ইউপিডিএফ
রাঙ্গামাটিতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফের কালেক্টর নিহত
রাঙ্গামাটিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কালেক্টর নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার মানিকছড়ির সাপছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রূপান্ত চাকমা ওরফে লেজা (৪৭ ) খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের লক্ষ্মী চন্দ্র চাকমার ছেলে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইউপিডিএফ সদস্য রুপান্ত চাকমা ওরফে লেজা চাকমা সাংগঠনিক কাজে যাওয়ার সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
ঘটনার পর পরই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মানিকছড়ি দক্ষিণ দিকে চলে যায়।
তবে তারা কোন দলের লোক, তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল আমিন জানান, মানিকছড়ির সাপছড়িতে গোলাগুলির ঘটনার খবর পেয়েছি।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম রওনা দিয়েছেন। তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে এই ঘটনার কথা স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসকে দায়ী করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউপিডিএফ।
তবে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, যুবক নিহত
চাঁদপুরে অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর মধ্যে হওয়া গোলাগুলিতে আটজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি পল্লী খামতং পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- লাল ঠাজার বম, সানপিথের থাং বম, ভানলাল দুহ বম ও লাললিয়ান ঙাক বম।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
তিনি বলেন, গত দুই দিন ধরে খামতং পাড়ায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। শুক্রবার সকালে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা ওই পাড়াতে কয়েকটি লাশ পড়ে আছে এমন খবর দেয়ার পর, দুপুর একটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, তবে লাশগুলো কোন গ্রুপের তা প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কেএনএফ পরিচালিত ফেইসবুক পোস্টে গোলাগুলিতে তাদের সাতজন সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ ও জেএসএস সদস্যরা সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়েছে
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত
খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় প্রতিপক্ষের গুলিতে এক ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিত খীসা গ্রুপের সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে দীঘিনালার দুর্গম কার্বারী টিলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ত্রিদিপ চাকমা ওরফে শিমুল (৪০)।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার দুর্গম কার্বারী টিলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ প্রসিত খীসা গ্রুপের ত্রিদীব চাকমা ওরফে শিমুল নামে এক সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিত খীসা গ্রুপের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অংগ্য চাকমা দাবি করেছেন, ইউপিডিএফ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট নামক একটি বিচ্ছিন্ন উপদলের সশস্ত্র লোকেরা গুলি চালিয়েছে।
এছাড়া, এই ঘটনার জন্য তারা নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।
ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমর চাকমা বলেন, ‘আমাদের কোনো সদস্য এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।’
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির ভূমিহীনরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি
খাগড়াছড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ ও জেএসএস সদস্যরা সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়েছে
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও জেএসএস (সন্তু লারমা) গ্রুপের সদস্যরা সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সন্তু লারমার নেতৃত্বে জেএসএস হলো সেই গোষ্ঠী যাদের সঙ্গে সরকার ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে সই করেছিল। ইউপিডিএফ চুক্তির 'সন্দেহ' প্রকাশ করে এক বছর পরেই পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের জন্য একটি দাপ্তরিক অবস্থান নিয়ে গঠিত হয়েছিল।
স্থানীয়দের মতে, রবিবার সন্ধ্যায় বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয় এবং প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে ব্যাপক উত্তেজনা অব্যাহত থাকে, এতে উভয় পক্ষ প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
গুলির শব্দে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গত মাসে একই স্থানে তিনটি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে সাজেক অঞ্চলের ইউপিডিএফ সমন্বয়কারী আর্জেন্ট চাকমা জানান, জেএসএসের ৩০ থেকে ৩৫ জন সশস্ত্র ক্যাডার ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর অতর্কিত গুলি ছুড়তে শুরু করলেও ইউপিডিএফ পাল্টা জবাব দিলে পালিয়ে যায়।
একাধিকবার চেষ্টা করেও এ ঘটনায় মন্তব্যের জন্য জেএসএস সন্তু লারমা দলের নেতা ত্রিদীপ চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সাংবাদিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত
রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার রাঙ্গিপাড়ায় বুধবার প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ছিনতাই, ২ পুলিশ গুলিবিদ্ধ
নিহত সুবাহু চাকমা ওরফে গিরি (৫৫) উপজেলার বিরাজ মোহন চাকমার ছেলে ও ইউপিডিএফের সহকারী পরিচালক।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন হালদার জানান, সকাল ৯টার দিকে ইউপিডিএফের কয়েকজন সদস্য গিরির ওপর গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
ঘটনা তদন্তে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার কারণ জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
রাঙামাটিতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ সদস্য আটক
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার খারিকক্ষ্যং এলাকা থেকে শুক্রবার ভোরে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আটক প্রশান্ত তঞ্চঙ্গ্যা (৫২) ইউপিডিএফের সক্রিয় সদস্য।
নানিয়ারচর জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রুবাইয়াত হুসাইন পিএসসি জানান, শুক্রবার ভোররাতে খারিকক্ষ্যং এলাকার গুইছড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রশান্তকে আটক করা হয়।
এসময় তার কাছে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ওয়াকি-টকি, চারটি নোটবুক ও চাঁদাবাজি রশিদের একটি কপি জব্দ করা হয়।
প্রশান্ত চাঁদাবাজি ও খুনের সঙ্গে জড়িত বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
পরে তাকে রাঙামাটি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, আটক প্রশান্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পড়ুন: কেরানীগঞ্জে অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে অনলাইন জুয়ারি আটক
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র চিফ কালেক্টর আটক, বিদেশি পিস্তল, বুলেট, ম্যাগাজিন জব্দ
খাগড়াছড়িতে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চিফ কালেক্টর স্বপন চাকমাকে (৪০) আটক করা হয়েছে।
পানছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটকের সময় বিদেশি পিস্তল, বুলেট ও ম্যাগাজিন জব্দের দাবি করেছে সেনাবাহিনী।
আটক স্বপন চাকমা খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সাত ভাইয়াপাড়া এলাকার সন্তোষ বিকাশ চাকমার ছেলে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ৩০ বীর খাগড়াছড়ি সেনাবাহিনীর টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন রাফিদ-ই-মাওলা সাকিবের নেতৃত্বে পানছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকা থেকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড বুলেট, একটি ম্যাগাজিন, নেশা জাতীয় ওষুধ ও আদায়কৃত চাঁদার ৩৭৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।ি
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ২০
স্বপন চাকমা ২০১৬ সাল থেকে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন) মূল দলের সঙ্গে জড়িত বলে জানান।
খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, খাগড়াছড়ি জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় কোন ধরনের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজের স্থান নেই। এ অঞ্চলের মানুষ যাতে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে সে লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি সদর সেনা জোনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে তিনি পাহাড়কে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধ পরিকর করে মন্তব্য করেন।
অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ মূল দলের চিফ কালেক্টর স্বপন চাকমাকে আটক এর সত্যতা নিশ্চিত করে খাগড়াছড়ি সদর থানার এসআই আবু হানিফ ও মো. সালেহ উদ্দিন জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়। আটক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে এএসআই স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনী বাবরের ছত্রচ্ছায়ায় পরিচালিত হতো: পুলিশ
ক্যাপ্টেন গাজী হত্যা মামলা: ইউপিডিএফ নেতা জ্ঞানময় চাকমা গ্রেপ্তার
রাঙ্গামাটির নানীয়ারচর থেকে ক্যাপ্টেন গাজী হত্যা মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি ও ইউনাইটেট পিপলস ডেমোক্রেটিকস ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)এর কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জ্ঞানময় চাকমাকে (৫২)গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাকে নানীয়ারচর থানায় হস্থান্তর করে সেনাবাহিনী।
এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় রাঙ্গামাটি রিজিয়নের ঘাগড়া আর্মি ক্যাম্প পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে নানীয়ারচর হাজাছড়ি থেকে জ্ঞানময় চাকমাকে আটক করা হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী আটক ব্যক্তির নাম জ্ঞানময় চাকমা, বয়স-৫২। তবে অন্য অনেকের কাছে তিনি প্রগতি চাকমা/ কানুনগো এবং দলীয় সংগঠনগুলোর কাছে পরিত্রাণ/জিদং/গম্ভীর নামে পরিচিত বলে জানা যায়। তার স্থায়ী ঠিকানা- উত্তর হাতিমারা, বুড়িঘাট, নানিয়ারচর, রাঙ্গামাটি।
আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় শটগান, একটি মেগাফোন, তিনটি মোবাইল, জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ববি ছাত্রী লাঞ্ছিত: র্যাবের হাতে ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
অপারেশন পরিচালনার সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তার সঙ্গে থাকা তিন-চারজন সশস্ত্র দেহরক্ষী পালিয়ে যায়।
তদন্তকালে জানা যায়, প্রগতি চাকমা আনুমানিক ১৬-১৭ বছর বয়সে শান্তি বাহিনীতে যোগ দেন। কিন্তু ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তির আলোকে শান্তি বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও তিনি আত্মসমর্পণ না করে কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে পুনরায় জেএসএস এর সশস্ত্র কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন।
পরবর্তীতে ২০০৩ সালে জানুয়ারি মাসে ঘিলাছড়ি এলাকায় সাব-পোস্ট পরিচালক হিসেবে ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র দলে যোগ দেন তিনি। ঘিলাছড়ি এলাকায় সাব-পোস্ট পরিচালক ও প্লাটুন কমান্ডার থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালে ক্যাপ্টেন নুরুল গাজী হত্যায় সরাসরি নেতৃত্ব দেন তিনি। ওই ঘটনায় নানীয়ারচর থানায় একটি মামলা হয়। জ্ঞানময় চাকমার নাম এ মামলায় ৬ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও তিনি রাঙ্গামাটির লংগদু থানায় অন্য একটি মামলায়ও অভিযুক্ত হন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গ্রেপ্তার ৭, অস্ত্র ও মাদক জব্দ
সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার কাউন্সিলরের
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ৪ সদস্য আটক: অস্ত্র, গুলি উদ্ধার
রাঙামাটিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইউপিডিএফের (মূল) সশস্ত্র শাখার চারজন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকালে রাঙামাটি সদর সেনা জোন এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আটকরা হলেন, সুরেন চাকমা, অসিং চাকমা, অনিল চাকমা, সাইমন চাকমা।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি একে-২২ রাইফেল, ৭৭ রাউন্ড এ্যামুনিশন, ম্যাগাজিন, ওয়াকিটকি সেট, সোলার চার্জার, চাঁদা সংগ্রহের রশিদ বই, চারটি মোবাইল সেট, হাত ঘড়ি, ভূয়া আইডি কার্ড, রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান সম্বলিত ব্যানার, নগদ ৬৩ হাজার ৫৯২ টাকা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পার্বত্য অঞ্চলের সশস্ত্র চাঁদাবাজদের ধরতে রাঙামাটি রিজিয়ন সদর জোন কর্তৃক বরকল উপজেলার দুর্গম ছোট কাট্টলী এলাকার গভীর জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বরকল থানায় হস্তান্তর করা হবে।
আটকরা দীর্ঘদিন ধরে রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টি করে আসছিল এবং তারা ইউপিডিএফের (মূল) সশস্ত্র শাখার সক্রিয় সদস্য বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
দীঘিনালায় সাবেক ইউপিডিএফ’র সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সাবেক সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে তাকে উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত অমর জীবন চাকমা (৪০) জেলার হাজাছড়া জোড়াব্রিজ এলাকার সুরেশ চন্দ্র চাকমার ছেলে। তিনি দীঘিনালার নোয়াপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নিহতের শ্বশুর বিজয় চাকমা জানান, রাতের খাবার খেয়ে জীবন চাকমা ঘুমিয়ে ছিলেন। কয়েকজন লোক ঘুম থেকে ডেকে তুলে পাশের গ্রাম দীঘিনালার বড়াদম পূর্ব খামারপাড়ায় নিয়ে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, অমর জীবন চাকমা ইউপিডিএফ (প্রসিত খীসা) দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তবে, গেল দুই বছর ধরে তিনি দলে নিস্ক্রিয় ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে প্রেস শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিয়ার আহমেদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’