রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বুধবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আজ সকাল ৮টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী প্রধান ও অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারা।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল অভিবাদন জানায়।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনও সেখানে পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।
এর আগে শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে।
১ মাস আগে
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছে সরকার
চলমান আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সোমবার (২৮ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, ‘ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আপনারা তা জানতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিকে রাজনৈতিক হিসেবে দেখছে সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপদেষ্টা পরিষদও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে এবং সকল রাজনৈতিক পক্ষ ও ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, প্রধান সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি, মুখপাত্র সামান্থা শারমিন ও আকতার হোসেন বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জামায়াত ও ১২ দলীয় জোটের নেতারা একমত পোষণ করেছেন।
আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'দেশব্যাপী অস্বস্তির সৃষ্টি হওয়ায় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।’
এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) রবিবার তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জোর দিয়ে বলেছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই যেকোনো বিষয়ে তাড়াহুড়ো করে পদক্ষেপ নেওয়া এড়াতে হবে এবং সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে কাজ করা উচিত।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা মনে করি, কোনো ধরনের স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ না নিয়ে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে সব কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। বিএনপির অবস্থান আমরা এভাবে দিতে পারি না। আমাদের দলীয় ফোরাম আছে, বিষয়টি নিয়ে ফোরামে আলোচনা করে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করব।’
দলটি প্রয়োজনীয় নির্বাচনি সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি অব্যাহতভাবে আহ্বান জানিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
১ মাস আগে
জাকার্তায় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার জাকার্তার একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘এশিয়ান ম্যাটারস : এপিসেন্ট্রারাম অব গ্রোথ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
রাষ্ট্রপতি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে কনভেনশন সেন্টারের প্লেনারি হলে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে একটি গ্রুপ ফটোশুটেও অংশ নেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা।
রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গীদের মধ্যে আছেন অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর বাণী ছড়িয়ে দিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
প্রেসিডেন্ট রবিবার জাকার্তায় পৌঁছেছেন। এছাড়াও তিনি এখানে ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৮তম ইষ্ট এশিয়া সম্মেলনেও যোগ দেবেন।
বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে ফুল দিয়ে বরণের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে জাকার্তা পৌঁছেছেন।
রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো এবং থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং তিমুর-লেস্তের রাষ্ট্রীয় নেতাদের সঙ্গেও পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি হুতান কোটা গেলোরা বুং কার্নোতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত 'গালা ডিনার'-এ যোগ দেবেন।
জাকার্তা থেকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যাবেন।
সূচি অনুযায়ী আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধান স্কাউট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতকে আরও বড় ভূমিকা রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সমস্যা সমাধানের জন্য রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে রাজি করাতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বঙ্গভবনে তার সঙ্গে দেখা করলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
ভার্মা গত ২৪ এপ্রিল দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করা প্রথম বিদেশি দূত হয়েছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের দীর্ঘায়িত অবস্থান শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সমগ্র অঞ্চলের জন্য সমস্যা তৈরি করছে।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ এবং ভারতে প্রশিক্ষণের সময় একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন তিনি।
সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় যা ভৌগলিক নৈকট্য, ভাগ করা ইতিহাস এবং ত্যাগ ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
তিনি সন্তোষের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে ভারত এখন মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম এবং মোংলার বন্দরগুলো স্থায়ীভাবে ব্যবহার করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে দুই দেশ তাদের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতেও অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বিডিইউ উপাচার্যের অভিনন্দন
তিনি বলেন যে ২০২১ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়েরই বাংলাদেশে অভূতপূর্ব রাষ্ট্রীয় সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে দুই দেশের জনগণের বৃহত্তর সুবিধার জন্য উভয় দেশ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সহ তাদের মধ্যকার অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করবে।
তিনিও আশা প্রকাশ করেন যে বাণিজ্য ঘাটতি এবং বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতার সমস্যাগুলো ভারসাম্যপূর্ণভাবে সমাধান করা হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক আগামী দিনে আরও নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে এবং দুই দেশ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দুই দেশের মধ্যে সংযোগ বহুগুণ বেড়েছে। উভয় দেশের মানুষ এটি উপভোগ করছে।’
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, এর ফলে এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এসেছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
১ বছর আগে