আরাফাত রহমান কোকো
বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কোকো ছিলেন প্রধান নায়ক: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কোকো ছিলেন প্রধান নায়ক। কোকো একজন অসাধারণ ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন, যিনি নিজে খেলাধুলা করতেন এবং বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মঙ্গলবার বনানী কবরস্থানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘আজ (২৪ জানুয়ারি) আরাফাত রহমান কোকোর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হলেও ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। দুর্ভাগ্যবশত, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তার মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক-এগারোর ঘটনার পরে কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তারপর তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বিদেশে নির্বাসনে পাঠানো হয়। রাজনীতিতে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুর পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই দায়ী।’
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: ফখরুল
তিনি বলেন যে আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নের প্রধান নায়ক। তিনি ক্রিকেটকে সংগঠিত, প্রতিষ্ঠিত ও এর মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে অবদান রেখেছেন। কিন্তু আমরা দেখেছি কীভাবে তাকে করুণ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে এবং বিদেশে যথাযথ চিকিৎসা না পেয়েই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।
ফখরুল স্মরণ করেন যে সরকারবিরোধী তীব্র আন্দোলনের মধ্যে কোকোর মরদেহ মালয়েশিয়া থেকে দেশে আনা হয়েছিল, যখন তার মা খালেদা জিয়াকে গুলশানে তার কার্যালয়ে বন্দি করে রাখা হয়।
তিনি বলেন, কিন্তু লাখ লাখ মানুষ সেদিন রাজপথে নেমে বায়তুল মোকাররম মসজিদে তার জানাজায় অংশ নেন… জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস তা প্রমাণ করেছে। জিয়ার পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক।
আরও পড়ুন: ‘বাকশালের গণতন্ত্র’ জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল
তিনি আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীতে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। কোকোকে খালেদা জিয়ার আদরের ছেলে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাকে হারিয়ে তিনি (খালেদা জিয়া) বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। তিনি এখনও গৃহবন্দি ও আমাদের অনেক নেতাকর্মী কারাবন্দি এবং বর্তমান আন্দোলনে এ পর্যন্ত আমাদের ১৫ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশবাসী এখন কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা সফল হব ও চলমান আন্দোলনে বিজয়ী হব এবং বর্তমান শাসনের পতন নিশ্চিত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।’
কোকোর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকাল ৮টায় বনানীতে কোকোর কবর প্রাঙ্গণে কোরআনখানির আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টার দিকে ফখরুলসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি কোকো ৪৫ বছর বয়সে মালয়েশিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। ২৭ জানুয়ারি তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: কোকো’র ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে সোমবার
১ বছর আগে
কোকোর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বর্তমান চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার পালিত হয়েছে।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে।
ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি সকালে বনানী কবরস্থানে কোকোর কবরে কোরআন পাঠ ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নতুন বিল অনুগত লোকদের নিয়ে আরেকটি ইসি গঠনের চক্রান্ত: বিএনপি
এছাড়া বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার ২৬টি থানা ইউনিটে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় এবং দুস্থ ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
এদিকে বিকাল ৫টায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে আরেকটি দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি এবং এর নগর ও জেলা শাখার বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনও সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেছে।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি, কোকো মালয়েশিয়ায় ৪৫ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
২৭ জানুয়ারি তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে সরকারের পদক্ষেপ আরেকটি ‘উপহাস’: বিএনপি
২ বছর আগে
লন্ডনে ফিরে গেলেন কোকোর স্ত্রী
সাড়ে তিন মাসের বেশি ঢাকায় অবস্থানের পর লন্ডনে ফিরে গেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, রবিবার রাতে তিনি ঢাকা ছাড়েন এবং সোমবার লন্ডনে পৌঁছেন।
এর আগে শনিবার লন্ডনে যান কোকোর বড় মেয়ে জাহিয়া রহমান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী
গত বছরের ২৫ অক্টোবর খালেদা অসুস্থ হয়ে পড়ায় জাহিয়াকে নিয়ে শর্মিলা ঢাকায় আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা জানান, খালেদার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় শর্মিলা লন্ডনে চলে গেছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন।
১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে শর্মিলা খালেদা জিয়ার দেখভাল করছিলেন।
৯ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত: চিকিৎসক
২ বছর আগে
কোকোর ৫১তম জন্মদিন বুধবার
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫১তম জন্মদিন বুধবার পালন করা হবে।
৪ বছর আগে
সিটি নির্বাচনে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে ষড়যন্ত্র করছে আ’লীগ: ফখরুল
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির বিজয় বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র করছে বলে শুক্রবার অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৪ বছর আগে