প্রবৃদ্ধির
এডিবি ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৩% কমিয়েছে
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ২০২৩ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ করেছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এডিবি বলেছিল, এবছরের এপ্রিল মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
মঙ্গলবার ২০২৩ সালের এপ্রিলের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে (এডিও) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়েছে। গড় মূল্যস্ফীতি ২০২২ অর্থবছরের ছয় দশমিক দুই শতাংশ থেকে ২০২৩ অর্থবছরে আট দশমিক সাত শতাংশে পৌঁছাবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি কম হবে। কারণগুলো হলো- জ্বালানির ঘাটতি ও উচ্চ উৎপাদন খরচ, রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি, মিতব্যয়ীতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস।
তবে চলতি হিসাবের ঘাটতির দিক থেকে গত অর্থবছরে জিডিপির ৪ দশমিক ১ শতাংশ থাকলেও, এবার তা কমে হবে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশের জন্য এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটা বড় ঝুঁকি হচ্ছে বিশ্বের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোর অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়া।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারেও চাহিদা কমে গেছে, রপ্তানির গতিও কমে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বাহ্যিক প্রতিকূলতার প্রভাবের বিরুদ্ধে তুলনামূলকভাবে ভালোভাবে দেশ পরিচালনা করছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: এডিবি’র ১ বিলিয়ন: আলোচনার জন্য রাতে ঢাকায় আসছেন লাভাসা
গিনটিং বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে মূল সংস্কারগুলোকে ত্বরান্বিত করা দেশকে মধ্য মেয়াদে উচ্চ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এই সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট এবং অভ্যন্তরীণ রিসোর্স মোবিলাইজেশন জোরদার করা, আর্থিক খাতকে সুস্থির করা এবং বেসরকারি খাতে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রতিযোগিতা বাড়ানো।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জলবায়ু এজেন্ডার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে অভ্যন্তরীণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে বৈশ্বিক জ্বালানির বাজারের অস্থিরতার বিরুদ্ধে সহনশীলতা বাড়ানোর জন্য এটাই সঠিক সময়।’
গিনটিং বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বে এডিবি দেশের জনগণের জন্য অবকাঠামো, জনসেবা এবং সামাজিক উন্নয়নের উন্নতির জন্য সহ-অর্থায়নসহ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও অনুদান পেয়েছে। বাংলাদেশে ৫০টি চলমান প্রকল্পে ১১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অবকাঠামোতে এডিবি’র আরও সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে