বড় শোডাউন
ঢাকায় বড় শোডাউন করতে প্রস্তুত বিএনপি
'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
আজ দুপুরের পর থেকেই নয়াপল্টনে জড়ো হয়ে বড় ধরনের শোডাউনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেন দলটির নেতাকর্মীরা।
দলের শীর্ষ নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা নির্বাচন ও তারেক রহমানসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দেন।
বিজয়নগর থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত রাস্তা-অলিগলি বিএনপি সমর্থকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে যায়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিকাল ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: অতি আত্মবিশ্বাস পরিহার করে বিএনপিকে জনগণের আস্থা অর্জনের আহ্বান তারেকের
এটি কাকরাইল মোড়, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের দিকে যাবে।
সমাবেশ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়াল ভাষণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, 'এটি হবে একটি বিশাল সমাবেশ, যা ইতিহাস সৃষ্টি করবে। সমাবেশে ৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণ করা হবে।’
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের 'সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান' স্মরণে বৃহস্পতিবার 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' পালন করে বিএনপি।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সৈনিক ও বেসামরিক জনগণ যৌথভাবে তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে। এর মাধ্যমে তার ক্ষমতায় আরোহণের পথ প্রশস্ত হয়।
আরও পড়ুন: আধিপত্যবাদী শক্তিকে প্রতিহত ও গণতন্ত্র রক্ষার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত বিএনপির
১ সপ্তাহ আগে
শনিবার ঢাকায় ‘বড় শোডাউন’ করবে বিএনপি
দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীতে জনসভার মাধ্যমে ‘বিরাট শোডাউন’ করার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।
দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করবে দলটির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং কোনো শর্ত ছাড়াই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাসহ দলের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্যও এই সমাবেশ।
ঈদুল ফিতরের পর এটি তাদের চলমান আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হওয়ায় সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দলটি।
সমাবেশকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করেন এবং সমাবেশে রাজধানীর ওয়ার্ডগুলো থেকে সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন।
দলীয় নেতারা জানান, শনিবারের সমাবেশের মধ্য দিয়ে তাদের দল চূড়ান্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রথম ধাপের সূচনা করতে যাচ্ছে।
সমাবেশ থেকে মির্জা ফখরুল দলের তৃণমূলকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সারাদেশে দলের ৮২টি সাংগঠনিক জেলায় বিভিন্ন দফায় সমাবেশের ঘোষণা দেবেন।
মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে দলের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেন।
দলের ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার নয়াপল্টনে ব্যাপক জনসমাবেশ নিশ্চিত করতে বিএনপি ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিট ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
ঢাকা মহানগরের আশপাশের বিএনপি নেতাদেরও সংলগ্ন জেলার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ভুল বোঝাবুঝি দূর করে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, শনিবারের সমাবেশ সফল করতে তারা সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের চূড়ান্ত আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা রাজপথে নামব। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ শূন্য করতে আবারো ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
১ বছর আগে