জাতিসংঘ মহাসচিব
'অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্র' অর্জনে সরকারের প্রচেষ্টা সমর্থন করে জাতিসংঘ: অধ্যাপক ইউনূসকে গুতেরেস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, 'অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্র' অর্জনে তার সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি জাতিসংঘের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে এবং বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার্থে আবাসিক সমন্বয়কারী ও জাতিসংঘ কান্ট্রি টিমের মাধ্যমে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সোমবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং চিঠিটি গণমাধ্যমের সঙ্গে শেয়ার করে।
অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করায় শুভেচ্ছা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
গুতেরেস বলেন, 'আমি বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।’
অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্ব সহিংসতা বন্ধ, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, আইন-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
আরও পড়ুন: আমাদের কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণ ও শিক্ষার্থীদের স্থান দিতে হবে: অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, 'আমি আশা করি আপনার সরকার তরুণ ও নারীদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোকেও বিবেচনায় নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগ নেবে।’
গুতেরেস জানান, তিনি সব নাগরিক, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের ওপর নির্ভর করেন।
তিনি বলেন, 'বিশেষ করে মিয়ানমারে অবনতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য আমি আপনাদের প্রতি জোরালোভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেন গুতেরেস।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবে জাতিসংঘ: মুখপাত্র
৪ মাস আগে
গর্ভাবস্থা-সন্তান জন্মদানের সময় প্রতিদিন ৮০০ নারীর মৃত্যু হয়: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ নারী গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদানের সময় মারা যান। আর এসব মৃত্যুর বেশিরভাগই ঘটে থাকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।
বৃহস্পতিবাপর (১১ জুলাই) বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে গুতেরেস এ চিত্র তুলে ধরেন। প্রতি বছর ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়।
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ‘এ বছর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিপিডি) প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ৩০তম বর্ষ পূর্ণ করল। এ বছরকে অবশ্যই সেই বছর হতে হবে- যেখানে আমরা তার প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা ও বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করার সংকল্প করব।’
এই কর্মসূচি গ্রহণের পর থেকে কয়েক দশকের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে গুতেরেস বলেন, আগের চেয়ে অনেক বেশি নারী আধুনিক গর্ভনিরোধক ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন। ২০০০ সাল থেকে মাতৃমৃত্যু ৩৪ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাসে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ সাফল্য অর্জন: ডব্লিউএইচও
তিনি জোর দিয়ে বলেন,‘নারী আন্দোলন ও নাগরিক সমাজ পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
কিন্তু অগ্রগতি 'অসম ও অস্থিতিশীল' উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, 'এটা খুবই দুঃখজনক একবিংশ শতাব্দীতে এসে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ নারী গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদানের সময় মারা যাচ্ছেন, যার অধিকাংশই উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ঘটছে।
তিনি বলেন, কিছু জায়গায় নারীদের যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মোকাবিলায় আইনি অগ্রগতি বিপরীত দিকে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
এ বছরের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য 'কেউ বাদ নয়, সবাইকে গণনা করি' আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, সমস্যা বোঝা, সমাধান করা এবং অগ্রগতি করতে তথ্য সংগ্রহে বিনিয়োগ ও অর্থায়ন গুরুত্বপূর্ণ।
টেকসই উন্নয়নের জন্য সাশ্রয়ী পুঁজি ছাড় করতে এ বছর সামিট অব দ্য ফিউচারের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান গুতেরেস।
সমাপনীতে তিনি বলেন, ‘আসুন আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন সবার জন্য, সর্বত্র ছড়িয়ে দিই।’
আরও পড়ুন: দেশে শিশু-মাতৃমৃত্যু কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দুর্যোগ মোকাবিলায় তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, ক্রমবর্ধমান জলবায়ুর প্রভাব ও ব্যাপক দূষণ থেকে গ্রহের প্রয়োজনীয় বাস্তুসংস্থান রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে এ আহ্বান জানান আন্তোনিও গুতেরেস।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাস্তুসংস্থান ও ভূমি পুনরুদ্ধারে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বৈশ্বিক চুক্তি ‘কুনমিং-মন্ট্রিল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক’র অধীনে দেশগুলোকে তাদের সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে দেশগুলো কীভাবে বন উজাড় প্রতিরোধ এবং বনায়ন বাড়াবে তা ঠিক করতে অবশ্যই তাদের জাতীয় জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে, প্রকৃতি রক্ষা করতে এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করতে আমাদের অবশ্যই ব্যাপকভাবে অর্থায়ন বাড়াতে হবে।’
১৯৭৩ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন হচ্ছে। এ দিন পরিবেশ নিয়ে ভাবনার প্রসারের জন্য বৃহত্তম বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: সবুজ জলবায়ু তহবিলের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে বঞ্চিত: টিআইবি
এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘করব ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখব মরুময়তা, অর্জন করতে হবে খরা সহনশীলতা।’
অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল হতে চাইলে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধারে বিনিয়োগ করা প্রতিটি ডলার অর্থনৈতিক সুবিধার ক্ষেত্রে ৩০ ডলারেরও বেশি ফেরত দেবে।’
অনিয়ন্ত্রিত দূষণ, জলবায়ু বিশৃঙ্খলা ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস রোধে ব্যর্থতা সবার কাছে দৃশ্যমান। স্বাস্থ্যকর, উর্বর জমিগুলো মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে, সমৃদ্ধ বাস্তুসংস্থান মৃত অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন বাড়ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এর মানে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পানির উৎসগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং সম্প্রদায়গুলো বিপন্ন হয়ে পড়ছে- আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এই অবস্থা পরিবর্তনের সময় এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পুনরুদ্ধারকারী প্রজন্ম। আসুন আমরা ভূমি ও মানবতার জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি।’
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৬ মাস আগে
ডিজিটাল যুগের সুবিধা সবার জন্য নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের একটি মূল লক্ষ্য হলো- উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, ব্রডব্যান্ড অবকাঠামো, ডিজিটাল সাক্ষরতা প্রশিক্ষণ দেওয়া। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য ডিজিটাল বিভাজন দূর করে নিরাপদ সংযোগ তৈরিতে সহায়তা করতে পারে।
শুক্রবার (১৭ মে) আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, 'আসুন এই আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ তথ্য সংঘ দিবসে ডিজিটাল যুগ থেকে সব দেশের মানুষ যাতে লাভবান হতে পারে তা নিশ্চিত করতে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করি আমরা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, তারা জীবনকে আরও ভালোভাবে পরিবর্তন করতে যোগাযোগ সরঞ্জামের শক্তি উদযাপন করেছেন।
এবারের প্রতিপাদ্য টেকসই উন্নয়ন ও এসডিজি অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবনের মূল ভূমিকা তুলে ধরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষকদের তাদের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে এবং চিকিৎসকদের তাদের রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহায়তা করতে পারে। এটি এখন মৌলিক হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্ট পরিবহন ব্যবস্থা এবং টেকসই শহর গড়ে তোলার জন্য।
আরও পড়ুন: সবার উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে লিঙ্গ সমতা জরুরি: গুতেরেস
তিনি বলেন, এসব উদ্ভাবন শুধু ধনী দেশগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। উন্নয়নশীল অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের ধাক্কাও বহন করে। ডিজিটাল প্রযুক্তি এই চ্যালেঞ্জগুলো কমাতে সহায়তা করতে পারলেও তারা প্রায়শই এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হয়।
গুতেরেস বলেন, বৈশ্বিক সমর্থন ও সমন্বয়েরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ‘এটি আইটিইউ-এর এআই ফর গুড’ উদ্যোগেরও চেতনা, এআই সম্পর্কিত আমার উচ্চ পর্যায়ের উপদেষ্টা সংস্থার অন্তর্বর্তীকালীন সুপারিশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যা এআই প্রযুক্তি সকলের উপকার নিশ্চিত করতে সক্ষম করে তোলা দায়িত্বশীল শাসন কাঠামোতে বিনিয়োগের আহ্বান জানায়।’
এর আগে সেপ্টেম্বরে ‘সামিট অব দ্য ফিউচারে’ তিনি বলেন, মানবকল্যাণের জন্য শক্তি হিসেবে প্রযুক্তি সুরক্ষার লক্ষ্যে দেশগুলো একটি ‘গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট’র বিষয়ে একমত হবে।
গুতেরেস বলেন, 'এসডিজিকে সমৃদ্ধ করতে এবং কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল প্রশাসনকে এগিয়ে নিতে ডিজিটাল উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এটি একটি অনন্য সুযোগ হবে।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি: গুতেরেস
৭ মাস আগে
শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, সরকারের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে জাতিসংঘ কান্ট্রি টিমসহ আপনার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে মার্কিন বিশ্লেষক যা বললেন
গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি উদারতা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে জাতিসংঘ গভীরভাবে মূল্য দেয়।
জাতিসংঘ প্রধান বলেছেন, 'আমি গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপে আপনার অংশগ্রহণের প্রশংসা করছি এবং বিশ্বাস করি যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোর সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনসহ ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আমি আপনার সমর্থনের উপর নির্ভর করা অব্যাহত রাখতে পারি।’
আরও পড়ুন:ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১১ মাস আগে
কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের কাজ নয়: মুখপাত্র
বাংলাদেশে 'অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের' প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চিঠিটি দেখিনি এবং বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে আগেই বিস্তারিত যা বলেছি তা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রত্যাশা সম্পর্কে বলতে চাই।’
এর আগে নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতিসংঘকে জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর', কিন্তু বিক্ষোভের নামে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও মানুষের জীবন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সহ্য করবেন না, যা বিরোধীরা প্রায়ই করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতে যাচ্ছি না: মার্কিন মুখপাত্র
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহল থেকে আমরা যে অযৌক্তিক, অন্যায্য ও স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছি, তার প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করি- জাতিসংঘের সচিবালয়, সংস্থা ও কান্ট্রি অফিসসহ জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবিচল থাকতে সহায়তা করতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে।’
১৯ নভেম্বর চিঠিটি লেখা হয় এবং ২০ নভেম্বর জাতিসংঘে তা হস্তান্তর করে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না।
এক প্রশ্নকর্তা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘ এখনও পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি এ বিষয়য়ে মুখপাত্রের কাছ থেকে মন্তব্য চেয়েছেন।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং ওইসব ঐতিহাসিক ঘটনার সময় যারা কষ্ট ভোগ করেছেন তাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে অনেক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে আমি মন্তব্য করব না। দ্বিতীয়ত, আমরা এখানে বারবার বলেছি, কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃত দেওয়া মহাসচিবের কাজ নয়। বিষয়টি উপযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে।’
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না: মুখপাত্র
শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
১ বছর আগে
আমরা এখনো পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতিই লালন করে চলেছি: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং টেকসই উন্নয়নের পথে বড় বাধা।
তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা ব্যাপক এবং দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড – নারীর প্রতি সহিংসতা নানাভাবে ঘটছে। কিন্তু, এই সমস্যার মূলে রয়েছে কাঠামোগত অবিচার, যা গড়ে উঠেছে যুগ যুগ ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে।’
২৫ নভেম্বর নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূলে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতিই লালন করে চলেছি, যা নারীদের মর্যাদা ও অধিকার প্রত্যাখ্যান করে তাদের আরও ঝুঁকিতে ফেলছে।’
আরও পড়ুন: সহিংসতা ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সবাইকেই মূল্য দিতে হচ্ছে: আমাদের সমাজে শান্তি নেই, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক নয়, আমাদের বিশ্বটা তুলনামূলক কম ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু নতুন এক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।’
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নারী ও কন্যাশিশুর ওপর সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ’।
বিশ্বজুড়ে নারীর অধিকার রক্ষাকে আরও সুসংহত করতে উপযোগী আইন ও নীতি প্রণয়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নারীর প্রতি অন্যায় প্রতিরোধ ও অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে বিনিয়োগ জোরদার করতে হবে।
জাতিসংঘের প্রধান বলেন, বিশ্বের সর্বত্র ভূক্তভোগীর কথা শুনুন এবং দোষীদের দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসুন। নারী অধিকারকর্মীদের পক্ষে দাড়ান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি স্তরে নারী নেতৃত্বের পক্ষে কথা বলুন।
তিনি বলেন, আসুন, আমরা একসঙ্গে নারীর পক্ষে দাড়াই, তাদের জন্য কথা বলি। আসুন আমরা এমন এক বিশ্ব গড়ে তুলি, যাতে যে কোনো জায়গায় নারীর প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
পর্যটনশিল্পকে অবশ্যই নিরাপদ করতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব
১ বছর আগে
গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্দেশে গাজার বাসিন্দাদের উত্তর থেকে দক্ষিণে স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক।
কয়েক দিনের বিমান হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা সিটি ও এর আশেপাশের ফিলিস্তিনিদের ওই অঞ্চলের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উল্লেখ করে গুতরেস বলেন, ‘খাবার, পানি বা বাসস্থান নেই- অবরুদ্ধ করে রাখা এমন অঞ্চলে ঘনবসতিপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রের ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা অত্যন্ত বিপজ্জন এবং কিছু ক্ষেত্রে অসম্ভবও।’
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের হাসপাতালগুলো ইতোমধ্যে পূর্ণ হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চল থেকে যাওয়া হাজার হাজার নতুন রোগী গ্রহণ করতে পারবে না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে। মর্গগুলো উপচে পড়ছে; দায়িত্ব পালনকালে ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩৪টি হামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গাজার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং বিদ্যুৎ পাম্প ও ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো এলাকা পানি সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।
গুতেরেস বলেন, গাজার পরিস্থিতি একটি বিপজ্জনক নতুন নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
তিনি বলেন, শনিবার ইসরায়েলে হামাসের ভয়াবহ আকস্মিক হামলায় এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে এবং গাজায় ইসরায়েলের তীব্র বোমা বর্ষণে ইতিমধ্যে এক হাজার ৮০০ জন নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছেন।
গুতেরেস গাজায় অবিলম্বে মানবিক প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছেন যাতে জ্বালানি, খাদ্য এবং পানি সংকটে থাকা লোকদের সরবরাহ করা যায়। তিনি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও মানবাধিকার আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানান। অবিলম্বে গাজায় জিম্মিদের মুক্তিরও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হামাসকে 'ধ্বংস' করার অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর : গাজা আক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে
গুতেরেস বলেন, ‘এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের জন্য সব পক্ষ এবং তাদের ওপর যাদের প্রভাব রয়েছে, তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা জরুরি।’
জাতিসংঘ মহাসচিব মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতের কারণে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধেও সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সহিংসতাকে উস্কে দেয় এমন অমানবিক ভাষা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি সকল নেতাদেরকে ইহুদিবিদ্বেষ, মুসলিমবিদ্বেষ গোঁড়ামি এবং সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মৃত্যু ও ধ্বংসের এই অন্তহীন চক্রের স্থায়ী সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একত্রিত হওয়ার এখনই সময়।’
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
১ বছর আগে
বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়াতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
বায়ু দূষণের ক্রমবর্ধমান ‘বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা’মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নীল আকাশের জন্য আন্তর্জাতিক পরিচ্ছন্ন বায়ু দিবস উপলক্ষে গুতেরেস বলেন, ‘বৈশ্বিক সমস্যার বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন। আমাদের অবশ্যই পরিষ্কার বাতাসের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
‘টুগেদার ফর ক্লিন এয়ার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে নীল আকাশের জন্য পরিচ্ছন্ন বায়ুর চতুর্থ আন্তর্জাতিক দিবসটি বায়ু দূষণ কাটিয়ে উঠতে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।
গুতেরেস বলেছেন, ‘একসাথে, আমাদের অবশ্যই জীবাশ্ম জ্বালানী, বিশেষত কয়লা থেকে দূরে একটি ন্যায়সঙ্গত রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে হবে। একই সঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ধাবিত হতে হবে। এমনকি কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তাও নিশ্চিত করতে হবে।’
বায়ুবাহিত দূষণকারী উপাদানগুলো সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলোর মধ্যে একটি। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বের জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশ দূষিত বাতাসে শ্বাস নেয়। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এর হার উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ।
আরও পড়ুন: ফোর্স কমান্ডার হিসেবে মেজর জেনারেল ফখরুল আহসানকে নিয়োগ দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
বায়ু দূষণের বিস্তৃত প্রকৃতির জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা প্রয়োজন। চলতি বছরের প্রতিপাদ্য ‘টুগেদার ফর ক্লিন এয়ার’শক্তিশালী আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব, বর্ধিত বিনিয়োগ এবং বায়ু দূষণ কমানোর জন্য সম্মিলিত দায়িত্বের জরুরি প্রয়োজনকে তুলে ধরে।
বায়ু দূষণকে যে কোনো রাসায়নিক, ভৌত বা জৈবিক দূষক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যা বায়ুমণ্ডলের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে পরিবর্তন করে।
গৃহস্থালীর রান্নার যন্ত্র এবং অন্যান্য দহন যন্ত্র, গাড়ি, শিল্পের নানা সরঞ্জাম এবং দাবানল বায়ু দূষণের সবচেয়ে পরিচিত উৎস। বায়ু দূষণ বাইরে ও ভেতরে উভয়ই বিদ্যমান এবং উভয়ই মানুষের স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।
বিশেষ করে বিপজ্জনক দূষণকারীর মধ্যে রয়েছে কার্বন মনোক্সাইড, ওজোন, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ও সালফার ডাই অক্সাইড।
বায়ু দূষণের মধ্যে রয়েছে পিএম ২.৫, ইনহেলেবল পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম ব্যাস। এর ব্যাস মানুষের চুলের চেয়ে কম।
এই কণাগুলো মানুষের চোখের অদৃশ্য এবং ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করতে পারে যেখানে তারা প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করতে পারে এবং হৃদয় ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এক্সপোজার নাটকীয়ভাবে স্ট্রোক, হৃদরোগ ও ফুসফুসের রোগ, ক্যান্সার এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। যার ফলে বছরে ৬৭ লাখেরও বেশি অকাল মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: সত্য ও সত্য বলা মানুষগুলোকে আক্রমণ করা বন্ধ করতে হবে: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে জাতিসংঘের মহাসচিব
বায়ু দূষণ গাছপালাকেও প্রভাবিত করে, ফসলের ফলন হ্রাস করে এবং খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে। এটি সামাজিক ও লিঙ্গ বৈষম্যকে আরও খারাপ করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ধীর করে দেয় এবং দেশগুলোর উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণের ক্ষমতা সীমিত করে।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি)- এর আহ্বায়ক ক্লাইমেট অ্যান্ড ক্লিন এয়ার কোয়ালিশনের সচিবালয়ের প্রধান মার্টিনা অটো বলেন, ‘যেকোনো স্তরে এক্সপোজারের স্বাস্থ্যগত প্রভাব থাকতে পারে যা জীবনযাত্রার মানকে নষ্ট করে এবং ব্যক্তি, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য খরচ বহন করে।’
স্থানীয় প্রেক্ষাপট ও সেক্টরের উপর ভিত্তি করে বায়ুর গুণমান উন্নত করার সমাধান পরিবর্তিত হয়। ব্যক্তি পর্যায়ে, মানুষ পরিচ্ছন্ন বাতাসকে উৎসাহিত করে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে, যেমন পরিবেশবান্ধব কেনাকাটা করা এবং পরিবহন ও রান্নার পরিষ্কার পদ্ধতি ব্যবহার করা।
ব্যবসা ও কর্পোরেশনগুলো কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার বিবেচনায় বায়ুর গুণমান যুক্ত করতে পারে। দূষণ নির্গমন নিরীক্ষণ ও প্রকাশ্যে রিপোর্ট করতে পারে এবং নির্গমন হ্রাস করে এমন কর্মসূচিগুলোকে উৎসাহিত করতে পারে।
বায়ুর গুণমান নিরীক্ষণ করার ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২১ সালের নির্দেশিকাগুলোতে বর্ণিত মাইলফলকগুলো অর্জন করতে সরকারগুলোকে বায়ু দূষণের মান তৈরি এবং প্রয়োগ করা উচিত।
নীল আকাশের জন্য আন্তর্জাতিক পরিচ্ছন্ন বায়ু দিবস, প্রতি বছর ৭ সেপ্টেম্বর পালিত হয়। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এটি চালু করেছিল। যা পরিষ্কার বাতাসের গুরুত্ব ও মানব স্বাস্থ্য এবং বাস্তুতন্ত্রের উপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ বায়ু ও দূষণের প্রভাবকে স্বীকৃতি দেয়। বিশেষত নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের উপর এর অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাবকে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে ওআইসির পক্ষে গভীর নিন্দা জানালেন রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
কোরআন অবমাননার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে ওআইসির পক্ষে গভীর নিন্দা জানালেন রাষ্ট্রদূত
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধকে অবমাননা করে কিছু দেশে প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’
শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তার কার্যালয়ে ওআইসি গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
বাংলাদেশের নেতৃত্বে উক্ত বৈঠকে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রের মধ্য থেকে মিশর, সৌদি আরব, মৌরিতানিয়া ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ওআইসির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন, পবিত্র কোরআন পোড়ানোর এই ঘৃণ্য কাজটি শুধু বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকেই গভীরভাবে আঘাত করেনি, বরং এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং ব্যক্তি বিশ্বাসের নীতিরও পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত
১ বছর আগে