স্থানীয় শ্রমিক লীগ
চট্টগ্রামে জোড়া খুন: স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৮
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীর সাগরিকা রোডের বিটাক এলাকায় ছুরিকাঘাতে জোড়া খুনের মূল অভিযুক্ত শ্রমিক লীগ নেতা মো. ইলিয়াছসহ (৪৫) আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ মে) রাতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পাহাড়তলী থানায় গ্রেপ্তার আটজনসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের চকরিয়ায় অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— মো. ইলিয়াছ (৪৫), আব্দুর রহিম ওরফে কার্তিক বনিক (২৯), রায়হান উদ্দিন (১৯), বিপ্লব মল্লিক ওরফে মো. বিপ্লব (২৮), রবিউল ইসলাম (২০), মো. শামীম (২৮), রবিউল হাসান হৃদয় (১৬) এবং সাগর দাশ (২০)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মুদি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম ডিবি বন্দর জোনের উপ-কমিশনার আলী হোসেন জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত ইলিয়াসকে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বাকি সাতজনকে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আটজনসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৮ মে) বিকালে সাগরিকা জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গেটের সিরাজুল ইসলাম শিহাব নামে এক কিশোর তার মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় তার পূর্ব পরিচিত অপর কিশোর রবিউল ইসলাম বলে ‘এই মেয়ে তোর সঙ্গে যায় না’। এ কথার পর দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তারা দুজনই তাদের বন্ধুকে খবর দিলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এ নিয়ে রাতে ৮টার দিকে মীমাংসার জন্য জাতীয় শ্রমিক লীগ পাহাড়তলী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াসের বিটাক মোড়ের অফিসে সালিশের আয়োজন করে উভয় পক্ষকে সে অফিসে যেতে বলে। সবাই সেখানে গেলে প্রাথমিক আলোচনার এক পর্যায়ে ইলিয়াস গালি দিয়ে মারার নির্দেশ দিলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
এ সময় কয়েকজন ভুক্তভোগী মাসুম ও সজীবের পায়ে ছুরিকাঘাত করে। এতে তারা গুরুতর আহত হলে তাদের সঙ্গীরা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত মাসুমের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল অভিযুক্ত ইলিয়াছকে কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকা থেকে এবং বাকি সাতজনকে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটায় পর্যটকদের মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
১ বছর আগে