ডাকাতদল
টাঙ্গাইলে ডাকাতদলের ২ সদস্য গ্রেপ্তার, টাকা ও গুলি উদ্ধার
টাঙ্গাইলে মহিষ ব্যবসায়ীদের বহনকারী প্রাইভেটকারে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় আত্মঃজেলা ডাকাতদলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, ১০ রাউন্ড গুলি এবং লুণ্ঠিত ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন, বরিশালের দুধল মৌ এলাকার আজিমুদ্দিনের ছেলে মো. মিলন এবং রাজবাড়ীর খানখানাপুর এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন মামুন।
এতে বলা হয়, গত ২২ মার্চ সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের পাঁচগাঁও এলাকায় সখীপুর-গোড়াই আঞ্চলিক সড়কে মহিষ ব্যবসায়ীদের বহনকারী প্রাইভেটকারকে ১০ থেকে ১২ সদস্যের ডাকাতদল মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল নিয়ে থামায়। ডাকাতরা প্রথমে আঘাত করে প্রাইভেটকারের সামনের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং মহিষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৭৮ লাখ টাকার ২টি ব্যাগ ডাকাতি করার চেষ্টা করে। এসময় মহিষ ব্যবসায়ীরা টাকা দিতে না চাইলে তারা পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলি করে। মহিষ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে তাদের কাছে থাকা টাকা ভর্তি ২টি ব্যাগ ডাকাতদেরকে দিয়ে দেয়। ডাকাতরা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে আ.লীগের আরও ৯ সদস্য গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় ডিবি ও মির্জাপুর থানা পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত টিম গত ১১ এপ্রিল ঢাকার হাজারীবাগ থানা এলাকা থেকে মাইক্রোবাসের চালক ডাকাত মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় লুণ্ঠিত নগদ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার উদ্ধার করা হয়।
পরে ১৮ এপ্রিল ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইসমাইল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার ভাড়া বাসা থেকে লুন্ঠিত ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, মির্জাপুর থেকে পিস্তলের ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গুলি উদ্ধারের ঘটনায় মির্জাপুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
২২৫ দিন আগে
টেকনাফে পাহাড় থেকে অপহরণকারী ও ডাকাতদলের প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৬
কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড় থেকে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষকে অপহরণ ও ডাকাতির অন্যতম হোতা ছালেহ বাহিনীর প্রধানসহ ছয়জনকে আটক করেছে র্যাব -১৫।
শনিবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি টেকনাফে অপহরণের প্রবণতা বেড়েছে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এটি জানতে পেরে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করি। আমাদের কাছে খবর আসে সালেহ বাহিনী অপহরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা গৃহহীন পাহাড়ে অভিযান পরিচলনা করি। এসময় সালেহ বাহিনীর প্রধানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, দেশীয় তৈরি ৩টি একনলা বড় বন্দুক, ২টি একনলা মাঝারি বন্দুক, ৬টি একনলা ছোট বন্দুকসহ মোট ১১টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ১৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৪ রাউন্ড খালি কার্তুজ, ২টি ছুরি ও ৬টি দেশীয় দা উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
আরও পড়ুন: দুইদিনের ব্যবধানে টেকনাফে ৭ জন অপহরণ
গ্রেপ্তারেরা হলেন-ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলেহ ডাকাত, নুরুল আলম নূরু, আক্তার কামাল সোহেল, নুরুল আলম লালু, হারুনুর রশিদ ও এরিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন যে টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে হাফিজুর রহমান ওরফে ছলেহ ডাকাতের সরাসরি নেতৃত্বে এই চক্রটি অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাব এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা শিশু ‘অপহরণ’, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
৯৪৪ দিন আগে