ছাই
গাংনীতে আগুনে পুড়ে ছাই হলো গরু-ছাগল
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী সহড়াতলা গ্রামে কৃষকের গোয়াল ঘরে আগুনে তিনটি ছাগল ও একটি গরু পুড়ে মারা গেছে। পরিবার ও প্রতিবেশীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
শুক্রবার (২১ জুন) ভোর ৪টার দিকে গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের সহড়াতলা মাদরাসা পাড়ার দিন মজুর কৃষক আব্দুল মজিদ কারিগরের গোয়াল ঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আব্দুল মজিদ কারিগর একই এলাকার কৃষক আব্দুল গফুর কারিগরের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আগুনে পুড়ে গেছে ৯ দোকান ও ৪ অটোরিকশা
কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, ভোরে হঠাৎ করে ছাগল ও গরুর ডাক শুনে ঘুম ভেঙে যায়। গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। অনেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কিন্তু গোয়ালে থাকা তিনটি ছাগল ও একটি গরু বাঁচাতে পারিনি। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আগুনে আমার প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গরু ছাগলকে মশার হাত থেকে রক্ষা করতে গোয়াল ঘরে কয়েল জ্বালানো ছিল। কয়েল থেকে আগুন ধরেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলম হুসাইন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি পরিদর্শন করে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গার্মেন্টসের গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
৬ মাস আগে
পিরোজপুরে আগুনে পুড়ে ছাই ৩ বসতবাড়ি
পিরোজপুরের পৌর এলাকার ভাইজোড়ায় আগুনে পুড়ে তিনটি বসতবাড়ি ছাই হয়ে গেছে।
সোমবার দুপুরে পিরোজপুর পৌর এলাকার ভাইজোড়া এলাকায় এসব বাড়ি পুড়ে যায়।
পিরোজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, পিরোজপুর পৌর এলাকার ভাইজোড়া এলাকার শেখ বাড়ির কামাল শেখ, জামাল শেখ ও পলাশ শেখের তিনটি বাড়ি এ আগুনে পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: আগুনে পুড়ল ৪০ বিঘা জমির পানের বরজ
তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বসত ঘরের সব কিছু পুড়ে যায় এবং এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত জামাল শেখ বলেন, তার নিজ বাড়িসহ তার ভাই কামাল শেখ ও চাচাতো ভাই পলাশ শেখের বাড়িতে আগুন লাগে। এ সময় বাড়িতে নারীরা ছিল। তারা তিন ভাই নিজ নিজ কাজের জন্য বাড়ির বাইরে ছিল। আগুন লাগার খবর পেয়ে এসে তারা দেখতে পেয়েছে তাদের ঘরের সব কিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. রেজোয়ান বলেন, দুপুরে ১২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা এসে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। আগুন নেভানোর আগেই তিনটি বসতঘরসহ দুই রান্না ঘর পুড়ে যায়। তবে কী কারণে আগুনের সূত্রপাত তা তদন্তের পরে জানানো যাবে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে গিয়ে অর্থ সহায়তা দেন পিরোজপুরের পৌর মেয়র মো. হাবিবুর রহমান মালেক। এছাড়া তিনি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের নতুন ঘর নির্মাণেও সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বাড়িতে আগুন লেগে বৃদ্ধার মৃত্যু
৭ মাস আগে
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন খাত পাটকাঠির ছাই
মাগুরায় পাটকাঠি পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে ছাই। যা দিয়ে তৈরি করা হয় কার্বন পেপার, ফটোকপিয়ার এবং কম্পিউটার প্রিন্টারের কালি।
এই ছাই রপ্তানি হচ্ছে চীনে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সম্ভাবনার নতুন খাত হিসেবে ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছে পাটকাঠির ছাই।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের মধুমতি নদীর তীরে রুইজানী গ্রামে ২০১৬ সালে গড়ে ওঠে ইমপিগনা প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ছাই উৎপাদন কারখানা।
এ কারখানায় কার্বন উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হাজার হাজার মণ পাটকাঠি পোড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: ডিলারদের বৈদেশিক মুদ্রা আমানত হিসাব খোলার অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকের
কারখানার ম্যানেজার খোরশেদ আলম জানান, পাটকাঠি পোড়ানোর জন্য এই কারখানায় ১৬টি চুল্লি রয়েছে। প্রতিটি চুল্লিতে ৭৫ থেকে ১০০ মণ পাটকাঠি পোড়ানো যায়।
তিনি জানান, প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ মণ পাটকাঠি পোড়ানো হয়। প্রতি মাসে প্রায় ১২ হাজার মণ পাটকাঠি পুড়িয়ে ছাই বা চারকোল পাউডার উৎপাদন করা হয়। ওই হিসাব অনুযায়ী ছয় মাসে (মৌসুম) গড়ে ৬৩ হাজার মণ থেকে ৭২ হাজার মণ পাটকাঠি পুড়িয়ে ছাই তৈরি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পাটকাঠি পোড়ানোর পর টানা পাঁচদিন চুল্লি বন্ধ রাখা হয়। ষষ্ঠ দিন চুল্লি খুলে পোড়া পাটকাঠি জাঁতা মেশিনে ভাঙিয়ে পাউডার করা হয়। ওই পাউডারের নামই চারকোল। যা দিয়ে তৈরি হয় মূল্যবান কার্বন পেপার, ফটোকপিয়ার এবং কম্পিউটার প্রিন্টারের কালি।
ভাঙানো পাউডার সাড়ে ১২ কেজি বা ১৫ কেজির দুই স্তরের পলিব্যাগে ভরা হয়। যাতে করে ব্যাগের মধ্যে বাতাস প্রবেশ করতে না পারে। এরপর লেমিনেটেড ব্যাগের মধ্যে দিয়ে সেলাই করা হয়। সেলাই করা ব্যাগগুলো দুই থেকে তিন দিন খোলা স্থানে খাড়া করে রাখা হয়। এরপর তা গুদামে অন্তত ২১ দিন রাখতে হয়। এই ছাই পরে ট্রাকে বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম বন্দরে। সেখান থেকে জাহাজে করে পাঠানো হয় চীনে।
বর্তমানে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরাসহ কয়েকটি জেলার প্রায় ৪০ কারখানায় এই চারকোল পাউডার বা ছাই উৎপাদিত হয়। এসব কারখানা থেকে বছরে প্রায় সাত হাজার ৭১ টন উৎপাদিত ছাই বিদেশে রপ্তানি করা হয়। এতে বছরে আয় হয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিব এ হাসান জানান, এখানে প্রতি মাসে গড়ে ১২ হাজার মণ পাটকাঠি পোড়ানো হয়, যা থেকে ৭৫ টন ছাই বা চারকোল পাউডার উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত পাউডার চীনে রপ্তানি করা হয়।
প্রতি টন ছাইয়ের দাম ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা। ওই হিসাব অনুযায়ী ছয় মাসে (মৌসুম) তিন কোটি টাকার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং এবং এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে: বিবি
চা শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, এটির ক্ষতি করা উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে