প্রত্যাখান
ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার গুজব ও ভুয়া ভিডিও প্রত্যাখান দিল্লির
ফারাক্কা বাঁধ সম্পর্কে ভারত বলেছে, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করার জন্য ভুয়া ভিডিও, গুজব এবং ভীতি ছড়ানোর খবর দেখেছে তারা। যা সত্য দিয়ে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করা উচিত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'আমরা গণমাধ্যমে ফারাক্কা ব্যারেজ গেট খুলে দেওয়ার খবর দেখেছি, যার ফলে নদীর স্বাভাবিক গতিপথে ১১ লাখ কিউসেকেরও বেশি পানি গঙ্গা ও পদ্মা নদীতে প্রবাহিত হবে।’
তিনি বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে গঙ্গা নদীর অববাহিকায় প্রবাহ বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক মৌসুমি ঘটনা।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীর পানি ছাড়ার আগে আগাম বার্তা দেয়নি ভারত: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বুঝতে হবে যে, ফারাক্কা শুধু একটি ব্যারেজ মাত্র, বাঁধ নয়। যখনই পানির স্তর জলাশয়ের নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছায়, তখন পানির প্রবাহ অতিক্রম করে।’
তিনি বলেন, ফারাক্কা খালে ৪০ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত করার একটি কাঠামো মাত্র। এটি মূল গঙ্গা বা পদ্মা নদীর গেট দিয়ে সাবধানে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতে ভারসাম্যপূর্ণ পানি মূল নদীতে বাংলাদেশের দিকে প্রবাহিত হয়।
প্রটোকল অনুযায়ী নিয়মিত ও সময়মতো যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। এবারও তা করা হয়েছে বলে জানান মুখপাত্র।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ভিসা সেন্টারে বিক্ষোভ: নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি ভারতের
২ মাস আগে
সিলেট-৩ আসনে ফলাফল প্রত্যাখান দুলালের
নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, সন্ত্রাসী হামলা ও জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন সিলেট-৩ আসনের সতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।
তিনি রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকায় একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির ৪৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
পাশাপাশি ভোটের দিন বিকাল পৌনে ৪টায় সামগ্রিক অনিয়ম বিবেচনায় তিনি নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাহার করে নেন বলেও দাবি করেন।
ডা. দুলালের অভিযোগ, তার নির্বাচনি এলাকার প্রায় ৪৭টি ভোটকেন্দ্র থেকে ট্রাক প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। বিকাল ৩টার দিকে নৌকার এজেন্টরা নির্বাচন পরিচালনাকারীদের সহায়তায় জাল ভোট প্রদানের উৎসব শুরু করেন।
তাছাড়া ট্রাক প্রতীকের কর্মীদের মারধর, হুমকি প্রদান ও পেশীশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এসব বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করলেও তারা তা আমলে নেয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেট-২ আসন: পুনঃনির্বাচনের দাবি চার প্রার্থীর
লিখিত বক্তব্যে ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে বলেন, নির্বাচনি প্রচারকালে তার কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। পোস্টার, লিফলেট ছিঁড়ে ফেলা হয়। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে নৌকার প্রার্থীর কম্বল বিতরণ, স্কুলে অনুদানের ঘোষণা, তোরণ নির্মাণসহ নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার।
নির্বাচনের দিন দুপুর থেকেই শুরু হয় সন্ত্রাস আর জাল ভোটের উৎসব। সকাল থেকেই তার বিভিন্ন এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় ও কোনো কোনো জায়গায় ঢুকার পর বের করে দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় বালাগঞ্জের বোয়ালজুর বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানে বাধা দিলে তার একজন কর্মীকে নৌকার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে মারাত্মক জখম করে।
শুধু তাই নয় আক্রান্ত ব্যক্তিকে আটকে রেখে অন্যান্য এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। একই সময় বালাগঞ্জের বোয়ালজুড় ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা, ট্রাক এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কেন্দ্র্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন
সোনাপুর কেন্দ্রে সব এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়। নির্বাচন পরবর্তী এখন পর্যন্ত তার নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মীদের মারধর ও বাড়ি ছাড়া করার ঘটনা ঘটেছে। তিনি স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ফলাফল প্রত্যাখান করেন।
তিনি আরও বলেন, কামালবাজার জালালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটি নৌকার প্রার্থীর জন্য সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উক্ত কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কারণ নৌকার প্রার্থী নিজে প্রথম ভোট প্রদানের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শুরু করবেন সেজন্য এই অনিয়ম।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন
৯ মাস আগে
ইসির সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাকা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শনিবারের (৪ নভেম্বর) সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলছেন, এই সংলাপ লোক দেখানো। এটি কাঙ্ক্ষিত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো প্রকার ভূমিকা রাখবে বলে মনে হয় না।
আরও পড়ুন: মুক্তিকামী জনতাকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসতে হবে: ইসলামী আন্দোলনতিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজকের সংলাপে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, এই সংলাপ কাঙ্ক্ষিত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো প্রকার ভূমিকা রাখতে পারবে না।
দলটির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, প্রধান বিরোধী দলসহ অন্যান্য বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের জেলে রেখে সংলাপের আয়োজন লোক দেখনো ছাড়া আর কিছুই নয়। অনেক দলের সম্ভাব্য অনুপস্থিতির কথা জানার পরও এই সংলাপ এবং ইসির ভূমিকাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশ শুরুতাছাড়া নির্বাচনকালীন সরকারের রুপরেখা ঠিক না করে এই সংলাপ সরকারের একতরফার নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়ার শামিল হিসেবে গণ্য হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জাতীয় সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রুপরেখা প্রস্তাব করেছে। এধরনের ফলপ্রসূ কোন উদ্যোগ না নিয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে কোনো অবস্থাতেই সহায়ক হবে না।মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য ইসি যে আলোচনার আয়োজন করেছে, এতে কোনো কল্যাণ নেই।
নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
১১ মাস আগে
গ্রেপ্তার-তল্লাশির ক্ষমতা আনসারদের দেওয়ার সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাখান বিএনপির
সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেপ্তারের মতো কিছু পুলিশি ক্ষমতা আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের দিয়ে সাজানোর সরকারের পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার(২৪ অক্টোবর) নতুন প্রবর্তিত আইন আনসার ব্যাটালিয়ন বিল-২০২৩ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দলটি।
সোমবার সংসদে উত্থাপিত বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'গতকাল (সোমবার) সংসদে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। এটি কেবল গুরুতর উদ্বেগের কারণ নয়, আতঙ্কের বিষয়ও। এভাবেই তারা (সরকার) সমগ্র রাষ্ট্রব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে পুলিশই একমাত্র সংস্থা, যার অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রয়েছে। ‘কিন্তু আনসার, যাদের মৌলিক প্রশিক্ষণও নেই, তাদের এখানে (বাংলাদেশে) সেই ক্ষমতা দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশিং একটি ভিন্ন বিষয় এবং বাহিনীটি বিভিন্ন আইন, বিধি এবং ভিন্ন আচরণবিধির অধীনে পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, আনসার বাহিনীর ভূমিকা ও কার্যক্রম ভিন্ন এবং এটি একটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে আনসার বাহিনীর আধুনিকায়ন করেছিলেন।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার আনসার ব্যাটালিয়ন বিল-২০২৩ এনেছে বাহিনীকে রাজনীতিকরণের অংশ হিসেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এর নিন্দা জানাই এবং একই সঙ্গে বিলটি প্রত্যাহারের দাবি জানাই। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি যে এই বিলটি কোনোভাবেই পাস করা হবে না।’
বাংলাদেশ পুলিশের মতো অপরাধীদের আটক, দেহ তল্লাশি ও মালামাল জব্দের ক্ষমতা আনসার ব্যাটালিয়নকে দিয়ে একটি খসড়া আইন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
সংসদে কিছু বিরোধী দলীয় সদস্য বিলটির বিরোধিতা করে বলেছিলেন যে এটি বাংলাদেশ পুলিশের সমান্তরাল বাহিনী হিসাবে আনসার তৈরি করতে পারে।
বিদ্রোহ, বিদ্রোহে উস্কানিসহ বিভিন্ন অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বিতর্কিত বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীরিক্ষা কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। চলতি সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাস হলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনসার সদস্যরা তাদের নতুন ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
১ বছর আগে
বাইডেনের কাছে ৬ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠি: অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যাননের দেয়া চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, সেই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশন।
চিঠিতে লেখা দাবিকে ‘ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট’ বলে অভিহিত করে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশনের ৯ জুন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ছয় সদস্যের চলতি বছরের ১৭ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেনকে সম্বোধন করা চিঠিটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উক্ত চিঠির ১ পৃষ্ঠার ৩ অনুচ্ছেদে শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কথিত হ্রাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও চিঠিতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তবুও চিঠিতে উল্লেখিত অভিযোগ অস্বীকার করার কারণ আমাদের কাছে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র: কংগ্রেসম্যান মিকস
২০১১ ও ২০২২ সালের বাংলাদেশ আদমশুমারির তথ্য উদ্ধৃত করে সংস্থাটি জোড় দিয়ে বলেছে যে উভয় বছরে বৌদ্ধ জনসংখ্যার আকার প্রায় ০.৬১ শতাংশে স্থিতিশীল ছিল। তারা জোর দিয়েছিল যে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমলে আমরা বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় অন্যান্য ধর্মের মানুষের সঙ্গে শান্তি ও সম্প্রীতির সহবস্থান করছি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বর্তমান সরকার সময়েও।
তারা স্বীকার করেছে যে যখন সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলার বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সরকার তাৎক্ষণিক এবং দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, এই জাতীয় সমস্যাগুলো মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
এটির শেষে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল; কিন্তু আমাদের বর্তমান সরকার তাৎক্ষণিক এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা নিশ্চিত করছি যে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতির সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী।’
আরও পড়ুন: ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে অতিরঞ্জন ও অসঙ্গতি রয়েছে: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
ইসির অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান বিএনপির প্রত্যাখান
রাজনৈতিক সংকট নিরসনের ক্ষমতা না থাকায় নির্বাচন কমিশনের অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
তবে বিএনপিকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানোর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দলটি।
বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে তাদের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল কি জিয়ার লাশ দেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মঙ্গলবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আমন্ত্রণ জানিয়ে দলের মহাসচিবের কাছে পাঠানো চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক মনে করে যে-নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে মূল রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনও আলোচনা বা সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়। এমনকি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে চাইলেও সেই ক্ষমতা তাদের নেই।
ফখরুল বলেন, আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব (অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য) গ্রহণ করতে পারছে না।কারণ কমিশনের সঙ্গে এ ধরনের আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে মূল রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের কোনও সম্ভাবনা নেই।
২৩ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ফখরুলকে একটি ডেমি-অফিসিয়াল চিঠি পাঠিয়ে বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রণ জানান।
বর্তমান ইসি গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করলেও বিএনপি ও জোটের শরিকরা কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, তারা দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসিকে কোনো চিঠি পাঠাবেন না। তিনি আরও বলেন, আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে (সিইসি) আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছি। আমি আশা করি তিনি আমাদের মতামত গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ইসি ক্ষমতাহীন
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমার দেশ ও জনগণের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। তাই এমন ইসির সঙ্গে বসে কোনও লাভ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, সিইসি কোনও ডাকঘর নন যে আমরা সরকারকে দেওয়ার জন্য তাকে চিঠি দেব। এটা একেবারেই সরকারের ব্যাপার। যেহেতু সংসদে সরকারের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাই এটা করতে পারে, অন্য কেউ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
তিনি বরেন, নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে বসতে পারে বিএনপি। এছাড়া তারা বারবার বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন থাকায় ইসি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
বিএনপি নেতা বলেন, সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এবং সরকারকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। এই বিষয়টি (নির্বাচনকালীন সরকার) ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনায় আমাদের আগ্রহ নেই।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সরকার আলোচনার কোনো প্রস্তাব দিলে তাদের দল বিবেচনা করবে।
এছাড়া নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ইস্যু ছাড়া আর কোনো আলোচনা হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
১ বছর আগে