ধান খাওয়া
সুনামগঞ্জে গরুর ধান খাওয়া নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ
সুনামগঞ্জে গরুর খেতের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলা এই সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের আস্তমা গ্রামের উত্তরে ও কামরূপদলং মাদরাসার পূর্ব পাশে পশ্চিম বন্দে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আস্তমা গ্রাম ও কামরুপদলং গ্রামের এই সংঘর্ষে আহতরা সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল, শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আস্তমা গ্রামের পক্ষের আহতরা হলেন— আক্তার হোসেন, দুলাল মিয়া, জুয়েল মিয়া, শামসুজ্জামান, নাছির আলী, আবদুল জলিল, খাইরুল আমীন, এমরান হোসেন, সাদিক মিয়া, নুরুজ্জামান ও সৌরভ হোসেন।
এ ছাড়াও ওই গ্রামের পক্ষ থেকে আরও ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
অপরদিকে, কামরুপদলং গ্রামের পক্ষের আহতরা হলেন— বাতির আলী, সুন্দর আলী, সুজন মিয়া, কালাই মিয়া, মতিউর রহমান, শওকত আলী, নবী হোসেন ও শাফি আহমেদ।
তাদের পক্ষের আহত আরও ৭ থেকে ৮ জনের নামও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে আস্তমা গ্রামের আলগা বাড়ির (আলাদা বাড়ি) কৃষক বজলু মিয়ার গরু কামরুপদলং গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়ার জমির ধান খায়। এ বিষয় নিয়ে দুই কৃষকের মধ্যে মারামারি হয়। পরে এই ঘটনার জেরে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েলে এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হন।
আস্তমা গ্রামের পক্ষে আজগর মিয়া দাবি করেন, গরু অবুঝ প্রাণী। তাকে কেউ বলে দেয় না যে, অমুকের জমিতে গিয়ে ধান খেয়ে আয়। গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে বজলু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে জমির মালিক সুরুজ মিয়া। এতে আমাদের গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সন্ধ্যায় কামরুপদলং গ্রামের পক্ষে নুরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন এসেছিলেন ঘটনাটি শালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করে দিতে। আমরাও তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম যে, গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করে ফেলাই ভালো। কিন্তু আজ (রবিবার) সকালে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
কামরুপদলং গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার একটি হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমরা চেয়েছিলাম বিষয়টি গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে শেষ করে দেই। কিন্তু আস্তমা গ্রামবাসী বিচার না মেনে সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের গ্রামের দিকে আক্রমণ করে। পরে আর কোনো কিছুই কন্ট্রোলে থাকেনি। পরবর্তীতে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। যদি কোনো পক্ষ মামলা করে, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৩৩ দিন আগে
ছাতকে ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
সুনামগঞ্জের ছাতকে ছাগলের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের খাঁন গোষ্ঠী ও শেখ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দু’পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার জাউয়া ইউনিয়নের সাউদেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাউয়া ইউনিয়নের সাউদেরগাঁও জামে মসজিদের জায়গা মাপামাপি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে খাঁন গোষ্ঠী ও শেখ গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত বসলেও উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে।
আরও পড়ুন : সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ১৭টি সেতুর উদ্বোধন সোমবার
এ থেকেই ছাগলে খাঁন গোষ্ঠীর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র দু’পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দু’পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হন।
আহতদের কৈতক হাসপাতাল এবং গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদেরমধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের কারোর নাম- পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয়নি।
জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আহাম্মেদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের সিলেটে পাঠানো হয়েছে, অন্যানদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন : সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
৬৮৭ দিন আগে