দুই যুবক
রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই যুবকের মৃত্যু
রাজধানীর কুড়িলে পৃথক দুই স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলার শাহ আলমের ছেলে মাহমুদুল হাসান (৩০) ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাবুল আহমদের ছেলে তানজিম জয় (২৬)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ওয়াগন ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারা মিয়া জানান, সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনের কাছে রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মাহমুদুল ইসলাম মারা যান।
বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত মাহমুদুল কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এসময় একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
অপরদিকে, ভোর ৫টা ২৪ মিনিটের দিকে রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় বলাকা কমিউটার ট্রেনের চাকার নিচে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় তানজিমের।
এ দুই ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু
৫ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ, দুই যুবককে হত্যার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের লোকজন বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ইছামতি গ্রামের ঠান্ডুর ছেলে আল-আমিন (৩২) ও একই গ্রামের ফরহাদ খানের ছেলে আল আমিন শেখ (৩৫)।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে বৃদ্ধের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, ইছামতি গ্রামের হায়দার গ্রুপ ও বাচ্চু গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে হায়দার গ্রুপের লোকজন ইছামতি গ্রামের আসাদ শেখের বাড়ির সামনে বাচ্চু গ্রুপের সমর্থক আল-আমিন ও আল আমিন শেখকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে আল-আমিন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আর আল আমিন শেখকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রাত থেকে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধ: নাটোরে গুলিতে নারীসহ ৪ জন আহত
ফরিদপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, দেবরের হাতে ভাবি খুনের অভিযোগ
১ বছর আগে
সিদ্দিক বাজারে চা খেতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন দুই খালাতো ভাই
গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে মঙ্গলবার চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দুই যুবকও মারা যায়। নিহত দুইজন সমবয়সী এবং উভয় সম্পর্কে খালাতো ভাই।
এরা হলেন- মতলব উত্তরের পশ্চিম লালপুর গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেন বেপারীর বড় ছেলে মো. আল-আমিন (২৩) এবং ছেংগারচর গ্রামের মোশারফ হোসেন মিয়াজির ছেলে মনসুর হোসেন (২৪)।
আরও পড়ুন : গুলিস্তান বিস্ফোরণ: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে
আলাপকালে মনসুরের ছোট ভাই কাওছার জানান, ফুলবাড়িয়া সুপার মাকের্টে তাদের বেডিং এর দোকান রয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকালে সোয়া ৪টার দিকে খালাতো ভাই আল-আমিন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে।
ছোট ভাই কাওছারকে দোকানে রেখে ২০ মিনিটের জন্য বাইরে যান আল-আমিন ও মনসুর। এ সময় তারা বললেন, ‘সিদ্দিক বাজারের দিকে যাই, দু’জনে চা খেয়ে আসি।’ এই কথা বলে তাদের আর আসা হলো না। ২০ মিনিট আর শেষ হয়নি তাদের- এই কথা বলে অঝোরে কাঁদতে থাকেন কাওছার।
পরে এ বিস্ফোরণের খবর শুনে ফোনে তাদের পাচ্ছিলেন না কাওছার। হতাশ হয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে যান। সেখানে সারি সারি রাখা অগ্নিদগ্ধ ১৬টি মৃতদেহ দেখতে পান।
এই ১৬ জনের মধ্যে আপন ভাই মানসুর ও খালাতো ভাই আল-আমিন দুইজনকে খুঁজে পান তিনি।
আল-আমিন একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দীন ইউএনবিকে জানান, আজ (বুধবার) সকালে দু’জনের লাশ বাড়িতে আনা হয়। পরে দাফন করা হয়। বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না দুই বাড়ির স্বজনদের আহাজারি।
তিনি আরও বলেন, আজ দুজনের বাড়িতে গেলে মানসুরের ছোট ভাই কাওছার এ সব তথ্য জানান। কাওছারসহ নিহত দুজনের স্বজনরা এ বিস্ফোরণের সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি জানান।
আরও পড়ুন : গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান
গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ঢামেক হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে
১ বছর আগে