দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
ফখরুল-খসরু জামিনে মুক্ত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে বন্দী থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জামিনের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর পর বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে তারা কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মী ও দলের শীর্ষ দুই নেতার স্বজনরা জেলগেটে এই দুজনকে অভ্যর্থনা জানান।
শায়রুল বলেন, কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তারা স্বজনদের নিয়ে সরাসরি নিজ নিজ বাসভবনে যান।
আরও পড়ুন: আজ মুক্তি পেতে পারেন ফখরুল-খসরু
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় মির্জা ফখরুল ও খসরুকে জামিন দেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের তাদের জামিন আবেদন শুনানির পর মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল, খসরুসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি ও খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল ও ৩ নভেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খসরুকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-খসরুর জামিন
১০ মাস আগে
শপথ নিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা বুধবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নিয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবনে পৌঁছানোর পর সকাল ১১টার দিকে সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন।
সংবিধানের ১৪৮ (২ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে, সরকারি গেজেটে নির্বাচনের ফল প্রকাশের ৩ দিনের মধ্যে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হবে, অন্যথায় তাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে ১১ জানুয়ারি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের ওপর ২৯৮ জন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের বিবরণসহ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ২২২টি আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেন।
প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।
নওগাঁ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানকার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আসনটিতে নির্বাচনের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের কারণে ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বুধবার
১১ মাস আগে
২১ আসনে ৬০ শতাংশের বেশি ও ৫২টিতে ৩০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে: ইসির পরিসংখ্যান
রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার উপস্থিতি ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ হলেও নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ২১টি আসনে ৬০ শতাংশের বেশি এবং কমপক্ষে ৫২টি আসনে ৩০ শতাংশেরও কম ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য থেকে এ চিত্র দেখা গেছে।
যেখানে দেখা যায়, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে সর্বোচ্চ ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। যে আসন থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়েছেন।
সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ঢাকা-১৫ আসনে ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন।
প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির বর্জনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২২২টি আসন পায় এবং জাতীয় পার্টি পায় মাত্র ১১টি আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ৬২টি আসনে।
এছাড়া বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে: সিইসি
এদিকে, ময়মনসিংহ-৩ আসনের নির্বাচনের ফল স্থগিত করা হয়েছে।
দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে রবিবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়, কারণ নওগাঁ-২ আসনের বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন কমিশন এর আগে নির্বাচন স্থগিত করে।
৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে এমন পাঁচটি আসন হলো: গোপালগঞ্জ-৩ (৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ; শেখ হাসিনা), গোপালগঞ্জ-২ (৮৩ দশমিক ২০ শতাংশ; আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলুল করিম সেলিম), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (৭৬ শতাংশ; আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ বি তাজুল ইসলাম), চট্টগ্রাম-৬ (৭৩ দশমিক ২৪ শতাংশ; আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী) এবং সিরাজগঞ্জ-১ (৭২ দশমিক ৩২ শতাংশ; আওয়ামী লীগ প্রার্থী তানভীর শাকিল জয়)।
নওগাঁ-১, বাগেরহাট-১, বাগেরহাট-২, বাগেরহাট-৪, বরিশাল-১, জামালপুর-১, ময়মনসিংহ-১০, ফরিদপুর-৪, গোপালগঞ্জ-১, মাদারীপুর-১, কুমিল্লা-৭, কুমিল্লা-৮, ফেনী-২, নোয়াখালী-৬, চট্টগ্রাম-৭ ও বান্দরবান আসনে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।
গোপালগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রতীকে শেখ ফজলুল করিম সেলিম সর্বোচ্চ ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯১ ভোট পেয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ-১ আসনে তানভীর শাকিল জয় পেয়েছেন ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭১ ভোট।
জামালপুর-৩ আসনে মির্জা আজম পেয়েছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৩ ভোট এবং রাঙ্গামাটি আসনে দীপংকর তালুকদার পেয়েছেন ২ লাখ ৭১ হাজার ৩৭৩ ভোট।
ঢাকা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন সর্বনিম্ন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
৪০ হাজারেরও কম ভোট পেয়েও জয়ী প্রার্থীরা হলেন: চাঁদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের শফিকুর রহমান (৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট), নীলফামারী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন পাভেল (৩৯ হাজার ৩২১ ভোট) এবং ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের কামাল আহমেদ মজুমদার (৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট)।
ঢাকা-১৫ (১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ), ঢাকা-১৭ (১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ), ঢাকা-৮ (১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ), সিলেট-১ (১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ) এবং ঢাকা-১৬ (১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ) - এই ৫টি আসনে ২০ শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে। সিলেট-১ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় কম ভোটার উপস্থিতি নিয়েও বিজয়ী হয়েছেন।
জিএম কাদের রংপুর-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যেখানে ভোট পড়েছে মাত্র ২২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ভোট পড়েছে ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মুজিবুল হক।
যে সব আসনে ২০-২৯ শতাংশ ভোট পড়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- রংপুর-৩, কুড়িগ্রাম-১, কুড়িগ্রাম-২, কুড়িগ্রাম-৩, গাইবান্ধা-১, গাইবান্ধা-৩, বগুড়া-২, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, রাজশাহী-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৫, ময়মনসিংহ-৫, ময়মনসিংহ-৬, ময়মনসিংহ-৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-৪, ঢাকা-৫, ঢাকা-৬, ঢাকা-৭, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১১, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৮, ঢাকা-১৯, গাজীপুর-২, সিলেট-৫, সিলেট-৬, হবিগঞ্জ-১, চাঁদপুর-৩, চাঁদপুর-৪, নোয়াখালী-৩, নোয়াখালী-৪, লক্ষ্মীপুর-১, লক্ষ্মীপুর-৩, লক্ষ্মীপুর-৪, চট্টগ্রাম-৫, চট্টগ্রাম-৮, চট্টগ্রাম-১০, চট্টগ্রাম-১১, চট্টগ্রাম-১৫ ও কক্সবাজার-১।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ২৯৮টি আসনে ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৪১টি আসনের মধ্যে মোট ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৭টি ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
১১ মাস আগে
প্রতিকূলে দাঁড়িয়েও স্বতন্ত্র ৪ নারী প্রার্থীর জয়
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে মাত্র চারজন নারী জয়লাভ করতে সমর্থ হয়েছেন। এসব নারী প্রার্থীর জন্য এটি ছিল একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। অনেক আসনে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন দলের নেতা-কর্মীরাও।
যারা জয় পেয়েছেন তারা হলেন- হবিগঞ্জ -১ আসনে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া, সুনামগঞ্জ-২ আসনে জয়া সেন গুপ্তা, মাদারীপুর-৩ আসনে তাহমিনা বেগম ও গাইবান্ধা -১ আসনে আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার।
হবিগঞ্জ-১:
দলের সমর্থন ছাড়াই হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেয়া। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (ঈগল) প্রতীকে ৭৫ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু (লাঙ্গল) প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭০৩। ৪৪ হাজার ৩৪৯ ভোটের ব্যবধানে সাবেক এমপি মুনিম চৌধুরী বাবুকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়ে চমক দেখিয়েছেন তিনি।
মাদারীপুর-৩ :
মাদারীপুর-৩ (সদর একাংশ, কালকিনি ও ডাসার) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান ওরফে গোলাপকে ৩৪ হাজার ৬৬২ ভোটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছেন তাহমিনা বেগম।
স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) তাহমিনা বেগম পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোবহান পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট। বিজয়ী তাহমিনা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
মাদারীপুর-৩ আসনে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আবদুস সোবহান গোলাপ ও তাহমিনা বেগম ছাড়াও রয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী প্রবীণ হালদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী নিতাই চক্রবর্তী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী নকুল কুমার বিশ্বাস, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল খালেক এবং জাকের পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন।
সুনামগঞ্জ-২:
আওয়ামী লীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ওরফে আল আমিন চৌধুরীকে পরাজিত করেছেন।
স্থানীয়ভাবে ঘোষিত নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, জয়া বর্তমান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের ছোট ভাই মাহমুদকে প্রায় ৮ হাজার ভোটে পরাজিত করেছেন।
নৌকা প্রতীকে মাহমুদ পেয়েছেন ৪২ হাজার ৭৫ ভোট। অন্যদিকে কাঁচি প্রতীকে জয়া পেয়েছেন ৫০ হাজার ২৯৫ ভোট।
গাইবান্ধা -১
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দুইবারের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে হারিয়ে মায়ের আসন উদ্ধার করলেন মেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার।
বেসরকারি ফলাফলে ঢেঁকি প্রতীকে নাহিদ নিগার পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট।
ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফরুজা বারীর মেয়ে। নাহিদ নিগার এই আসনের প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ভাগনি।
জোটগত সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় গাইবান্ধা-১ আসন। এ কারণে নৌকার মনোনয়ন পেয়েও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হয় আফরুজা বারীকে। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও মেয়ে নাহিদ নিগার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়।
ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ নিগারসহ আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১০ প্রার্থী। এর মধ্যে জাসদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টিসহ দলীয় ৬ জন প্রার্থী। বাকি চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ২০১৭ সালের উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও লাঙ্গল প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৬০ জন।
১১ মাস আগে
সালমান এফ রহমান আবারও বিজয়ী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালমান ফজলুর রহমান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে ছাড়াও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে: সালমান এফ রহমান
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৪৬ ভোট এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা রহমান পেয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৭১ ভোট।
আরও পড়ুন: আ. লীগ দেশের উন্নয়ন করছে, বিএনপি মানুষ পোড়াচ্ছে: সালমান এফ রহমান
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়।
আরও পড়ুন: সেরা করদাতা সম্মাননা-ট্যাক্স কার্ড পেলেন সালমান এফ রহমান
১১ মাস আগে
মানিকগঞ্জ-৩: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নির্বাচিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মালেক নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ৬৭ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মফিজুল ইসলাম খান পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৩ ভোট।
আরও পড়ুন: মা-শিশুর মৃত্যুহার কমাতে ৫০০ সরকারি স্বাস্থ্য ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা সেবা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে
ভোলার চারটি আসনেই জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলার চারটি আসনেই জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
ভোলা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৯ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) শাহজাহান মিয়া লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৮০ ভোট।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা বুধবার
এছাড়া ভোলা-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলী আজম মুকুল ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী মো.
ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপা সমর্থিত মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮১৫ ভোট।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল
ভোলা-৪ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব পেয়েছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৪৩৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫ হাজার ৯১৮ ভোট।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলের বর্জনের মধ্যে রবিবারের নির্বাচনে জয় পেতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ
১১ মাস আগে
মাগুরা-১ আসনে ১ লাখ ৪০ হাজার ভোটে নির্বাচিত সাকিব আল হাসান
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও বিশ্বখ্যাত অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
রবিবার(৭ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় সমাপ্ত হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেন সাকিব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডভোকেট রেজাউল হাসান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৩৩ ভোট।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: জবাবে যা বললেন সাকিব
সকালে মাগুরার দড়িমাগুড়া স্কুল কেন্দ্রে বাবা মাসরুর রেজা ও বোন বৃষ্টিকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দেন সাকিব।
সাইফুজ্জামান শিখর মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য হলেও এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচনে সাকিবকে সমর্থন দেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী: ভোট দেওয়ার পর সাকিব
এছাড়া জাতীয় পার্টির সিরাজুস সায়েম সাইফ, তৃণমূল বিএনপির সঞ্জয় কুমার রায়, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এম মোতাসিম বিল্লাহ সাকিব আল হাসানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাকিব
১১ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন: হ্যাটট্রিক করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া উপজেলা) আসন থেকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আইনজীবী আনিসুল হক।
আনিসুল হক পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকের শাহীন খান পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট।
আরও পড়ুন: অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৪ ভোট। দুই উপজেলার ১১৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, আইনমন্ত্রী এই আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এই ভোট গণতন্ত্র রক্ষার ভোট: আইনমন্ত্রী
পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী
১১ মাস আগে
কড়া নিরাপত্তা ও পরিবহন বিধিনিষেধের মধ্যে নির্বাচনের দিন ঢাকার রাজপথে নীরবতা
বাংলাদেশ জুড়ে যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলছে, তখন ঢাকার সাধারণত ব্যস্ত সড়কগুলোতে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেছে। শহরজুড়ে দেখা গেছে নিরবতার ছোঁয়া।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচনের প্রতিবাদে শনিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও এর সহযোগী দলগুলো।
নির্বাচনের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই দিনটিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী গণপরিবহনের সংখ্যা সাধারণ দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল।
ঢাকার বাসিন্দারা তাদের নিকটতম ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য হেঁটে বা রিকশা ব্যবহার করে গিয়েছেন। এমনকি অন্যদিনের তুলনায় রিকশার সংখ্যাও কম দেখা গেছে।
রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, রামপুরা, বনানী, মহাখালী, শান্তিনগর, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, শাহবাগ, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহনের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকার সড়কে টহল দিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত শহরে কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
শপিংমল, মার্কেট ও প্রধান সড়কের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও আবাসিক এলাকার কিছু মুদি দোকান জনসাধারণের জন্য খোলা থাকতে দেখা গেছে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত ৬ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৭ জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর এলাকায় ট্যাক্সি, পিকআপ ট্রাক, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে এসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
১১ মাস আগে