কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড় থেকে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষকে অপহরণ ও ডাকাতির অন্যতম হোতা ছালেহ বাহিনীর প্রধানসহ ছয়জনকে আটক করেছে র্যাব -১৫।
শনিবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি টেকনাফে অপহরণের প্রবণতা বেড়েছে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এটি জানতে পেরে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করি। আমাদের কাছে খবর আসে সালেহ বাহিনী অপহরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা গৃহহীন পাহাড়ে অভিযান পরিচলনা করি। এসময় সালেহ বাহিনীর প্রধানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, দেশীয় তৈরি ৩টি একনলা বড় বন্দুক, ২টি একনলা মাঝারি বন্দুক, ৬টি একনলা ছোট বন্দুকসহ মোট ১১টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ১৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৪ রাউন্ড খালি কার্তুজ, ২টি ছুরি ও ৬টি দেশীয় দা উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
আরও পড়ুন: দুইদিনের ব্যবধানে টেকনাফে ৭ জন অপহরণ
গ্রেপ্তারেরা হলেন-ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলেহ ডাকাত, নুরুল আলম নূরু, আক্তার কামাল সোহেল, নুরুল আলম লালু, হারুনুর রশিদ ও এরিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন যে টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে হাফিজুর রহমান ওরফে ছলেহ ডাকাতের সরাসরি নেতৃত্বে এই চক্রটি অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাব এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা শিশু ‘অপহরণ’, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি