সালাহউদ্দিন
ক্ষমতায় গেলে গুমের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার সালাহউদ্দিনের
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনাদের এই কথা বলতে পারি, যদি জনগণ আমাদের ম্যান্ডেট দেয়, গুম প্রতিরোধের জন্য, গুমের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করার জন্য প্রথমে যা যা করতে হয়—আইন প্রণয়ন ও তা কার্যকর—সবকিছু করা হবে। আমরা সেই বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছি, যেখানে কোনো ব্যক্তি গুমের শিকার হবে না,’ বলেন তিনি।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকালে বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন প্রত্যয়ের কথা জানান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় একটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ চলেছে। সেই ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে আমাদের সন্তানদের রক্ত দিতে হয়েছে। যারা বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটিকে করদরাজ্যে পরিণত করতে আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের এখনো অনুশোচনা নেই। তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার তো দূরের কথা, উল্টো অভ্যুত্থানকারীদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করছে।’
পড়ুন : গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
তিনি বলেন, ‘এরপরও বাংলাদেশের মানুষ কি কখনো তাদের রাজনীতিতে আহ্বান করতে পারবে? বাংলাদেশের মানুষ কি কখনো তাদের ক্ষমা করতে পারবে? ক্ষমা তারা চায়নি। আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অপেক্ষা করছি। আজ রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কারের জন্য আমরা সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, যা আগে কখনো কল্পনাও করা যেত না।’
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যে ফাটল ধরানোর একটা চেষ্টা কোনো একটা পক্ষ করছে। কিন্তু আমরা তর্ক-বিতর্ক করছি, সংস্কারের বিপক্ষে আলোচনা করছি, নির্বাচন নিয়ে দুয়েকটা পক্ষ ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। আমি আহ্বান জানাব, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য দেশের মানুষ ১৬ বছর সংগ্রাম করেছেন, রক্ত দিয়েছেন, সেই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যখন একটি রাস্তা তৈরি হয়েছে, তাতে যাতে আমরা কাঁটা না বিছাই। সবার প্রতি এই আহ্বান জানাই।’
গুমের শিকার হয়ে আর ফিরে না আসা মানুষদের ছবির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে আমি আজ জীবিত আছি, আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। নাহলে আমারও ছবি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আমার সহকর্মীদের অনেকের ফিরে আসার সৌভাগ্য হয়নি। তাদের খোঁজ মিলছে না। কেন যে আয়নাঘর নামটা দেওয়া হলো? কিন্তু আয়নাঘরে তো আয়না ছিল না, ছিল জমদূত, ছিল মৃত্যুর পরোয়ানা। সেই আয়নাঘরে আমরা ছিলাম।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাকে একটা গুপ্তগুহায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন যদি আমার চোখ বন্ধ না থাকত, তাহলে হয়তো আমার বিশ্বাস হতো না যে এখানে মানুষ থাকতে পারে। তবে রুমের ভিতরে চোখ খোলা থাকত। একদিনই কেবল চোখ খোলা রেখে বাইরে নেওয়া হয়েছিল। আমার তারিখ গণনায় সেদিন ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষ উদযাপনের দিন। তাদের মধ্যে কয়েকজন অফিসার সম্ভবত ছিল সেই অনুষ্ঠানে, আমাকে বলল যে আজ ম্যাডাম পার্টি অফিসের সামনে অনুষ্ঠান করেছে, পহেলা বৈশাখের। আমাকে নিউজ দিতে চাইল যে দেশে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি চলছে।’
‘আমি কোনো জবাব দিতাম না। সেদিনই চোখ খোলা রেখে রুমের বাইরে কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখেছিল। কারণ রুমটা পরিষ্কার করতে হবে। রুমটা ছিল ময়লা আর দুর্গন্ধে ভরা, বাতাস চলাচলের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পাঁচ ফুট বাই দশ ফুট বা তার চেয়ে ছোট হতে পারে রুমটা। দুই মাস একদিন অর্থাৎ ৬১ দিনের মাথায় আমাকে বের করে যমটুপি ও কালো চশমা পরিয়ে গামছা দিয়ে হাত বেঁধে বলা হলো—আজ আপনাকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে, ফিরে আসতে আপনার দু-তিন দিন লাগতে পারে। তবে আমাকে জীবিত ছেড়ে দেবে, সেটা আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না,’ বলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘তাদের বলতাম, যদি আমার মৃত্যু এখানে হয়, তাহলে আমার লাশটা আমার পরিবারের কাছে ফেরত দিও। তারা কোনো জবাব দিত না। আল্লাহর কাছে সবসময় প্রার্থনা করতাম, যদি আমার হায়াত থাকে, আমাকে ঈমানের সঙ্গে জীবন দিও, ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু দিও। আর যদি এখানেই আমার মৃত্যু হয়, তাহলে আমাকে ঈমানের মৃত্যু দিও। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য প্রার্থনা করতাম।’
‘আমি খুব বিশ্বাসী মানুষ, আমি অনেক কিছু দেখেছি। সে জন্য অনেক অবিশ্বাসী মানুষকে বলি—আমি শুধু আল্লাহর অস্তিত্ব চোখ দিয়ে দেখিনি, কিন্তু আমি অনুভব করেছি, আমি অনেক কিছু জেনেছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে অনেক কিছু দেখিয়েছেন। সেগুলো আমি বাস্তব জীবনে পেয়েছি। এটা হয়তো যারা বিশ্বাস করতে চাইবেন, তারাই বিশ্বাস করতে পারবেন। এটা অনুধাবনের বিষয়।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে গুম হওয়া পরিবারের মধ্যে নতুন কেউ যোগ হয়নি, এটা সুসংবাদ। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী দিনের রাজনীতিবিদরা যাতে নিশ্চিত করেন আগামী দিনে যেন গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের এমন কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না হয়। আসলে সে জন্যই আমরা এখানে অনবরত সংগ্রাম করে যাচ্ছি।
ইউএনবি/জেএ
৯৭ দিন আগে
জুলাই সনদে যেকোনো সময় সই করতে প্রস্তুত বিএনপি: সালাহউদ্দিন
বিএনপি জুলাই জাতীয় সনদে যেকোনো সময় সই করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই বিষয়ে যেকোনো বিভ্রান্তি ছড়ানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তুত জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া যদি আগামীকাল আমাদের কাছে পাঠানো হয়—তাহলে আমরা একই দিনে সই করব। আমরা যেকোনো সময় সই করতে প্রস্তুত—এ নিয়ে কোনো বিরোধ নেই।’
সোমবার (৪ আগস্ট) গুলশানের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সালাউদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে চায়—তাহলে বিএনপি এই ধরনের আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য উন্মুক্ত।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দলটি ইতোমধ্যেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কিছু বিষয়ে ভিন্নমতের নোট যোগ করেছে এবং অন্য বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। ‘যখনই আমরা সম্মত বিষয় এবং আমাদের ভিন্নমতের নোট উভয়ই প্রতিফলিত করে নথিটি পাব—তখনই আমরা তাতে সই করব। আমরা সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ থাকা উচিত নয়,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই সনদে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো কি কেবল দলিলে সই করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে—নাকি এর বাস্তবায়ন নিয়ে আরও আলোচনা হবে—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সালাহউদ্দিন উল্লেখ করেন, কিছু দল সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছে যে, এই বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তারা সনদে সই করবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি সহযোগিতা করছে না বলে একটি বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। তবে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দলটি কীভাবে কাজ করেছে—তা জনগণের কাছে স্পষ্ট।
পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে জোটের সুযোগ নেই, তবে এনসিপির জন্য আলোচনার দরজা খোলা: সালাহউদ্দিন
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তাদের দলের অবস্থান এবং আলোচনার ফলাফল গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানিয়েছেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি এবং তা অব্যাহত রাখছি। এই সংস্কারগুলো আমাদের নিজস্ব প্রতিশ্রুতির অংশ। আমরা অনেক আগেই জাতির কাছে ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তাই আমাদের উদ্দেশ্য বা আন্তরিকতা নিয়ে কারো প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। আমরা বিশ্বাস করি, যে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে—তা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি প্রতিফলিত করে।’
তিনি বলেন, বিএনপি চায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে সবকিছু আইনসম্মত ও সাংবিধানিকভাবে করা হোক।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা সকল আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত। বিএনপি জাতির সামনে ঘোষণা করেছে এবং স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা এবং সংস্কারের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য দলটি যেকোনো প্রক্রিয়াকে সমর্থন করবে এবং সকল ধরণের আলোচনায় যোগ দেবে।’
তিনি বলেন, জুলাই ২০২৫ সালের জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রতিটি পর্যায়ে পূর্ণ আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি একমত।
২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, এই ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে সংবিধানে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ‘আমরা এই প্রস্তাবের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত এবং ৩০ জুলাই রাতে আমাদের প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছি।’
সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে সমুন্নত রাখার এবং একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সেই ঐক্যকে শক্তিতে রূপান্তর করার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে ঐকমত্য কমিশনে ১৯টি মূল সংস্কার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে—যার মধ্যে ১২টিতে বিএনপি একমত হয়েছে এবং বাকি ৭টিতে ভিন্নমতের পত্র জমা দিয়েছে।
জুলাই ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি অনেক আগেই এ বিষয়ে তাদের মতামত জানিয়েছে এবং আসন্ন ঘোষণা অনুষ্ঠানে এখনও আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণার উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক মূল্য রয়েছে। ‘বিএনপি ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণায় প্রদত্ত প্রস্তাবগুলোতে সাড়া দিয়েছে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জুলাই ঘোষণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে যোগ দেবেন। ‘কিন্তু বিএনপি এখনও অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ পায়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি এখনও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতি এবং নির্বাচন কমিশনকে তার পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানাবেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা জানতে পেরেছেন যে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করতে পারেন। ‘আমরা সেই অপেক্ষায় আছি।’
১২২ দিন আগে
পিআর পদ্ধতি ও স্থানীয় নির্বাচনের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদম্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেছেন, যারা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থার পক্ষে কথা বলছেন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন—আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য থাকতে পারে তাদের।
তিনি বলেন, ‘যারা আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার কথা বলছেন তাদের উদ্দেশ্য আছে। যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান তাদেরও উদ্দেশ্য আছে। হয় তারা চান নির্বাচন বিলম্বিত হোক, অথবা তারা চান না যে, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হোক। এটি তাদের উদ্দেশ্য হতে পারে।’
শনিবার (২৮ জুন) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মরণসভা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ গবেষণা বিশ্লেষণ ও তথ্য নেটওয়ার্ক (ব্রেইন) আয়োজিত একটি সংরক্ষণাগার উন্মোচন অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন এই মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবিতে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘এ দেশের গণতন্ত্রকামী সকল মানুষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করেনি। আমরা ১৭ বছর ধরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের জন্য লড়াই করেছি। আমাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা অসংখ্য প্রাণ হারিয়েছি।’
পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় শহীদদের আত্মত্যাগ এ দেশে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে। ‘একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আমরা অবশ্যই সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনার পর রমজান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব করা হয়েছে, যা একটি যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি তখনই কার্যকর হবে—যখন প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে বার্তা এবং নির্দেশনা পৌঁছে দেবেন। যখন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, নির্বাচন কমিশন, অথবা উভয়ই একসঙ্গে জাতিকে এ বিষয়ে জানাবে—তখনই আমরা সত্যিকার অর্থে নিশ্চিত হব যে, নির্বাচন সেই সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।’
পড়ুন: রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার, দাবি বিএনপির ফারুকের
১৫৯ দিন আগে
সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের দল গণপিটুনির সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার গণপিটুটির ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৩ জুন) তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক। নূরুল হুদার গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া আশাও করে তার দল।
তিনি বলে, ‘কিন্তু আমরা তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে—তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকে—তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব...এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক। ‘সে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’
রবিবার(২৩ জুন) রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা তাকে আক্রমণ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল হুদার কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হুদা সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন এবং তার গলায় জুতার মালা ছিল। এক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি জুতা দিয়ে হুদার মুখে আঘাত করেন। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
আরও পড়ুন: মেধাপাচার রোধ ও শিক্ষা পুনর্গঠনের অঙ্গীকার বিএনপির
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য হুদার ভূমিকার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।’
সালাহউদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতো আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে ফেলার জন্যও দায়ী। ‘কিন্তু আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না,’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।
১৬৪ দিন আগে
বিএনপি সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তার দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগগুলোতে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপে বিএনপি প্রতিনিধি দলের যোগ দেওয়ার আগে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা সকল বিষয়ে স্বচ্ছতা, আন্তরিকতা এবং গুরুত্বের সঙ্গে সংস্কার উদ্যোগগুলোতে সহযোগিতা করছি।’
কমিশনের সঙ্গে আজকের সংলাপে অংশ নিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিএনপি প্রতিনিধি দল।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনা চলছে।
সংলাপে অংশ নেওয়া প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাবেক সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট থেকে বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। তবে এই সময়ের মধ্যে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিও ছিল।
আরও পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বিএনপি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে একটি অংশীদারিত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে।
এখন পর্যন্ত কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন ১৩টি রাজনৈতিক দল।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উপর একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২২৯ দিন আগে
কক্সবাজারে ঋণ খেলাপির দায়ে নৌকার প্রার্থী সালাহউদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল
ঋণ খেলাপির দায়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে যাচাই-বাছাইয়ের সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ৪৭ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
জানা যায়, কক্সবাজার জনতা ব্যাংক লালদীঘি শাখা থেকে 'ফিস প্রিজারভারস' নামক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সালাহ উদ্দিন আহমদ সহ অন্য পরিচালকরা প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা পরবর্তীতে খেলাপি হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন হলেও ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ এখনও সেই ঋণের একজন জামিনদার।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
আরও জানা যায়, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো(সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ একজন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই।
এই বিষয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমার যেসব ঋণ খেলাপি ছিল, সবকিছু আদালতের মাধ্যমে সমাধান করেছি। তারপরও কেন বাতিল করেছে বুঝতে পারছি না। আমি নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করব।আশা করি ফিরে পাব।
এই বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ. শাহীন ইমরান বলেন,ঋণ খেলাপির অভিযোগে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ
৭৩২ দিন আগে
‘ঘুড্ডি’ পরিচালক সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকি মারা গেছেন
প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা-চিত্রনাট্যকার-লেখক এবং দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের পথিকৃৎ সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকি ইন্তেকাল করেছেন।
সোমবার রাতে ঢাকার ইউনাইডেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৭ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
একুশে পদক এবং জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা ১৯৮০ সালের সমালোচকদের প্রশংসিত চলচ্চিত্র ‘ঘুড্ডি’-এর জন্য ব্যাপকভাবে সম্মানিত হন।
ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ জানান, রাত ১১টা ৫৩ মিনিটে হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাত ও ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জাকিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মান্নার শেষ সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে ১৫ ডিসেম্বর
তার দাফনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তার ছেলে ও মেয়ে কানাডা থেকে বাংলাদেশে ফেরার পর নেওয়া হবে বলে সূত্র জানায়।
জাকির ঘনিষ্ঠ পরিচিতদের সঙ্গে দেশের চলচ্চিত্র সম্প্রদায়ের সেলিব্রিটি এবং সদস্যরা, তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতার জন্য তাদের শোক এবং ভালবাসা প্রকাশ করছেন।
আরও পড়ুন: পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান মারা গেছেন
১৯৪৬ সালের ২৬ আগস্ট টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণকারী সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকির প্রথম চলচ্চিত্র ‘ঘুড্ডি’ মুক্তি পায় ১৯৮০ সালে। এতে অভিনয় করেন অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুবর্ণা মুস্তাফা।
সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত ছবিটি এখনও প্রয়াত লাকি আখন্দের রচিত বেশ কয়েকটি গানের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘আবার এলো যে স্বপ্ন,’ ‘কে বাশি বাজায় রে,’ এবং ‘ঘুম ঘুম’।
জাকি ‘লাল বেনারসি’ এবং ‘আয়না বিবির পালা’ সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন।
তিনি বিএফডিসিতে অপারেটিভ ডিরেক্টর হিসেবে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
জাকি ‘ঘুড্ডি’ -এর জন্য শ্রেষ্ঠ সংলাপের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে তার অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদকে ভূষিত হন।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়াই মাইকেল হাত ধরে আমাকে সরাতে গেছেন: সায়ন্তিকা
৮০৭ দিন আগে
সালাহউদ্দিন আহমেদকে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বন্দি রেখেছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদকে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বন্দি রেখেছে।
এ ছাড়া হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া এই প্রবীণ নেতাকে হীন উদ্দেশ্যে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কারাগারে প্রচণ্ড বুকে ব্যথা হলে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হয়, পরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রিজভী বলেন, ইতোমধ্যে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার বিষয়ে বার বার কারা কর্তৃপক্ষকে বলা সত্ত্বেও এই নেতাকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বন্দি রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীদের জীবন বিপন্ন করাটাই অবৈধ আওয়ামী সরকারের নীতি।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদের বুকে প্রচণ্ড ব্যথা উঠলে প্রথমে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রহণ করেনি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা গুরুতর। ইতোমধ্যে তার পাঁচটি ব্লক ধরা পড়াতে পাঁচটি রিং পরানো আছে। খুব দ্রুতই তার বাইপাস সার্জারি হওয়ার কথা। তিনি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ হলেও তার প্রতি সরকারের নির্দয় ব্যবহার এক ভয়ংকর হিংস্রতারই বহিঃপ্রকাশ।
রিজভী অবিলম্বে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের উন্নত চিকিৎসাসহ মুক্তির আহ্বান জানান।
সালাহউদ্দিনের বিনা চিকিৎসার অভিযোগ প্রসঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারগারের জেল সুপার সুভাষ ঘোষ জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে সালাউদ্দিন আহমেদ অসুস্থতা অনুভব করছেন বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানান।
কারা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক বিকালেই তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলে। পরে চিকিৎসকরা তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। কারণ তার শরীরে আগ থেকেই ৫টি রিং পরানো আছে। সেই পরামর্শ মোতাবেক তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সার্বিক চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত রিজভী হাসপাতালে ভর্তি
নতুন সমাবেশস্থল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি: রিজভী
৮১৮ দিন আগে
ভারত থেকে ফেরার জন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে সরকার
সরকার বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের যে কোনো সময় বাংলাদেশে ফেরার অনুমতি দিয়েছে এবং সিদ্ধান্তটি ভারতে দেশের মিশনে পৌঁছে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের পাবলিক কূটনীতি শাখার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার (বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ) দেশে ফেরার আবেদন অনুমোদন করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুয়াহাটিতে আমাদের মিশনে বিষয়টি জানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিলংয়ের আদালতে খালাস পেলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
সালাহউদ্দিন কবে বাংলাদেশে ফিরবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তার ওপর নির্ভর করে এবং তিনি যে কোনো সময় আসতে পারেন, তবে কিছু প্রক্রিয়াগত সমস্যা রয়েছে।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে সালাহউদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সালাহউদ্দিনকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ চায় বিএনপি
৯১০ দিন আগে
সালাহউদ্দিনকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ চায় বিএনপি
প্রতিবেশী দেশে ২০১৫ সালে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সম্প্রতি ভারতের শিলংয়ের বিচারক আদালত খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সালাউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই তাকে আট বছর কারাগারে এবং ভারতে গৃহবন্দী থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভারতীয় আদালতে খালাস পাওয়ায় তাকে ফিরিয়ে আনা সরকারের দায়িত্ব।
ফখরুল বলেন, 'সালাউদ্দিন আহমেদকে একজন মুক্ত মানুষ হিসেবে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।'
এ ব্যাপারে তিনি ভারত সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন। ‘আমরা আমাদের প্রিয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে অবিলম্বে আমাদের কাছে ফিরে পেতে চাই।’
সালাহউদ্দিন আহমেদকে তার মানবাধিকার নিশ্চিত করে মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট’ আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নের শিকারদের মধ্যে সালাহউদ্দিন অন্যতম।
বিএনপি নেতা বলেন, সালাহউদ্দিনকে ‘মিথ্যা মামলা’ জড়িয়ে ৮ বছর ভারতে নির্বাসনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। ‘অবৈধভাবে সে দেশে প্রবেশের জন্য তাকে ভারতের একটি আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল। বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ খালাস পান।
বেকসুর খালাসের মাধ্যমে ফখরুল বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে সালাহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের ‘অবৈধ’ সরকারের সীমাহীন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। ‘আমরা তাকে এখন নিঃশর্তভাবে ফিরে পেতে চাই।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারও শ্রীলঙ্কার মতো গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি হবে: মোশাররফ
তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশের যেকোনো উন্নত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলংয়ের বিচারিক আদালত একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়কে বহাল রাখেন। যা ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে খালাস দেয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবরে প্রথম শ্রেণির বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, ডিজি খারশিং-এর আদালত সালাহউদ্দিন আহমেদকে মামলায় খালাস দিয়েছিলেন এবং রাজ্য সরকারকে তার অবিলম্বে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন।
প্রায় দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিনকে ২০১৫ সালের ১১ মে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এ পাওয়া যায়।
কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিদেশি আইইনে মামলা হয়েছে।
পরে শিলং পুলিশ মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
তবে বিএনপি দাবি করেছে যে সালাহউদ্দিনকে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা, যারা নিজেদের গোয়েন্দা পরিচয় দেয়।
আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
১০০১ দিন আগে