নিরাপত্তা আইন
ডিএসএর একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা
রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা একটি মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে নিউমার্কেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় চার্জ শুনানির জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার এ দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন দুই মামলায় খাদিজার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন ৪ মাসের জন্য স্থগিত
শুনানি শেষে কলাবাগান থানার মামলায় অভিযোগ গঠন করার মতো তথ্যপ্রমাণ না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত।
অন্যদিকে নিউমার্কেট থানার মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।
একটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায় অন্যটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদী পুলিশ।
২০২২ সালের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
এ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ।
দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস কারাভোগের পর গত ২০ নভেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।
আরও পড়ুন: ১৪ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জবি ছাত্রী খাদিজা
ডিজিটাল আইনে গ্রেপ্তার জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন
৯ মাস আগে
সড়ককে নিরাপদ করতে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন
সড়কে প্রাণহানির সংখ্যা কমাতে হলে সড়ককে নিরাপদ করতে হবে। এজন্য জাতিসংঘ নির্ধারিত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে নতুন করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমবারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’- উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এই সেমিনার ও র্যালির আয়োজন করে।
রোডক্র্যাশে হতাহতদের স্বরণে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ পালন করা হয়।
এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো— ‘রিমেম্বার. সাপোর্ট. অ্যাক্ট’ অর্থাৎ ‘আমরা স্মরণ করি যারা রোডক্র্যাশে মারা গেছেন তাদের, সহায়তা নিয়ে থাকতে চাই আহতদের পাশে এবং জীবন বাঁচাতে নিতে চাই কার্যকর উদ্যোগ’।
দিবসটি উপলক্ষে রবিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পনুর্বাসন প্রতিষ্ঠান—নিটোরের সামনে থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে একটি শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে নিটোরের মিলনায়তনে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি।
আরও পড়ুন: দেশে পালন করা হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস
তিনি বলেন, আমাদের সড়কগুলোতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যে যেভাবে পারছে সড়ক ব্যবহার করছে। ফলে দেশে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং আইন মানার সদিচ্ছা থাকতে হবে।
নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী শামীম উজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব এবং নিটোরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে সড়কে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। যাইহোক না কেন সড়কে প্রাণহানি ঘটছে এটা সত্য। অথচ এটা প্রতিরোধযোগ্য। তাই উন্নত দেশের মতো জাতিসংঘ স্বীকৃত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে সড়ক নিরাপত্তা আইন করা প্রয়োজন।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের ইন-কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম বলেন, কোনো সমস্যার প্রকৃত সমাধান করতে হলে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে। সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হলে প্রথমেই সড়কে প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা উদঘাটন করে এর সমাধান করা উচিত। এ ছাড়া বিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইন ও বিধিমালায় সড়ককে নিরাপদ করার বিষয়কে তেমনভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই সড়ককে নিরাপদ করতে আলাদা করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা জরুরি।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোনায়েম হোসেন ও সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম। সেমিনারে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রোড সেফটি কোয়ালিশনের সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল
নিরাপদ সড়ক ও হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
১ বছর আগে
সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের (সিএসএ) অপব্যবহার হবে না এবং এটি সাংবাদিকদের হয়রানি রোধে খুবই সহায়ক হবে।প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ফলে কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে হয়রানি করা হবে না।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিসি মিলনায়তনে পূর্বের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে আত্মসাৎ করে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ওপর এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত সিএসএ সাইবার অপরাধ দমনে খুবই সহায়ক হবে। এগুলো ছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে মানুষের মধ্যে যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছিল, উদ্বেগের কারণ হয়েছিল, গণমাধ্যমে অবাধে খবর প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিক সমাজে যে আতঙ্ক দেখা গিয়েছিল, তা দূর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ডিএসএ-তে শাস্তি, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে (সিএসএ) অনেকাংশে তা কমানো হয়েছে। কিছু অজামিনযোগ্য ধারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে। ‘মানহানির অভিযোগ মোকাবিলা করার জন্য ডিএসএর ধারা ২৯ ছিল। প্রস্তাবিত আইনে, একমাত্র শাস্তিই জরিমানা হবে। ধারা ২১-এ ১০ বছরের জেল ছিল, এখন তা কমিয়ে ৭ বছর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আগের আইনের মামলা নতুন আইনে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে: আইনমন্ত্রীআইনমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে এক পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। তার মানে এই নয় যে জরিমানা সবসময় ২৫ লাখ টাকা হবে। আদালত অপরাধের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে একটি জরিমানা আরোপ করবে, এবং এটি আইনে বলা আছে।
এর আগে গত ৭ আগস্ট মন্ত্রিসভা মানহানির অভিযোগে জেলের মতো কিছু কঠোর বিধান বাতিল করে নতুন আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করে।
আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে ব্রিফিংয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইন ‘নতুন বোতলে পুরানো মদ’ নয়: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা
প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাভারের তার বাসা থেকে তাকে সিআইডি সদস্যরা তুলে নেওয়ার প্রায় ১০ ঘন্টা পর বুধবার বিকালে এই মামলা দেয়া হলো।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, দেশের স্বাধীনতা দিবসে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মামলার এজাহারে বলা হয়, বুধবার বেলা ১টা ৩২ মিনিটের দিকে ফার্মগেট এলাকার আল রাজি হাসপাতালের সামনে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় বাদী প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে একটি খবর পড়েন। তার ফেসবুক পেজেও খবরটি শেয়ার করা হয়েছে।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে হাতে ফুল ধরা শিশুর ছবিসহ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ছেলেটির নাম জাকির হোসেন এবং তিনি বলেন, ‘ভাত না থাকলে স্বাধীনতা দিয়ে কী করব? আমি যখন বাজারে যাই তখন আমার ঘাম হয়, আমাদের মাছ, মাংস এবং ভাতের স্বাধীনতা দরকার।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, শামসুজ্জামানের প্রতিবেদনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এবং দেশে-বিদেশে সমালোচনার জন্ম দেয়।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে ছেলেটির নাম জাকির হোসেন থাকলেও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর ডটটিভির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছেলেটির আসল নাম সবুজ আহমেদ এবং সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
একাত্তর ডট টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছেলেটি এমন কিছু বলেনি যে, ‘আমার কাছে ভাত না থাকলে স্বাধীনতা দিয়ে কী করব? আর প্রতিবেদক তাকে ১০ টাকা দিয়ে তার ছবি তোলেন।
বাদী বলেন, প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল যাতে ভুয়া নাম ও উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এমন প্রতিবেদনে তার মতো দেশ-বিদেশের আরও অনেকে ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভোর ৪টার দিকে শামসুজ্জামান শামসকে সাভারের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সিআইডি সদস্যরা।
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সিআইডি তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে পুলিশের অভিযান শুরু
তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা: চার্জ শুনানি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
১ বছর আগে