বঙ্গবাজার
২৫ মে বঙ্গবাজার বিপণিবিতান নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী শনিবার (২৫ মে) বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণি বিতান নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গৃহিত পোস্তাগোলা থেকে রায়ের বাজার স্লুইস গেট পর্যন্ত ‘৮ সারির ইনার সার্কুলার রোড’ এবং ধানমন্ডি হ্রদের পাড়ে ‘নজরুল সরোবর’ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
উল্লেখ, গত বছরের ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নতুন করে বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
এছাড়াও পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণ বঙ্গের ২১টি জেলা এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলা থেকে আসা উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলোর যেন আর ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না হয়, সেজন্য পোস্তাগোলা ব্রিজ থেকে রায়ের বাজার স্লুইচ গেট পর্যন্ত ৮ সারির ইনার সার্কুলার রোড প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথমম পর্যায়ে কামরাঙ্গীরচরের লোহার পুল থেকে রায়ের বাজার স্লুইচ গেট পর্যন্ত ৮ সারির সড়ক নির্মাণ করা হবে।
এই সড়কের মাঝের দুই-দুই চার সারি এক্সপ্রেসওয়ে এবং দুই পাশে দুই-দুই চার সারি সার্ভিস লেন হিসেবে রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি নগরীতে পর্যাপ্ত গণপরিসর সৃষ্টির উদ্দেশে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার রোড নম্বর ১৩/এ ও ৮/এ সংলগ্ন ধানমন্ডি হ্রদের পাড়ে নজরুল সরোবর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: এসএমই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে মোবাইল কনস্যুলার সেবার উদ্বোধন
৭ মাস আগে
বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিল এফবিসিসিআই
ঢাকার বঙ্গবাজারে সাম্প্রতিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য অনুদানের এক কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
শনিবার চেম্বারের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এফবিসিসিআই আইকন, ঢাকায় বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির কাছে চেক হস্তান্তর করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন,‘যে কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ড যেকোনো ব্যবসায়ীর জন্যই দুর্ভাগ্যজনক। বঙ্গবাজারে যখন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তখন আমি দেশের বাইরে ছিলাম। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়, সেখানে কিছুই অবশিষ্ট থাকেনি। এই সংকটে আমাদের একটু হলেও অবদান রাখা উচিত। তাই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের এক কোটি টাকা সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দেবে এফবিসিসিআই
সার্ক চেম্বারের নতুন সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন,‘আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা আজ এই চেক হস্তান্তর করছি। আমি মনে করি, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অগ্নিকাণ্ডে সকল সক্ষম ব্যবসায়ীদের ছোট ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীদের অবশ্যই কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে হবে। তবে শুধু ব্যবসায়ীদের দোষ দিলে হবে না, বাণিজ্যিক ভবন ও কারখানার লাইসেন্স প্রদানকারী কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এফবিসিসিআই সভাপতি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী ও আধুনিক ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই প্রধান ব্যবসায়ী নেতারা এবং বাজার কমিটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বাজার সম্পর্কে সচেতন হতে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করার আহ্বান জানান।
দেশের কারখানায় অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এফবিসিসিআই সরকারের সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আমরা ফায়ার সেফটি কাউন্সিল গঠন করেছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ৩,৮৪৫ জন: ডিএসসিসি
এই নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা পরিষদ সারাদেশে মোট ৪৪ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করবে। এ ছাড়া প্রতিটি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান জসিম।
তিনি বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এবং এফবিসিসিআই ফায়ার সেফটি কাউন্সিলকে দোকান ও শপিং মলে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ফায়ার সার্ভিস ইউনিট বঙ্গবাজারকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে কয়েকবার সতর্ক করে দিলেও বাজার কমিটি বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
সরকারকে দোষারোপ না করে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ দোকন মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, রাজধানীর বিদ্যমান বাজারগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোনো ধরনের ঝুঁকি লক্ষ্য করা গেলে তাদেরকে সতর্ক করার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালকবৃন্দ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ (অব.), বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
সম্প্রতি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বঙ্গবাজারের দোকানের শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও মালিকদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে নয় কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে তাদের মোবাইল ফোনে টাকা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ মে ঢাকায় ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি দোকান মালিক সমিতির
১ বছর আগে
বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীদের অনুদান দেওয়া হবে ২ কোটি টাকা: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষ থেকে দুই কোটি টাকা অনুদান দেয়া হবে।
তিনি বলেন, এই পুনর্বাসনে সহযোগিতা ছাড়াও আমরা আর্থিকভাবে মানবিক সহায়তা দিবো। আমরা মঙ্গলবার করপোরেশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে গঠিত তহবিলে করপোরেশন নিজস্ব অর্থ হতে দুই কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দিবো।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চৌকি বিছিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্বোধনী আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আজ থেকেই ক্ষতিগ্রস্তরা ব্যবসায়ীক কার্যক্রম শুরু করতে পারছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমার (গত) রবিবারে ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সকল নেতাদের সঙ্গে বসেছিলাম।
আমাদের মূল লক্ষ্য ছিলো-ঈদের আগে আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে করে আবার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাদের পুনর্বাসন যেন করা যায়। সেই লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সোমবার ভোর থেকে কাজ আরম্ভ করেছি এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আগুনে পুড়ে যাওয়া কয়েক হাজার মেট্রিক্স টন বর্জ্য আমরা পরিষ্কার করেছি।
রাতের মধ্যে আমরা ইট বিছিয়ে দিয়েছি। এই প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও আমরা স্থির করেছিলাম, লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলাম যে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই যেন আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায় আবার ফিরে আসতে পারে।
সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি এবং আল্লাহর রহমতে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী নেতাদের সহযোগিতায় বুধবার সকাল থেকেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে।
তাপস এ সময় এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে যে সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটাই বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় ঐক্যের জায়গা। দুর্যোগকালে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াই, একে অপরকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমরা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই। আমি আন্তরিকভাবে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পূর্ণাঙ্গরূপে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মার্কেটগুলোর দোকান মালিক সমিতি, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআইসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে ঈদের পরে বৈঠক করা হবে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতি বাজেটেই অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে: মেয়র তাপস
বুধবার থেকে ব্যবসায়ীরা চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ৩,৮৪৫ জন: ডিএসসিসি
গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অগ্নিকাণ্ডে তিন হাজার ৮৪৫ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তবে, কমপ্লেক্স তৈরির কয়েকটি পৃথক মার্কেটের মধ্যে একটি অ্যানেক্সকো টাওয়ারের ব্যবসায়ীদের নাম তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি। তাদের বীমা থাকায় ওই বাজারের দোকানদাররা ডিএসসিসির তালিকায় নাম লেখাতে চাননি।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে তদন্ত কমিটির সভাপতি ও ডিএসসিসির জোনাল নির্বাহী কর্মকর্তা (জোন-১) মেরিনা নাজনীন প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: উল্লাপাড়ায় ট্রাকচাপায় পথচারী নিহত
তদন্ত কমিটি আগুনের পেছনে শর্ট সার্কিট ও নাশকতার কোনো ঘটনা খুঁজে পায়নি।
প্রতিবেদন অনুসারে ‘একটি জ্বলন্ত সিগারেট বা একটি মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে বিধ্বংসী আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।’
এদিকে, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মোট মালামালের পরিমাণ আনুমানিক ২৮৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা (প্রায়) পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এছাড়া কাঠামোগত দিক বিবেচনায় ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে বলে ডিএসসিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।ডিএসসিসি এলাকায় ভবিষ্যতে যে কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মোকাবিলায় তদন্ত কমিটি ১০টি সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন এআরএসএ কমান্ডার নিহত: এপিবিএন
সিলেটে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর কুশিয়ারা থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
চৌকি বিছিয়ে ব্যবসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গবাজার
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিতে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডস্থল প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ-এর তত্ত্বাবধানে, করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ডস্থল ব্যবসায়ীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
প্রস্তুতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বঙ্গবাজারের এক দশমিক ৭৯ একর জায়গা জুড়ে বালি ও ইট বিছানো হবে। ইতোমধ্যে সেখানে ৪০ গাড়ি বালি ফেলা ও প্রায় ৯০ হাজার ইট বিছানো হয়েছে। পুরো এলাকায় প্রায় দুই দশমিক পাঁচ লাখ ইট বিছানো এবং প্রায় ১৫০ গাড়ি বালি ফেলা হবে জানা গেছে। আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে পুরো এলাকায় বালি ফেলা ও ইট বিছানোর লক্ষ্যে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
এছাড়াও সোমবার সকাল থেকে অগ্নিকাণ্ডস্থল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. হায়দর আলীর নেতৃত্ব এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডস্থল হতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এখনও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দেবে এফবিসিসিআই
বঙ্গবাজারের স্থানটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিরোধ ছিল ব্যসায়ীদের
১ বছর আগে
বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দেবে এফবিসিসিআই
বঙ্গবাজার মার্কেটে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য এক কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
আরও পড়ুনর: এসডিজি অর্জনে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন রবিবার (৯ এপ্রিল) বিকালে বঙ্গবাজার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এ ঘোষণা দেন।
এছাড়া তিনি বঙ্গবাজার মার্কেট পুড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশের ব্যবসায়িক খাতের সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
এসময় এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি, এফবিসিসিআই এর পরিচালক সহ ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনর: রমজানে দাম কমাতে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর গোশত আমদানি করতে চায় এফবিসিসিআই
১ বছর আগে
বঙ্গবাজারের স্থানটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিরোধ ছিল ব্যসায়ীদের
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ওই জায়গায় বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের প্রস্তাব নিয়ে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরোধ ছিল।
কমিশনার বলেন, গত সপ্তাহে যে অগ্নিকাণ্ডে বাজার পুড়ে যাওয়ায় তার কোনো ভূমিকা ছিল কিনা তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরও আগুনের কারণ অনুসন্ধান করছে।
শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘দায়িত্বহীন’: হাছান মাহমুদ
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার ফারুক বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সময় পার্শ্ববর্তী এফএসসিডি সদর দপ্তরের হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, এফএসসিডি সদর দপ্তরে হামলার পর থেকে আজ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থার উপর হামলার পিছনে উদ্দেশ্য খুঁজে বের করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
৪ এপ্রিল ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেটে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এবং এটি আশেপাশের কয়েকটি বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রধানত তৈরি পোশাক এবং জুতা সহ কয়েক হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ৮০০ অস্থায়ী দোকান বসিয়েছেন বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা
১ বছর আগে
৮০০ অস্থায়ী দোকান বসিয়েছেন বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা যাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে তারা আজ ঘটনাস্থলে রাস্তা ও ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান বসিয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে প্রায় ৮০০ ব্যবসায়ী তাদের মজুদ প্রদর্শন করেছেন। তারা বঙ্গবাজার মার্কেটের দক্ষিণ পাশে ফ্লাইওভারের নিচে তাদের অস্থায়ী দোকান বসিয়েছে।
গত মঙ্গলবারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে বাঁচাতে পেরেছেন এমন কাপড় নিয়ে বসে আছেন অনেক ব্যবসায়ী। দোকানের আশেপাশে ভিড় থাকলেও বিক্রি এখনও বাড়েনি।
অস্থায়ী দোকান বসানো ব্যবসায়ীরা জানান, বঙ্গবাজার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে যা যা মালামাল বাঁচাতে পারে তা বিক্রি করছেন।
ফ্লাইওভারের নিচে নিজের দোকানে বসে ছিলেন আয়নাল হোসেন। তিনি ইউএনবিকে বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেটে তার দু’টি দোকান রয়েছে। দু’টি দোকানই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জিনিস সরাতে সক্ষম ছিলাম। তাই এখানে নিয়ে এসেছি। এখনও কোন বিক্রয় নেই, কারণ আমাদের নিয়মিত গ্রাহকরা দোকানের ঠিকানা জানেন না। আমরা কিভাবে এই ঈদ উদযাপন করব তা একমাত্র আল্লাহই জানেন।’
ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের বঙ্গবাজারে জিন্স ও শার্ট বিক্রির দোকান ছিল। দোকান পুড়ে ছাই হয়ে এখন ফুটপাতেও দোকান বসিয়েছেন।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন ‘সবকিছু শেষ, বাড়িতে খাবারের টাকা নেই। তাই, আমি ফুটপাথে দোকান বসাতে বাধ্য হয়েছি।’
গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বঙ্গবাজার গুলিস্তান মার্কেট, মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট ও এনেক্স টাওয়ার পুড়ে গেছে। আগুনে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
১ বছর আগে
বঙ্গবাজারের বিপরীতে বরিশাল প্লাজা মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর বঙ্গবাজারের বিপরীতে বরিশাল প্লাজা মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার চারদিন পর ওই এলাকায় আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সকাল ৮টা ৫ মিনিটের দিকে মার্কেটের চতুর্থ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল পৌনে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন পুরোপুরি নেভাতে দমকল কর্মীদের প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গত ৪ এপ্রিল ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আশপাশের কয়েকটি মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েক হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের আগুন ৭৫ ঘণ্টা পর নিভল
চট্টগ্রামে টিসিবির গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
১ বছর আগে