বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফের গুলি বিনিময়, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার দুর্গম জগাপাড়া এলাকায় ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়েছে। পরবর্তীতে, অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর’র (আইএসপিআর) এক ফেসবুক পোস্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
আইএসপিআর জানায়, অভিযানের অংশ হিসাবে আজ (শনিবার) সকালে টহল দল ইউপিডিএফ (মূল) দলের এক সন্দেহভাজন সক্রিয় সদস্যের বাড়িতে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনাকালে পাড়াতে অবস্থানরত ১৫-২০ জনের ইউপিডিএফ’র (মূল) একটি সশস্ত্র দলের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
কুকি-চিনের উত্থান বনাম বান্দরবানের পর্যটন: ক্ষতির পাহাড়
পরবর্তীতে, তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে উক্ত এলাকা হতে ০৮ রাউন্ড গুলিসহ ১টি রাশিয়ান পিস্তল, ২ টি ম্যাগাজিন, ২০০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১টি ওয়াকিটকি সেট ও ইউনিফর্মসহ আনুষাঙ্গিক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
তবে, এলাকার দুর্গমতার কারণে ইউপিডিএফ’র সশস্ত্র দলটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত সশস্ত্র সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় আইএসপিআর।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সব জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর এবং ভবিষ্যতেও সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
৭৫ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচনে সেনা মোতেয়েন করা হবে না: আইএসপিআর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতেয়েন করা হবে না বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, যা সেনাবাহিনীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এসব নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো দায়িত্বে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনসমূহ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে আশা প্রকাশ করা হয়।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাবি প্রশাসন জানায়, ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশপথে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীদের মধ্যে এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশাসন জানায়, ৮টি ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। প্রথম স্তরে বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসির সদস্য ও প্রক্টোরিয়াল টিম থাকবে। দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে। তৃতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশপথে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে।
এই সিদ্ধান্তের পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
৯৮ দিন আগে
আ. লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভিযোগে মেজর সাদিক সেনা হেফাজতে: সদর দপ্তর
আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সেনাবাহিনী মেজর সাদিককে হেফাজতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসে অফিসার্স মেস ‘এ’-তে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই অভিযোগের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। যদিও বিষয়টি তদন্তাধীন আছে, তারপরও আমি বলবো, এরকম একটা ঘটনার কথা জানার পরে সেনাবাহিনী তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে সেনাবাহিনীর প্রচলিত নিয়মে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তদন্ত চলমান থাকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা এই মুহূর্তে সমীচীন হবে না।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম বলেন, ইউপিডিএফ ও জেএসএসসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এটি নতুন কিছু নয়। সেনাবাহিনী এসব নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছে।
পড়ুন: উচ্চকক্ষের ১০০ সদস্য নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে, সিদ্ধান্ত এনসিসির
তিনি জানান, পার্বত্য অঞ্চলে কেবল সেনাবাহিনী নয়, সিভিল প্রশাসন, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। ‘সমন্বিতভাবে কাজ করলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি করা সম্ভব এবং সেটাই দরকার।’
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এবং তাদের সঙ্গে আরাকান আর্মির সম্পর্ক নিয়ে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম বলেন, ‘জাতিগত ও আদর্শিক মিল থাকায় কেএনএফ ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংযোগ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।’
তিনি জানান, কেএনএফ কিছু লজিস্টিক পরিবর্তন আনলেও তারা প্রভাব বিস্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের শক্তি অনেকটাই ক্ষয়প্রাপ্ত। এর আগে কেএনএফের সঙ্গে সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর আটজন সদস্য নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছিল।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে এমন ঘটনা কমে এসেছে। সেনা অভিযানে কেএনএফের অনেক সদস্য নিহত বা আহত হয়েছে এবং তাদের বেশ কয়েকটি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কেএনএফ বর্তমানে দুর্বল অবস্থায় আছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কেএনএফকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব এবং সেটাই প্রয়োজন। একটি স্বাধীন দেশে কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর আধিপত্য অগ্রহণযোগ্য।’
১২৬ দিন আগে
ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ, সেনাবাহিনীর কড়া জবাব
ভারতীয় গণমাধ্যম নর্থইস্ট নিউজে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ টু ডিক্লেয়ার কক্সবাজার টু বান্দরবান এরিয়া এজ এ মিলিটারি ওপারেসনস জোন’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
রবিবার (১ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই ধরনের সংবাদ ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমের পরিকল্পিত অপচেষ্টার অংশ, যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করা।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে’ বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, যা একেবারে ভিত্তিহীন, অসত্য ও এক ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ অপপ্রচার। প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের কাল্পনিক সংবাদ একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।’এটি জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও বিভেদ উসকে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও সংবিধান রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় স্বার্থে সেনাবাহিনী কখনোই আপস করেনি, আর ভবিষ্যতেও করবে না।আএসপিআর জানায়, ‘এ ধরনের বানোয়াট প্রতিবেদনকে সাংবাদিকতা বলা যায় না। এটি একটি সুপরিকল্পিত ও ধারাবাহিক কুৎসা রচনার অংশ। বাংলাদেশ সবসময় ঐক্যবদ্ধ থেকেছে। দেশের জনগণ ও ভূখণ্ড রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত ও দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
১৮৬ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিদেশি মিডিয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: আইএসপিআর
সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহল যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
রবিবার আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশে-বিদেশে সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করাই এর মূল লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য গ্রেপ্তার: আইএসপিআর
আইএসপিআর জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণ ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিদ্যমান আইন মেনে চলছে। একই সঙ্গে দেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার জন্য বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় কাজ করছে।
এসব স্বার্থান্বেষী মহল প্রচারিত এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংবাদে বিভ্রান্তি রোধে জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, দেশের স্বার্থ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
দেশজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবনতির মধ্যে, জনসাধারণকে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান এবং মূল স্থাপনাগুলো সুরক্ষিত করার জন্য ২০ জুলাই সকাল থেকে সেনাবাহিনীকে সুনির্দিষ্ট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নৈরাজ্য মোকাবিলায় সহায়ক হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান আইএসপিআরের
বান্দরবানে সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত: আইএসপিআর
৪৯৪ দিন আগে
সেনাপ্রধান শফিউদ্দিনকে বিদায়ী সংবর্ধনা
সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মার্ড কোর, কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট।
বুধবার বগুড়া সেনানিবাসের আর্মার্ড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের প্যারেড গ্রাউন্ডে তাকে বিদায়ী কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার উদ্দেশে কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে তার বিদায়ী বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমার আরও সচেষ্ট হবে বলে আশ্বাস বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের
শফিউদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি আধুনিক ও চৌকস বাহিনী হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
এসময় জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে তার গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ এর আলোকে একটি আধুনিক ও যুগোপযুগী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জামাদি।
বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুগোপযুগী প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারসহ প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করেন।
পাশাপাশি তিনি কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
বিদায়ী সেনাপ্রধান আশা করেন, আর্মার্ড কোর, ইঞ্জিনিয়ার্স কোর এবং ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে উন্নতি ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে।
এর আগে সেনাপ্রধান বগুড়া সেনানিবাসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া।
উল্লেখ্য, তিনি গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ আর্মার্ড কোর, ২৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখ কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এবং ৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের 'কর্নেল কমান্ড্যান্ট' হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এর আগে তিনি ঘাটাইল সেনানিবাসে পৌঁছালে জিওসি ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও ঘাটাইলের এরিয়া কমান্ডার তাকে স্বাগত জানান।
পরে সেনাবাহিনী প্রধান ঘাটাইল এরিয়ার সব পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশে বিদায়ী দরবার গ্রহণ করেন এবং সবার সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিদায়ী বিমান বাহিনী প্রধান আব্দুল হানান
এয়ারবাসের উড়োজাহাজ যুক্ত হচ্ছে বিমানের বহরে, জানালেন বিদায়ী এমডি
৫৪০ দিন আগে
সামরিক-অসামরিক প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: সেনাপ্রধান
সামরিক ও অসামরিক প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের প্রচলিত যে দায়িত্বগুলো পালন করে সেগুলো পালনের ক্ষেত্রে অসামরিক প্রশাসনের সহায়তা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি নিজেই এখানে এসেছি এটা ইনডিকেট করে যে আমি এটাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা সোনার বাংলা গড়ার যে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে এগুচ্ছি, সেখানে সামরিক প্রশাসনের সাথে অসামরিক প্রশাসন যদি একসঙ্গে কাজ না করে আমরা কিন্তু অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।
ডিসিদের কাছ থেকে কোন প্রস্তাব এসেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্পেসেফিক প্রস্তাব বলতে সেরকম কোন প্রস্তাব নেই। কিন্তু আমাদের যে সমস্ত সিভিল মিলিটারি রিলেশন বাড়ানোর ক্ষেত্রগুলো আছে সেগুলো আমরা আলোচনা করেছি। কিছু কিছু প্রস্তাব আছে যেগুলো এখনই বললে প্রিম্যাচুরড হয়ে যাবে। আমরা আরও একটু আলোচনা করে দেখব, তারপর ওটাকে বাস্তবায়ন করা যাবে।'
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পক্ষ থেকে যেকোন কাজ একসঙ্গে করার জন্য একটা পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভালো পরিবেশের জন্য ভালো সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। আমি ফোকাস করেছি যেন আমাদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি হয়। যতো কমিউনিকেশন হবে তবে কমিউনিকেশন গ্যাপ কম হবে। কমিউনিকেশন গ্যাপ যতো কম হবে ততো আমাদের কাজ করার সুবিধা হবে। এই কথাটা অন্যান্য বক্তব্যের সাথে এটাও বলেছি।'
নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, 'আমরা যে ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ করি তার মধ্যে প্রথম আমাদের দায়িত্ব হলো দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার পাশাপাশি ইন এইড সিভিল পাওয়ার আমরা নেশন বিল্ডিং একটিভিটিজ করি। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট করি। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা ল' ইনফোরমেন্টের সহায়তা করি। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামেও একটা বিশেষ ধরনের দায়িত্ব পালন করছি। আমরা এফডিএমএন ক্যাম্পে কক্সবাজারে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের কনস্টিটিউশনের মধ্যে থেকেই আমরা বিদেশেও দায়িত্ব পালন করছি।
তিনি বলেন, কুয়েতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বড় সংখ্যক সেনাবাহিনী কাজ করে। দেশের জন্য অনেক বিদেশি মুদ্রা নিয়ে আসছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বে এক নাম্বর শান্তিরক্ষা প্রেরণকারী দেশ হিসাবে জাতিসংঘে স্বীকৃত হয়েছি। এ সমস্ত কর্মকাণাড করার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি অসামরিক প্রশাসনের সহায়তা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেনাপ্রধান বলেন, অসামরিক প্রশাসন যখনই মনে করবে যে সরকারের নির্দেশনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের পাশে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবে আমরা তখনই তাদের ডাকে সাড়া দেবো এবং অবশ্যই তাদের পাশে বসে আমাদের দায়িত্ব পালন করব।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো দূরত্ব থাকবে না: সেনাপ্রধান
ডিসিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ২৪ দফা নির্দেশনা
১৪১৫ দিন আগে
সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (০৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা কীভাবে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক লভ্যাংশ সঠিকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে সে বিষয়ে কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের দক্ষতা বিকাশের জন্য তরুণদের প্রশিক্ষণে সহায়তা দিতে পারে এমন সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
ফারুক হাসান পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি এবং করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অভূতপূর্ব বাধা মোকাবিলা করে কীভাবে শিল্পটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে সে সম্পর্কে সেনাপ্রধানকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: ন্যায্য মূল্য ছাড়া ক্রয়াদেশ না নেয়ার আহ্বান বিজিএমইএ’র
বিজিএমইএ নেতারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে, বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তারা বলেন, মেগাপ্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হতে পারে।
সেনাপ্রধান এসময় পোশাক খাত যেভাবে করোনার মধ্যে অভূতপূর্ব প্রভাব মোকাবিলা করেছে এবং পুনরুদ্ধার করেছে তার প্রশংসা করেছেন। এছাড়াও এমন পরিস্থিতির মধ্যে শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে শ্রমিক ও উদ্যোক্তা উভয়ের সহনশীলতা ও অদম্য মনোভাবের কথা উল্লেখ করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মো.নাসির উদ্দিন ও পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব।
আরও পড়ুন: কানাডায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বিজিএমইএ
১৪৩১ দিন আগে
আল-জাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’শিরোনামে প্রচারিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে অসংখ্য ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে এবং এর ফলে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সোমবার একটি প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
১৭৫২ দিন আগে
বাংলাদেশে আল জাজিরা নিষিদ্ধের দাবি বিএফইউজে’র
কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার ধারাবাহিক ‘হলুদ সাংবাদিকতার’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশে চ্যানেলটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)।
১৭৬৩ দিন আগে