ঋণ চুক্তি
বাংলাদেশ ও ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে ৩০৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি সই
বাংলাদেশ এবং ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মোট ২৭৭ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)ঋণ সুবিধা চুক্তি (সিএফএ) সই করেছে।
২২ জুন বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশের জন্য এএফডি কান্ট্রি ডিরেক্টর বেনোইট চ্যাসাটে সিএফএ চুক্তিতে সই করেন।
ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় এএফডি, বিআরটি প্রকল্পের জন্য ৬২ মিলিয়ন ইউরো, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন স্যুয়ারেজ প্রকল্পের জন্য ১৭৫ মিলিয়ন ইউরো এবং বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন(বিইএসটি) প্রকল্পের জন্য ৪০ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
বৃহত্তর ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি কোম্পানি কম্পোনেন্ট) নামে পরিচিত প্রথম প্রকল্পটির লক্ষ্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে (জিসিসি) একটি টেকসই নগর পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই প্রকল্পটি একটি ২০ কিলোমিটার বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) করিডোর প্রবর্তন করবে — যা সমন্বিত শহুরে গতিশীলতার জন্য একটি সামগ্রিক সমাধান প্রদানের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে কাজ করছে।
দ্বিতীয় প্রকল্প হলো উত্তর কাট্টলীর জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প। এটি পোর্ট সিটির বাসিন্দাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চাহিদা পূরণ করে। এটি চট্টগ্রাম শহরের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত উত্তর কাট্টলী ক্যাচমেন্ট এলাকার জন্য একটি পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং বর্জ্যপানি পরিশোধন অবকাঠামো নির্মাণ করবে।
বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বিইএসটি) প্রকল্প নামে তৃতীয় প্রকল্পটি এএফডি এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ প্রচেষ্টা। এর লক্ষ্য বাংলাদেশে পরিবেশগত বিধিবিধান এবং প্রয়োগ বৃদ্ধি করা। প্রকল্পটি দেশের কারিগরি ও প্রশাসনিক সক্ষমতাকে শক্তিশালী করে দূষণ রোধ এবং পরিবেশের গুণগতমান উন্নত করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
এএফডি ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা বাস্তবায়নের জন্য দায়ী একটি দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সংস্থা ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
এএফডি’র সহায়তায় নগর উন্নয়ন এবং পানি ও স্যানিটেশন, গণপরিবহন, এবং নগর পরিষেবার মতো পরিকাঠামোগত উদ্যোগসহ বিস্তৃত উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা বিদ্যুত এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলোতেও অগ্রাধিকার দেয়, যার মধ্যে জ্বালানি দক্ষতা এবং নবায়ণযোগ্য বিদ্যুত, নিরাপত্তা মান এবং পরিবেশগত এবং সামাজিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্পোরেট এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রচেষ্টা।
আজ পর্যন্ত এএফডি প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্পে ২ হাজার ১০১ মিলিয়ন ইউরোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো বাজেট সহায়তা ঋণ প্রদান করেছে, যা দেশের উন্নয়নে তার টেকসই প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আসছেন আইএমএফ’র ডিএমডি
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সংযোগ, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে দুই দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেবে।
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সোমবার একটি ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এই অর্থায়ন চুক্তি বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এই ঋণ চুক্তিতে পাঁচটি প্রকল্প রয়েছে:
- পূর্ব দক্ষিণ এশিয়ায় পরিবহন ও বাণিজ্য সংযোগ ত্বরান্বিতকরণ (অ্যাকসেস) – বাংলাদেশ ফেজ-১ প্রকল্প, যার মূল্য ৭৫৩ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
- স্থিতিস্থাপকতা, অভিযোজন ও দুর্বলতা হ্রাসের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট (রিভার), যা বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ কে সমর্থন করার জন্য প্রথম বড় বিনিয়োগ হবে। এটি অভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতি উন্নত করতে সহায়তা করবে।
- ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি), প্রকল্পটি এ ধরনের প্রথম ঋণ যা দেশের স্থিতিস্থাপক উন্নয়নে রূপান্তরে সহায়তা করবে।
- ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন (স্মার্ট) প্রকল্পের লক্ষ্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাতকে আরও গতিশীল, কম দূষণকারী, সম্পদ দক্ষ এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধি খাতে রূপান্তর করতে সহায়তা করা।
- ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বেস্ট) প্রকল্পটি পরিবেশ ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে এবং সবুজ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ৩টি প্রকল্পে ১.২৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
১ বছর আগে