দণ্ডপ্রাপ্ত
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১৭ বছর পর গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব সদর দপ্তরের সহায়তায় গত রাতে (বৃহস্পতিবার) গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে আত্নগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা।
আব্দুল কুদ্দুস (৩৯) একই গ্রামের সিহাব আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, ২০০৬ সালের ২০ জুন বাগাতিপাড়া উপজেলার খাটখৈর গ্রামের ৮ বছরের শিশুকে বাদাম দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় একটি আখ খেতে নিয়ে যায় আব্দুল কুদ্দুস। এরপর শিশুটিকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশের অভিযোগপত্র ও প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পলাতক অবস্থায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ২
রাজশাহীতে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১
১ বছর আগে
ঢামেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ২ বন্দির মৃত্যু
কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ দুই বন্দির মৃত্যু হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সোমবার (১৯ জুন) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা: রাস্তায় লাফিয়ে পড়া সেই নারী পোশাককর্মীর মৃত্যু
মারা যাওয়া আসামিরা হলেন- মৃত লোকমান আলীর ছেলে আতাউর রহমান (৭০) ও আব্দুর রহিমের ছেলে জুয়েল (২৮)।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, অসুস্থ হয়ে পড়ায় কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রবিবার রাত ৮টার দিকে ওই দুই বন্দিকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আতাউর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারারক্ষী মো. নয়ন কাজী জানান, বিচারাধীন জুয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২টার দিকে মারা যান।
পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় অপারেশন থিয়েটারে রোগীর মৃত্যু, চিকিৎসককে মারধর
রাজশাহীতে বাসার ছাদে বজ্রপাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
১ বছর আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের হাইকোর্টে জামিন
জ্ঞাত আয়ের বাইরে তিন কোটি আট লাখ টাকার সম্পদ থাকার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় কারারক্ষী বাহিনীর বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তার দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর ৩০ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে বজলুর রশিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও আইনজীবী মাসহুদুল হক।
বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে দুদক জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর। ওই দিনই তাকে ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সংস্থাটি। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালেই মামলা করা হয় এবং বজলুর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদক গ্রেপ্তারের পর বজলুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়া ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডে প্রায় তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট কিনতে বজলুর রশীদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এ টাকা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সপক্ষে কোনো বৈধ উৎসও দেখাতে পারেননি তিনি। ফ্ল্যাট কেনার কোনো তথ্য তিনি আয়কর নথিতেও দেখাননি।
২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এছাড়া ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর জামিন পান তিনি।
বিচার শেষে গত বছরের ২৩ অক্টোবর এ মামলায় বজলুর রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বছরের ২ নভেম্বর বজলুর রশীদ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন। পাশাপাশি জামিনের আবেদন করেন তিনি।
গত বছরের ৩ নভেম্বর খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আর বুধবার তার জামিন শুনানি করে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।
তার আইনজীবী ব্যারিস্টার পল্লব জানিয়েছেন, এ মামলায় জামিন পাওয়ায় তারা কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই।
আরও পড়ুন: রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ময়মনসিংহের সেই শিশুকে ১৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
১ বছর আগে
নেত্রকোণায় খুনের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ১৫ বছর আগে খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার ভোর ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার চকচন্দ্রপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪।
গ্রেপ্তার মো. রতন (৩৮) নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আব্দুস সাহেদের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৪ জেলায় হত্যাসহ ১৪ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
শনিবার দুপরে র্যাব-১৪ এর মিডিয়া অফিসার জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ২০১৪ সালে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া এই আসামিকে শনিবার ভোর ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবার চকচন্দ্রপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, সোহাগপুর গ্রামে ২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন তোয়াজ্জেম নামের এক কৃষক। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে গলায় কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহত তোয়াজ্জেমের ছেলে আরিফ হাসান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে ছয় জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৭৪ জন গ্রেপ্তার
১ বছর আগে