বাংলাদেশ জুড়ে যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলছে, তখন ঢাকার সাধারণত ব্যস্ত সড়কগুলোতে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেছে। শহরজুড়ে দেখা গেছে নিরবতার ছোঁয়া।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচনের প্রতিবাদে শনিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও এর সহযোগী দলগুলো।
নির্বাচনের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই দিনটিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী গণপরিবহনের সংখ্যা সাধারণ দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল।
ঢাকার বাসিন্দারা তাদের নিকটতম ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য হেঁটে বা রিকশা ব্যবহার করে গিয়েছেন। এমনকি অন্যদিনের তুলনায় রিকশার সংখ্যাও কম দেখা গেছে।
রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, রামপুরা, বনানী, মহাখালী, শান্তিনগর, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, শাহবাগ, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহনের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকার সড়কে টহল দিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত শহরে কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
শপিংমল, মার্কেট ও প্রধান সড়কের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও আবাসিক এলাকার কিছু মুদি দোকান জনসাধারণের জন্য খোলা থাকতে দেখা গেছে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত ৬ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৭ জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর এলাকায় ট্যাক্সি, পিকআপ ট্রাক, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে এসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।