এলজিইডি
পঞ্চগড়ে ইউএনও'র গাড়ি খাদে পড়ে এলজিইডির প্রকৌশলী নিহত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এলজিইডির প্রকৌশলী আবু সাঈদ নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বিসহ আরও তিন কর্মকর্তা।
শনিবার(২ ডিসেম্বর) রাতে জেলার সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের চেকরমারী এলাকার অমরখানা সেতু সংলগ্ন পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে৷
আরও পড়ুন: চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসকের মৃত্যু
জানা গেছে, প্রকৌশলী আবু সাঈদ তেঁতুলিয়া উপজেলা এলজিইডিতে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত।
দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলায় তার গ্রামের বাড়ি।
আহতরা হলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল আমিন ও আইসিটি সহকারী প্রোগ্রামার নবিউল করিম সরকার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা,সহকারী প্রোগ্রামার ও উপজেলা সাবেক এলজিইডির প্রকৌশলীসহ চারজন পঞ্চগড় শহরে যাচ্ছিলেন। এসময় অমরখানা সেতু সংলগ্ন চেকরমারী এলাকায় সড়কে মোড় ঘুরানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলে প্রকৌশলী আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ইমাম নিহত
এসময় স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল আমিনের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় জানান, অমরখানা সেতু সংলগ্ন এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িতে থাকা একজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাড়িটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে৷
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় মেডিকেল শিক্ষার্থীর মৃত্যু, সহপাঠিদের সড়ক অবরোধ
১১ মাস আগে
কিশোরগঞ্জে এলজিইডি ভবনে আগুন
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের স্টেশন রোডে জেলা এলজিইডি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে আগুন লাগার কথা নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আবুজর গিফারী।
সুত্র জানায়, শনিবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তবে কীভাবে এলজিইডি ভবনে আগুন লেগেছে তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
আবুজর গিফারী জানান, শনিবার রাত সোয়া ২টার দিকে এলজিইডি ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে ছুটে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর হকার্স মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৩৩টি দোকান পুড়ে ছাই
তিনি জানান, ভবনে আটকা পড়া জাহাঙ্গীর নামে একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, রাতে হঠাৎ ভবনের দোতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দোতলা ও তিনতলার পিসি সব পুড়ে যায়। তবে ভবনের বিভিন্ন কক্ষের ভেতরে থাকা নথিপত্র সবই অক্ষত রয়েছে। বারান্দার তার পুড়ে যাওয়াসহ কিছু ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের বর্জ্যের স্তূপে লাগা আগুন ৮ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
এছাড়াও নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষেরও সবকিছুই অক্ষত আছে। অগ্নিকাণ্ডে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।
এলজিইডি ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্প এলাকায় পোশাক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
১ বছর আগে
চলাচলের অনুপযোগী ফরিদপুর পৌরসভার শতাধিক কিলোমিটার সড়ক
পাঁচ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার ফরদিপুর পৌরসভার সড়কগুলো সংস্কারে গত চার বছরে নতুন কোনো প্রকল্প নেয়া হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কগুলোতে ছোট বড় গর্ত তৈরি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, ১৮৬৯ সালে ২২.৩৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ফরিদপুর শহরকে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে পৌরসভায় রুপান্তর করা হয়। ১৯৮৩ সালে এই পৌরসভাকে ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণীতে এবং ১৯৮৬ সালে ‘খ’ থেকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নতী হয়।
বর্তমানে ৬৬.৩১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে ফরিদপুর পৌরসভা কাজ চলছে। ২০০৯ সালে পৌরসভার জনসংখ্যা ছিল এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৩৭ জন। ২০১৯ সালের হিসেবে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় পাঁচ লাখ ৫৭ লাখ ৬৩১ জন।
এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য পৌরসভার মালিকানাধীন সড়ক রয়েছে ৪৪৫ কিলোমিটারের ২৮টি সড়ক। এর মধ্যে ১২৫ কিলোমিটারের ১৬টি সড়কের অবস্থা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘ সময় সংস্কার না হওয়া সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান সড়ক অম্বিকা চরণ মজুমদার সড়ক। এটি ঝিলটুলী মহল্লা এলাকার জেলা পরিষদের ডাকবাংলো থেকে শুরু হয়ে মহাকালী পাঠশালার মোড়ে গিয়ে মিশেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি চরকলাপুর ও পূর্বখাবাসপুর লঞ্চঘাট জোড়া সেতু হয়ে শহরে প্রবেশের জন্য একটি সংযোগ সড়ক হিসেবেও কাজ করে।
এই সড়কের পুরো অংশে ছোট বড় গর্ত হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, অনেকদিন হলো সড়কটি মেরামত হচ্ছে না। বাড়ি থেকে বের হয়েই সড়কে নেমে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়।
পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার সুফি আব্দুল বারি সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ে আছে। ওই এলাকার বাসিন্দা ঠিকাদার দুলাল হোসেন বলেন, কয়েক বছর হলো সড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে না। খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে, বৃষ্টি হলে আর চলাচলের উপায় থাকে না।
পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কানিজ সড়কে তিনশ মিটার অংশ সংস্কার না করায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক গাজী মোকসেদুর রহমান (৬৫) বলেন, সড়কটি নিয়ে বিপদে রয়েছি। এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভার। পৌরকর বাড়ছে, নাগরিক সুবিধা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।
পড়ুন: অরক্ষিত রেলক্রসিং: ফেনীতে ৭ মাসে ৯ জনের মৃত্যু
২ বছর আগে
বন্যা: সিলেট নগরীর সড়কে ক্ষতি ২০০ কোটি টাকা
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট নগরীর ছোট বড় একশ’র ওপর সড়কে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর পুরো জেলার ক্ষতির পরিমাণের প্রায় দশগুণ বেশি।
সওজ, এলজিইডি, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে- পাহাড়ি ঢলে এবার সবচেয়ে বড় ধকল গেছে সড়কের ওপর দিয়ে। আর সড়ক ডুবে যাওয়ার পরও যানবাহন চলাচল অব্যাহত ছিল। এতে করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেশি হয়েছে।সিলেট নগরের ভেতরে রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি সড়ক। এর মধ্যে একটি আম্বরখানা থেকে শুরু হওয়া সুনামগঞ্জ রোড ও অপরটি কুমারপাড়া হয়ে সুবহানীঘাট সড়ক। দুটি সড়কের ওপরেই ছিল পানি। যানবাহনও চলেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সড়ক। এরই মধ্যে সড়ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন সিটি মেয়র ও প্রধান প্রকৌশলী। দুটি সড়কে আপাতত ইট-সুরকি ফেলে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। বর্ষার মৌসুমের পর স্থায়ীভাবে সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ৬৫ কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় সড়ক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানি নেমে যাওয়ার পর ধ্বংসচিত্র ভেসে উঠেছে।
আরও পড়ুন: বন্যা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২১সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, টাকার অঙ্কে সিলেট নগরের সড়কে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।নগরের উপ-শহরে ছোট-বড় মিলিয়ে রয়েছে একশ’র ওপরে রাস্তা। এছাড়া সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকার সব সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভিআইপি সড়ক তালতলা থেকে শেখঘাট পয়েন্ট পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে কিছু কিছু স্থানে মেরামত করা হচ্ছে। তবে সব এখনও করা সম্ভব হয়নি। সওজ’র যে সড়কগুলো রয়েছে সেগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।সিলেট সিটি করপোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম জানিয়েছেন, তার ওয়ার্ডে ১০৮টি সড়ক রয়েছে। সবক’টি সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত। দুই দফা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপ-শহরের সড়ক। মানুষের কষ্ট লাঘবে দ্রুততম সময়ে ভেঙে যাওয়া সড়ক মেরামতের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী মাসে আরেকটি বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
সুনামগঞ্জে ২ হাজার কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত, ১৫০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি
সাম্প্রতিক বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলার অন্তত দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন অধিকাংশ সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব রাস্তায় পায়ে হাঁটাও কষ্টকর। মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চললেও এটি যেন মরণ ফাঁদ।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জয়নাল মিয়া জানান, সুনামগঞ্জ-দোয়ারা-ছাতক সড়কের মান্নারগাঁও এলাকার পুটিপুসি সড়কের বান্দেরবাজার যাওয়ার আগে গভীর খাল হয়ে গেছে, ওখানে এখন নৌকা চলে।
এছাড়া ডাউকাখালি-ব্রাহ্মণগাঁও-আমবাড়ী সড়কে ব্যবহৃত বিটুমিন ও পাথর বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এই এলাকায় আগে রাস্তা ছিল তা এখন দেখে বোঝাই যায় না।
পড়ুন: দৃশ্যমান হলো রূপসা রেল সেতু
২ বছর আগে
কুড়িগ্রামে বন্যায় ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি
সাম্প্রতিক ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কুড়িগাম জেলার রৌমারী উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সোমবারও উপজেলার দাতভাঙ্গা ইউনিয়নের ১৫ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
নতুন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো- চর গয়টা পাড়া, তেকানী গ্রাম, চরকাউয়ারচর, চরবোয়লমারী, ওকড়াকান্দা, শৌলমারী, মোল্লারচর, কড়াইকান্দি, মির্জাপাড়া, গোয়লগ্রাম, নতুন চুলিয়ারচর, বকবান্দা, বিক্রিবিল, আলগারচর ও কাশিয়াবাড়ি।
খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। এছাড়া বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এই এলাকার ২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে সুনামগঞ্জ
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী জুবায়ের হোসেন জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় শৌলমারী, রৌমারী ও যাদুরচর ইউনিয়নের ২২ কিলোমিটার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত গভীর পানির মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য মানুষ নৌকা ব্যবহার করছে।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, জিঞ্জিরাম, ধরনী ও কালজানি নদী পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার ২৮৩ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, টানা বর্ষণে উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার্তদের ত্রাণসামগ্রী দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত তিন লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে বলেও জানান তিনি।
আজিজুর রহমান আরও জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে এবং বরাদ্দ পেলে আরও ত্রাণ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বন্যায় ৫৫২ কিলোমিটার রাস্তা ও ৮টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত
২ বছর আগে
এলজিইডি দেশের রোল মডেল হতে পারে: মন্ত্রী
দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রোল মডেল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে আয়োজিত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এলজিইডি শহর ও নগর অঞ্চলেও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। নিজ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের পাশাপাশি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। বর্তমানে যে সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হাতে নেয়া হয়েছে, তা অন্যান্য সরকারের আমলের চেয়ে অনেকগুণ বেশি। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে এই প্রতিষ্ঠানটির অনস্বীকার্য।
তিনি জানান, সকল প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। অজুহাত দিয়ে প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা যাবে না। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না। নিম্নমানের কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নিম্নমানের কাজ ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
তাজুল ইসলাম প্রকল্প পরিচালকদের নিয়মিত সাইট ভিজিট এবং কাজের গুণগত মান যাচাই-বাছাই করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া, মাঠ পর্যায়ের কর্মকাণ্ড নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য সকল স্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।
নির্মাণ সামগ্রীর গুণগতমান অক্ষুণ্ন রাখতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ইটের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের নিকট চিঠি দেয়া হয়েছে। কোন ইটভাটার মালিক যদি গুণগত মানসম্পন্ন ইট উৎপাদন না করে তাহলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা রাস্তা ও ব্রিজের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। রাস্তায় কি পরিমাণ এবং কি ধরনের গাড়ি চলাচল করবে তা আমলে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে অবকাঠামোগত কাজ করতে হবে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে গুরুত্ব অনুযায়ী নতুন নতুন প্রজেক্ট নিতে হবে।
যেসব প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা কম সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে না নেয়ার জন্য সকল প্রকল্প পরিচালকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
কর্মকর্তাদের পারফরমেন্স মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, শুধু শাস্তি দিলে হবে না, যারা ভালো কাজ করবে তাদেরকে পুরস্কৃত করতে হবে। নতুবা ভালো কাজে আগ্রহী হবে না। দক্ষ জনবল তৈরি করতে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে হলে দক্ষ জনবলের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
এসময় এলজিইডির উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ওপর একটি উপস্থাপনা প্রদান করা হয়। উপস্থাপনায় এলজিইডির বিভিন্ন ইউনিটের কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রধান প্রকৌশলী।
এর আগে, মন্ত্রী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সৌধ’ এর উদ্বোধন করেন।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুরহাট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
২ বছর আগে
সড়কের অপেক্ষায় ৬ বছর ধরে দাঁড়িয়ে এক সেতু!
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে জনদুর্ভোগ লাঘবে তিস্তার শাখা নদীর উপরে একটি সেতু নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার। কিন্তু সেতুর একপাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় ৬ বছরেও দুই গ্রামের মানুষের ভোগান্তির অবসান হয়নি। এতে রাস্তার অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের চর বৈরাতী এলাকায় সেতুটির পূর্বের অংশের নিচ থেকে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে। গত ৬ বছর আগে সেতুটির তিস্তার বন্যায় ভেঙে যায়, সেই থেকে আজও এ অবস্থায় পড়ে আছে। সংস্কারের কোন উদ্যাগ নেয়নি কেউ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দুই গ্রামের প্রায় ২০ হাজার পরিবার।
জানা গেছে, এলজিইডি’র আওতায় ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের চর বৈরাতী এলাকায় তিস্তার শাখা নদীর উপরে ২ লাখ ৯১ হাজার ১৬০ টাকা ব্যায়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত ৬ বছর পূর্বে ব্রিজটির এক দিকে সংযোগ সড়কের কিছু অংশ তিস্তা নদীর পানির তোরে ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়া সড়ক মেরামত করার জন্য এলাকার অনেকেই জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোন লাভ হয়নি। বর্ষাকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ একটি সংযোগ সড়কের অভাবে বছরের পর বছর মারাত্বক দুর্ভোগে জীবন যাপন করছেন। বর্তমানে ওইসব গ্রামের মানুষ আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ যোগাযোগ ক্ষেত্রে বঞ্চিত।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৯৩.৫০ শতাংশ: কাদের
স্থানীয়রা জানান, সেতু থাকলেও রাস্তা না থাকায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে তিন চার কিলোমিটার পথ উল্টো ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। সেতুর একপাশে রাস্তা না থাকার কারণে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের পাশাপাশি অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষের চলাচলে চরম অসুবিধা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, এবারও বর্ষা এলো কিন্তু সেতু ঠিক হল না। চরের মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রতিদিন হাট বাজারে যেতে হয়। ফলে সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় দুর্দশার মধ্যে দিয়ে মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে।
চর বৈরাতী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আইয়ুব আলী (৬০) নামে এক বৃদ্ধ জানান, হামার এলাকাত চেয়ারম্যান মেম্বাররা খালি আসি আসি ভোট নিয়া যায়। ভোট নেয়ার আগত কত কথা কয় কিন্তু ভোট শ্যাষ হইলে আর ফিরিয়াও দেখে না।
দক্ষিণ ঘনেষ্যাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এই সংযোগ সড়কটি মেরামত করতে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার এগিয়ে আসেননি। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে ছেলে মেয়েরা খুব কষ্ট করে স্কুল কলেজে যায়। সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চালুর দিনই পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে: রেলপথমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ কমাতে এবং ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্তে দ্রুততম সময়ে সংযোগ সড়কটি সংস্কার করার জন্য কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে সবাই।
কালীগঞ্জে উপজেলা প্রকৌশলী এ টি এম শামসুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে অচিরেই সেতুটি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
৩ বছর আগে
আবেদনে সাড়া মেলেনি: নিজেদের টাকায় ৫ বছর ধরে সড়ক নির্মাণ!
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সরকারি সহায়তা না পেয়ে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কৃষকদের টাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) থেকে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
৩ বছর আগে
সংস্কারের অভাবে ‘মরণ ফাঁদ’ সরাইল-অরুয়াইল সড়ক
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-অরুয়াইল আঞ্চলিক সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশ স্থান খানাখন্দে ভরা আছে। রাস্তাটি ব্যবহারকারী অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। খানাখন্দ আর দুপাশে মাটি সরে যাওয়ায় সড়কটি এখন ‘মরণ ফাঁদে’ পরিণত হয়েছে।
৩ বছর আগে