি কপির ওজন হয় প্রায় দুই কেজি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সরিষার আবাদ বেশি হওয়ায় মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌয়ালরা
কসবা গ্রামে রঙিন ফুলকপি দেখতে ও কিনতে আসেন একই গ্রামের মোখলেছুর, আসাদুজ্জামান, সেলিনা ও মোরশেদা। তারা বলেন, ‘প্রথমবার এমন বাহারি রঙের ফুলকপি দেখলাম। জালাল ভাইয়ের কাছ থেকে হলুদ ও বেগুনি রঙয়ের ফুলকপি কিনলাম। বাহারি রঙের ফুলকপি দেখতেও বেশ ভালো লাগছে।’
মৌসুমী’র কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আরিফ বলেন, ‘উচ্চ ফলনশীল ও উচ্চমূল্যের নতুন ফসলজাত প্রচলন প্রদর্শনীর আওতায় হলুদ রঙের ভ্যালেন্টিনা এবং বেগুনি রঙের ক্যারেটিনা জাতের এ ফুলকপি পরীক্ষামূলক প্রদর্শনী হয়েছে। সফলতা আসায় আগামীতে এ অঞ্চলে সবজিটি ব্যাপকভাবে চাষাবাদ করানো হবে। কৃষক জালাল হোসেনের মাধ্যমে এ বাহারি ফুলকপির আবাদ করানো হয়। নওগাঁয় এটাই প্রথম রঙিন জাতের ফুলকপি চাষ।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার জানা মতে নওগাঁয় প্রথমবার জালাল হোসেন বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন। যা এলাকার অন্য কৃষকদের মাঝে বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রঙিন ফুলকপিতে ভিটামিন এ সি কে, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, এন্টিঅক্সিডেন্টসহ মানবদেহে উপকারী বিভিন্ন উপাদান আছে। সাধারণ ফুলকপি যেখানে ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়; সেখানে এটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। আশা করা যাচ্ছে, আগামীতে রঙিন ফুলকপি চাষ অনেকটাই বাড়বে।’
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাম্পার ফলন
৯ মাস আগে
প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনায় সফলতার জন্য এটুআই পেল ‘আইএসও সনদ’
প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে অসাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের জন্য আন্তর্জাতিক মান সংস্থার (আইএসও) সনদ অর্জন করেছে এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এর প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনা।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে একটি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিনের কাছে এই সনদ হস্তান্তর করেন আইওটিএ বিডি’র চিফ অপারেটিং অফিসার অ্যান্ড প্রিন্সিপাল কনসালটেন্ট কায়সার মাহমুদ।
এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই-এর উদ্যোগে ‘সাপ্লায়ার রিলেশনশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ২০২৩’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে বেসরকারি খাতের প্রায় ৫০টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো সামসুল আরেফিন। এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মামুনুর রশীদ ভূঞার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) আওতাধীন সিপিটিইউ’র (বর্তমান বাংলাদেশের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথোরিটি) মহাপরিচালক (গ্রেড- ১) মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী।
সরকারি ক্রয়কারী এবং বেসরকারি সরবরাহকারীদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি, পারস্পারিক সহযাগিতার মনোভাব, প্রযুক্তি হস্তান্তর, জ্ঞান স্থানান্তরসহ দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব তৈরি, সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক ব্যয় কমানো এবং সরকারি সেবার সর্বোচ্চ মানোন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ও ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিক সেবা সহজিকরণে কাজ করে যাচ্ছে। এটুআই সরকারি ক্রয়ের মূলনীতি অনুসরণ করে ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে। বর্তমানে কিউসিবিএস পদ্ধতিতে গড় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ১৫টি এবং প্রতিযোগিতার এ হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রথাগত প্রকিউরমেন্টের স্থলে এখন উদ্ভাবনী প্রকিউরমেন্ট পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে। বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধানের সঙ্গে সংগতি রেখে প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য এটুআই বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এটুআই এর কনসালটেন্ট প্রকিউরমেন্ট মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনস,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সিপিটিইউ এবং এটুআইসহ বেসরকারি খাতের বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
১ বছর আগে
এক দফা আন্দোলনের সফলতা নিয়ে আশাবাদী ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে তাদের পরিকল্পিত এক দফা আন্দোলন সরকারের পতন ঘটাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব আশাবাদী যে আমরা এই সরকারকে পরাজিত করতে এবং সরকোরের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিতে এবং আমাদের এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হব কারণ জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ।’
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে গণফোরাম ও পিপলস পার্টির একাংশের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে ফখরুল
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে একটি নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণমুখী সরকার গঠন করা হবে বলেও তাদের দল আত্মবিশ্বাসী।
বৈঠকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, তারা কীভাবে এবং কখন এক দফা আন্দোলন শুরু করতে পারে সে বিষয়েও কথা বলেছেন।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না এবং বর্তমান সরকারের অধীনে জনগণ কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মেনে ক্ষমতা ছাড়ার আগ পর্যন্ত সংলাপ নয়: ফখরুল
তিনি বলেন, এ কারণে আমরা শিগগিরই এক দফা আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছি।
চৌধুরী বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের আন্দোলনের একটি যৌথ বিবৃতি পেশ করতে এবং তারপর জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে তারা বিএনপির সঙ্গে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকেও সহযোগিতা পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ভোটচোরের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আর কোনো ভোট হবে না: শিমুল বিশ্বাস
১ বছর আগে
বিকাশমান সমুদ্র অর্থনীতির সফলতা নির্ভর করছে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর
বাংলাদেশে বিকাশমান সমুদ্র অর্থনীতির সফলতা নির্ভর করছে এ খাতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর।
সোমবার কক্সবাজার জেলার সামুদ্রিক শুকনো মাছের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ওপর বিশ্লেষণ এবং নীল অর্থনীতি অর্জনে সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জসমূহের ওপর গবেষক ও বিশেষজ্ঞ সমেত তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেছেন।
তারা কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত সামুদ্রিকখাদ্য, শুকনো মাছ উৎপাদন, অন্তঃদেশীয় ও বৈদেশিক বিপণনের ক্ষেত্রে সকল বাধা ও প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান জানান।
এতে সভাপতিত্ব করেন কানাডা প্রবাসী লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক, বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. আব্দুল জলিল চৌধুরী, ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং সাবেক মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।
প্রধান আলোচক ছিলেন, প্রফেসর ড. এস.এম. রফিকুজ্জামান, ডিন, ফিশারিজ অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
অধ্যাপক, গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক এবং স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. জে আনোয়ার জাহিদ, প্রশিকার প্রোগ্রাম পরিচালক, সাঈদ হাসান, উন্নয়ন কনসালটেন্ট বাবু অশোক সরকার, আবেদ আহসান সাগর, মাহবুব উল আলম এবং অংশগ্রহণ করেন খায়রুল আহসান মানিক, কৃষিবিদ মোয়াজ্জেম হোসাইন, নজরুল ইসলাম বাবুল, শামসুল হাবিব, শিরিন ফেরদৌসী, নাজমা রেশমী, ইভানা হোসাইন ও এসরার জাহিদ।
সম্মানিত অতিথি কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী তার ভাষণে বলেন, সমুদ্র অর্থনীতির সদ্ব্যবহার বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পারে যদি আমরা এ খাতে প্রথাগত পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারকে নিশ্চিত করতে পারি।
ইতোমধ্যে সরকার কৌশলগত নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং বিদেশি কয়েকটি সংস্থা তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। এগুলোর মাঝে সমন্বয় সাধন ও চ্যালেঞ্জের বিষয়।
বাংলাদেশে খাদ্য সংস্কৃতি পরিবর্তনের ওপর আমাদের জোরারোপ করতে হবে এবং সামুদ্রিক-খাদ্যকে আমাদের খাদ্য তালিকায় নিতে হবে।
মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. আব্দুল জলিল চৌধুরী বলেন, কক্সবাজারে মার্কেট ভ্যালু চেইন এর ওপর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ দান বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে এর সুফলতা আসতে শুরু করেছে।
সাসটেইনেবল ব্লু ইকোনমির জন্য পরিবেশগত অবক্ষয় এবং সমুদ্রের পানির দূষণ কমাতে প্রয়োজনীয় নীতিনির্ধারণের ওপর বাংলাদেশের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
প্রধান আলোচক প্রফেসর ড. এস.এম. রফিকুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার জেলার সামুদ্রিক খাদ্য ও শুকনো মাছের স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদন ও এগুলো বাজারজাতকরণের ওপর নিবিড় গবেষণা করার প্রয়োজন রয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এর ওপর কাজ হচ্ছে, দেশে বিচ্ছিন্নভাবে প্রযুক্তি ও আসছে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি এর ডিমান্ড যথাযথভাবে আলোচনায় উঠে আসছে না।
এছাড়া দেশে মৎস্যখাত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে একে অগ্রাধিকার তালিকায় নিতে হবে।
বার্ড এর সাবেক পরিচালক ড. আনোয়ার জাহিদ আলোচকদের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ বিশেষ করে শুকনো মাছের উৎপাদনের অতীত ও বর্তমান অবস্থার ওপর কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের পরিচালিত গবেষণা ও সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর আলোকপাত করেন। ভেলু চেঞ্জ এনালাইসিস সমীক্ষার মাধ্যমে যারা মৎসজীবী, ট্রলার মালিক, মাছ ও শুঁটকি বিক্রয়কারী মার্চেন্ট এজেন্ট মধ্যস্বত্ব ভোগী যেমন: আড়ৎদার, পাইকার, খুচরা ব্যবসায়ী, সংরক্ষণকারী ও মহাজন তাদের প্রতি কেজি বা ১০০ কেজিতে মুনাফা বা লাভের অংশ নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
এতে মার্কেটিং চ্যানেলে জড়িত অধিক সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করা যাবে এবং এতে সরকারি বিভাগ ও বাজার নিয়ন্ত্রণকারীরা তাদের ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। মাছ ধরার এলাকায় মাছ সংরক্ষণ (স্টোরেজ) এবং স্থানীয়ভাবে শুঁটকি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে তা অভ্যন্তরীণ ক্রেতা-ভোক্তার সাশ্রয় ও রপ্তানি বাজারে এর অধিক সুফল পাওয়া যাবে, প্রশিকার প্রোগ্রাম, পরিচালক, সাঈদ হাসান পরিবেশগত অবক্ষয় এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে সমুদ্র উপকূলের আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নের ওপর জোরারোপ করেন।
কনসালটেন্ট বাবু অশোক সরকার বলেন, মৎস্যখাতের মার্কেটিং চেইনে মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে প্রোডাক্টের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এর প্রভাব পড়ছে ভোক্তাদের ওপর। এ খাতে শ্রমিক কল্যাণ অনেক অবহেলিত এবং নারী শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর পরিচালক আবেদ আহসান সাগর বলেন, বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় মাছের বাজার প্রায় ৮০ ভাগ। টেকনোলজি ব্যবহার, প্রক্রিয়া ও গুদামজাত করণে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, প্রোডাক্টের মূল্য পেতে ও দীর্ঘ সঙ্কট তৈরি হয়।
এছাড়া সরকারের সাবসিডি ছাড়া এ খাতের টেকসই উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
মাহবুব উল আলম বলেন, স্থানীয়রা মৎস খাতের ব্যবসায় পারিবারিকভাবে এ পেশাকে গ্রহণ করে। এখনও শিক্ষিত লোকজন এ পেশায় আসছেন না তাই প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ ও বিলম্বিত হচ্ছে, মেটেরিয়ালের দাম বৃদ্ধির কারণে মূল্যও বেড়ে যাচ্ছে এবং এগুলো মনিটরিং এর কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই।
এছাড়া মৎস্যখাতকে দেশে বিদেশে ব্র্যান্ডিং করতে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা দরকার।
সভাপতি দেলোয়ার জাহিদ বলেন, দারিদ্র্য বিলোপ, ক্ষুধা মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ, জলবায়ু কার্যক্রম এবং জলজ জীবনকে অর্থবহ ও সমুদ্র অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে কানাডার মতো উন্নত দেশের অংশীদারিত্ব গ্রহণের ওপর জোর দিতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ ও আলোচনার ওপর ভিত্তি করে সমস্যা সমাধানে কিছু সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়। বাংলাদেশে সামদ্রিক খাদ্য ও শুঁটকি উৎপাদন গতানুগতিকভাবে চলে আসছে। দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে তাদের চাহিদা ও অনেক বেড়েছে। অতীতে শুঁটকি খোলা জায়গায় শুকানো হতো এবং রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে মৎস্য অধিদপ্তর, চেম্বার অব কমার্স ও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানাবিদ উদ্যোগ নেয়ার ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়া ও বিপণন ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটছে। দেশের অভ্যন্তরে শুঁটকির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কিছু সংখ্যক শুঁটকি যেমন চিংড়ি, ছুড়ি, লোট্টা, রূপচাঁদা প্রভৃতি চায়না হংকং হয়ে আমেরিকা, কানাডায় রপ্তানি হচ্ছে।
উপলব্ধ কতিপয় বিষয়ে সুপারিশমালা তোলে ধরা হলো-
১. বাংলাদেশের বিশাল সুমুদ্র সীমার মধ্যে প্রায় ৮০ মিলিয়ন মেট্রিকটন মাছের মুজুদ রয়েছে। এর থেকে আহরণের পরিমাণ মাত্র ৩.৫৫ মিলিয়ন মেট্রিকটনের প্রেক্ষিতে বেশি মৎস আহরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
২, মৎস্য আহরণে আধুনিক প্রযুক্তি ও জনবল বৃদ্ধি, বিদেশি শুঁটকিতে করারোপসহ উন্নত মানের উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।
৩. সরকারি উদ্যোগে প্রধান মৎস আহরণ, শুঁটকি উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে সংরক্ষণাগার তৈরি করাও প্রয়োজন।
৪. সমন্বিত উদ্যোগ, টেকসই প্রযুক্তি, অ্যাকশন রিসার্চ ও ভ্যালু চেইন এনালিসিস করে সমীক্ষা প্রকাশ করাও প্রয়োজন।
৫. উৎপাদন ও রপ্তানিকে বেগবান ও উৎসাহিত করতে স্বল্প সুদে ঋণদান ও প্রয়োজনে ভূর্তকি প্রদান করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র অর্থনীতির ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
যোগাযোগ প্রযুক্তি ও সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজে আগ্রহী মাদাগাস্কার
১ বছর আগে
সফলতার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন: ড. মোমেন
অনেক ভালো ছাত্র অব্যাহত প্রচেষ্টা না থাকায় জীবনে সফলতার দেখা পায় না উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের সফলতার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে তরুণ লেখক সাদ ইসলামের ‘হাউ টু বিকাম এ সাকস্যাসফুল স্টুডেন্ট’ এবং ‘ড্রিমি ড্রপস’ গ্রন্থ দুটির প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের সফলতার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন। অনেক ভালো ছাত্র অব্যাহত প্রচেষ্টা না থাকায় জীবনে সফলতার দেখা পায় না। শুধু শিক্ষার্থী নয়, ব্যক্তি জীবনেও যে কোনো মানুষের সাফল্যের জন্য এই প্রচেষ্টা এবং সময় ব্যস্থাপনা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেড অর্জনের চেয়ে শিক্ষা অর্জন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে মানুষ হিসেবে সফলতা অর্জন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রকাশনাবান্ধব উল্লেখ করে প্রকাশনার ক্ষেত্র বর্তমানে অনেক বিকশিত হয়েছে বলেও দাবি করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই প্রকাশনা উৎসবে জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক ও গাজী টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, তরুণ কথা সাহিত্যিক সাদাত হোসেন ও লেখক সাদ ইসলাম বক্তব্য দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বই দুটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অন্য প্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসন ঠেকাতেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কলিন পাওয়েল ছিলেন একজন মহান নেতা ও যোদ্ধা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা সারাবিশ্বে তুলে ধরতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
বিনা ও বিনা’র বিজ্ঞানীর আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ
মিউটেশন ব্রিডিংয়ে অসামান্য অবদান রাখার জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ‘অসাধারণ সফলতা পুরস্কার’ (আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড) ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। এছাড়া, প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং ও রিলেটেড বায়োটেকনোলজিতে অসামান্য অবদানের জন্য বিনা’র উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামছুন্নাহার বেগম ‘উইমেন ইন প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) আইএইএ এর প্রধান কার্যালয় অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার দেন।
আরও পড়ুন: আইএইএ অ্যাওয়ার্ড পেল বিনা ও বিজ্ঞানী শামসুন নাহারউল্লেখ্য, আইএইএ থেকে ৬-৭ বছর পর পর সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে মিউটেশন ব্রিডিং-এ অসাধারণ অবদান রাখার জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়।
তিনটি ক্যাটাগরি হলো: ১. আউটস্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট (ব্যক্তিগত/প্রতিষ্ঠানিক) ২. নারী বিজ্ঞানীদের মিউটেশন ব্রিডিং এ অনন্য অবদান ‘উইমেন ইন প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং ও ৩. তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার । এ বছর আইএনইএন এর ১৭৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রথম ক্যাটাগরিতে ১১ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান, ২য় ক্যাটাগরিতে ১০ জন নারী বিজ্ঞানী ও ৩য় ক্যাটাগরিতে সাতজন তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার পেয়েছেন।এর আগে ২০১৪ সালে বিনা’র বর্তমান মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম মিউটেশন ব্রিডিং এ আইএইএ'র অসাধারণ সফলতা পুরস্কার পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি তরুণী ফাইজামহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল বলেন, বিনা’র বিজ্ঞানীরা পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে মিউটেশন ব্রিডিং, কনভেনশনাল ব্রিডিং ও অন্যান্য উন্নত কলাকৌশল প্রয়োগ করে এখন পর্যন্ত ১৮ টি বিভিন্ন ফসলের ৮৩ টি মিউট্যান্ট জাতসহ সর্বমোট ১১৭ টি উচ্চ ফলনশীল ও উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন জাত উদ্ভাবন করেছে। এসমস্ত অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিনা ও বিনা’র বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন।
৩ বছর আগে
মাগুরায় বিদেশি ফল চাষে সফলতা
ছোট ছোট গাছের কাধিতে ঝুলছে বিলাতি বা সৌদি খেজুর, গাছ নুয়ে পড়ছে মাল্টার ভারে, সবুজের মাঝে রঙিন ফুলের মতো শোভা পাচ্ছে ড্রাগন ফল, মাল্টা। আশেপাশের গ্রামসহ দুর-দুরান্ত থেকে মাগুরার গাংনী গ্রামের এই বৃহৎ মিশ্র ফল বাগানটি প্রতিদিনই দেখতে আসছে প্রকৃতি ও ফলপ্রেমীরা।
১০ একর জায়গা জুড়ে খেজুর, মাল্টা ছাড়াও ২৫০০ ড্রাগন ফলের পাশাপাশি অনেক কুল ও পেয়ারা গাছও রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কুমিল্লার টাউন হলে প্লাস্টিক বোতলে ঝুলন্ত বাগান
কয়েক বছর অগে শখের বসে নিজ বাড়ির সাথে লাগোয়া জমিতে ছোট্ট এই বাগানটি করেন বৃক্ষপ্রেমী ইজাজুল হক রিজু। বর্তমানে মিশ্র এই ফলবাগান থেকে প্রতি বছর আয় করছেন লাখ লাখ টাকা ।
শুধুমাত্র গত বছরেই ড্রাগন ফল বিক্রি করে আয় করেছেন প্রায় ২৫ লাখ টাকা।
এ বছরেও ৩৫ লাখ টাকা ড্রাগন ফল বিক্রয়ের আশা করছেন বলে জানান ফল বাগানটির প্রধান দায়িত্বে থাকা রিজুর ভাই।
রিজুর ভাইয়ের তত্বাবধায়নে মিশ্র ফল বাগানটি সর্বদা পরিচর্যায় নিয়োজিত রয়েছেন আরও ১০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী , তবে কাজের চাপ বেড়ে গেলে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুনঃ এবার খুলনায় ‘বই বাগানের’ যাত্রা শুরু
শুক্রবার মাগুরা জেলার সর্ববৃহৎ মিশ্র ফল বাগানটি পরিদর্শনে আসেন মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম। এছাড়াও বিভিন্ন কর্মকর্তা ও শৌখিন লোক প্রায় প্রতিদিন দেখতে আসেন এই বাগানটি।
৩ বছর আগে
‘সবজির ফার্ম’ করে স্বাবলম্বী কালাচাঁদ
মাদারীপুর, ২৩ আগস্ট (ইউএনবি)- মাদারীপুর শহরের পুরান শহর এলাকার কালাচাঁদ মাদবর। বয়স ৭০ বছর।
৫ বছর আগে