অগ্রযাত্রা
মানব পাচার হ্রাসে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রকল্প ‘অগ্রযাত্রা’
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জেলে ও কৃষকদের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে 'অগ্রযাত্রা' প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারকে তা আরও ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা-ফেইভ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে মানব পাচার বৃদ্ধির ঝুঁকি হ্রাস করতে সর্বোত্তম পদক্ষেপ সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণ সরবরাহ করবে এটি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) 'অগ্রযাত্রা' প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনীতে এসব কথা বলেন মার্কিন এই কর্মকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী মানব পাচারের শিকার হওয়ার ঝুঁকি হ্রাসে জলবায়ু অভিযোজন, সহনশীলতা ও প্রশমন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে ও সম্পদ সংগ্রহে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
উইনরক ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন 'অগ্রযাত্রা' প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি বিভাগ) এ কে এম টিপু সুলতান এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, এই কর্মসূচি মানব পাচার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারের উদাহরণ।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় জলবায়ু পরিবর্তন, মানব পাচার ও আধুনিক দাসত্বের মধ্যে যোগসূত্র সম্পর্কে জ্ঞান বাড়াবে ‘অগ্রযাত্রা’ প্রকল্প।
আরও পড়ুন: বাইডেনের চিঠির জবাব দিলেন শেখ হাসিনা
মার্কিন দূতাবাস জানায়, সারা বাংলাদেশে প্রায়শই কৃষিকাজ ও জেলে পরিবারগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্পত্তি বিলীন হয় এবং জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে। প্রমাণ সংগ্রহের মাধ্যমে প্রকল্পটি এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানব পাচারের ঝুঁকি হ্রাস করবে।
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য জলবায়ুসহনশীল জীবিকার উন্নতি এবং নীতি ও পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপকে উৎসাহিত করা।
রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল ও পটুয়াখালীসহ দেশের ১১টি জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশ-উন্নয়নকে আরও কাছ থেকে দেখবেন বিদেশি কূটনীতিকরা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৯ মাস আগে
দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র বানচাল করতে হবে: মিউনিখে সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে আর মাথা তুলে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। কেউ যেন দেশকে পিছিয়ে ঠেলে রাজাকারদের দেশে পরিণত করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকুন।’
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে হোটেল বার্গারহাউস গার্চিংয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন যেখানে প্রতিটি বিশ্বাসের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরে জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে তিনি বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনো নিজের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করি না, বরং চিন্তা করি দেশ ও দেশের মানুষের উন্নতির জন্য আমি কী করতে পারি।’
আরও পড়ুন: জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলাসহ দেশের স্বাধীনতা- সবকিছু পেয়েছে, যেহেতু আওয়ামী লীগ জনবান্ধব দল।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের দল আছে বলেই কোভিড-১৯ মহামারির মতো বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সব সময় জনগণের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছেন।
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং মিউনিখের স্থানীয় মেয়র।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে
সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের সমৃদ্ধির পথে যাত্রা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
মন্ত্রিসভার নতুন সহকর্মীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করার সময় তিনি লিখেন, ‘আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত 'সোনার বাংলা' গড়ে তোলার অঙ্গীকারও করেন।
তিনি আরও লিখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।
তিনি বলেন, এই জয় জনগণ ও গণতন্ত্রেরও জয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
১১ মাস আগে
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এখন কেউ বাধা দিতে পারবে না: শেখ হাসিনা
গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসায় এখন থেকে কেউ দেশের অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'যেহেতু আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসেছে, তাই বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতিকে আর কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদেশি বন্ধুদের অভিনন্দন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে এই নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও তার সমমনা দলগুলো যখন নির্বাচনে যোগ দেয় তখন একটি বিশেষ দল নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করার পরও এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।’
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে না।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণই আপনাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব: দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, 'কেউ বলতে পারবে না যে, এই নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। নির্বাচন অত্যন্ত স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোট কারচুপি হয়েছে এমন কিছু বলার ক্ষমতা কারও নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার কখনই নির্বাচন কমিশনে হস্তক্ষেপ করেনি, বরং সহায়তা করেছে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে এখন আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।
আরও পড়ুন: একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের শক্তি একটি বড় শক্তি, যা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
সমালোচকদের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক স্বৈরশাসকরা যখন ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছিল তখন তারা নীরব ছিল। ‘কিন্তু এখন যখন আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, তখন তারা আমাদের গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
'আমরা গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি;’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার দলকে ভোট দেওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সরকার তাদের প্রচারণায় বাধা দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে এবং শত প্রতিবন্ধকতা ও ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে এই নির্বাচন গ্রহণ করেছে...... গ্রামাঞ্চলেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ একটি ঐতিহাসিক দলিল।
তিনি বলেন, 'জাতির পিতা তার ভাষণে ভবিষ্যতে স্বাধীন বাংলাদেশ কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সব দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের অভিনন্দন
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভা গঠনে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
১১ মাস আগে
লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশে বিপুল সংখ্যক তরুণের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি।
তিনি বলেন, লিঙ্গ সমতা আনয়ন ও লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: নারীদের এগিয়ে নিতে পি-টুয়েন্টি সম্মেলন ভূমিকা রাখবে: স্পিকার
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ আয়োজিত ১৪তম সাউথ এশিয়ান ইকোনোমিক সামিটে ‘রিফ্রেমিং সাউথ এশিয়ান ইকোনোমিক কো-অপারেশন ইন দ্য নিউ কনটেক্সট ন্যাশনাল অ্যান্ড গ্লোবাল ডাইমেনশন’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের হার ৯৮ শতাংশ এ উন্নীত হয়েছে। সমাজের প্রতিটি সূচকে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা, আইসিটি ট্রেনিং ও ডিজিটাল সংযুক্তির মাধ্যমে হাইটেক পার্ক নির্মাণ ও তরুণদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সহজীকরণে কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে এই অঞ্চলকে তথ্য প্রযুক্তির স্মার্ট হাব হিসেবে গঠন করতে হবে।
স্পিকার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ এর পাশাপাশি স্মার্ট উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য স্মার্ট ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় স্পিকার আরও বলেন, তরুণ উদ্যোক্তারাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
আরও পড়ুন: টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে: স্পিকার
সংসদে ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ারম্যান মনোনয়ন স্পিকারের
১ বছর আগে
নারীর অগ্রযাত্রা ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, নারীর অগ্রযাত্রা ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে দেশে নারী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের নারী আইটি সার্ভিস প্রোভাইডারদের ‘ট্রেনিং অব ট্রেইনারস (টিওটি)’ প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ পলকের
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং তার সুপরিকল্পনার ফলেই মাত্র সাড়ে ১৪ বছরে আজকে নারীর ক্ষমতায়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে।
হার পাওয়ার প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নাম উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শী পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ‘আইসিটি বিভাগ ‘হার পাওয়ার প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। অর্থনীতিতে নারী-পুরুষ সমতা আনতেই এই পদক্ষেপ ছাড়াও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট উদ্যোক্তা তৈরির সফলতা নির্ভর করছে প্রশিক্ষকদের সততা ও সফলতার প্রতি।
স্মার্ট অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতেই এই প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশিপ শেষে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে একটি করে বিশ্ব জয়ের হাতিয়ার ল্যাপটপ দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রায়হানা ইসলামের সভাপতিত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মনির হোসেন বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়নে হার পাওয়ার প্রকল্পের অধীনে ২৪টি ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের ২০০ নারী আইটি সেবাদাতাকে (ট্রেইনিং অব ট্রেইনার) প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আইসিটি অধিদপ্তর। সাতটি ব্যাচে টিওটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই নারীরাই দেশের ৪৩টি জেলার ১৩০টি উপজেলায় চার ক্যাটাগরিতে ২৫ হাজার ১২৫ নারীকে দেওয়া হবে ৫ মাসের প্রশিক্ষণ। এর মধ্যে অনলাইনে প্রাপ্ত ৫৪ হাজার আবেদন থেকে প্রতিটি উপজেলায় ১৬০ জন নারী এই প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। সদর উপজেলা থেকে অংশ নেবেন ১৮৪ জন। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের দেওয়া হবে একটি কোরআই ৫ ল্যাপটপ।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তায় বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে কাজ করবে: পলক
রোবট এখন আর বিলাসী নয়, প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী পলক
১ বছর আগে
ঈদে দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা ও বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ কামনা তথ্যমন্ত্রীর
পবিত্র ঈদুল ফিতরে দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা ও বিশ্বের মুসলিমদের কল্যাণ কামনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের নানাবিধ ব্যবস্থার কারণে মজুতদার ও অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর রমজান মাসে ঈদ উপলক্ষে যেভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করে। এবার সেভাবে বাড়াতে পারেনি। এবারের ঈদযাত্রাও অনেক স্বস্তিদায়ক হয়েছে। মানুষ অনেক শান্তিপূর্ণভাবে স্বস্তির সঙ্গে ঈদযাত্রা করতে পেরেছে।’
আরও পড়ুন: অপরাধ-অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
শনিবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রামে নিজের নির্বাচনি এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় নিজগ্রাম সুখবিলাসের জামে মসজিদে ঈদের জামাতে উপস্থিত হয়ে তিনি এ প্রার্থনা করেন এবং নামাজ শেষে এলাকাবাসীর সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পবিত্র ঈদের এই দিনে মহান স্রষ্টার কাছে ফরিয়াদ হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দেশ আজকে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। সেইসঙ্গে দেশ থেকে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি, সাংঘর্ষিক রাজনীতি, হিংসা এবং ঘৃণার রাজনীতি যেন চিরতরে দূরীভূত হয় এবং আমরা সবাই মিলে যেন দেশের স্বার্থকে সবার ওপরে তুলে ধরতে পারি, সেই প্রার্থনা করি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিশ্বের যে সমস্ত জায়গায় মুসলিমরা অসহায় নির্যাতনের শিকার, যেমন ফিলিস্তিনে যেন তাদের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত মুসলিমদের সেই দেশের সরকার যেন ফেরত নিয়ে যায়, সেটি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি।’
আরও পড়ুন: কোন ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন: প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে