জাতিসংঘ মহাসচিব
শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, সরকারের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে জাতিসংঘ কান্ট্রি টিমসহ আপনার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে মার্কিন বিশ্লেষক যা বললেন
গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি উদারতা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে জাতিসংঘ গভীরভাবে মূল্য দেয়।
জাতিসংঘ প্রধান বলেছেন, 'আমি গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপে আপনার অংশগ্রহণের প্রশংসা করছি এবং বিশ্বাস করি যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোর সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনসহ ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আমি আপনার সমর্থনের উপর নির্ভর করা অব্যাহত রাখতে পারি।’
আরও পড়ুন:ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের কাজ নয়: মুখপাত্র
বাংলাদেশে 'অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের' প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চিঠিটি দেখিনি এবং বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে আগেই বিস্তারিত যা বলেছি তা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রত্যাশা সম্পর্কে বলতে চাই।’
এর আগে নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতিসংঘকে জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর', কিন্তু বিক্ষোভের নামে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও মানুষের জীবন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সহ্য করবেন না, যা বিরোধীরা প্রায়ই করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতে যাচ্ছি না: মার্কিন মুখপাত্র
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহল থেকে আমরা যে অযৌক্তিক, অন্যায্য ও স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছি, তার প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করি- জাতিসংঘের সচিবালয়, সংস্থা ও কান্ট্রি অফিসসহ জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবিচল থাকতে সহায়তা করতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে।’
১৯ নভেম্বর চিঠিটি লেখা হয় এবং ২০ নভেম্বর জাতিসংঘে তা হস্তান্তর করে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না।
এক প্রশ্নকর্তা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘ এখনও পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি এ বিষয়য়ে মুখপাত্রের কাছ থেকে মন্তব্য চেয়েছেন।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং ওইসব ঐতিহাসিক ঘটনার সময় যারা কষ্ট ভোগ করেছেন তাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে অনেক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে আমি মন্তব্য করব না। দ্বিতীয়ত, আমরা এখানে বারবার বলেছি, কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃত দেওয়া মহাসচিবের কাজ নয়। বিষয়টি উপযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে।’
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না: মুখপাত্র
শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
আমরা এখনো পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতিই লালন করে চলেছি: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং টেকসই উন্নয়নের পথে বড় বাধা।
তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা ব্যাপক এবং দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড – নারীর প্রতি সহিংসতা নানাভাবে ঘটছে। কিন্তু, এই সমস্যার মূলে রয়েছে কাঠামোগত অবিচার, যা গড়ে উঠেছে যুগ যুগ ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে।’
২৫ নভেম্বর নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূলে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতিই লালন করে চলেছি, যা নারীদের মর্যাদা ও অধিকার প্রত্যাখ্যান করে তাদের আরও ঝুঁকিতে ফেলছে।’
আরও পড়ুন: সহিংসতা ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সবাইকেই মূল্য দিতে হচ্ছে: আমাদের সমাজে শান্তি নেই, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক নয়, আমাদের বিশ্বটা তুলনামূলক কম ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু নতুন এক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।’
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নারী ও কন্যাশিশুর ওপর সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ’।
বিশ্বজুড়ে নারীর অধিকার রক্ষাকে আরও সুসংহত করতে উপযোগী আইন ও নীতি প্রণয়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নারীর প্রতি অন্যায় প্রতিরোধ ও অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে বিনিয়োগ জোরদার করতে হবে।
জাতিসংঘের প্রধান বলেন, বিশ্বের সর্বত্র ভূক্তভোগীর কথা শুনুন এবং দোষীদের দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসুন। নারী অধিকারকর্মীদের পক্ষে দাড়ান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি স্তরে নারী নেতৃত্বের পক্ষে কথা বলুন।
তিনি বলেন, আসুন, আমরা একসঙ্গে নারীর পক্ষে দাড়াই, তাদের জন্য কথা বলি। আসুন আমরা এমন এক বিশ্ব গড়ে তুলি, যাতে যে কোনো জায়গায় নারীর প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
পর্যটনশিল্পকে অবশ্যই নিরাপদ করতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব
গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্দেশে গাজার বাসিন্দাদের উত্তর থেকে দক্ষিণে স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক।
কয়েক দিনের বিমান হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা সিটি ও এর আশেপাশের ফিলিস্তিনিদের ওই অঞ্চলের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উল্লেখ করে গুতরেস বলেন, ‘খাবার, পানি বা বাসস্থান নেই- অবরুদ্ধ করে রাখা এমন অঞ্চলে ঘনবসতিপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রের ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা অত্যন্ত বিপজ্জন এবং কিছু ক্ষেত্রে অসম্ভবও।’
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের হাসপাতালগুলো ইতোমধ্যে পূর্ণ হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চল থেকে যাওয়া হাজার হাজার নতুন রোগী গ্রহণ করতে পারবে না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে। মর্গগুলো উপচে পড়ছে; দায়িত্ব পালনকালে ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩৪টি হামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গাজার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং বিদ্যুৎ পাম্প ও ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো এলাকা পানি সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।
গুতেরেস বলেন, গাজার পরিস্থিতি একটি বিপজ্জনক নতুন নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
তিনি বলেন, শনিবার ইসরায়েলে হামাসের ভয়াবহ আকস্মিক হামলায় এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে এবং গাজায় ইসরায়েলের তীব্র বোমা বর্ষণে ইতিমধ্যে এক হাজার ৮০০ জন নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছেন।
গুতেরেস গাজায় অবিলম্বে মানবিক প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছেন যাতে জ্বালানি, খাদ্য এবং পানি সংকটে থাকা লোকদের সরবরাহ করা যায়। তিনি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও মানবাধিকার আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানান। অবিলম্বে গাজায় জিম্মিদের মুক্তিরও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হামাসকে 'ধ্বংস' করার অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর : গাজা আক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে
গুতেরেস বলেন, ‘এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের জন্য সব পক্ষ এবং তাদের ওপর যাদের প্রভাব রয়েছে, তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা জরুরি।’
জাতিসংঘ মহাসচিব মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতের কারণে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধেও সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সহিংসতাকে উস্কে দেয় এমন অমানবিক ভাষা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি সকল নেতাদেরকে ইহুদিবিদ্বেষ, মুসলিমবিদ্বেষ গোঁড়ামি এবং সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মৃত্যু ও ধ্বংসের এই অন্তহীন চক্রের স্থায়ী সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একত্রিত হওয়ার এখনই সময়।’
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়াতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
বায়ু দূষণের ক্রমবর্ধমান ‘বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা’মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নীল আকাশের জন্য আন্তর্জাতিক পরিচ্ছন্ন বায়ু দিবস উপলক্ষে গুতেরেস বলেন, ‘বৈশ্বিক সমস্যার বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন। আমাদের অবশ্যই পরিষ্কার বাতাসের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
‘টুগেদার ফর ক্লিন এয়ার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে নীল আকাশের জন্য পরিচ্ছন্ন বায়ুর চতুর্থ আন্তর্জাতিক দিবসটি বায়ু দূষণ কাটিয়ে উঠতে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।
গুতেরেস বলেছেন, ‘একসাথে, আমাদের অবশ্যই জীবাশ্ম জ্বালানী, বিশেষত কয়লা থেকে দূরে একটি ন্যায়সঙ্গত রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে হবে। একই সঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ধাবিত হতে হবে। এমনকি কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তাও নিশ্চিত করতে হবে।’
বায়ুবাহিত দূষণকারী উপাদানগুলো সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলোর মধ্যে একটি। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বের জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশ দূষিত বাতাসে শ্বাস নেয়। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এর হার উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ।
আরও পড়ুন: ফোর্স কমান্ডার হিসেবে মেজর জেনারেল ফখরুল আহসানকে নিয়োগ দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
বায়ু দূষণের বিস্তৃত প্রকৃতির জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা প্রয়োজন। চলতি বছরের প্রতিপাদ্য ‘টুগেদার ফর ক্লিন এয়ার’শক্তিশালী আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব, বর্ধিত বিনিয়োগ এবং বায়ু দূষণ কমানোর জন্য সম্মিলিত দায়িত্বের জরুরি প্রয়োজনকে তুলে ধরে।
বায়ু দূষণকে যে কোনো রাসায়নিক, ভৌত বা জৈবিক দূষক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যা বায়ুমণ্ডলের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে পরিবর্তন করে।
গৃহস্থালীর রান্নার যন্ত্র এবং অন্যান্য দহন যন্ত্র, গাড়ি, শিল্পের নানা সরঞ্জাম এবং দাবানল বায়ু দূষণের সবচেয়ে পরিচিত উৎস। বায়ু দূষণ বাইরে ও ভেতরে উভয়ই বিদ্যমান এবং উভয়ই মানুষের স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।
বিশেষ করে বিপজ্জনক দূষণকারীর মধ্যে রয়েছে কার্বন মনোক্সাইড, ওজোন, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ও সালফার ডাই অক্সাইড।
বায়ু দূষণের মধ্যে রয়েছে পিএম ২.৫, ইনহেলেবল পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম ব্যাস। এর ব্যাস মানুষের চুলের চেয়ে কম।
এই কণাগুলো মানুষের চোখের অদৃশ্য এবং ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করতে পারে যেখানে তারা প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করতে পারে এবং হৃদয় ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এক্সপোজার নাটকীয়ভাবে স্ট্রোক, হৃদরোগ ও ফুসফুসের রোগ, ক্যান্সার এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। যার ফলে বছরে ৬৭ লাখেরও বেশি অকাল মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: সত্য ও সত্য বলা মানুষগুলোকে আক্রমণ করা বন্ধ করতে হবে: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে জাতিসংঘের মহাসচিব
বায়ু দূষণ গাছপালাকেও প্রভাবিত করে, ফসলের ফলন হ্রাস করে এবং খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে। এটি সামাজিক ও লিঙ্গ বৈষম্যকে আরও খারাপ করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ধীর করে দেয় এবং দেশগুলোর উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণের ক্ষমতা সীমিত করে।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি)- এর আহ্বায়ক ক্লাইমেট অ্যান্ড ক্লিন এয়ার কোয়ালিশনের সচিবালয়ের প্রধান মার্টিনা অটো বলেন, ‘যেকোনো স্তরে এক্সপোজারের স্বাস্থ্যগত প্রভাব থাকতে পারে যা জীবনযাত্রার মানকে নষ্ট করে এবং ব্যক্তি, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য খরচ বহন করে।’
স্থানীয় প্রেক্ষাপট ও সেক্টরের উপর ভিত্তি করে বায়ুর গুণমান উন্নত করার সমাধান পরিবর্তিত হয়। ব্যক্তি পর্যায়ে, মানুষ পরিচ্ছন্ন বাতাসকে উৎসাহিত করে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে, যেমন পরিবেশবান্ধব কেনাকাটা করা এবং পরিবহন ও রান্নার পরিষ্কার পদ্ধতি ব্যবহার করা।
ব্যবসা ও কর্পোরেশনগুলো কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার বিবেচনায় বায়ুর গুণমান যুক্ত করতে পারে। দূষণ নির্গমন নিরীক্ষণ ও প্রকাশ্যে রিপোর্ট করতে পারে এবং নির্গমন হ্রাস করে এমন কর্মসূচিগুলোকে উৎসাহিত করতে পারে।
বায়ুর গুণমান নিরীক্ষণ করার ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২১ সালের নির্দেশিকাগুলোতে বর্ণিত মাইলফলকগুলো অর্জন করতে সরকারগুলোকে বায়ু দূষণের মান তৈরি এবং প্রয়োগ করা উচিত।
নীল আকাশের জন্য আন্তর্জাতিক পরিচ্ছন্ন বায়ু দিবস, প্রতি বছর ৭ সেপ্টেম্বর পালিত হয়। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এটি চালু করেছিল। যা পরিষ্কার বাতাসের গুরুত্ব ও মানব স্বাস্থ্য এবং বাস্তুতন্ত্রের উপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ বায়ু ও দূষণের প্রভাবকে স্বীকৃতি দেয়। বিশেষত নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের উপর এর অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাবকে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে ওআইসির পক্ষে গভীর নিন্দা জানালেন রাষ্ট্রদূত
কোরআন অবমাননার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে ওআইসির পক্ষে গভীর নিন্দা জানালেন রাষ্ট্রদূত
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধকে অবমাননা করে কিছু দেশে প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’
শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তার কার্যালয়ে ওআইসি গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
বাংলাদেশের নেতৃত্বে উক্ত বৈঠকে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রের মধ্য থেকে মিশর, সৌদি আরব, মৌরিতানিয়া ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ওআইসির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন, পবিত্র কোরআন পোড়ানোর এই ঘৃণ্য কাজটি শুধু বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকেই গভীরভাবে আঘাত করেনি, বরং এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং ব্যক্তি বিশ্বাসের নীতিরও পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত
আসুন গর্ব করে ঘোষণা করি, আমরা নারীবাদী: গুতেরেস
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ২০২৬ সালের মধ্যে নারী অধিকার সংগঠন এবং আন্দোলনে তহবিল ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে সরকারগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন।
শনিবার নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
এতে তিনি আরও বলেন, ‘আসুন আমরা নারীর অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিই এবং আওয়াজ তুলি। আসুন সাহসের সঙ্গে ঘোষণা করি, আমরা নারীবাদী।’
আরও পড়ুন: পৃথিবী অপরিবর্তনীয় জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
গুতেরেস বলেছেন, প্রতি ১১ মিনিটে একজন নারী বা মেয়ে জীবনসঙ্গী বা পরিবারের সদস্য দ্বারা হত্যা শিকার হন। আমরা জানি যে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্থনৈতিক অস্থিরতা পর্যন্ত অন্যান্য চাপগুলো অনিবার্যভাবে আরও বেশি শারীরিক এবং মৌখিক নির্যাতনের দিকে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, নারী ও মেয়েরা যৌন হয়রানি, ছবির অপব্যবহার এবং অনলাইন সহিংসতার শিকার হয়।
জাতিসংঘের প্রধান বলেছেন, ‘এই বৈষম্য, সহিংসতা এবং অপব্যবহার একটি বড় মূল্য দিয়ে আসছে মানবজাতির অর্ধেক অংশ। এটি জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারী এবং মেয়েদের অংশগ্রহণকে সীমিত করে। তাদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে এবং আমাদের বিশ্বের প্রয়োজন সমান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং টেকসই বৃদ্ধিকে বাধা দেয়।’
তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে রূপান্তরমূলক পদক্ষেপের যা নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করে।
গুতেরেস বলেছেন, এর অর্থ হল সরকারগুলো এই দুর্যোগ মোকাবিলায় জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ডিজাইন, অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন করছে। ‘এর অর্থ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি পর্যায়ে তৃণমূল এবং সুশীল সমাজের গোষ্ঠীগুলোকে সম্পৃক্ত করা।’
এর অর্থ নিশ্চিত করা যে আইনগুলো প্রয়োগ করা হয় এবং সম্মান করা হয়। যাতে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা তাদের ন্যায়বিচারের অধিকার এবং সমর্থন সমুন্নত দেখতে পান।
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, এর অর্থ হল এমন গণ প্রচারাভিযানকে সমর্থন করা যা পিতৃতান্ত্রিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে এবং দৈন্যতা ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে।’
এই বছরের থিম হিসেবে – ‘একত্রিত হয়: নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে সক্রিয়তা’ - আমাদের মনে করিয়ে দেয়। এর অর্থ হল বিশ্বজুড়ে পরিবর্তনের জন্য আহ্বানকারী কর্মীদের সঙ্গে দাঁড়ানো যারা সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়াদের সমর্থন করছে।’
আরও পড়ুন: তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মৃত্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিবের শোক
বিশ্বে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ ঘটছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
পৃথিবী অপরিবর্তনীয় জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছেন যে পৃথিবী অপরিবর্তনীয় ‘জলবায়ু বিপর্যয়ের’ দিকে যাচ্ছে।
তিনি মিশরে আসন্ন জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে নিঃসরণ কমাতে, জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে তাদের স্থানান্তর ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সহায়তা করে বিশ্বকে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের ২৭তম বার্ষিক সম্মেলন (কপ-২৭) আমাদের গ্রহের জন্য জলবায়ু বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রয়োজনীয় আস্থা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জায়গা হতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ ও এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, মিশরের শহর শারম আল-শেখে ৬ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া কপ-২৭ এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল নির্গমন দ্রুত কমাতে সুস্পষ্ট রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকা।
গুতেরেস বলেন, ‘এর জন্য উন্নত দেশ ও উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি প্রয়োজন। আর যদি সেই চুক্তি না হয়, আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।’
চুক্তিতে মহাসচিব বলেছেন যে ধনী দেশগুলোকে বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সহায়তার সঙ্গে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করতে হবে। যাতে উদীয়মান অর্থনীতিগুলো তাদের নবায়নযোগ্য শক্তিতে স্থানান্তর গতিশীল করতে সহায়তা করে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক সপ্তাহের প্রতিবেদনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির একটি পরিষ্কার ও সতর্কমূলক চিত্র দেখা গেছে, যেখানে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেখানে বিজ্ঞানীদের ভাষ্য মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ কমানো প্রয়োজন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২০১৫ সালে গৃহীত যুগান্তকারী প্যারিস চুক্তিতে বলা হয়েছিল যে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ প্রাক-শিল্প সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা সর্বাধিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে এবং তা যতটা সম্ভব এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি হবে।
গুতেরেস বলেছেন যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন এখন ১০ শতাংশ বৃদ্ধির পথে এবং শতাব্দীর শেষ নাগাদ বর্তমান নীতির অধীনে তাপমাত্রা দুই দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে।
তিনি সতর্ক করেন, ‘এবং এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে আমাদের গ্রহ এমন এক অবস্থায় যাচ্ছে যেখানে জলবায়ু বিপর্যয়কে অপরিবর্তনীয় করে তুলবে এবং চিরতরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটাবে।’
আরও পড়ুন: আধুনিক সন্ত্রাসবাদ দমনে জাতিসংঘকে ৫ লাখ ডলার দেবে ভারত
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা জাতিসংঘ মহাসচিবের
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশকে জাতিসংঘের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ একটি সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত জাতিসংঘ সদরদপ্তরে পরিচয়পত্র পেশ করার সময় জাতিসংঘ মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
এর আগে গত ২৮ জুলাই স্থায়ী মিশনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত হচ্ছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের ১৬তম স্থায়ী প্রতিনিধি। বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের পূর্বে তিনি অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পড়ুন: পরমাণু অস্ত্রের হুমকি থেকে বিশ্বকে মুক্ত রাখার আহ্বান ঢাকার
সড়ক নিরাপত্তায় সার্বিক পদক্ষেপ বৃদ্ধির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সড়ক নিরাপত্তার জন্য সার্বিক পদক্ষেপ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সড়ক নিরাপত্তার উন্নয়নে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গুতেরেস বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে দুর্বল অবকাঠামো, অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিথিল সামাজিক সুরক্ষা,স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, সীমিত সড়ক নিরাপত্তা জ্ঞান ও অসমতার বিষয়গুলো ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
অনিরাপদ সড়ক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ মাসে ১৬৭৪ শিশুর মৃত্যু
মহাসচিব বলেন, সড়ক দুর্ঘটনাগুলো একজন উপার্জনকারীর মৃত্যু বা তার জন্য চিকিৎসা খরচবৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবারকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এসব কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রতি বছর জিডিপির ২ থেকে ৫ শতাংশ হারায়৷
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এবং আহতের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তিনি জাতিসংঘ সড়ক নিরাপত্তা তহবিলের মাধ্যমে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আর্থিক ও কারিগরি অবদান বাড়াতে সকল দাতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সবাইকে নিয়ে আমরা জীবন বাঁচাতে পারি, উন্নয়নে সহায়তা করতে পারি এবং আমাদের বিশ্বকে নিরাপদ সড়কের দিকে নিয়ে যেতে পারি।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ