ইউপিডিএফ
খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফের গুলি বিনিময়, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার দুর্গম জগাপাড়া এলাকায় ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়েছে। পরবর্তীতে, অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর’র (আইএসপিআর) এক ফেসবুক পোস্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
আইএসপিআর জানায়, অভিযানের অংশ হিসাবে আজ (শনিবার) সকালে টহল দল ইউপিডিএফ (মূল) দলের এক সন্দেহভাজন সক্রিয় সদস্যের বাড়িতে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনাকালে পাড়াতে অবস্থানরত ১৫-২০ জনের ইউপিডিএফ’র (মূল) একটি সশস্ত্র দলের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
কুকি-চিনের উত্থান বনাম বান্দরবানের পর্যটন: ক্ষতির পাহাড়
পরবর্তীতে, তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে উক্ত এলাকা হতে ০৮ রাউন্ড গুলিসহ ১টি রাশিয়ান পিস্তল, ২ টি ম্যাগাজিন, ২০০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১টি ওয়াকিটকি সেট ও ইউনিফর্মসহ আনুষাঙ্গিক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
তবে, এলাকার দুর্গমতার কারণে ইউপিডিএফ’র সশস্ত্র দলটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত সশস্ত্র সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় আইএসপিআর।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সব জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর এবং ভবিষ্যতেও সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
৭৫ দিন আগে
রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার
রাঙ্গামাটির বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযানে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এসময় একে ৪৭ ও রাইফেলসহ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ভোর ৫টা বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নের মাচালং নরেন্দ্র কারবারি পাড়ায় সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এসময় তল্লাশি চালিয়ে, একটি একে-৪৭ রাইফেল, ৩টি রাইফেল, ১টি এলজি, শতাধিক গোলাবারুদ, বেশ কয়েকটি ওয়াকিটকি, স্পাই ক্যামেরাসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এই তথ্য জানিয়েছে।
পড়ুন: ৫ আগষ্টের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র: নাহিদ ইসলাম
আইএসপিআর জানায়, রাঙ্গামাটির বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযানকালে ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। এসময় একে-৪৭সহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
তবে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন।
১২৮ দিন আগে
খাগড়াছড়ি থেকে চবির ৫ শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে
পার্বত্য চট্টগ্রামের সামাজিক উৎসব বৈসাবি উপলক্ষে খাগড়াছড়ি বেড়াতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীসহ ছয় জনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ প্রসীত) গ্রুপকে দায়ী করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে টমটম চালকসহ তাদের অপহরণ করা হয়।
অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগ ও একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো। এরা সবাই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীরা বিজু উৎসব উপলক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে বেড়াতে যায়। বিজু উৎসব শেষে গতকাল ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার উদ্দেশে বাঘাইছড়ি থেকে দিঘীনালা হয়ে খাগড়াছড়ি সদরে চলে আসে। ঐদিন চট্টগ্রামগামী বাসের টিকিট না পাওয়ার কারণে তারা পাঁচজন খাগড়াছড়ি শহর থেকে কিছু দূরে কুকিছড়া নামক জায়গায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত্রি যাপন করে। সেখান থেকে আজ সকালে টমটম গাড়ি যোগে খাগড়াছড়ি সদরে আসার পথে গিরিফুল এলাকায় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদের গাড়ি আটকায় এবং টমটম গাড়ির ড্রাইভারসহ ৫ জন শিক্ষার্থীকে সেখান থেকে অজ্ঞাত স্থানে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ‘অপহরণের’ কায়দায় তুর্কি শিক্ষার্থীকে তুলে নিল মার্কিন পুলিশ
পিসিপি'র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা অপহরণ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত) অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে জানিয়েছেন তিনি।
রিবেক চাকমা সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে অপহৃত পাঁচজন শিক্ষার্থীর মধ্যে রিশন চাকমা পিসিপির (জেএসএস) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য বলে জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে অবিলম্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত পাঁচজন শিক্ষার্থী ও ড্রাইভারকে সুস্থ শরীরে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। একইসাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট( ইউপিডিএফ) প্রসীত গ্রুপের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, আমরা সব সময় ভ্রাত্রিঘাতি সংঘাত, হানাহানি বন্ধের কথা বলে আসছি। সেখানে এমন ঘটনায় জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না। এই ঘটনায় ইউপিডিএফকে জড়ানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন বলেও জানান তিনি।
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অপহরণের ঘটনার কথা শুনেছেন। তবে থানায় এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।
২৩২ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহত, নারী আহত
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফের প্রসীত খীসা গ্রুপের একজন সদস্য নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ৭টায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত অস্তিন ত্রিপুরা স্থানীয় বাসনা ত্রিপুরার ছেলে। এছাড়াও তার বোন তারাপতি ত্রিপুরা আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকাল ৭টার দিকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এলাকায় ঢুকে এই হামলা চালিয়েছে। ঘটনাস্থলেই অস্তিন ত্রিপুরা নিহত ও তারাপতি ত্রিপুরা আহত হন।
ইউপিডিএফ প্রসীত খীসা গ্রুপের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (সন্তু গ্রুপ) দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় ইউপিডিএফয়ের একটি সাংগঠনিক দল অবস্থান করছিল। আগে থেকে সুযোগের সন্ধানে থাকা জনসংহতির সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর গুলি করে পালিয়ে যান। এ সময় গুলিতে অস্তিন ত্রিপুরা নামে তাদের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে লুণ্ঠিত মালামালসহ ডাকাত আটক
অবশ্য এ ব্যাপারে জনসংহতি সমিতির কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়ায় পুলিশ এ বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা রেজা বলেন, ‘এমন ঘটনার খবর শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়ায় ঘটনার সত্যতা কিংবা হতাহতের পরিচয় সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।’
২৬১ দিন আগে
রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফ-জেএসএস গোলাগুলিতে নিহত ১
রাঙ্গামাটির মানিকছড়িতে পার্বত্যাঞ্চলের পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের সঙ্গে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) গোলাগুলির ঘটনায় এক ইউপিডিএফ সদস্য নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটি জেলার মানিকছড়ি খামারপাড়া তৈমিদুং এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউপিডিএফ সদস্যের নাম নির্মল চাকমা।
আরও পড়ুন: ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের গোলাগুলি, আহত ৮
এই বিষয়ে ইউপিডিএফের মুখমাত্র অংগ্য মারমা বলেন, জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সদস্যদের হামলায় আমাদের একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাহেদ উদ্দীন জানান, মানিকছড়িতে ইউপিডিএফ-জেএসএস গোলাগুলিতে ইউপিডিএফের একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। স্থানীয় ইউপি মেম্বার আমাকে নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিস্তারিত জানাতে পারব।
২৬৪ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের ৩ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছেন।
বুধবার উপজেলার শান্তিরঞ্জন পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সিজন চাকমা, শাসন ত্রিপুরা ও জয়েন চাকমা।
ইউপিডিএফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ১০টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের তিন নেতাকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যুবককে গুলি করে হত্যা
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, তারা গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন, তবে দুর্গম এলাকায় হত্যাকাণ্ড ঘটায় লাশ উদ্ধার করতে সময় লাগবে।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করেছে ইউপিডিএফ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা
৪০১ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে হত্যা
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক জুনেল চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২৭ জুলাই) ভোরে কবাখালী ইউনিয়নের শান্তি বিকাশ কার্বারি টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় জুনেল কাঙারীমা ছড়ায় মাস্টার ললিত চাকমার বাড়িতে ছিলেন।
নিহত জুনেল চাকমা (৩১) দীঘিনালা সদরের আমতলী গ্রামের তপ্ত কাঞ্চন চাকমার ছেলে। তিনি ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের তারাবুনিয়া এলাকার সংগঠক ছিলেন। সম্প্রতি গণতান্ত্রিক যুবফোরাম থেকে ইউপিডিএফ’র সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
ইউপিডিএফ’র জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) গ্রুপ নব্য মুখোশধারীদেরকে দায়ী করে হত্যার বিচার দাবি করেছেন।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক জানান, হত্যার খবর শুনে লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে আনার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
৪৯৬ দিন আগে
রাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ করেছে ইউপিডিএফ
রাঙ্গামাটির লংগদুতে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর দুই সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রাঙ্গামাটিতে অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালন করছে ইউপিডিএফের সদস্যরা।
সোমবার (২০ মে) সকাল থেকে অবরোধের কারণে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে ইউপিডিএফের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কঠোরভাবে অবরোধ পালিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসচাপায় ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় উত্তপ্ত চুয়েট, কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
রাঙ্গামাটির লংগদুতে জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় ইউপিডিএফের সদস্য ও সমর্থককে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সোমবার সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেয় ইউপিডিএফ। ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এদিকে সংগঠনটি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করেছে।
এছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার লংগদুর বড় হাড়িকাবা এলাকায় জেএসএসের ৭ জনের একদল সন্ত্রাসী সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা ঘটনাস্থলে নিহত হন।
আরও পড়ুন: ফাইরুজের আত্মহত্যার ঘটনায় জবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী সাময়িক বরখাস্ত
নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
৫৬৩ দিন আগে
নানিয়ারচর-মহালছড়িতে ইউপিডিএফের দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর ও খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকায় ইউপিডিএফের দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ইউপিডিএফ (প্রসিত) গ্রুপের দুইজন কর্মী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও এক সদস্য।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহালছড়ির সীমান্তবর্তী পক্ষিমুড়া এলাকার দুরছড়ী গ্রামের একটি বাড়িতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহতরা হলেন-, রবি কুমার চাকমা (৬৫) ও শান্ত চাকমা ওরফে বিমল (৫২)। এই সময় রহিন্তু চাকমা ওরফে টিপন (পোষ্ট পরিচালক) গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: বাঘাইছড়িতে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,তিন ইউপিডিএফ সদস্য রবি কুমার চাকমা,শান্ত চাকমা ওরফে বিমল ও রহিন্তু চাকমা ওরফে টিপন সেখানের একটি বাড়িতে অবস্থান করছিল। এই সময় প্রতিপক্ষের অর্তকিত হামলায় রবি কুমার চাকমা ও শান্ত চাকমা (বিমল) মারা যায়।
তিনি আরও জানান, আহত রহিন্তু চাকমা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনার জন্য ঠ্যাঙাড়েরা ইউপিডিএফ সদস্যদের উপর গুলি চালালে এতে দু’জন নিহত হয় বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি এই হামলাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক বলে নিন্দা জানিয়ে হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করেছেন। তবে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এ হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে।
মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে পুলিশ রওনা দিয়েছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় পুলিশ এখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
সেখান থেকে তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
৬৮১ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৩ ইউপিডিএফ সদস্যকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী
খাগড়াছড়ির জেলার পানছড়ি থেকে অপহৃত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (প্রসীত গ্রুপ) ৩ সদস্যকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েলের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল লতিবান ইউনিয়নের তারাবনছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তাদের উদ্ধার করে পানছড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়।
সোমবার রাতে পানছড়ি উপজেলার পুজগাংয়ের প্রত্যন্ত অনিলপাড়ায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমাসহ ৪ জনকে হত্যা করে এবং ৩ ইউপিডিএফ সদস্যকে অপহরণ করে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন- ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের নিতী দত্ত চাকমা, হরি কমল ত্রিপুরা ও মিলন ত্রিপুরা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েল জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল এ অভিযান চালায়।
এক পর্যায়ে অপহৃতদের হাত বাঁধা ও মুখ ঢেকে থাকা অবস্থায় দেখতে পান তারা। উদ্ধার অভিযান শেষে অপহৃত ৩ জনকে পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আজম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপহরণকারীরা উদ্ধারকারী দলের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফের কালেক্টর নিহত
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
৭২১ দিন আগে