মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
ডিসেম্বরের মধ্যে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের আশা মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজাকারের তালিকার নীতিমালা তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) মাজার মসজিদে নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা তৈরি করার জন্য আগে কোন আইন ছিল না। বিগত পার্লামেন্টে এই আইন পাশ হয়েছে। এখন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির মাননীয় সভাপতি শাহজাহান খানকে আহ্বায়ক করে তালিকা প্রণয়নের জন্য এবং নিয়মাবলী অর্থাৎ কিভাবে প্রণয়ন করবে তা নির্ধারণের জন্য তাকে দায়িত্ব প্রদান করে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আশা করা যায় ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ৩০ সদস্যকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবর্ধনা
এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে দলের প্রধান অথবা সাধারণ সম্পাদক কথা বলতে পারেন। আমি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করবো না। মঙ্গলবার সকালে একদিনের সফরে সিলেট এসে পৌঁছান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি দুপুরে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত করে সেখানকার মসজিদে নামাজ আদায় করেন। বিকেলে হযরত শাহপরাণ (র.) মাজার মসজিদে নামাজ আদায় এবং কবর জিয়ারত করেন।
এরপর রাতে সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন শেষে বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে নেত্রকোনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের একটি ডেটাবেস হয়েছে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর হত্যার অন্তরালে যারা ছিল তাদের বিচার হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
১ বছর আগে
স্বাধীনতাবিরোধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক স্বাধীনতাবিরোধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নতুন আইন প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছেন।
রবিবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি (সুবর্ণজয়ন্তী) উপলক্ষে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রবেশ রোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে: মোজাম্মেল হক
সংসদে তিনি বলেন, ‘যখনই তারা (স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি) সুযোগ পায়, তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার জন্য এসব মন্তব্য করে। এ কারণে আমি মনে করি হলোকাস্ট জেনারেল আইনের মতো এবিষয়েও একটি নতুন আইন পাস করা উচিত।’
মন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে কথা বলবে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি আইন প্রয়োজন। আইন কমিশন আইন মন্ত্রণালয়ে এমন একটি আইন প্রস্তাব করেছে, যা সংসদে পাস হতে পারে।
বিএনপি ও জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, তারা সংসদকে অকার্যকর করার জন্য গত দুটি জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল। তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার জন্য অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয়েছিল এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, কিন্তু তারা সত্যিকার অর্থে এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু এই সংসদকে বিশ্বাস করে না। যেহেতু সংসদের প্রতি তাদের আস্থা নেই, তাই তারা যখনই সুযোগ পায় শুধু এই সংসদকেই নয়, বাংলাদেশকেও একটি নিরর্থক ও ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতীয়মান করতে ষড়যন্ত্র করে।’
মোজাম্মেল হক বলেন, এ ধরনের মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতি রোধে জাতীয় সংসদে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার বিচার করতে সক্ষম হয়েছেন, তাই তার (শেখ হাসিনা) পক্ষে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করে জাতির সুরক্ষা ব্যবস্থা করা সম্ভব।
অতীতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তারা এখনও বলে যে পাকিস্তান ভালো। পাকিস্তানের ভূত এখনও তাদের মন থেকে যায়নি।’
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
খালেদা জিয়া কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না:মোজাম্মেল হক
১ বছর আগে