ন্যাশভিল
কলাম্বাইন থেকে ন্যাশভিল: যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গণবন্দুক হামলায় নিহত ১৭৫
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস জুড়ে দোকান-বাজার, থিয়েটার ও কর্মক্ষেত্রে দুর্বৃত্তদের গণবন্দুক হামলায় কয়েকশ’ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
তবে দেশটির স্কুল ও কলেজে বন্দুক হামলায় কোমলমতী শিশুদের হত্যার ঘটনাগুলো সবচেয়ে মর্মস্পর্শী।
যদি দুর্বৃত্তের গুলিতে একসঙ্গে চার বা তার বেশি মানুষের মৃত্যু হয় তবে তাকে গণবন্দুক হামলা বলা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৯ সালে কলাম্বাইন হাইস্কুলের গণবন্দুক হামলা থেকে টেনেসির ন্যাশভিলে সোমবারের হামলা পর্যন্ত এ ধরনের ১৫টি ঘটনায় ১৭৫টি শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), ইউএসএ টুডে এবং নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সংকলিত তথ্যানুসারে এ প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।
দ্য কনভেন্ট স্কুলে ২০২৩ সালের মার্চে গণবন্দুক হামলায় ৬ জনের মৃত্যু
ন্যাশভিলের একটি প্রাইভেট খ্রিস্টান স্কুলে ২৮ বছর বয়সী এক নারী বন্দুকধারী দুটি রাইফেল এবং একটি পিস্তল নিয়ে তিনজন ছাত্র এবং তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। সন্দেহভাজন নারী পুলিশের গুলিতে মারা যান।
রব এলিমেন্টারি স্কুলে ২০২২ সালের মে মাসে গণবন্দুক হামলায় ২১ জনের মৃত্যু
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টেক্সাসের উভালদে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার একজন ১৮ বছর বয়সী বন্দুকধারীর হামলা চালিয়ে ১৯ শিশু এবং দুইজন প্রাপ্তবয়স্ককে হত্যা করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে।
অক্সফোর্ড হাইস্কুলে ২০২১ সালের নভেম্বরে গণবন্দুক হামলায় ৪ জনের মৃত্যু
মিশিগানের অক্সফোর্ড হাই স্কুলের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ওই স্কুলের চারজনকে গুলি করে হত্যা এবং একজনকে আহত করার অভিযোগ রয়েছে।
সান্তা ফে হাইস্কুলে ২০১৮ সালের মে মাসে গণবন্দুক হামলায় ১০ জনের মৃত্যু
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে একজন বন্দুকধারী হিউস্টন-এলাকার একটি হাইস্কুলে গুলি চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করেছে, যাদের অধিকাংশই ওই স্কুলের ছাত্র। ১৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে চকলেট কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ২, নিখোঁজ ৯
মার্জরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণবন্দুক হামলায় ১৭ জনের মৃত্যু
ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের স্কুলে এক হামলায় ১৪ জন ছাত্র এবং তিনজন স্টাফ সদস্য নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। হামলাকারীকে প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
ইউএমপিকিউইউএ কমিউনিটি কলেজে ২০১৫ সালের অক্টোবরে গণবন্দুক হামলায় ৯ জনের মৃত্যু
ওরেগনের রোজবার্গের স্কুলে এক ব্যক্তি ৯জনকে গুলি করে হত্যা করে এবং এসময় ৯জন আহত হয়। এরপর বন্দুকধারী নিজেও আত্মহত্যা করে।
মেরিসভিল-পিলচাক হাইস্কুলে ২০১৪ অক্টোবরে গণবন্দুক হামলায় ৪ জনের মৃত্যু
ওয়াশিংটন রাজ্যের মেরিসভিল-পিলচাক হাইস্কুলে ১৫ বছর বয়সী এক শিশু চারজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং এরপর সে নিজেও আত্মহত্যা করে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৪ সালের মে মাসে গণবন্দুক হামলায় ৬ জনের মৃত্যু
২২ বছর বয়সী এক কলেজছাত্র ক্যালিফোর্নিয়ার ইসলা ভিস্তাতে স্কুলের কাছে ছয়জন ছাত্রকে হত্যা করে এবং আরও অনেক জনকে আহত করে। সবশেষে তিনি নিজেও আত্মহত্যা করেন।
স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে গণবন্দুক হামলায় ২৭ জনের মৃত্যু
একজন ১৯ বছর বয়সী তরুণ কানেকটিকাটের নিউটাউনে তাদের বাড়িতে প্রথমে তার মাকে হত্যা করেছিল। তারপরে কাছের স্যান্ডি হুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ২০ জন প্রথম শ্রেণির ছাত্র এবং ছয়জন শিক্ষককে হত্যা করেছিল। এরপর তিনি নিজেও আত্মহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল ফ্লাইট বিধ্বস্ত, রোগীসহ নিহত ৫
ওইকস ইউনিভার্সিটিতে ২০১২ সালের এপ্রিলে গণবন্দুক হামলায় ৭ জনের মৃত্যু
ক্যালিফোর্নিয়ার ইস্ট ওকল্যান্ডের একটি ছোট বেসরকারি কলেজে সাবেক নার্সিং ছাত্র সাতজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। ২০১৯ সালে তিনি কারাগারে মারা যান।
উত্তর ইলিনয় ইউনিভার্সিটিতে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণবন্দুক হামলায় ৫ জনের মৃত্যু
একজন ২৭ বছর বয়সী প্রাক্তন ছাত্র আত্মহত্যা করার আগে ইলিনয়ের ডিকালবের স্কুলে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা এবং ২০ জনেরও বেশি মানুষকে আহত করেন।
ভার্জিনিয়া টেকে ২০০৭ সালের এপ্রিলে গণবন্দুক হামলায় ৩২ জনের মৃত্যু
২০০৭ সালের এপ্রিলে ভার্জিনিয়ার ব্ল্যাকসবার্গে ক্যাম্পাসে ২৩ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী ৩২ জনকে হত্যা করেছিল এবং আরও দুই ডজনেরও বেশি মানুষকে আহত করেন। এরপর বন্দুকধারী আত্মহত্যা করেন।
ওয়েস্ট নিকেল মাইনস অ্যামিশ স্কুলে ২০০৬ সালের অক্টোবরে গণবন্দুক হামলায় ৫ জনের মৃত্যু
পেনসিলভানিয়ার ল্যাঙ্কাস্টারের কাছে ৩২ বছর বয়সী এক লোক একটি অ্যামিশ স্কুল হাউসে ঢুকে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং পাঁচজনকে আহত করেন। এরপর আত্মহত্যা করেন।
রেড লেক হাইস্কুলে ২০০৫ সালের মার্চে গণবন্দুক হামলায় ৯ জনের মৃত্যু
১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী তার মিনেসোটার বাড়িতে দাদা ও তার বন্ধুকে হত্যা করে। এরপর কাছের রেড লেক হাইস্কুলে গিয়ে পাঁচজন ছাত্র, একজন শিক্ষক এবং একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা করে। এরপর আত্মহত্যা করে।
কলাম্বাইন হাইস্কুলে ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে গণবন্দুক হামলায় ১৩ জনের মৃত্যু
দুই শিক্ষার্থী কলোরাডোর লিটলটনের স্কুলে তাদের ১২ জন সহকর্মী এবং একজন শিক্ষককে হত্যা করে এবং আত্মহত্যা করার আগে আরও অনেককে আহত করে।
১ বছর আগে