মৌসুম শুরু
সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম শুরু
দেশে মধু সংগ্রহের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র সুন্দরবনে ২ মাসব্যাপী মধু আহরণ মৌসুম শুরু হয়েছে। যা চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।
সোমবার (১ এপ্রিল) সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী প্রাইমারি স্কুল মাঠে মধু আহরণের মধ্যে দিয়ে মৌসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আতাউল। এ সময় বন বিভাগের পশ্চিম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আজ থেকে মধু আহরণ শুরু
এ বছর সুন্দরবন পশ্চিম ও পূর্ব বিভাগে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ কুইন্টাল এবং মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৫০ কুইন্টাল।
এছাড়া বিভিন্ন ফরেস্ট স্টেশন থেকে অনুমতি নিয়ে মৌয়ালরা গভীর বনে প্রবেশ করেছেন মধু সংগ্রহ করতে।
এদিকে কয়রা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন কাটকাটা, মঠবাড়ি, পাথরখালী, গড়িয়াবাড়ি, হরিহরপুর এবং সুন্দরবনের বানিয়াখালি, তেতুল তলা, ফুলতলা, সরদার ঘাট, নুয়ানি, ৪ নম্বর কয়রা, সিংগাসহ নানা স্থান থেকে পেশাদার মৌয়ালরা মধু সংগ্রহ করবেন। এছাড়া বনে এখন গরান, বাইন ও খলিশা ফুলের মধু পাওয়া যাবে।
বন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সুন্দরবন থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার ২৪০ কেজি মধু ও মোম সংগ্রহ করা হয়। মধু ও মোম থেকে রাজস্ব আদায় হয় ৪৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪১৩ টাকা।
এর মধ্যে ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৫ কেজি মধু থেকে ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৩ টাকা এবং এক লাখ ৩৩ হাজার ৯০৫ কেজি মোম থেকে ১৩ লাখ ৩৯০ হাজার ৫০ টাকা রাজস্ব আয় হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে মধু আহরণ শুরু
বন বিভাগের সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২২ সালে সুন্দরবনের মধু থেকে রাজস্ব আয় হয় ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং মোম থেকে ১৫ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা। সে বছর সুন্দরবন থেকে ২ হাজার ৩২০ কুইন্টাল মধু ও ৬৯৬ কুইন্টাল মোম পাওয়া যায়।
২০২৩ সালের ১ হাজার ২২৫ কুইন্টাল মধু ও ৩৬৭ দশমিক পাঁচ কুইন্টাল মোম আহরণ করা হয়। আর এ থেকে ২৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা সরকারের রাজস্ব আসে।
৭ মাস আগে
সুন্দরবনে আজ থেকে মধু আহরণ শুরু
সুন্দরবনে আজ থেকে মধু আহরণ মৌসুম শুরু হচ্ছে। শনিবার (০১ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় মধু আহরণের মধ্য দিয়ে মধু মৌসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
পশ্চিম বন বিভাগের বুড়িগোয়ালিনী বন অফিস সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে মৌয়ালদের প্রশিক্ষণের পর মধু আহরণের অনুমতিপত্র (পাস) দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা নষ্ট ও চুরি, আটক ১৪
এছাড়া এই পাস নিয়ে মৌয়ালরা গভীর বনে চলে যাবেন মধু সংগ্রহ করতে।
এ বিষয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবনে নির্বিঘ্নে মধু আহরণের জন্য বন বিভাগের টহল জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া এবার বন্যপ্রাণীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য মৌয়ালদের সাবধানে চলাফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এ বছর সুন্দরবনে তিন হাজার কুইন্টাল বা তিন লাখ কেজি মধু ও ৮০০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে সবচেয়ে বেশি মধু পাওয়া যায়।
বন বিভাগের তথ্যমতে, ২০২১ সালের মধু ও মোম আহরণের জন্য এক হাজার ১২টি অনুমতিপত্র (পাস) দেওয়া হয়। এসব অনুমতিপত্রের বিপরীতে ছয় হাজার ৭৯৭ জন মৌয়াল সুন্দরবনে যান।
তারা তিন হাজার ৩৭৬ দশমিক ৯০ টন মধু ও ১১৩ দশমিক ০৯ টন মোম আহরণ করেন। আর মধু থেকে ২৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৬৩ টাকা ও মোম থেকে ১০ লাখ ২৫ হাজার ৮৫০ টাকা রাজস্ব আয় হয়।
২০২২ সালে সুন্দরবনের মধু থেকে রাজস্ব আয় হয় ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং মোম থেকে ১৫ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা।
সে বছর সুন্দরবন থেকে দুই হাজার ৩২০ কুইন্টাল মধু ও ৬৯৬ কুইন্টাল মোম পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের বাঘের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন আব্দুল ওয়াজেদ
৫ ঘণ্টা পর সুন্দরবনে পথ ভুলে আটকে পড়া ১০ পর্যটক উদ্ধার
১ বছর আগে