তেলের ট্যাঙ্কার
বরিশালে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের লাশ উদ্ধার
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করা তেলবাহী ট্যাঙ্কার এমটি ইবাদি ১-এর ইঞ্জিনরুমের বিস্ফোরণে নিখোঁজ আবুল কাশেমের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে বরিশাল ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় কীর্তনখোলা নদীতে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের পূর্বপাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বরিশালের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫
তিনি জানান, আমরা স্পিডবোটে করে নদীতে টহল দিচ্ছিলাম। তখন তার লাশ ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়। তারপর নগরী সংলগ্ন চাঁনমারি ঘাটে নৌপুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল জানান, লাশ গ্রহণ করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিডেট বরিশাল ডিপোর জন্য চট্টগ্রাম থেকে তিনদিন আগে কীর্তনখোলা নদীতে আসে জাহাজটি। এতে ১৩ লাখ লিটার অকটেন, পেট্রোল ও ডিজেল ভর্তি ছিল। সেই তেল উত্তোলনের জন্য ইঞ্জিন চালু করলে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন জাহাজের কর্মচারীরা। এই ঘটনায় স্বাধীন (২২) ও বাবুল কান্তি দাস (৬৪) নিহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কর্মচারী কুতুব উদ্দিন, মো. রুবেল ও কামাল হোসেনকে এবং নিখোঁজ ছিলেন আবুল কাশেম।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রাথমিক ধারণা, জাহাজের ইঞ্জিনরুমের এয়ারকম্প্রেসার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। নিহতদের দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা কী কারণে ঘটলো তা তদন্ত করে দেখবে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ২
রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
১ বছর আগে