কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ
শক্তিশালী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশের অর্থনীতিতে স্বাবলম্বনের ভিত্তি কৃষি। এদেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ কৃষিনির্ভর। অর্থনৈতিক উন্নতি ও অগ্রসরতার জন্য আমাদের শক্তিশালী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ জরুরি, কারণ কৃষির উন্নতি হলে তা শহর ও গ্রামীণ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
শুক্রবার বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত 'বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রুপান্তর ও গ্রামীণ উন্নয়ন: প্রাক বাজেট বিশ্লেষণ ২০২৩-২৪’- শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সভাপতিত্ব করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে সরকারের বিভিন্ন সহায়তা ও সুফলকে কাজে লাগিয়ে দেশের অনেক শিক্ষিত বেকার আজ স্বাবলম্বী, প্রতিষ্ঠিত ও সফল।
আরও পড়ুন: চট্রগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে ভুল থাকলে সংশোধন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এসময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বেকারত্ব দূর করতে চাকরির পিছনে না ছুটে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনে তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি কৃষিতে ভুর্তকি বিষয়ে বলেন, কৃষিতে ভুর্তকি বিনিয়োগও বটে, তবে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে আহরিত টাকাই ভুর্তকি দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রকৃত কৃষকই যেন সে ভুর্তকির সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় মন্ত্রী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ ও কৃষি পণ্য বহুমুখীকরণে গুরুত্বারোপ করে বলেন, কৃষি শুধু আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সাহায্য করছে তাই নয়, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় আমাদের অপেক্ষাকৃত ক্ষতি কম হয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজন।
বর্তমান সরকারের আধুনিক ও লাগসই কৃষি ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ছে, শস্য নিবিড়তা বাড়ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর চেয়েও বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১ বছর আগে