ব্রাসেলস
ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাসেলস সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল এবং সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার জেনাজ লেনারসিকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
১ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি লুক্সেমবার্গ সফরকালে তিনি লুক্সেমবার্গের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
এছাড়া বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, লিথুয়ানিয়া, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, ভিয়েতনাম ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাসেলসের উদ্দেশে বুধবার রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন।
সম্প্রতি উগান্ডায় অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে দুই দিনে ১৭টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা স্মরণ করে বুধবার রওনা হওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'দেখা যাক আমরা কতগুলো বৈঠক করতে পারি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল এই ফোরামের সভাপতিত্ব করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল ফোরাম ইইউ এবং এর সদস্য দেশগুলোকে পশ্চিমে আফ্রিকার পূর্ব উপকূল থেকে পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত দেশগুলোর সঙ্গে একত্রিত করবে।
ইইউ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদাররা উভয় অঞ্চলকে প্রভাবিত করে এমন জটিল অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, ভূ-রাজনৈতিক ও সুরক্ষা চ্যালেঞ্জগুলোর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এতে একটি উদ্বোধনী অধিবেশন, তিনটি গোলটেবিল আলোচনা এবং একটি সমাপনী অধিবেশন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ব্রাসেলস ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসে এবং ২০২৩ সালের মে মাসে স্টকহোমে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী দুটি ফোরামের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আয়োজন করা হয়েছে।
সংলাপের জন্য এটি একটি প্ল্যাটফর্ম। এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি, সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সংহতি বাড়াতে প্রায়োগিক উপায়গুলো চিহ্নিত করাই এ প্লাটফর্মের উদ্দেশ্য ।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
ইউরোপ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অত্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত এবং পরস্পর নির্ভরশীল, এ কারণেই ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম ইউরোপ এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের মধ্যে সংলাপ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।
অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতার জন্য ২০২১ সালের ইইউ কৌশলটি নির্ধারণ করে যে কীভাবে ইইউ এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতে, এটি স্পষ্ট যে সহযোগিতা এই চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ঝুঁকি ও বাধাগুলোর স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার মূল চাবিকাঠি।
বিশেষ করে ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন ও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৯ মাস আগে
বেলজিয়ামে ৩ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলজিয়ামে ৩ দিনের সরকারি সফর শেষ করে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে) ব্রাসেলস জাভেন্তেম বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বিমানটি শুক্রবার দুপুর ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
ব্রাসেলসে প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেনের আমন্ত্রণে ২৫-২৬ অক্টোবর 'গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম-২০২৩' এ যোগ দেন।
আরও পড়ুন: সতর্ক থাকুন, আগামী নির্বাচন যাতে বানচাল না হয়: প্রধানমন্ত্রী
ব্রাসেলসে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতৃবৃন্দ, ইউরোপীয় কমিশন (ইসি), ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, ইসি প্রেসিডেন্ট এবং ইআইবি প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশকে প্রায় ৪৭৭ মিলিয়ন ইউরো প্রদানের জন্য বেশ কয়েকটি ঋণ ও অনুদান চুক্তি সই প্রত্যক্ষ করেন, যার মধ্যে রয়েছে- নবায়নযোগ্য (সবুজ) জ্বালানি খাতের জন্য ৪০৭ মিলিয়ন ইউরো এবং সামাজিক খাতের জন্য ৭০ মিলিয়ন ইউরো।
বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু এবং লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন, গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের সমাপনী প্লেনারি সেশনে যোগ দেন এবং বেলজিয়ামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া কমিউনিটি সংবর্ধনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি, যুবকের ৫ বছরের কারাদণ্ড
বাংলাদেশে উন্নতমানের জাহাজ নির্মাণে বেলজিয়ামকে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলসের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫-৩৬ অক্টোবর সেখানে অনুষ্ঠিতব্য ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’-এ যোগ দিতে বেলজিয়ামে তিন দিনের সরকারি সফরে মঙ্গলবার সকালে ব্রাসেলসের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন।
ইউরোপিয়ান কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেনের আমন্ত্রণে তিনি ব্রাসেলসে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।’
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ব্রাসেলস জাভেনটেম বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন।
২৫ অক্টোবর (বুধবার) প্রধানমন্ত্রী ইসি প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেন এবং ইসির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষয়ি বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বেলজিয়াম সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকের পর তিনি ইসি প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও ইআইবির সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করবেন। ইইউ বাংলাদেশকে ৪০৭ মিলিয়ন ইউরো রেয়াতি ঋণ ও অনুদানের আকারে দেবে। এর মধ্যে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো ছাড় দেওয়া হবে।
একই দিনে শেখ হাসিনা গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং তার বক্তব্য দেবেন।
বিকালে তিনি ইআইবি প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ার্নার হোয়ারের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এছাড়া ইসি কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জেনেজ লেনারসিক এবং ইসি কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ জুট্টা উরপিলাইনেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে ইসি প্রেসিডেন্ট লেয়েনের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন।
২৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) তিনি তার বেলজিয়ামের প্রতিপক্ষ আলেকজান্ডার ডি ক্রুর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী লাক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
বিকালে শেখ হাসিনা বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেওয়া এক কমিউনিটি সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
২৭ অক্টোবর (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় ব্রাসেলস ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফর বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
১ বছর আগে
চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম ২০২৩-এ যোগ দিতে চলতি মাসের শেষের দিকে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস সফর করবেন।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২৪ অক্টোবর ব্রাসেলস ত্যাগ করবেন এবং ২৭ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
তিনি বলেন, ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
মোমেন আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, অনেক দেশ বাংলাদেশের কাছে তাদের পণ্য বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে আসতে পারে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন সম্প্রতি জি-২০ সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন কি না- জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘তিনি এখনও জানেন না।’
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫-২৬ অক্টোবর। দুই দিনব্যাপী এআলোচনায় অংশ নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ই্ইউ), বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতিনিধি, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, নেতৃস্থানীয় চিন্তাবিদ, অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে একত্রিত করছে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম।
আরও পড়ুন: আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) গ্লোবাল গেটওয়ে কৌশল পরিবহন ও সরবরাহ চেইন, গ্রিন এনার্জি, আধুনিক টেলিযোগাযোগ, শিক্ষা ও গবেষণার একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে বিশ্বের দেশ এবং অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করে। একই সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন ও ইউরোপীয় মূল্যবোধের উপর জোর দেয়। যেমন- সুশাসন, স্বচ্ছতা ও সমান অংশীদারিত্ব।
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের উদ্দেশ্য হলো সরকারি ও বেসরকারি খাতের চ্যালেঞ্জ, সর্বোত্তম অনুশীলন এবং অভিজ্ঞতাসহ অবকাঠামোতে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্কের জন্য নেতাদের একত্র করা।
এটি গ্রিন এনার্জি স্থানান্তর এবং সবুজ হাইড্রোজেন; শিক্ষা ও গবেষণা; ক্রিটিকাল কাঁচামাল; পরিবহন করিডোর; স্বাস্থ্য পণ্য উৎপাদন এবং ডিজিটাল অবকাঠামো থিমের উপর ফোকাস করা হবে।
এটি গ্লোবাল অবকাঠামো ও বিনিয়োগের জন্য জি৭ অংশীদারিত্ব প্রদর্শনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্মও তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
শক্তিশালী, স্থিতিশীল, স্বনির্ভর বাংলাদেশ ভারতের জন্য সর্বোত্তম নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে পারে: মোমেন
১ বছর আগে
বাংলাদেশ ও ইইউ দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে সম্মত
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ইইউ অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে।
ব্রাসেলসে মঙ্গলবার ও বুধবার (২ ও ৩ মে) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক কমিশনার জুটা উরপিলাইনেন, স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার মিজ ইলভা জোহানসন, ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কমিশনার জেনেজ লেনারসিচ, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বার্ন্ড ল্যাঞ্জ, পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিড ম্যাকঅ্যালিস্টার এবং মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে বাংলাদেশকে একটি সাফল্যের গল্প বলে অভিহিত করেছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি: বিশ্বকে 'ট্র্যাকে ফিরে' পেতে ইইউকে সহায়তা করার আহ্বান জানাল জাতিসংঘ প্রধান
অপরদিকে স্বাধীনতার পর থেকে দেশের উন্নয়নে ইইউ-এর ভূমিকা বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের সামাজিক কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ইবিএ-এর অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উত্তরণের প্রস্তুতি সম্পর্কে ইইউকে অবহিত করে ভবিষ্যতে ইইউ-এর আরও বড় ভূমিকা পালনের আশা প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া এলডিসি-পরবর্তী বাণিজ্য সম্পর্ক, ইইউ-এর গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগের অধীনে অবকাঠামো উন্নয়ন, গ্রিন ট্রানজিশন, দক্ষ অভিবাসন, মানবাধিকার উন্নয়নের বিষয়গুলো বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ ও ইইউ এর সম্পর্ককে আরো সুসংহত করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি ভিত্তি হিসেবে অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তি দ্রুত শুরুর আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ পক্ষ।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্যেও ইইউ-এর সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইন্দো-প্যাসিফিক, মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে উভয় পক্ষ মতবিনিময় করেছে।
বৈঠকে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বেলজিয়াম ও ইইউতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ব্রাসেলসে চারদিনের সরকারি সফরে রয়েছেন।
এ সফরে ইউরোপীয় কমিশনের কমিশনার এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও ইউরোপীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সঙ্গে মতবিনিময় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধসের মতো বিপর্যয় এড়াতে দরকার নিয়ন্ত্রিত আরএমজি শিল্প: ইইউ
বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলার কৌশল নিয়ে ইইউ, দক্ষিণ এশিয়ার নীতি নির্ধারক-বিশেষজ্ঞদের আলোচনা
১ বছর আগে
শাহরিয়ার আলম ব্রাসেলসে ৩টি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন
বর্তমানে ব্রাসেলসে অবস্থানরত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ইউরোপীয় কমিশন ও ইইউ পার্লামেন্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার তিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান বার্ন্ড ল্যাঙ্গের সাথে সাক্ষাৎ করেন; স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার ইলভা জোহানসন এবং ইউরোপীয় কমিশনের সদর দপ্তরের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের কমিশনার জেনেজ লেনারসিক।
শাহরিয়ার এবং ল্যাঞ্জ বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে দক্ষ অভিবাসনের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রতিমন্ত্রী এবং জোহানসন পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক যেমন বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, উন্নয়ন সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন:সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অন্য দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে: শাহরিয়ার
শাহরিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে লেনারসিক অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন। উভয় পক্ষ পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যু এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়েও আলোচনা করেছে।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক এমপি।
শাহরিয়ার বেলজিয়াম সফর শেষে ৫ মে লন্ডনে যাবেন এবং রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গীতে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে বাংলাদেশিদের স্থানান্তরে সৌদি আরব ও ইন্দোনেশিয়ার সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ: শাহরিয়ার
১ বছর আগে