জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ নারী গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদানের সময় মারা যান। আর এসব মৃত্যুর বেশিরভাগই ঘটে থাকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।
বৃহস্পতিবাপর (১১ জুলাই) বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে গুতেরেস এ চিত্র তুলে ধরেন। প্রতি বছর ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়।
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ‘এ বছর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিপিডি) প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ৩০তম বর্ষ পূর্ণ করল। এ বছরকে অবশ্যই সেই বছর হতে হবে- যেখানে আমরা তার প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা ও বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করার সংকল্প করব।’
এই কর্মসূচি গ্রহণের পর থেকে কয়েক দশকের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে গুতেরেস বলেন, আগের চেয়ে অনেক বেশি নারী আধুনিক গর্ভনিরোধক ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন। ২০০০ সাল থেকে মাতৃমৃত্যু ৩৪ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাসে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ সাফল্য অর্জন: ডব্লিউএইচও
তিনি জোর দিয়ে বলেন,‘নারী আন্দোলন ও নাগরিক সমাজ পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
কিন্তু অগ্রগতি 'অসম ও অস্থিতিশীল' উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, 'এটা খুবই দুঃখজনক একবিংশ শতাব্দীতে এসে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ নারী গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদানের সময় মারা যাচ্ছেন, যার অধিকাংশই উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ঘটছে।
তিনি বলেন, কিছু জায়গায় নারীদের যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মোকাবিলায় আইনি অগ্রগতি বিপরীত দিকে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
এ বছরের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য 'কেউ বাদ নয়, সবাইকে গণনা করি' আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, সমস্যা বোঝা, সমাধান করা এবং অগ্রগতি করতে তথ্য সংগ্রহে বিনিয়োগ ও অর্থায়ন গুরুত্বপূর্ণ।
টেকসই উন্নয়নের জন্য সাশ্রয়ী পুঁজি ছাড় করতে এ বছর সামিট অব দ্য ফিউচারের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান গুতেরেস।
সমাপনীতে তিনি বলেন, ‘আসুন আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন সবার জন্য, সর্বত্র ছড়িয়ে দিই।’
আরও পড়ুন: দেশে শিশু-মাতৃমৃত্যু কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী